মনিটর কি? কত প্রকার এবং মনিটর এর কাজ কি?

মনিটর কিঃ বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ তাদের ব্যক্তিগত এবং অফিসিয়াল কাজ করার জন্য, কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে। আর প্রতিটি কম্পিউটারের কিন্তু একটি করে, মনিটর রয়েছে।

অনেক লোক আছে যারা কম্পিউটার ব্যবহার করে কিন্তু, মনিটর সম্পর্কে তেমন ধারণা রাখে না। তাই আজ আমাদের এই পোস্টে আপনাকে জানাব, মনিটর কি? কত প্রকার এবং মনিটর এর কাজ কি?

আপনি যদি মনিটর এর বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নিতে চান তাহলে নিম্নোক্ত লেখা গুলো শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

বর্তমান সময়ে কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য একটি মনিটর অবশ্যই জরুরী ডিভাইস। মনিটর হলো কম্পিউটারের একটি ডিসপ্লে ডিভাইস।

কম্পিউটার ইউজার’রা তাদের কাজ কর্ম গুলো উক্ত মনিটর দেখে করতে পারে। অনেক লোক আছে মনিটরকে আউটপুট ডিভাইস হিসেবেও মনে করে থাকে।

মনিটর কি? কত প্রকার এবং মনিটর এর কাজ কি?
মনিটর কি? কত প্রকার এবং মনিটর এর কাজ কি?

মনিটর কি? (What is monitor)

মনিটর হচ্ছে কম্পিউটারের একটি আউটপুট ডিভাইস। কম্পিউটার এর সাথৈ টিভির পর্দার মতো যে ডিভাইস যুক্ত করা হয় তাকেই মনিটর বলা হয়।

কম্পিউটার এর সকল প্রকার কাজ গুরো মনিটরে উপস্থাপন করা হয় আর আমরা সেটি দেখে দেখে কাজ করতে পারি।

মনিটরের মূল কাজ হলো আপনি কম্পিউটরে কোন কিছু নির্দেশ দিলে সেগুলো আপনার সামনে উপস্থাপন করা মানে সামনে প্রদর্শন করা। এছাড়া মনিটর কে আবার ভিজুয়্যাল ডিসপ্লে ইউনিট বলা হয়ে থাকে।

কম্পিউটরের সকল প্রকার কাজ গুলো মনিটরের সাহায্যে দেখানো হয়। মনিটর এর কাজ হচ্ছে লেখা এবং ছবি গুলো ইউজারকে দেখানো।  অনেক লোক মনিটরকে ভিজুয়্যাল ডিসপ্লে ইউনিট বলা হয়ে থাকে।

আপনি যদি ইচ্ছা করেন, তাহলে একটি মনিটরে টিভি কার্ড যুক্ত করে টিভি দেখার মতো আক্রিতি তৈরি করতে পারবেন। যার মাধ্যমে আপনি ডিস, টিভি চ্যানেল গুলো সহজেই দেখতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে অনেক আক্রিতির মনিটর আছে। তবে কম্পিউটার মনিটর এর সাইজ সাধারণত 14, 17, 21, 24 ইঞ্চি হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি যখন বড় স্প্রেডশিটে বা গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করবেন সেই ক্ষেত্রে আপনার বড় মনিটর প্রয়োজন হবে।

একটি মনিটর ছাড়া কম্পিউটারে কাজ করা প্রায অচল বলা যায়। কারণ একজন ব্যবহারকারী কম্পিউটারে যে কোন কাজ করলে সেটি মনিটরের মাধ্যমে দেখতে পারে। যদি মনিটর ব্যবহার না করা হয় তাহলে কোন ক্রিয়াকলাপ গুলো ব্যবহার কারী দেখতে পারবে না।

আরো পড়ুনঃ

মোট কথা, কম্পিউটার মনিটর ছাড়া কোন কাজ করা সম্ভব তবে, গুরুত্বপূর্ণ সকল আউটপুট গুলোর মাধ্যমে দেখতে পারবেন। আমরা কম্পিউটারে যে ইনপুট করে থাকি সেটির মাধ্যমে দেখতে পায়।

আপনি যদি উক্ত আলোচনা অনুসরণ করে থাকেন। তাহলে আপনি মনিটর কি, এই বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা গ্রহণ করতে পারছেন।

মনিটরের পূর্ণরূপ কি ? 

মনিটরের পূর্ণরুপ হচ্ছে Mass On Newton Is Train On Rat.

মনিটর কাকে বলে?

মনিটর হলো যে ডিভাইস এর মাধ্যমে কম্পিউটারে ইনপুট তথ্য গুলো সঠিক ভাবে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে কিনা সেটি দেখা এবং সফট কপির মাধ্যমে আউটপুট ডাটা গুলো গ্রহণ করা হয় আর তাকেই মনিটর ডিভাইস বলা হয়।

মোট কথা, কম্পিউটার এর বিভিন্ন টেক্সট, ছবি, ফাইল, ডকুমেন্ট চালু করার জন্য ও দেখার জন্য মনিটর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মনিটর কম্পিউটার এর যে কোন আউটপুট কে এক সেকেন্ড এর কম সময়ে ব্যবহারকারীদের সামনে প্রদর্শন করা হয়।

মনিটর কত প্রকার ও কি কি?

সাধারণ ভাবে মনিটর ০৩ (তিন) প্রকার। যেমন-

  1. সিআরটি মনিটর
  2. এলসিডি মনিটর
  3. এলইডি মনিটর

উক্ত তিনটি মনিটর এর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নিচের অংশ অনুসরণ করুন।

আরো পড়ুনঃ

সিআরটি মনিটর

সিআরটি মনিটর এর সম্পূন্ন নাম হচ্ছে ক্যাথোর রে টিউব। উক্ত মনিটর গুলো দেখতে অনেকটা প্রাচীন যুগের টিভির গুলোর মতো। উক্ত টিভির প্রধান অংশ পিকচার টিউব এর মতো ক্যাথোর রে টিউব ব্যবহার করা হয়।

উক্ত ক্যাথোর রে টিউব মনিটর গুরোর ছবি এবং ভিডিও ডিসপ্লে করতে সহায়তা করে থাকে। এই মনিটর এর প্রধান তিনটি রঙ আছে যেমন- লাল, নীল এবং সবুজ।

যার ফলে, মনিটর এ প্রকাশিত ভিডিও এবং ছবি গুলো রঙিন দেখানো হয়। তাই উক্ত মনিটরকে অনেকে রঙিন মনিটর হিসেবে চিনে থাকে।

উক্ত সিআরটি মনিটর এর অসুবিধা হলো-  এই ধরণের মনিটর ব্যবহারের ফলে অনেক বিদ্যুৎ শক্তির প্রয়োজন হয়। এবং এই সকল মনিটর অনেক ভারি হয়ে থাকে, যে গুলোকে বহন করা অনেক কঠিন। বর্তমান সময়ে এই সকল কম্পিউটার মনিটর অনেক কম দেখা যায়।

এলসিডি মনিটর

বিশ্বে প্রথম যখন কম্পিউটার এর প্রচলন শুরু হয়েছিল তখন এই এলসিডি মনিটর ব্যবহার করা হতো। উক্ত এলসিডি মনিটর তৈরি করা হয় Liquid Crystal Display এর মাধ্যমে।

উক্ত মনিটর গুলোতে অনেক কম বিদ্যুৎ শক্তির প্রয়োজন হয়। উক্ত এলসিডি মনিটর গুলো বর্তমান সময়ে যে এলইডি মনিটর আছে সেগুলোর মতো। কিন্তু এলসিডি মনিটর গুলো এলইডি মনিটরের থেকে অনেক বেশি দামি হয়ে থাকে।

এলইডি মনিটর

বর্তমান সময়ে আমরা যে, কম্পিউটার গুলোতে মনিটর ব্যবহার করি, সেই সকল কম্পিউটার মনিটর গুলোকে এলইডি মনিটর বলা হয়।

বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির এই যুগে এলইডি মনিটর গুলো বিভিন্ন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেমন- সোজা ডিসপ্লে এবং হালকা মোরা ডিসপ্লে ইত্যাদি ভাবে।

উক্ত মনিটর গুলোতে ক্যাথোর রে টিউব ব্যবহার না করার ফলে অনেক পাতলা ও হালকা হয়ে থাকে। এছাড়া উক্ত মনিটর গুলো যে কোন জায়গায় রাখা যায়।

এলইডি মনিটর এর গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হচ্ছে এটি চলতে অনেক অল্প বিদ্যুৎ শক্তির দরকার হয়। তাই কারেন্ট বিল নিয়ে তো বেশি চিন্তা করতে হয় না।

মনিটর কি ধরনের ডিভাইস?

কম্পিউটারে কাজ করা সময় যে সকল ইনপুট ডাটা গুলো প্রবেশ করানো হয় সেগুলো মনিটর এর মাধ্যমে আউটপুট ডাটা গুলো ব্যবহারকারীদের সামনে তুলে ধরে। আর এই কারণে মনিটর কে একটি আউটপুট ডিভাইস বলে।

আরো পড়ুনঃ

মনিটর এর কাজ কি?

কম্পিউটার দিয়ে আমরা বিভিন্ন তথ্য ইনপুট করে থাকি। উক্ত ইনপুট ডাটা গুলো প্রসেসিং করে, সকল ব্যবহারকারীদের কে মনিটর এর মাধ্যমে দেখানো হয়ে থাকে।

আপনাকে আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে বলা যায় কম্পিউটারে আমরা যে, সকল কাজ করি সেগুলো মনিটর আমাদের আউটপুট হিসেবে প্রদান করে থাকে। আর এই কাজ গুলোর হলো মনিটরের।

কম্পিউটার মনিটর দেখতে কেমন?

কম্পিউটার মনিটর এর আকার দেখতে প্রায় একটি টেলিভিশনের মতো। টিভি কন্ট্রোল করার জন্য একটি রিমোট এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেল থাকে। অন্যদিকে মনিটর এর কোন রিমোট এবং টিভি চ্যানেল থাকে না।

একটি কম্পিউটার এর সাথে মনিটর সংযুক্ত করে, বিভিন্ন ধরণের কাজ করা হয়। কম্পিউটারে কাজ করার বিভিন্ন প্রক্রিয়া গুরো উক্ত মনিটরে প্রদর্শন করা হয়।

আপনি যদি একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন। তাহলে আমাদের দেওয়া আর্টিকেল ও কিন্তু আপনি মনিটর এর সাহায্যে দেখে দেখে পড়ছেন।

আরো পড়ুনঃ

শেষ কথা

তো বন্ধুরা, আজ আমাদের এই আর্টিকেল থেকে শিখতে পারলাম, মনিটর কি? কত প্রকার এবং মনিটর এর কাজ কি?

আপনি যদি উক্ত আলোচনা মনযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন। তাহলে আপনিও মনিটর সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা নিতে পারছেন। এছাড়া আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে আরো কম্পিউটারের বিভিন্ন ডিভাইস সম্পর্কে জানতে চাইলে নিয়মিত ভিজিট করুন

আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top