অপারেটিং সিস্টেম কি ? অপারেটিং সিস্টেম কিভাবে কাজ করে ?

বর্তমান সময়ে আমরা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করি। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেক লোক আছে, যারা অপারেটিং সিস্টেম কি? এই বিষয়ে সঠিক ধারণা রাখে না।

তাই আমাদের এই পোস্টে আপনাকে জানাব, অপারেটিং সিস্টেম কি? অপারেটিং সিস্টেম কিভাবে কাজ করে।

বর্তমান সময়ে এমন কোন লোক পাওয়া যাবে না। যারা কম্পিউটার বা মোবাইল সম্পর্কে জানে না।

আমরা জানি, মানুষের বেশির ভাগ সময় কেটে যায় কম্পিউটার বা মোবাইল এর মাধ্যমে।

তাই আমরা যারা কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার করি। তার মনে হয় অপারেটিং সিস্টেম কথাটি শুনেছি।

তবে দুঃখের বিষয় হলো অনেক লোক আছে যারা অপারেটিং সিস্টিম কি সেই বিষয়ে জানে না। তাই তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল নিয়ে আপনাকে সামনে হাজির হয়েছি।

অপারেটিং সিস্টেম কি ? অপারেটিং সিস্টেম কিভাবে কাজ করে ?
অপারেটিং সিস্টেম কি ? অপারেটিং সিস্টেম কিভাবে কাজ করে ?

অপারেটিং সিস্টেম কি ? (What is Operating System)

অপারেটিং সিস্টেম হলো- কম্পিউটারের এমন একটি প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার যার কাজ হচ্ছে-

ব্যবহাকারীর নির্দেশ অনুযায়ী কম্পিউটার হার্ডওওয়্যার ও সফটওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা।

কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রকার প্রোগ্রাম যেমন- ইনপুট, আউটপুট স্টোরেজ ও প্রসেসিং এর জন্য কাজ করা।

অপারেটিং সিস্টেম এর ইতিহাস

আমরা জানি, ১৯৫০ সালের শেষ দিকে অপারেটিং সিস্টেম গুলো প্রথম ডেভেলপ করা হয়েছে।

এরপরে ১৯৬০ সালের মাঝামাঝি সময়ে অপারেটিং সিস্টেম গুলো ডিস্ক ব্যবহার করা শুরু হয়।

মাইক্রোসফট দ্বারা তৈরি প্রথম অপারেটিং সিস্টেম ছিল Dos. এটি ১৯৮১ সালে সিয়াটল এর একটি সংস্থা থেকে 86-DOS সফটওয়্যার ক্রয় করে তৈরি করেছিল।

বর্তমানে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উিইন্ডোজ ১৯৮৫ সালের প্রথম দিকে নিয়ে আসা হয়। যখন একটি GUI তৈরি করা হয়েছিল এবং MS DOS সংযুক্ত করা হয়েছিল।

আমরা জানি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।

আরো পড়ুনঃ

বিভিন্ন প্রকার কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম গুলোর নাম

  • Windows O.S (পিসি অপারেটিং সিস্টেম)
  • Linux O.S (পিসি অপারেটিং সিস্টেম)
  • Android O.S (মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম)
  • Network O/S (পিসি অপারেটিং সিস্টেম)
  • Mac O.S (পিসি অপারেটিং সিস্টেম)
  • Haiku O.S (পিসি অপারেটিং সিস্টেম)
  • React O.S (পিসি অপারেটিং সিস্টেম)
  • Distributed O.S (পিসি অপারেটিং সিস্টেম)
  • Multiprocessing O.S (পিসি অপারেটিং সিস্টেম)

অপারেটিং সিস্টেম এর বৈশিষ্ট্য

অপারেটিং সিস্টেম এর বৈশিষ্ট্য তালিকা ‍গুলো হচ্ছে-

  • প্রোগ্রাম এক্সিকিউশন
  • মেমোরি ম্যানেজমেন্ট ভার্চুয়াল মেমোরি মাল্টিটাস্কিং
  • ত্রুটি শনাক্ত করা
  • সুরক্ষিত ও সুপারভাইজার মোড
  • ডিস্ক এক্সেস ও ফাইল সিস্টেম অনুমতি দেওয়া ডিভাইস ড্রাইভ সিকিউরিটি
  • ইনফরমেশন ও রিসোর্স প্রটেশন করা ইত্যাদি।

অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ

আমরা জানি, কম্পিউটার এর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার হলো অপারেটিং সিস্টেম।

অপারেটিং সিস্টেম এর বিভিন্ন কার্যাবলি আছে। সেগুলো আপনি নিম্নোক্ত আলোচনায় জেনে নিতে পারবেন। যেমন-

প্রসেস ম্যানেজমেন্ট করা

প্রসেস ম্যানেজমেন্ট অপারেটিং সিস্টেম গুলো তৈরি ও ডিলিট করতে সহায়তা করে।

কম্পিউটার এর প্রসেসর একই সাথে যে কোন একটি প্রসেসের কাজ করতে পারে।

কম্পিউটার এ এক সাথে অনেক প্রসেস চলমান থাকে। এখান অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ হলো- কোন প্রসেসটি কম্পিউটার এর প্রসেসর দিয়ে ফাংশনাল কাজে ব্যবহার করা হবে সেটি নির্ধারণ করা হয়।

মেমোরি ম্যানেজমেন্ট করা

কোন প্রকার প্রসেস চলাকালীন সময়ে প্রয়োজনীয় ফাইল স্টোরেজ থেকে র‌্যামে লোড করে নেওয়া।

এখানে অপারেটিং সিস্টেম প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার গুলোতে, মেমোরি স্পেস সংরক্ষণ করে মানে কোন প্রোগ্রাম মেমোরি’র কতটা জায়গা কত সময় এবং কিভাবে ব্যবহার করবে সেটি নির্ধারণ করে।

স্টোরেজ ম্যানেজমেন্ট করা

অপারেটিং এর কাজ হলো সিস্টেম স্টোরেজ কে সিস্টেম ফাইল হিসেবে ট্রান্সফার করে।

যার ফলে ফাইলটি স্টোরেজে কোন অবস্থায় কতটা জায়গা নিয়েছে সিটি নির্ধারণ করে দিয়ে থাকে।

ফাইল ম্যানেজমেন্ট করা

অপারেটিং সিস্টেম ফাইল সম্পর্কিত সকল কার্যকলাপ যেমন- প্রতিষ্ঠানের স্টোরেজ, নাম করণ, শেয়ারিং, ফাইল প্রটেকশন ইত্যাদি ম্যানেজ করার কাজ করে থাকে।

ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট করা

অপারেটিং সিস্টেম ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট এর সকল ডিভাইস এর ট্র্যাক রাখে। উক্ত মডিউলটি এই ট্র্যাকের জন্য দায়ী। যা io কন্ট্রোলার হিসেবে পরিচিত।

উক্ত ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট ডিভাইস গুলোর বরাদ্দ কাজ গুলো সম্পাদন করে থাকে।

I.O সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট করা

যে কোন অপারেটিং সিস্টেম এর প্রধান অবজেক্ট গুলোর মধ্যে একটি হলো- ব্যবহারকারী থেকে সেই হার্ডওয়্যার ডিভাইস এর বিশেষত্ব গুলো লুকানো থাকে।

সেকেন্ডারি স্টোরেজ ম্যানেজমেন্ট করা

সিস্টেম এ বেশ কয়েকটি স্তরে স্টোরেজ থাকে। যার মাধ্যমে প্রাইমারি স্টোরেজ, সেকেন্ডারি স্টোরেজ ও ক্যাশ স্টোরেজ আছে।

উক্ত নির্দেশনা ও ডাটা অবশ্যই প্রাথমিক স্টোরেজ বা ক্যাশে স্টোরেজ করতে হবে। যা কোন চলমান প্রোগ্রাম কে উল্লেখ করতে পারবে।

সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট করা

সিকিউরিটি মডিউল ম্যালওয়্যার অনুমোদিত এক্সেস এর বিরুদ্ধে কম্পিউটার সিস্টেম এর ডেটা ও তথ্য সুরক্ষা দিয়ে থাকে।

এছাড়া এক প্রসেস নিয়ে কাজ করার সময় অন্য প্রসেসর কাজ করার সময় ঝামেলা হবে না।

সেটি নিয়মিত দেখা শোনা করে অপারেটিং সিস্টেম।

মোট কথা সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে কম্পিউটার সুরক্ষিত ও সিকিউরিটি নিশ্চিত করে থাকে।

অপারেটিং সিস্টেমের প্রকার

অপারেটিং সিস্টেম গুলো কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে যেমন-

  • রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম
  • টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম
  • নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম
  • ব্যাচ অপারেটিং সিস্টেম
  • ডিস্ট্রিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেম

আবার কোন প্রকার কম্পিউটার কন্ট্রোল করে, ও কোন ধরণের সফটওয়্যার সমর্থন করে, তার উপর ভিত্তি করে, অপারেটিং সিস্টেম আবার চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে যেমন-

  • সিঙ্গেল ইউজার, মাল্টি টাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম
  • মাল্টি ইউজার অপারেটিং সিস্টেম
  • সিঙ্গেল ইউজার, সিঙ্গেল টাক্স অপারেটিং সিস্টেম
  • রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম

অপারেটিং সিস্টেম কিভাবে কাজ করে ?

আমরা যখন কম্পিউটারে কাজ করি। তখন ডিসপ্লে’তে অনেক ট্যাপ চালু করে কাজ করি।

এই যে, আমরা ইচ্ছা মতো অধিক পরিমাণের ট্যাপ এক সাথে চালু করে কাজ করি এটি অপারেটিং সিস্টেমের কাজ।

মনে করুন- আপনি একটি কম্পিউটার চালু করবেন। তার জন্য আপনাকে সুইচবোর্ড এ আপনার কম্পিউটার প্লাগ গুলো লাগিয়ে সিপি পাওয়ার বাটনে ক্লিক করবেন।

ক্লিক করার পরে কম্পিউটার তার হার্ডডিস্ক, র‌্যাম ইত্যাদি বিষয় গুলো চালু করে থাকে।

তখন র‌্যাম ও হার্ডডিস্ক কার্ণেলকে নির্দেশণ দেয়। আর সেই কার্ণেল আপনার কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম কে নক করে, ডিসপ্লে চালু করে। তারপরে সম্পূন্ন ভাবে ডিসপ্লে চালূ হয়।

আরো অন্য ভাবে মনে করুন- আপনি কম্পিউটার চালু করার পরে, কোন ব্রাউজার চালু করার জন্য ক্লিক করে আপনার প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিলেন।

তখন আপনার কম্পিউটার এর অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটার কার্ণেলকে সেই ব্রাউজার চালু করার নির্দেশ পৌদে দিবে।

কার্ণেল সেই তথ্য পৌছে দিবে র‌্যাম ও হার্ডডিক্সের কাছে। হার্ডডিস্ক তখন সেই ব্রাউজার চালু করার জন্য আবার কার্ণেল কে বলবে।

তারপরে কার্ণে আবার অপারেটিং সিস্টেম এর কাছে প্রেরণ করে দিবে। আর সাথে সাথে আপনার নির্দেশনা দেওয়া ব্রাউজার আপনার কম্পিউটার ডিসপ্লেতে চালু হবে।

উক্ত যে কোন কাজ অপারেটিং সিস্টেম কয়েক সেকেন্ড এর মধ্যে করে দিতে পারে।

মোট কথা কম্পিউটারের প্রধান প্রধান কাজ গুলো অপারেটিং সিস্টেম করে থাকে।

আরো পড়ুনঃ

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা, আজ আমাদের এই সাইট থেকে শিখতে পারলেন, অপারেটিং সিস্টেম কি ? এবং অপারেটিং সিস্টেম কিভাবে কাজ করে।

আপনি যদি উক্ত আলোচনা অনুসরণ করে থাকেন। তাহলে আমরা আশা করি অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে আপনার সঠিক জ্ঞান চলে এসেছে।

ট্যাগঃ অপারেটিং সিস্টেম কি ? অপারেটিং সিস্টেম কিভাবে কাজ করে ? অপারেটিং সিস্টেম কি ? অপারেটিং সিস্টেম কিভাবে কাজ করে ? অপারেটিং সিস্টেম কি ? অপারেটিং সিস্টেম কিভাবে কাজ করে ?

অপারেটিং সিস্টেম কি ? অপারেটিং সিস্টেম কিভাবে কাজ করে ? অপারেটিং সিস্টেম কি ? অপারেটিং সিস্টেম কিভাবে কাজ করে ?অপারেটিং সিস্টেম কি ? অপারেটিং সিস্টেম কিভাবে কাজ করে ?

আমাদের আর্টিকেল পড়ে আপনার যদি ভালো লাগে, তাহলে একটি কমেন্ট করে জানাবেন। আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top