বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় গুলো কি কি ? [সেরা ১০ টি টিপস]

কারেন্ট / বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় : বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করি। কারেন্ট ছাড়া বর্তমান সময়ে অফিস কিংবা বাড়িতে কাজ করা একেবারে অসম্ভব।

কারণ এই সময়ে আমাদের ঘরে শুধু মাত্র লাইট বা ফ্যান ছাড়া আরো অনেক ধরণের আধুনিক ইলেট্রনিক্স যন্ত্র গুলো ব্যবহার করা হয়।

যেমন-  ফ্রিজ, ইনভারর্টার, এসি, স্মার্ট টিভি, মাইক্রোওয়েভার, আয়রন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার ইত্যাদি।

এই সকল, আধুনিক উপরণ গুলো অধিক বিদ্যুত শক্তি বা ইউনিট ব্যবহৃত হয়। যার ফলে, আমাদের মাস শেষে হাতে চলে আসে বেশি বিদ্যুৎ বিলের কাগজ।

আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাদের সুবিধার জন্য আলোচনা করব, বিদ্যুত বিল কমানোর উপায় সম্পর্কে।

আপনি যদি এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে চান, তাহলে নিম্নোক্ত লেখা গুলো শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় গুলো কি কি ? [সেরা ১০ টি টিপস]
বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় গুলো কি কি ? [সেরা ১০ টি টিপস]

বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় কি কি ?

বিদ্যুৎ বিল বেশি আসলে আমাদের করণীয় কিছু থাকে না। তবে আপনি যদি আমাদের দেওয়া টিপস গুলো অনুসরণ করেনে।

তাহলে বুঝতে পারবেন কিভাবে বিদ্যুৎ বিল কমানো যায়।

বর্তমান সময়ে বিদ্যুত বিল বেশি আসার কারণ হলো- বেশি পরিমাণৈর ইলেকট্রনিক যন্ত্র গুলোর ব্যবহার।

উক্ত ইলেকট্রকি যন্ত্র গুলো চাহিদার চেয়ে বেশি ব্যবহার করার ফলে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে।

তার জন্য, বিদ্যুৎ বিল কমানো জন্য, উক্ত ইলেকট্রনিক যন্ত্র গুলো সঠিক ও ‍উপর্যুক্ত ব্যবহার করার কথা চিন্তা করতে হবে।

তো চলুন জেনে নেওয়া যাক, কারেনট/ বিদ্যুৎ বিল কমানোর সেরা টিপস গুলো।

কিভাবে বিদ্যুৎ বিল কমানো যায় [সেরা ১০ টি টিপস]

  1. ইলেকট্রিক লাইট ও ফ্যান সঠিক ভাবে ব্যবহার করা।
  2. লাইট ব্যবহারের ক্ষেত্রে LED লাইট ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
  3. বিদ্যুৎ এর পাশাপাশি সোলার পেন্যাল ব্যবহার করুন।
  4. ব্যবহার না হওয়া অবস্থায় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বন্ধ রাখুন।
  5. আধুনিক নতুন মডেল এর বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করুন।
  6. কারেন্টে পানি গরম করার মেশিন বন্ধ রাখুন।
  7. রাতে বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহারের জন্য ২ wat এর LED বাতি ব্যবহার করুন।
  8. এসি ব্যবহারের করার সময় সঠিক নজর রাখুন।
  9. ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জেনে নিতে হবে।
  10. কম্পিউটারের বিপরীতে ল্যাপটপ ব্যবহার করুন।

আরো পড়ুনঃ

আপনি যদি নিজের বাসায় বা অফিসে বিদ্যুত বিল কমাতে চান, তাহলে উক্ত নিময় অনুযায়ী কাজ করতে পারলে আপনার কারেন্ট বিল কম আসবে।

তো চলুন উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

লাইট এবং ফ্যান এর সঠিক ব্যবহার

আপনি যদি কারেন্ট বিল কমাতে চান তাহলে, আপনাকে অবশ্যই লাইট এবং ফ্যান ব্যবহারের ক্ষেত্রে ধ্যান রাখতে হবে।

আপনি মনে করতে পারেন যে, এটি আর নতুন কি? আমাদের প্রয়োজন মতোই তো লাইট এবং ফ্যান ব্যবহার করি।

কিন্তু নতুন কথা হলো, অনেক বাড়ি এবং অফিস আছে যেখানে Room খালি রেখে বাহিয়ে যাওয়ার সময় আমরা লাইট ও ফ্যান বন্ধ করে যায় না।

তাই আমাদের বিদ্যুত বিল কমানোর জন্য অবশ্যই প্রয়োজন ছাড়া লাইট ফ্যান গুলোর সুইচ বন্ধ করে যেতে হবে।

এরকম ভাবে আপনি যদি প্রয়োজন ছাড়া ফ্যান লাইট বন্ধ রাখতে পারলে আপনার মাসে অনেক টাকা বিল কম আসবে।

LED light এর ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন

আপনি যদি বেশি সময় এর জন্য লাইট ব্যবহার করতে চান। সেক্ষেত্রে আপনাকে LED লাইট গুলো ব্যবহার করতে হবে।

উক্ত লাইট গুলো তৈরি করা হয়েছে, যাতে করে আলোর অল্প বিদ্যুত ব্যবহার করে প্রচুর তাপ পাওয়া যায়। তাই উক্ত লাইট গুলোতে কম তাপ উৎপাদন হয়ে থাকে। তার জন্য বিদ্যুৎ বিল কম আসে।

আপনি যদি লাইট ব্যবহার করেন তাহলে মাসে প্রায় 18% বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ী করতে পারবে।

সোলার প্যানেল ব্যবহার করুন

আপনার যদি বেশি বিদ্যুত বিল নিয়ে চিন্তা থাকে। তাহলে আপনি সোলার প্যানেল ব্যবহার করা শুরু করতে পারেন।

বর্তমান সময়ে সরকারি ভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যে, বিদ্যুৎ এর অনেক ঘাটতি আছে।

তাই আপনি যদি আপনার অফিস বা বাড়িতে সোলার প্যানেল স্থাপন করতে পারবেন।

একদম বিনামূলে লাইট, ফ্যান গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

তাই আপনি যদি সোলার প্যানেলের ব্যবহার করেন তাহলে অনেক বিশে পরিমানের বিদ্যুত বিল কমিয়ে নিতে পারবেন।

কিন্তু সোলার পেন্যাল স্থাপন কারার জন্য আপনাকে প্রথমে কিছু টাকা ব্যয় করতে হবে।

কারণ সোলার স্থানের খরচ মাত্র একবার। আর বিদ্যুৎ স্থাপন করার পরে আপনাকে মাসে মাসে বিল দিতে হবে।

সোলার প্যানেল তৈরি করলে আপনার মাসে মাসে কোন টাকা বিল দিতে হবে না।

আরো পড়ুনঃ

কারণ সূর্যের আলো শক্তি থেকে বিদ্যুত উৎপাদন হয়। সেই বিদ্যুৎ সোলার প্যানেল এর সাথে যুক্ত হয়ে ব্যাটারিতে চলে আসে।

এরপরে ব্যাটরী থেকে ইনভাটার থেকে আপনার ঘরে বৈদ্যুতিক যন্ত্র গুলোতে বিদ্যুৎ ছড়িয়ে পড়ে।

এরকম ভাবে, বাড়ির বা অফিসের ছাদে সোলার পেন্যালে। প্রতি দিন সূর্যের কিরণ এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ সৃষ্টি হয় এবং সেই বিদ্যুৎ আপনার ঘরে বা অফিসে ব্যবহার করতে পারবেন।

আপনি যদি বিদ্যুতের পাশাপাশি সোলার পেন্যাল তৈরি করেন তাহলে মাসে প্রায় 70% বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে নিতে পারবেন।

ব্যবহার না করা বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম গুলো বন্ধ রাখুন

ব্যবহার না করা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি গুলো বন্ধ রাখুন। এই ভাবে আপনি অপ্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার করা বন্ধ করে, বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে নিতে পারবেন।

কারণ আমরা যখন ব্যবহার না করা বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম গুলো সুইচ টিপে চালু করে রাখি যেমন- মোবাইল চার্জার, ল্যাপটপ এর চার্জার, টেলিভিশন রিমোট দিয়ে বন্ধ করা ইত্যাদি কারণের জন্য কিছু পরিমানের বিদ্যুৎ বিল আসে।

এই কারণে অনেক সময় অনেক গুলো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম গুলোর অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার করা হয়। এতে করে আপনার বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে।

তাই আপার যখন ইলেকট্রিক যন্ত্র গুলোর ব্যবহার শেষ হবে। যখন আপনি সেই সরঞ্জাম গুলো চালু না রেখে বন্ধ রাখুন। এতে করে আপনার সামান্য হলেও বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।

আধুনিক এবং নতুন মডেলের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করুন

আগের সময় গুলোতে ইলেকট্রনিক্স গুলো শক্তি ও দক্ষতার উপর ধ্যান করে তৈরি করা হতো না।

তার জন্য আগের পুরোনো মডেল এর বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম গুলো সুবিধা দিয়ে থাকে। কিন্তু সেই সকল যন্ত্র ব্যবহার করার ফলে আপনার বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে।

তাই আপনাকে বর্তমান সময়ের উন্নত আধুনিক এবং নতুন মডেলের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে। কারণ এই সকল সরঞ্জামে অনেক বেশি শক্তি ও দক্ষতার সহিত তৈরি করা হয়েছে।

তািই নতুন মডেল এডর এসি, ইনভাটার, স্মার্ট টিভি ইত্যাদি গুলো ব্যবহার করলে আগের পুরাতন সরঞ্জাম গুলোর তুলনায় অনেক কম বিদ্যুত বিল আসবে।

তাই আপনি যদি বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে নতুন মডেল এর ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম কেনার চিন্তা করতে হবে।

কারেন্টে পানি গরম করার মেশিন ব্যবহার করবেন না

আমরা শীত কালীন সময়ে বা বিভিন্ন কারণে পানি গরম করে থাকি। কিন্তু মনে রাখবেন, এই ধরনের পানি গুলো সেকেন্ডের মধ্যে গরম হয়ে যায়।

উক্ত পানি গরম করার মেশিন গুলো যেহেতু দ্রুত গম হয় সেক্ষেত্রে বেশি পরিমাণের বিদ্যুৎ বিল আসার সম্ভবনা থাকে। মানে বেশি বিদ্যুত বিল আসে।

তাই আপনাকে পরামর্শ দিবো যত সম্ভব ইলেকট্রিক বিদ্যুৎ এর কাজে পানি গরম করবেন না। আপনি পানি গরম করতে চাইলে, গ্যাস স্টোভ বা কাটের চুলায় গরম পানি করুন।

আরো পড়ুনঃ

রাতে বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহারের জন্য ২ wat এর LED বাতি ব্যবহার করুন

আপনি যদি রাতে, ঘুমানোর সময় বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার করেন। তাহলে সেই বেশি ওয়াড এর লাইট ব্যবহার করার দরকার নাই।

সেক্ষেত্রে আপনার রাতে অল্প আলো হলেই যথেষ্ট। তাই আপনি 2 ওয়াট এর লাইট ব্যবহার করবেন। যতটা সম্ভব আপনি LED Night Bulb ব্যবহার করুন। তাহলেই আপনি বিদ্যুৎ বিল অনেক সাশ্রয়ী করতে পারবনে।

এসি ব্যবহার করার সময় সঠিক নজর রাখুন

আপনি যদি ঘরে এসি ব্যবহার করেন। তাহলে অবশ্যই অধিক বেশি কারেন্ট বিল আসে। কিন্তু কিছু সাধারণ বিষয় নিয়ে নজর দেন তাহলে এসি বিল কমিয়ে আনতে পারবনে। যেমন

সব সময় নতুন মডেল এর এসি ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। পুরাতন এসি কোন ভাবেই ব্যবহার করবেন না।

মাঝে মাঝে এসির maintenance করতে হবে। ছোট ঘরের জন্য বেশি টন এর এসি সেট করবেন না। ছোট রুমে ছোট এসি ব্যবহার করুন।

মনে রাখবেন, আপনি যে এসি কিনছেন তার স্টার রেটিং যত বেশি হবে সেই এসি ততটা শক্তিশালী হবে। তাই আপনি এসি ব্যবহার করতে চাইলে 5 Star Rating এসি ক্রয় করার চেষ্টা করুন। তাহলে আপনার অনেক বিদ্যুৎ বিল বেচেঁ যাবে।

ওয়াশিং মেশিন এর সঠিক ব্যবহার

আপনার ঘরে যদি ওয়াশিং মেশিন থাকে। তাহলে কিছু সাধারণ বিষয় মাথায় রেখে ওয়াশিং মেশিনের দ্বারা বিদ্যুৎ বিল কমানো সম্ভব।

আপনি যখন এক সাথে অনেক কাপড় জমা করবেন তখন একসাথে সকল কাপড় গুলো ওয়াশ করবেন।

আপনি যদি প্রতিদিন একটা করে, দিনে তিন-চার বার করে ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করেন তাহলে আপনার বিদ্যুৎ বিল বেশি আসবে।

তাই আপনার ময়লা কাপড় গুলো এক সাথে জমা করে সপ্তাহে একদিন পরিষ্কার করার জন্য ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করবেন। এতে করে আপনার বিদ্যুৎ বিল অনেক কম আসবে।

কম্পিউটারের বিপরীতে ল্যাপটপ ব্যবহার করুন

আপনি যদি কম্পিউটার এর বিপরীতে ল্যাপটপ ব্যবহার করেন। তাহলে আপনি অনেক বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ী করতে পারবেন।

এবং কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ এর মধ্যে আলাদা আলাদা সুবিধা আছে।

কিন্তু আপনি যদি বিদ্যুৎ বিল কমাতে চান। তাহলে আপনাকে আমরা পরামর্শ দেব। কম্পিউটারের বিপরীতে ল্যাপটপ ব্যবহার করুন।

কারণ আপনি যদি কম্পিউটার (পিসি) ব্যবহার করেন। তাহলে আপনি কারেন্ট ছাড়া ব্যবহার করতে পারবেন না।

অন্যদিকে আপনি যদি ল্যাপটপ ব্যবহার করেন।

তাহলে বিদ্যুতের মাধ্যমে চার্জ করে নিয়ে, মোবাইলের মতো বিদ্যুৎ ছাড়া ব্যবহার করতে পারবেন।

এতে করে আপনার অনেক বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।

আপনি ল্যাপটপে কারেন্ট ছাড়া প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘন্টার মতো কাজ করতে পারবেন। এটি কিন্তু কম্পিউটারে মাধ্যমে পাবেন না।

তাই ল্যাপটপ কিনুন আর বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে নিন।

আরো পড়ুনঃ

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা, আমাদের এই পোস্টে আপনাকে জানানো হলো, বিদ্যুৎ বিল কমানোর ‍উপায় গুলো কি কি সম্পর্কে।

আপনি যদি উক্ত টিপস গুলো কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। তাহলে প্রতি মাসে অল্প টাকা বিদ্যুৎ বিল দিয়ে চিন্তা মুক্ত থাকতে পারবনে।

ট্যাগঃ বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় গুলো কি কি ? [সেরা ১০ টি টিপস] বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় গুলো কি কি ? [সেরা ১০ টি টিপস] বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় গুলো কি কি ? [সেরা ১০ টি টিপস]

বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় গুলো কি কি ? [সেরা ১০ টি টিপস] বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় গুলো কি কি ? [সেরা ১০ টি টিপস] বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় গুলো কি কি ? [সেরা ১০ টি টিপস]

আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আরো নতুন নতুন টিপস পড়তে নিয়েমিত আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন, ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top