মেমরি ও স্টোরেজ ডিভাইস:
আজকাল কম্পিউটার বা মোইল ফোন ছাড়াও প্রায় সকল প্রকার প্রযুক্তি পণ্যেই মেমোরি ও স্টেরেজ ডিভাইস ব্যবহার হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সকল পন্যই মাইক্রোপ্রসেসর দ্ধারা পরিচালিত হয় । এ মাইক্রোপ্রসেসরকে চলনা করার জন্য কিছু নির্দেশনা দিতে হয় । এ নির্দেশনাগুলো জমা রাখার জন্য মেমোরি বা স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয়।
কম্পিউটার, স্মার্টফোন, গেম কনসোল বা এ ধরনের যাবতীয় যন্তপাতির কাজ করার ক্ষেত্রে মেমোরি (Memory) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মেমোরি দুই পকার। প্রধান বা প্রাথমিক মেমোরি এবং সহায়ক বা সেকেন্ডারি মেমোরি। কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট বা সিপিইউ যখন তথ্য প্রক্রিয়াকরণের কাজ করে তখন প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো বা সফটৗয়্যা প্রধান মেমোরিতে অবস্থান করে। প্রধান মেমোরির গতি অত্যন্ত বোমি হওয়ায় এটি সিপিইউর সাথে তাল মিলিয়ে দ্রুত কাজ করতে সক্ষম হয়।
সাধারণত প্রধান বা প্রতথমিক মেমোরি দুই ধরনের:
১. র্যাম RAM (Random Access Memory)
২. রম ROM (Read only Memory)
৮ বিট = ১ বাইট
১০২৪ বাইট = ১ কিলোবাইট
(১০২৪×১০২৪) বাইট = ১ মেগাবাইট
(১০২৪×১০২৪×১০২৪) বাইট = ১ গিগাবািইট
(১০২৪×১০২৪×১০২৪×১০২৪) বাইট = ১ টেরাবাইট
প্রধান বা সহায়ক মেমোরির ক্ষমত দুই ভাবো প্রকাশ করা হয়। একরি হচ্ছে গতি য হার্টজ (Hz) এবং অন্যটি হলো ধারণ ক্ষমতা যা বাইট (Byte) দ্ধারা প্রকাশ করা হয়। এক বাইট সমান ৮ বিট, ১০২৪ বাইট যেহেতু ১০০০ এ খুব কাছাকাছি সেজন্যে একে এক কিলোবাইট বলা হয়।
র্যাম (RAM): আইসিটি পন্য তথা কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মাদরবোর্ডের সাথে র্যাম সংযুক্ত থাকে। প্রসেসর প্রাথমিকভাবে র্যাম প্রয়োজনীয় তথ্য জমা করে। প্রসেসর র্যাম থেকে তথ্য নিয়ে তথ্য প্রক্রিয়াজাত করে। প্রসেসর র্যামের যে কোনো জায়গা থেকে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করে বলে একে Random Access Memory বা সংক্ষেপে RAM বলা হয়।
এখনকার দিনে প্রসেসরের ক্ষমাত যেমন বেড়েছে তেমনি সফটওয়্যারগুলো অনেক কার্যকর এবং জটিল হয়েছে তাই এগুলোকে মেমোরি অনেক বড় অংশ ব্যবহার করতে হয়। সেজন্য এখনকার কম্পিউটার গুলোর জন্য কমপক্ষে ২ গিগাবাইট বা তার চেয়ে বেশি মেমোরি দরকার হয়। প্রসেসরের গতির সাথে পাল্লা দিয়ে র্যামের গতিও এখন অনেক।
এখানে একটি বিষয়ে জানা থাকা একান্ত প্রয়োজন-র্যাম-তথ্য থাকা না থাকা বিদ্যুৎ প্রবাহের উপর নির্ভরশীল। বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ করে দিলে এর সমস্ত তথ্য মুছে যায়। অর্থাৎ কম্পিউটার চালু করলে র্যাম প্রয়োজনিয় তথ্য সংরক্ষণ করতে থাকে। আবার কম্পিউটার বন্ধ করলে র্যাম তথ্য-শূণ্য হয়ে যায়।
রম (ROM): ROM বা Read Only Memory মাদারবোর্ডের সংযুক্ত থাকে। আইসিটি যান্ত্রপাতি বা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার সচল রাখার জন্য কিছু নির্দেশনা প্রয়োজন হয়। এ নির্দেশনাগুলো ছাড়া কম্পিউচার চালু করা যায় না। তাই রম এ নির্দেশণাগুলো স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকে। বিদ্যুৎ থাকা না থাকার উপর এই মেমোরি নির্ভর করে না। ব্যবহারকারীও বিশেষ ব্যবস্থা ছাড়া এটি মুছে ফেলতে পারে না।
এ মেমোরি শুধু পাঠ কার যায় বলে একে ROM বা Read Only Memory বলে। যেহেতু বিশেষ ব্যবস্থা ছাড়া এর তথ্য সংযোজন বা বিয়োজন করা যায় না তই একে স্থায়ী মেমোরি বলে।