ভোটার আইডি কার্ড আবেদন : বর্তমান সময়ে, অনেকেই গুগল সম্মান করে জানতে চান? নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করার নিয়ম কি?
নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করার জন্য কি কি উপায় রয়েছে। এছাড়া নতুন ভোটার আইডি আবেদন করার জন্য কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়।

তো যাদের এ বিষয়ে কোন ধারনা নেই, তারা আজকের এই আর্টিকেল অনুসরণ করে, খুব সহজেই ভোটার আইডি আবেদন করার নিয়ম জেনে যাবেন।
বর্তমানে নতুন ভোটার আইডি আবেদন করা অনেক সহজ ব্যাপার। আপনারা চাইলে নিজের হাতে থাকা স্মার্টফোন ব্যবহার করে অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করে, দ্রুত ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
তাই আপনারা যারা অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করার নিয়ম জানতে চাচ্ছেন। তারা আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
বর্তমান সময়ে আপনারা ভোটার আইডি আবেদন দুইভাবে করতে পারবেন। যেমন-
০১। সরাসরি উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার নিবন্ধন ফরম ২ সংগ্রহ করে সেটি সঠিকভাবে পূরণ করে ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করে জমা দিলেন নতুন ভোটার হতে পারবেন।
কিন্তু এর আগে নির্বাচন অফিসে যেতে হবে এবং ফরম সংগ্রহ করতে হবে। সে ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে তারপর জমা দিতে হবে।
সরাসরি উপজেলা নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে নতুন ভোটার আইডি আবেদন ফরম অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন না।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন ফরম এর ওপর একটি ইউনিক নম্বর দেওয়া থাকে, তাই অনলাইন থেকে ডাউনলোড করলে সেটি ডুপ্লিকেট হয়ে যাবে।
যার ফলে পরবর্তীতে আপনাকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই নির্বাচন অফিসে গিয়ে আবেদন করে ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইন থেকে নতুন ভোটার আবেদন ডাউনলোড করার চিন্তা করবেন না।
০২। সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করতে পারবেন। নিজের ঘরে বসে নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন দাখিল করে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করে আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কাগজপত্র নিয়ে নির্বাচন অফিসের দ্বারে দ্বারে ঘুরে সময় নষ্ট করতে হবে। অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করা অনেক সহজ।
তো অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার আইডি আবেদন কিভাবে করবেন। সে বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানিয়ে দেব।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করার নিয়ম
আপনি যদি অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করতে চান? তাহলে প্রথমে আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে ভিজিট করতে হবে। এই services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটটি। তারপর নিচে দেওয়া ছবির মতো ওয়েবসাইটের হোমপেজ চলে আসবে।
তো আপনার যেহেতু নতুন ভোটার আইডি আবেদন করবেন, সে ক্ষেত্রে সরাসরি ‘আবেদন করুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর পেজটি লোড হয়ে নিচে দেওয়া ছবির মত ফরম আকারে চলে আসবে।
আপনারা ওপরে যে ফর্মটি দেখতে পারছেন, এখানে প্রথমে আবেদনকারীর নাম ইংরেজিতে লিখতে হবে। এরপরে আবেদনকারী জন্ম তারিখ লিখতে হবে। তার পরবর্তী ঘরে একটি ক্যাপচা কোড পূরণ করতে হবে।
তারপর সর্বশেষ বহাল বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে। তারপর পেজটি লোড হয়ে আরো একটি পেজে নিয়ে যাওয়া হবে। নিচের ছবিটি দেখুন।
উপরের যে পেজটি দেখতে পাচ্ছেন, সেখানে আবেদনকারের মোবাইল নাম্বার সঠিকভাবে টাইপ করতে হবে। এবং সেই মোবাইল নাম্বারে একটি এসএমএস কোড পাঠানো হবে। তাই আপনারা সঠিকভাবে মোবাইল নাম্বারটা লিখে বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করে দিবেন।
আপনার মোবাইলে সাথে সাথে ছয় ডিজিট এর একটি যাচাই করুন কোড চলে আসবে। সেটি সঠিক জায়গায় যুক্ত করে, বহাল বাটনে ক্লিক করে দেবেন।
তারপর, এই পেজটি কিছু মুহূর্ত লোড হয়ে, ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড যুক্ত করার অপশন প্রদান করবে। যে আপনারা নিচের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন।
উপরে যে ফরমটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেখানে একটি ইউজার নেম লিখতে হবে। তারপরও ভর্তি করে একটি পাসওয়ার্ড যুক্ত করতে হবে। আপনি যে পাসওয়ার্ডটি ব্যবহার করবেন সেটি পুনরায় আবার ব্যবহার করতে হবে।
আর সেখানে আপনি যে পাসওয়ার্ডটি ব্যবহার করবেন সেটি অবশ্যই সেভ করে রাখবেন বা কোন জায়গায় লিখে রাখবেন পরবর্তীতে অ্যাকাউন্ট লগইন করার জন্য এই পাসওয়ার্ডটি দরকার হবে। পাসওয়ার্ড যুক্ত করা হয়ে গেলে আপনারা নিচে থাকা বহাল বাটনে ক্লিক করে দিবেন।
আপনি উপরের কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারলে আপনার একাউন্টে তৈরি হয়ে যাবে। তারপর আপনাকে একটি প্রোফাইল পেজ দেয়া হবে। নিচের ছবি দেখুন।
আপনি যেহেতু নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করবেন সে ক্ষেত্রে সরাসরি প্রোফাইল অপশনে ক্লিক করে দিবেন। তারপর সেখানে ব্যক্তিগত তথ্য ও ঠিকানা এই তিন ধরনের তথ্য প্রদান করার জন্য বলা হবে। আপনারা সরাসরি এডিট বাটনে ক্লিক করে দিবেন। নিচের ছবি দেখুন।
এডিট বাটনে ক্লিক করে আপনারা সেখানে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্যগুলো ধাপে ধাপে পূরণ করে দিবেন।
এরকমভাবে পর্যায়ক্রমে ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ হয়ে গেলে অন্যান্য তথ্য পূরণ করতে হবে। নিচের ছবিটি দেখুন।
ব্যক্তিগত তথ্য (১)
ব্যক্তিগত তথ্য (২)
উপরে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আপনারা ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ করার শেষ করলে, অন্যান্য তথ্য পূরণ করতে হবে। তো অন্যান্য তথ্যের মধ্যে যে তথ্যগুলো রয়েছে সেগুলো হলো শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, অসামর্থতা, সনাক্তকরণ চিহ্ন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, ধর্ম মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি।
এ সকল তথ্য গুলো অন্যান্য আসনের মধ্যে প্রদান করতে হবে। নিচের ছবি গুলো দেখুন।
অন্যান্য তথ্য (১)
নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনারা উপরে দেয়া প্রতিটি কার্যক্রম সঠিকভাবে পূরণ করতে পারলে, এখন নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করার জন্য প্রয়োজনে কিছু কাগজপত্র আপলোড করতে হবে।
তো আমাদের মধ্যে অনেকে জানেন না, ভোটার আইডি আবেদন করার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক, ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করার জন্য যে কাগজপত্র গুলো অনলাইনে আপলোড করতে হবে সেগুলোর নাম। যেমন-
- জন্ম নিবন্ধন
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
- পিতার এনআইডি কার্ডের কপি
- মাতার এনআইডি কার্ডের কপি
- বৈবাহিক সনদপত্র
- রক্তের গ্রুপের রিপোর্ট
- প্রত্যয়ন পত্র
- নাগরিক সনদপত্র
- ইউটিলিটি বিলের কপি
- ট্যাক্স রশিদ
- অঙ্গীকারনামা
- পাসপোর্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স
নতুন ভোটার হতে চাইলে অবশ্যই এই কাগজপত্র গুলো অনলাইনের মাধ্যমে আপলোড করতে হবে।
আপনারা অন্যান্য তথ্য ঠিকানা যুক্ত করা হয়ে গেলে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো একে একে স্ক্যান করে আপলোড করবেন। নিচের ছবিটি দেখুন।
উপরের দেয়া ছবির মত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করে। নিশ্চিত করুন বাটনে ক্লিক করে, সাবমটি বাটনে ক্লিক করে আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। নিচের ছবিটি দেখুন।
আপনি নতুন ভোটার আইডি আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সাবমিট দিলে, আবেদনের অনলাইন কপি পিডিএফ ফাইল আকারে ডাউনলোড করার অপশন দেয়া হবে। নিচের ছবিটি দেখুন।
আপনারা অনলাইন নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন ফরমটি আবেদনকারী স্বাক্ষর/ টিপসহি এবং তারিখ সংযুক্ত করে উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিয়ে আসলেই আপনার ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি আবেদন করার নিয়ম জানতে চেয়েছিলেন। তারা উপরে উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী খুব সহজেই ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করে ফেলতে পারেন।
আর ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কে আরো অন্যান্য আপডেট তথ্য জানতে চাইলে, আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন, ধন্যবাদ।