ভোটার আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন করার নিয়ম : বেশিরভাগ মানুষ তাদের ভোটার আইডি কার্ডের ছবি নিয়ে সন্তুষ্ট নয়।
এক্ষেত্রে যারা ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ভোটার হয়েছেন। তাদের ভোটার আইডি কার্ডের ছবি এতটাই অসুন্দর হয়েছে যা বলার বাইরে।

যদিও ভোটার আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন করার নিয়ম অনেকটাই সহজ। কিন্তু সেটি ঝামেলা মনে করে, অনেকেই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আবেদন করতে চান না।
এছাড়া ভোটার আইডি কার্ড এর ছবি যত অসুন্দর হোক না কেন? তার জন্য কোন কাজ কিন্তু আটকে থাকে না। অন্যদিকে ভোটার আইডি কার্ডে নাম ভুল হলে, ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন না করা পর্যন্ত সেটি ব্যবহার করা সম্ভব হয় না।
তাই আপনারা যারা google সন্ধান করে জানতে চান? ভোটার আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন করার নিয়ম কি? তারা আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়ুন।
যে কারণে ভোটার আইডি কার্ড এর ছবি অসুন্দর হয়
আমরা আর্টিকেলের শুরুতেই বলে দিয়েছি, যারা মূলত ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ভোটার হয়েছিল তাদের ভোটার আইডি কার্ডের ছবি অসুন্দর হওয়ার পেছনে, সব থেকে বড় কারণ ছিল, লো কোয়ালিটির ওয়েব ক্যামেরা ব্যবহার করার জন্য।
আর দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণের লাইটিং ব্যবস্থা না থাকার ফলে, আর তৃতীয় কারণ হচ্ছে সবে গ্রহণকারীর অদক্ষতার জন্য ভোটার আইডি কার্ডের ছবি গুলো অস্পষ্ট হয়েছে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ এর সময় গণহারে নতুন ভোটার নিবন্ধন করা হয়ে থাকে। যদি এখন রোদে, গরমে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে অনেকের চেহারা মলিন হয়ে যায়।
নতুন ভোটারের চাপ থাকার ফলে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য ভোটারদের ছবি তোলার সময় পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করা সম্ভব হয় না। যার ফলে ভোটার আইডি কার্ডের ছবি গুলো অসুন্দর করতে হয়।
এছাড়া কিছু কিছু পোশাক পরিধান করার ফলে ভোটার আইডি কার্ডের ছবি অসুন্দর হয়। বিশেষ করে ছেলেদের ক্ষেত্রে টি-শার্ট পরে নতুন ভোটারের ছবি তুলতে দেওয়া একদমই উচিত নয়। কারণ সাধারণের পোশাক ব্যতীত অন্য যেকোন কালারের শার্ট পরা উচিত।
আবার অনেক মেয়ে মানুষ রয়েছে যারা বাড়ির বাহিরে যেতে চাইলে বোরকা, হিজাব পরিধান করে বের হয়। নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য ছবি তোলার সময় ভোটারের দুই কান, চুলের গোড়ায় এবং গলা পর্যন্ত দেখা যাওয়া বাঞ্ছনিয়। সেক্ষেত্রে, বাধ্য হয়ে হিজাব খোলার প্রয়োজন হয়।
কিন্তু অনেক মেয়ের ক্ষেত্রে হিজাব সম্পন্ন খোলা সম্ভব হয় না। তারা হিজাবকে টেনে মাথার চুল ও দুই কান বের করেন। যার ফলে ভোটার এর প্রকৃত চেহারা অনুযায়ী ছবি উঠে না।
মহিলাদের হিজাব পরিধান করা অবশ্যই প্রয়োজন তবে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য ছবি তুলতে যাওয়ার সময় সাথে, আলাদা জাতীয় কাপড় নিয়ে যাওয়া উত্তম। প্রয়োজন এর সময় হিজাব হলে ওড়না দিয়ে মাথা ঘোমটা দিলে অবশ্যই ভালো ছবি আসার সম্ভাবনা থাকে।
যে কারণে ভোটার আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন করবেন?
আপনারা যে কারণে ভোটার আইডি কার্ড পরিকল্পন করবেন, সে বিষয়টি হতে পারে যাদের ভোটার আইডি কার্ডের ছবি অসুন্দর দেখাচ্ছে। এছাড়া মানুষের চেহারা ও শারীরিক অবস্থা সারা জীবন একই থাকে না পরিবর্তন হয়ে যায়।
তো যারা ২০০৭ সাল থেকে নয় সালের মধ্যে ভোটার হয়েছিলেন, তাদের বর্তমান চেহারা এবং শারীরিক অবস্থা আগের মত নেই। সব কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে।
তাই আপনি যখন বুঝতে পারবেন আপনার চেহারা পূর্বের তুলনায় পরিবর্তন হয়েছে। সেসময় আবেদন করে ভোটার আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তনের আবেদন
অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন এর আবেদন করা যায় না্ তবে ভোটার আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন করতে চাইলে অবশ্যই, নিকটস্থ উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে, ২নং সংশোধনী ফরম পূরণ করে আবেদন সাবমিট করতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফ্রম অফিস থেকে, সংগ্রহ করতে পারবেন আবার আপনারা চাইলে অনলাইন থেকেও সেই সংশোধনের ফর্ম ডাউনলোড করে পূরণ করতে পারবেন।
তবে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন দাখিল করার আগে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন কি হিসাব করে, মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ বা রকেট এর মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
সংশোধনী ধর্মের ওপর ফি পরিশোধের ট্রানজেকশন নাম্বার লিখে দিতে হবে। এছাড়া সংশোধনী জমার রশিদ আবেদনের সাথে সংযুক্ত করে দিতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম পূরণ করার নিয়ম
উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে বা অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ২নং ফরম সংগ্রহ করে, সেটি সঠিকভাবে পূরণ করে, নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে।
কিভাবে সংশোধন ফরম পূরণ করবেন তা নিয়ম জানতে নিচের অংশটি অনুসরণ।
করেন আপনারা সংশোধনের ফর্ম ২ এর ১নং ক্রমিকের (ক) অংশে আবেদনকারীর নাম বাংলায় লিখতে হবে। ১নং ক্রমিকের (খ) অংশে আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ড নম্বর লিখতে হবে। ২নং ক্রমিকে কোন কিছুই লেখার দরকার নেই।
৩নং ক্রমিকের (ঝ) অংশের তৃতীয় কলমে চাহিদা সংশোধিত তথ্য এর এখানে ছবি পরিবর্তন লিখতে হবে। আর সর্বশেষ আবেদনকারী স্বাক্ষর, নাম এবং ঠিকানা সেই সাথে মোবাইল নাম্বার লিখে, উপজেলা নির্বাচন অফিসে নিয়ে গিয়ে জমা দিতে হবে।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা ভোটার আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন। তারা উপরের আলোচনা অনুসরণ করে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনী ২নং ফরম পূরণ করে, সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে, ভোটার আইডি কার্ডের থাকা ছবি পরিবর্তন করে নিতে পারেন।
এছাড়া ভোটার আইডি কার্ডের আরো বিভিন্ন তথ্য সংশোধন করার নিয়ম জানতে আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।