ইরাকে কাজের ভিসা | ইরাকের ভিসার দাম কত? (বিস্তারিত জানুন)

ইরাকে কাজের ভিসা : আমাদের আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। ইরাকে কাজের ভিসা সম্পর্কে। আশা করি আপনি এই পোস্ট সম্পন্ন পড়লে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

বিশেষ একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইরাক এর সরকারি ফসর শেষ করে, প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশি কর্মসংস্থান মন্ত্রী জানিয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫০ হাজার জনবল নেওয়া হবে। সেই প্রেক্ষিতে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরীত হয়।

ইরাকে কাজের ভিসা | ইরাকের ভিসার দাম কত? (বিস্তারিত জানুন)
ইরাকে কাজের ভিসা | ইরাকের ভিসার দাম কত? (বিস্তারিত জানুন)

সেই স্মারক লিপিতে উল্লেখ ছিল ৫০ হাজার কর্মী নেওয়া হবে ইরাকে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক দেশ এ বিভিন্ন নিরাপত্তা জনিত অনেক ধরণের কারণ থাকে। তার জন্য যে সকল শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে ইরাকে কাজের জন্য যাবে। তাদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ স্থান গুলোতে কাজ দেওয়া হবে।

যার ফলে কোন রকম সমস্যার সৃষ্টি হবে না। পরবর্তী তে প্রতিনিয়ত এই সকল স্থান পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে শ্রমিকরা ঠিক আছে কিনা। এই বিষয়টির আশ্বাস দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ।

তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ইরাকে যেতে চান? তাহলে অবশ্যই ইরাকে কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। বিশেষ করে, ইরাকে ভিসার দাম কত, আরো ইত্যাদি বিষয়ে।

তো চলুন বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা যাক।

ইরাকে কাজের ভিসা

বর্তমান সময়ে ইরাকে কাজের ভিসা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া হবে এই বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে।

আর উক্ত সকল শ্রমিকদের কে নিরাপত্তা জায়গায় কাজ করার সুযোগ প্রদান করা হবে। বিশেষ করে, বাংলাদেশ থেকে 50 হাজার লোক নিয়োগ দেওয়া হবে যা একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে যে সকল কর্মী ইরাকে যাবে তাদের বাসস্থান নিরাপত্তা সম্পর্কে খোজ রাখবেন বলে বাংলাদেশ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী বলেছেন।

তাই আপনি যদি ইরাকে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান? তাহলে নিজেকে সেই ভাবে প্রস্তুত করুন। ইরাকে যাওয়ার পরে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

ইরাকে কাজের বেতন ও থাকা খাওয়া এবং নিরাপত্তা সম্পন্ন জায়গার জন্য তাদের এক সঙ্গে একটি চুক্তির মাধ্যমে স্বাক্ষর করা হয়েছে।

তার পাশাপাশি অন্যান্য দেশের শ্রমিক রা ইরাকে গমন করতে পারবে। যা নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রী।

তাই বাংলাদশ শ্রমিক ও এশিয়া মহাদেশ এর অন্যান্য কর্মীদের ক্ষেত্রে ও এই একই নীতি ব্যবহার করা হবে বলে জানা গেছে।

বর্তমান সময়ে ইরাক এর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়মন্ত্রন এ সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ শ্রমিকদের নিয়োগ করা যাবে।

ইরাকের ভিসার দাম কত ?

আপনি যদি সরকারি ভাবে ইরাকে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। তাহলে আপনার অল্প টাকা খরচ হবে ভিসা করার জন্য। যা বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মাত্র 50 ডলার। তার পাশাপাশি অন্যান্য বিমান ভাড়াদি সহ আনুষঙ্গিক এজেন্সি ফি হিসাবে বাড়তি কিছু ডলার লাগতে পারে।

ইরাকে বেতন কত ?

বাংলাদেশ থেকে যেসকল শ্রমিক ইরাকে যাবে। তাদের মাসিক বেতন ধরা হবে প্রায় 1500 ডলার। ইরাকে ওভারটাইম কাজ করার ফলে আপনি আরো বাড়তি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এমন অনেক কোম্পানি আছে। যেখানে কাজ করলে আপনাকে বাধ্যতামূলক ভাবে অভারটাইম করতে হবে। আবার অনেক কোম্পানি আছে।

যেখানে আপনি স্বাধীন ভাবে ওভারটাইম কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পাবেন। এরকম ভাবে আপনি মাসিক ইনকাম করার পাশাপাশি যদি ওভারটাইম করেন। তাহলে মাস শেষে প্রায় 2000 ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

ইরাকে কোন কাজের চাহিদা বেশি

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ইরাকে কাজের জন্য যেতে চান? তাহলে আপনাকে জানাতে হবে, ইরাকে কোন কাজের চাহিদা বেশি। যে কাজ গুলোর চাহিদা বেশি সেগুলো করতে পারলে, বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আর নির্দিষ্ট কাজ জানা থাকলে ইরাক যাওয়ার আগে, নিজেকে কাজের উপর দক্ষ করে তুলতে পারবেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক। ইরাকে কোন কাজের চাহিদা গুলো বেশি।

  • ইনডোর ক্লিনার কাজ
  • সেলসম্যান কাজ
  • ওয়েটার সার্ভিস কাজ
  • রেস্টুরেন্ট কাজ
  • ড্রাইভিং কাজ
  • মেডিলক ক্লিনিং ইত্যাদি।

উপরে দেওয়া কাজ গুলো চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তাই নিজেকে এই কাজ গুলোর উপর দক্ষতা করে তোলুন।

উক্ত কাজ গুলো ছাড়া আপনি ইরাকে গিয়ে গবাদি পশু পালন সহ বিভিন্ন তৈল ফ্যাক্টরিতে কাজ করার সুযোগ পাবেন। যা থেকে মাসে বেশ ভালো পরিমানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ইরাকের ভিসা পাওয়ার উপায়

ইরাকে কাজের ভিসা জন্য আবেদন করতে চাইলে, বাংলাদেশ এর বিএমইটি বা বোয়েসেল’র মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। তার কারণ বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ এর এই দুইটি এজেন্সি খোলা আছে।

যা সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কাজ করে থাকে। তার জন্য দুইটির মধ্যে যে কোন একটি এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ভিসা সংগ্রহ করুন।

ইরাকে ভিসার দাম কত ?

বাংলাদেশ থেকে ইরাকে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে, আপনাকে অবশ্যই কিছু রিকোয়ারমেন্ট পূরণ করতে হবে। রিকোয়ারমেন্ট গুলো পুরণ করার পরে, আপনি ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন।

আমরা উপরে একবার বলেছি, আপনি যদি ইরাকে সরকারি ভাবে যেতে পারেন। তাহলে আপনার ইরাকে ভিসার দাম পড়বে 50 ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় 5500/- টাকা।

শেষ কথাঃ

আপনারা যারা কাজের উদ্দেশ্যে ইরাকে যেতে চান? তারা উপরে উল্লিখত আলোচনা অনুসরণ করুন। আর সরকারি ভাবে ইরাক যাওয়ার পথ বেছে নিতে পারবেন। যার ফলে ইরাকের ভিসার দাম অনেক কম পরিমাণে লাগবে।

আর ইরাকে কাজের ভিসা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাতে পারেন। ধন্যবাদ…

আপনার জন্য আরও আর্টিকেল

Leave a Comment