ইরাকে কাজের ভিসা : আমাদের আজকের এই আলোচনাতে আপনাকে জানিয়ে দেবো, ইরাক কাজের ভিসা কিভাবে পাবেন।
এবং ইরাক ভিসা আবেদন করার নিয়ম, ইরাকে কি ধরনের কাজ করে, টাকা উপার্জন করা যায় আরো ইত্যাদি বিষয়ে।
তাই আপনি যদি ইরাকের কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান? তবে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
বাংলাদেশ থেকে ইরাক যাওয়া প্রার্থীদের জন্য সুখবর হচ্ছে, বিশেষ এক বিজ্ঞপ্তিতে ইরাকে সরকারের সফর শেষে, প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী জানিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫০ হাজারের মতো শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হবে।
সেখানে আরো উল্লেখ রয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পঞ্চাশ হাজার কর্মী জরুরী ভিত্তিতে পাঠানো হবে।
আমরা জানি ইরাকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা জনিত বিভিন্ন ধরনের কারণ থাকে।
তাই যে সকল শ্রমিকরা বাংলাদেশ হতে ইরাকে কাজে যাবে তাদেরকে নিরাপত্তার জন্য বিচার জায়গা গুলো দেয়া হবে।
- আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে ?
- অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে ?
- ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে ২০২৩
যাতে করে কোন প্রকার সমস্যা না হয়। পরবর্তীতে প্রতিনিয়ত এই সকল জায়গা পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে। যে শ্রমিকটা ঠিকভাবে আছে কিনা। এ ধরনের আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
তাই আপনারা নিশ্চিন্তে, বাংলাদেশ থেকে ইরাক কাজের উদ্দেশ্যে যেতে পারেন।
ইরাকে কাজের ভিসা
বর্তমান সময়ে ইরাকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির উপর কাজের জন্য বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া হবে বলে, নিশ্চিত করা গেছে। আর এই সকল শ্রমিকদেরকে নিরাপদ জায়গায় কাজ করার সুযোগ প্রদান করা হবে।
কিন্তু বর্তমান সময়ে ৫০ হাজার শ্রমিক নেওয়ার মতো একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
আর এ সকল শ্রমিকদের প্রতিনিয়ত ও বাসস্থান নিরাপদ সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখবে বাংলাদেশ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী।
তার জন্য যারা ইরাকে কাজের ভিসা নিয়ে গমন করতে চান? তাদের আগের তুলনায় সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি দেওয়া হবে।
বাংলাদেশের শ্রমিকদের ইরাকে বেতন এবং থাকা খাওয়া এছাড়া নিরাপদ জায়গার জন্য তাদের একসাথে কিছুটা চোখের মাধ্যমে স্বাক্ষর হয়েছে। এবং পাশাপাশি তাদের দেশের কর্মীদের ক্ষেত্রেও এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে।
তাই বলা যায় এশিয়া মহাদেশের অন্যান্য কর্মীদের ক্ষেত্রেও একই রকম নীতি প্রয়োগ করা হবে।
বর্তমান সময়ে ইরাকের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সেই হিসেবে বাংলাদেশ এর কর্মীদের নিয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
ইরাকের ভিসার দাম কত
তো বাংলাদেশ থেকে যারা ইরাকে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চায়। তাদের সব সময় একটি প্রশ্ন হয় ইরাকের ভিসার দাম কত।
তো আপনি যদি সরাসরি ভাবে ইরাকে যা কথা চিন্তা করেন তাহলে কাজের ভিসার জন্য খরচ হবে প্রায় ৫০ ডলার।
এর পাশাপাশি অন্যান্য বিমান ভাড়া সহ আনুষঙ্গিক এজেন্সি ফ্রি হিসেবে আরো খরচ হতে পারে।
তাই আনুমানিক সরকারিভাবে যদি যেতে চান? তাহলে বাংলাদেশী টাকায় ৫,০০০ টাকার মতো খরচ করতে হবে।
কিন্তু এক্ষেত্রে কিছু রিকোয়ারমেন্ট রয়েছে সেই রিকোয়ারমেন্ট এর মাধ্যমে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
ইরাকে কাজের বেতন কত ?
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ইরাকে শ্রমিক হিসেবে কাজের ভিসা নিয়ে যান সে ক্ষেত্রে আপনার বেতন হতে পারে মাসে ১৪০০ ডলার হতে ১৫০০ ডলার পর্যন্ত।
ইরাকে ওভারটাইমসহ 12 ঘন্টা ডিউটি বাদ দিলে চার ঘন্টা ডিউটি করার প্রয়োজন হয়।
তার জন্য ওভারটাইম কোন কোন কোম্পানিতে বাধ্যতামূলক হয়। আবার কোন কোন কোম্পানি ক্ষেত্রে ওভারটাইম নিজের ইচ্ছামত করা সম্ভব হয়।
তাই একজন শ্রমিক যদি ওভারটাইমসহ মাসে কাজ করে সেক্ষেত্রে তারা ২ হাজার ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবে।
কিন্তু আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ইরাকের কোন ভাল কোম্পানিতে কাজের উদ্দেশ্যে যান। সে ক্ষেত্রে সৌদি আরবের মত নির্ধারিত কাজে এখানে বাধ্যতামূলক থাকবে তা কিন্তু নয়।
এখানে ইছামত কাজ করা সম্ভব আপনার কাজের সময় এর ফাঁকে ফাঁকে। আপনি অন্যান্য কাজ করে দিতে পারবেন। যা থেকে আপনি আলাদা টাকায় উপার্জন করতে পারবেন।
ইরাকে কোন কাজের চাহিদা বেশি
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে ইরাক গমন করেন সেক্ষেত্রে আপনাদের প্রশ্ন থাকতে পারে ইরাকে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি।
তো বন্ধুরা আপনাকে ইরাকে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি সে বিষয়ে অবশ্যই অবগত হতে হবে।
কারণ ইরাকে যে কাজগুলো রয়েছে আপনি যদি সেগুলো বাংলাদেশ থেকে শিখে না যান। সে ক্ষেত্রে কিন্তু সেখানে টিকে থাকতে পারবেন না।
তাই কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে ফিরে আসতে হবে।
তাই আপনি যদি ইরাকে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান? সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে আগে থেকে সেই কাজ গুলোর ওপর দক্ষতা অর্জন করে। তারপর ইরাক কাজের ভিসার জন্য আবেদন করে ইরাক গমন করবেন।
তো চলুন আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছি আপনারা ইরাকে যে, কাজ গুলোকরে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
সেগুলো হচ্ছে-
- রেস্টুরেন্ট।
- সেলসম্যান।
- ওয়েটার সার্ভিস।
- ইনডোর ক্লিনার।
- ড্রাইভিং।
- মেডিকেল ক্লিনিং ইত্যাদি।
উপরোক্ত কাজগুলো ছাড়া আরো অন্যান্য কাজের চাহিদা রয়েছে ইরাকে।
তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে এ কাজ গুলো করার উদ্দেশ্যে যান অবশ্যই এ কাজের দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে।
ইরাক ভিসা পাওয়ার উপায়
ইরাকে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে, চাইলে বাংলাদেশের বি এম আই টি বা বোয়েসেলের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
কারণ বাংলাদেশ এর এ দুইটি এজেন্সি চালু রয়েছে। যা সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কাজ করে থাকে।
তাই আপনারা এদের সাথে যোগাযোগ করে ইরাকের বিভিন্ন ক্যাটাগরি ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন।
তার পাশাপাশি আনুষাঙ্গিক কোন সাহায্য দরকার হলে। এই অফিস গুলোতে গিয়ে যোগাযোগ করলে আপনারা সহায়তা পেয়ে যাবেন।
ইরাকের ভিসা পেতে কি লাগে ?
তো বন্ধুরা আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে এরা গমন করতে চান। সেক্ষেত্রে ইরাকের কাজের ভিসা পেতে চাইলে।
অবশ্যই আপনাকে তাদের কিছু রিকোয়ারমেন্ট পূরণ করতে হবে। তারপর আপনারা ইরাক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তার পাশাপাশি আপনি কোন কাজের ক্ষেত্রে কি শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে। এবং প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। তারপর আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
তো চলুন এখন জেনে নেয়া যাক ইরাকের ভিসা পেতে কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে।
সেগুলো হলো-
- জাতীয় পরিচয় পত্র এর ফটোকপি
- জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
- কাজের অভিজ্ঞতা সনদ
এই যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এছাড়া ইরাকের নির্ধারিত কাজ অনুযায়ী রিকোয়ারমেন্ট প্রয়োজন হলে।
সে অনুযায়ী কাগজপত্র জমা দিতে হবে। যেমন- পূর্বে কোন কাজের অভিজ্ঞতা ছিল না। এবং কোন কোন কোম্পানিতে কাজ করেছিলেন। তার রশিদ ফটোকপি সকল বিষয় হতে পারে।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে এরা কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান? এবং ইরাকের ভিসার দাম জানতে চান? উপরোক্ত অনুসরণ করে, ইরাক ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
আমরা ইরাক কাজের ভিসা সম্পর্কে এবং ভিসার দাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রস্তুত করেছি।
আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে আপনাদের কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
আর বিশেষ করে ইরাক কাজের ভিসা ছাড়া আর অন্যান্য দেশের ভিসা সম্পর্কে। জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ।