আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা হলো এমন একটি ভিসা যা আমেরিকাতে অধ্যয়ন করার জন্য স্টুডেন্টদের প্রদান করা হয়।
এই ভিসা স্টুডেন্ট ’রা পায়। আমেরিকায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা অনেক ভালো উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে পারেন।
এই ভিসা একটি নন-ইমিগ্রেন্ট ভিসা, অর্থাৎ এটি অধ্যয়নের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে। এবং অধ্যয়ন সমাপ্তির পর স্টুডেন্টদের নিজের দেশে ফেরার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে।

এই স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করতে কিছু প্রধান ধাপ রয়েছে :
অনলাইনে SEVIS রেজিস্ট্রেশন- প্রথমে, আপনাকে একটি SEVIS (Student and Exchange Visitor Information System) সংখ্যা প্রদান করতে হবে, যা আমেরিকার ম্যাজর ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট দ্বারা পরিচালিত হয়।
অবশ্যই পড়ুনঃ
- মাসে ৬০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
- বিটকয়েন থেকে বিকাশে টাকা নেওয়ার উপায়
- ছাত্রদের টাকা আয় করার উপায়
ভিসা আবেদন ফরম পূরণ- আপনাকে ভিসা আবেদন ফরম (DS-160) পূরণ করতে হবে। যা অনলাইনে পূরণ করা যায়। এই ফরমে আপনাকে ব্যক্তিগত তথ্য, পাসপোর্ট তথ্য, পূর্বের ভিসা ইত্যাদির তথ্য দিতে হবে।
পাসপোর্ট- আপনাকে একটি বৈধ পাসপোর্ট প্রদান করতে হবে।
ফরম I-20- আপনার ভর্তি প্রতিষ্ঠান আপনাকে একটি ফরম I-20 প্রদান করবে, যা আপনার অধ্যয়নের সময়সূচী এবং আর্থিক তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করতে হবে।
ছবি- আপনার ভিসার জন্য একটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি সঙ্গে নিতে হবে।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট- আপনাকে আর্থিক প্রমাণ পত্র জমা দিতে হবে। যেমন- ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আর্থিক সমর্থন পত্র ইত্যাদি।
ভিসা ইন্টারভিউ- আপনাকে একটি ভিসা ইন্টারভিউ দিতে হবে। আপনার নিকটস্থ ভিসা কার্যালয়ে।
আপনারা ভিসা কার্যালয়ের ওয়েবসাইট বা সাধারণত এম্বাসির ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন। যেমন- আবেদনের প্রক্রিয়া, ফরম পূরণ নির্দেশিকা ইত্যাদি।
সেই সাথে, সম্ভবত সহযোগিতা এর জন্য স্থানীয় ভিসা পরামর্শকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ
আমেরিকায় অধ্যয়নের জন্য ভিসা প্রাপ্তি হলে, এই প্রক্রিয়াটি একটি খরচ-ময় পদক্ষেপ হবে। একজন ভিসা প্রার্থী কে অন্যান্য ব্যয় সহ কিছু অতিরিক্ত বাধ্যতামূলক ক্রম অনুসরণ করতে হয়।
এই বাধ্যতা মূলক খরচ গুলো প্রমাণপত্র শুরু থেকে সংগ্রহ করার মধ্যে পরিকল্পনা, আবেদন প্রক্রিয়া, ভিসা ফি, সাধারণত সাক্ষাতের জন্য সাক্ষাতের ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও বীমা প্রাপ্তির জন্য বীমা ফি, ভিসা সেন্টারে যাত্রার জন্য ভ্যাকসিনেশন সম্পন্ন হওয়ার জন্য খরচ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
ভিসা প্রসেসিং ফি একটি মৌলিক খরচ যা আমেরিকান ভিসা আবেদন করতে অবশ্যই প্রদান করতে হবে।
এই ফি অপ্রত্যাশিত সময়ে, পরিবর্তিত হতে পারে। এবং এটি প্রতি আবেদনকারীর জন্য বৃহৎ সংখ্যক ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। আপনার ভিসা প্রকাশ হলে, আরও কিছু অতিরিক্ত খরচ যুক্ত হতে পারে, যেমন সাক্ষাতের জন্য ফি এবং বিমা ফি।
বিভিন্ন ভার্সিটি এবং কলেজে অধ্যয়নের জন্য অধ্যয়নার্থীদের সাপোর্ট প্রদান করার জন্য আমেরিকান সরকার অনেক গুলো সুবিধা প্রদান করে।
অন্যান্য খরচ গুলি শিক্ষার্থীর কাছে আপনার অনুমোদিত ভিসার কার্যালয় থেকে জানা যাবে। তবে, আমেরিকান ভিসা প্রক্রিয়ার খরচের উল্লেখযোগ্য অংশটি সাধারণত ভিসা ফি হয়, যা পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে।
আমি পূর্বের তথ্যের উপর ভিত্তি করে বলতে পারি যে, একজন আমেরিকান ছাত্র হিসাবে ভিসা পেতে প্রাথমিক ভিসা ফিমো ট খরচময় হতে পারে প্রায়- ১৬০-২০০ মার্কিন ডলার।
সাধারণত, আরও খরচ হতে পারে, যেমন- সাক্ষাতের জন্য ফি এবং বীমা ফি। তবে, এটি পরিবর্তিত হতে পারে এবং আপনার সঠিক বীমা ফি এবং সাক্ষাতের জন্য প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত খরচ চেক করার জন্য, আপনারা ভিসা কার্যালয়ে গিয়ে জেনে নিতে পারেন।
আমেরিকা ভিসা পাওয়ার উপায়
আমেরিকা ভিসা পাওয়ার অনেক গুলো উপায় রয়েছে। তবে প্রতিটি উপায়ের জন্য আপনার যোগ্যতা, উদ্দেশ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় শর্তাদি পূরণ করতে হবে। নিম্নে কিছু মাধ্যমিক উপায় উল্লেখ করা হলো। যেমন-
শিক্ষার্থী ভিসা (F-1 ভিসা): যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসা পেতে চান, তবে আপনার ভালো শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন।
এই ভিসা প্রাপ্তির জন্য আপনাকে কোন একটি যোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করতে হবে। এবং আবেদন করতে হবে I-20 ফরম পূরণ করে
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসা (F-1 ভিসা) পাওয়ার জন্য কিছু যোগ্যতা আছে, যা আপনাদের পূরণ করতে হবে। নিম্নলিখিত যোগ্যতা সমূহ উল্লেখ করা হলো। যেমন-
নাগরিকত্ব: আপনাকে হতে হবে দেশের প্রকৃতি নাগরিক হতে হবে।
প্রাথমিক যোগ্যতা: আপনার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন হতে হবে। বা সমমান যোগ্যতার শিক্ষাগত স্তর প্রাপ্ত করতে হবে।
ভর্তি বিষয়ক প্রত্যাশিত প্রতিষ্ঠান: আপনাকে কোন একটি বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের জন্য ভর্তি হতে হবে। এবং সেই ভর্তি প্রমাণপত্র প্রদান করতে হবে।
আর্থিক খরচ: আপনাকে আপনার অধ্যয়নের জন্য যথাযথ আর্থিক খরচ প্রদান করতে হবে। অধ্যয়ন খরচ, আবাসন খরচ, খাবার খরচ এবং অন্যান্য খরচ গুলো প্রদান করতে হবে।
ভিসা প্রসেসিং ফি: ভিসা আবেদন সম্পন্ন করার জন্য, আপনাকে ভিসা প্রসেসিং ফি প্রদান করতে হবে। এই ফি পরিবর্তন হতে পারে এবং আপনারা ভিসা কার্যালয় দ্বারা সুপারিশকৃত তথ্য প্রদান করা হবে।
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের জন্য নিম্নলিখিত ডকুমেন্ট গুলো প্রয়োজন হতে পারে। যেমন-
পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট প্রয়োজন।
ফরম I-20: এই ফরমটি আপনার ভর্তি প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রদান করা হবে। এটি আপনার বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করতে ক্ষমতার নিশ্চয়তা প্রমাণ করে।
SEVIS ফি রশিদ: আপনাকে আপনার ভর্তি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রদানকৃত SEVIS ফি’র রশিদ দিতে হবে।
ভ্যালিডেটেড ভিসা আবেদন ফরম (DS-160): আপনাকে অনলাইনে ভ্যালিডেট করা ভিসা আবেদন ফরম (DS-160) পূরণ করতে হবে।
ভিসা ইন্টারভিউ প্রমাণ পত্র: ভিসা ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো যেমন- পাসপোর্ট, ফরম I-20, SEVIS ফি রশিদ, আবেদন ফরম ইত্যাদি।
আর্থিক ডকুমেন্ট: আপনার আর্থিক বিষয়ে প্রমাণ করতে হবে, যেমন- ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
শেষ কথাঃ
আপনি যদি নিজের দেশ থেকে আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা করতে চান? তাহলে উপরে দেওয়া আলোচনা অনুসরণ করে, আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
ধন্যবাদ…