সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা ২০২৩ (নতুন আপডেট)

সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা : দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে, অবশেষে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আবার খুলে দেওয়া হলো, সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা।

সারা বিশ্বের করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি শুরু হওয়ার পরে, বাংলাদেশ সহ আরো বিভিন্ন দেশ থেকে সৌদি আরব লোক নেওয়া বন্ধ ছিল।

তবে বর্তমানে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য পুনরায় সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা চালু করে দেওয়া হয়েছে।

আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাকে, সৌদি আররের কোম্পানি ভিসা আবেদন এর নিয়ম  এবং সৌদি আরব কোম্পানি ভিসার খরচ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা

বর্তমান সময়ে অনেক লোক আছে, যারা অনলাইনে সার্চ করে জানার চেষ্টা করে যে, সৌদি আরবে মূলত কত ধরণের ভিসা দিয়ে থাকে, ভিসা আবেদন করার নিয়ম কি।

এখন আমরা আলোচনা করব, সৌদি ভিসার ধরণ,  আবেদন এর নিয়ম এবং খরচ সম্পর্কে।

সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা ছাড়াও আরো অনেক ভিসা রয়েছে। যেমন-

  • হজ ভিসা
  • স্টুডেন্ট ভিসা
  • ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা
  • সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা ইত্যাদি।

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন এর জন্য আপনার খরচ হতে পারে আনুমানিক 20 হাজর রিয়াল।

যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় 45 হাজার টাকা। সাধারনত আমাদের বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবেরর কোম্পানি ভিসা আবেদন করা হয়। বিভিন্ন ধরণের এজেন্সির মাধ্যমে।

এক্ষেত্রে সেই এজেন্সিকে কিছু অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। তবে আপনি চাইলে সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমেও ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

অনলাইনে ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন, সেই বিষয়ে এই ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করা আছে। আপনি চাইলে সেটি পড়ে নিতে পারেন।

সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা ২০২২ (নতুন আপডেট)
সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা ২০২৩ (নতুন আপডেট)

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা খরচ

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব গম করতে চান? তাহলে সৌদি ভিসা প্রসেসিং খরচ সম্পর্কে আপনার ধারণা রাখা প্রয়োজন।

আমাদের এই পোস্টে, সৌদি ভিসা, বিশেষ করে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা প্রসিসিং খরচের বিসয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।

বাংলাদেশ থেকে সাধারণত কয়েকটি ক্যাটাগরির ভিসা পাওয়া যায়। যেমন-

আলেম মঞ্জিল ভিসা এবং সাখাওয়াত আকাশ সাওয়াখাছে আপনার মোট খরচ হবে 1 লক্ষ 25 হাজার থেকে 1,30,000/- (এক লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা।

খাদ্দামা ভিসার জন্য আপনার খরচ হতে পারে 1,10,000/- (এক লক্ষ দশ হাজার) টাকা।

ফ্যামিলি ভিসা প্রসেসিং খরচ হতে পারে প্রায় 60,000/- (ষাট হাজার) টাকা। এবং আলেম ভিসা প্রসেসিং খরচ হতে পারে 65,000/- (পয়ষট্টি হাজার) টাকা।

উক্ত আলোচনা থেকে ধারণা নিতে পারছেন যে, সৌদি আরব এর বিভিন্ন ধরণের ভিসার খরচ সম্পর্কে।

উক্ত ভিসা গুলোর আলাদা আলাদা কিছু সুবিধা ও অসুবিধাও আছে। তাই ভিসা আবেদন এর আগে আপনাকে অবশ্যই ভালো ভাবে জেনে নিতে হবে। আপনি কোন ধরণের ভিসা করতে চান।

সৌদি আরবে ভালো কোম্পানির তালিকা

সৌদি আরব কোম্পানি ভিসার জন্যে, আবেদন এর ক্ষেত্রে আপনাকে শুরুতে জানতে হবে কোন কোম্পানিতে সুবিধা বেশি।

সৌদি আরবে ভালো কোম্পানি কোন গুলো। কারণ কোম্পানি যদি ভালো না হয়। তাহলে আপনি বেতন ও সিকিউরিটি পাবেন না।

তাই এখন আমরা সৌদি আরবের কিছু জনপ্রিয় কোম্পানির তালিকা দেখাবো।

তার মধ্যে থেকে আপনি কয়েকটি কোম্পানি টার্গেট করে ভিসা করার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন।

আরামকো কোম্পানি- এটি হচ্ছে সৌদি আরবের তেল পরিশোধনের কোম্পানি।

এটিও শুধু মাত্র সৌদি আরবেই না বিশ্বের সবচেয়ে ধনী কোম্পানি গুলোর মধ্যে একটি। আরামকো প্রতি বছর বাংলাদেশ সহ আরো অনেক দেশ থেকে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে।

এই কোম্পানির সুবিধা হলো আরবের বেশ কিছু সরকারি এবং বেসরকারি কোম্পানি রয়েছে। যারা প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক নিয়ে থাকে কাজ করানোর জন্য।

আল মারাই কোম্পানি- আল মারাই কোম্পানি শুধু সৌদি আরবে নয় বরং সারা বিশ্বে নাম করার কোম্পানি গুলোর মধ্যে একটি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এই কোম্পানিতে মানুষ কাজ করতে আসে। কিন্তু বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান থেকে বেশি সংখ্যক লোক এখানে কাজ করার জন্য আসে।

উক্ত কোম্পানিতে কাজের বেতন হয় 1000 রিয়াল থেকে 1200 রিয়াল এবং বাসস্থান ও আকামা কোম্পানির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়।

তাছাড়া প্রতি বছর দুই মাসের ছুটি ও অভারটাইম ডিউটি করার সুযোগ প্রদান করা হয়। মানে কাজের তোলনায় অতিরিক্ত কাজ করেও আয় করা যায়।

সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি

বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক ভিসা ও ফ্রি ভিসায় প্রতি বছর অনেক সংখ্যক লোক সৌদিতে যায়। তাছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা দিয়ে থাকে।

তাই আপনি যদি সৌদি যেতে চান? তাহলে আপনার আগে ভালো করে জেনো নেওয়অ উচিত সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি।

সৌদিতে মূলত নির্মান শ্রমিকদের চাহিদা বেশি। তারপরে হলো- হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ইলেক্টিক টেকনিশিয়ান এই ধরণের কাজের চাহিদা সৌদে আছে।

আপনি যদি সৌদিতে গিয়ে টাকা আয় করতে চান? তার আগে আপনাকে নির্দিষ্ট কাজ শিখে তার পরে সৌদিতে গমন করতে হবে।

সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা

আমাদের বাংলাদেশ থেকে সাধারণ সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসা নিয়ে লোক সেই দেশে যায়।

কিন্তু আপনি যদি, সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা নিয়ে যান, তাহলে তাকে বলা হয় ফ্রি ভিসা। ফ্রি ভিসা দুই প্রকার এর হয়ে থাকে যেমন- প্রফেশনাল এবং নন প্রফেশনাল।

প্রোফেশনালের ক্ষেত্রে আপনার আকামা খরচ হবে দশ হাজার টাকা। আর ন প্রোফেশনালের জন্য আপনার খরচ হবে এক হাজার টাকা।

ফ্রি ভিসার কিছু সুবিদা এবং অসুবিধা আছে। আপনি সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসা বা ফ্রি ভিসা নিয়ে যাওয়ার আগে, অবশ্যই ভালো ভাবে জেনে তারপরে জাবেন।

আরো পড়ুনঃ

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা, আমাদের পোস্টে আপনি জানতে পারলেন, সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশে অনেক প্রতারক চক্র বের হয়েছে।

যারা আপনাকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে থাকে। আপনাকে সৌদি আরবেরর কোম্পনি ভিসা দিবে বলে অন্য ভিসা হাতে ধরিয়ে দেয়।

তাই আপনাকে সচেতন হতে হবে। বর্তমান সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে সকল খবর পাওয়া যায় ভিসার সম্পর্কে।

তাই কারো কোন কথা বিশ্বাস না করে আগে অনলাইনের সত্যতা যাচাই করে তার পরে ভিসা করে নিবেদন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 thoughts on “সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা ২০২৩ (নতুন আপডেট)”

  1. মোঃ আনোয়ার হোসেন

    ভাই ড্যাইভিং ভিসায় মেতে চাই আমার হেভী লাইসেন্স আছে

  2. এইচ, এম রুস্তম আলী

    সৌদিতে বর্তমানে কোম্পানির ভিসা পাওয়া যাবে?? রেস্টুরেন্ট অথবা কফি সপের ভিসা আছে কিনা? আর ড্রাইভিং ভিসার সুযোগ সুবিধা কি?? উল্লেখিত কাজের ভিসা থাকলে ভিসার দাম, কাজের ধরণ ও বেতন সহ বিস্তারিত জানাবেন দয়াকরে।

  3. মোঃ ইমামুল হোসেন

    ভাই আমি সৌদি আরব য়েতে চাই ড্রাইভিং ভিসা হতে হবে আমি বাংলাদেশ গাড়ি চালাই আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে হালকা তে মধ্যেমে আবেদন করছি।ভাই

Scroll to Top