দুবাই কাজের ভিসা ২০২৩ প্রসেসিং | দুবাই ভিসা নিজেই করুন

যারা কাজের ভিসা নিয়ে দুবাই যেতে চান? এবং দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করে যাচ্ছেন। তাদের জন্য দুবাই ভিসা কবে খুলবে বা কখন একটি নতুন কাজের ভিসা চালু হবে। উক্ত সকল বিষয় নিয়ে আমরা এখানে আলোচনা করব।

আমাদের জানা মতে, দীর্ঘ আট বছর পরে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে, আরব আমিরাত এর ভিসা। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০১৬ সালে দুবাই এ একটি সমঝোতা স্মারকন স্বাক্ষরিত হয়।

স্মারক অনুযায়ী সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসায় ১৯ ক্যাটাগরিতে শ্রমিক নেওয়া হবে।

MOU তে সংযুক্ত আরব আমিরাত এর পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন মানব সম্পদ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর আন্ডার সেক্রেটারি।

দুবাই কাজের ভিসা ২০২২ | দুবাই ভিসা
দুবাই কাজের ভিসা ২০২৩ | দুবাই ভিসা

দুবাই ভিসা প্রসেসিং

দুবাই ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এর সাধারণ বাংলাদেশী শ্রমিক দের প্রবেশ ও কর্মসংস্থান তাদের আইন, বিধিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সহায্য করবে তা নিশ্চিত করতে দুই দেশ সম্মত হয়েছে।

MOU এর অধিনে বাংলাদেশ হতে বরাদ্দ কৃত ১৯ টি ক্যাটাগরি’র দুবাই কাজের ভিসার তথ্য বিবরণে বাংলাদেশ সরকার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এর দায়িত্ব, কর্মসংস্থান সংস্থা, কর্মচারী অধিকার বা ব্যক্তি দায়িত্ব ও কর্তব্য এর বিবরণ Mou.

সংযুক্ত আরব আমিরাত এর আইন আলোকে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছি। যা ২০১৬ সালে নিরাপদ ও দায়িত্বশীল শ্রম অভিবাসন সুনিশ্চিত করা।

উক্ত স্মারক স্বাক্ষরের ফলে দুবাই কাজের ভিসা পাওয়ার প্রথ প্রশস্ত হয়। দুবাই থেকে কাজের ভিসা বা usa তে কাজের ভিসা পাওয়ার পথ খোলা নিয়ে আর চিন্তা নাই।

তো যাইহোক, এটি জানা গুরুত্বপূর্ণ যে, সংযুক্ত আরব আমিরাত শুরুতে স্বতন্ত্র স্তরে কিছু লোক নিয়োগ করবে। এবং ভবিষ্যতে এটি বিভিন্ন সংস্থায় অনেক সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করবে।

প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার অল্প সংখ্যক পুরুষ ও মহিলা গৃহকর্মী, ডাক্তার ও প্রকৌশলী নিয়োগ করবে।

তাছাড়া যারা, বর্তমান সময়ে দুবাই বা সংযুক্ত আরব আমিরাত এর অন্য কোন শহরে কাজের ভিসায় আছে। তারা কাজ পারমিট বা ইকামার জন্য আবেদন করতে পারেন।

আরও পড়ুন:

সংযুক্ত আরব আমিরাত শ্রম বাজার 

বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য দুবাই ভিসা, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এর বাংলাদেশ দূতাবাস এর তথ্য অনুযায়ী ২০০৮ সালে ১৩০২০৪ জন ইউএসএ তে কাজ করতে গিয়েছিল।

২০০৯ সালে ২৫৭৩৭৪৭ জন, ২০১০ সারে ২০৩৩০৮ জন, ২০১১ সালে ২৮২৭৩৯ জন, ২০১২ সালে ২১৫৪৫২ বাংলাদেশি নগরিক আরব আমিরাতে গিয়েছিন।

কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাত এর নতুন ভিসা বন্ধ হলে গৃহকর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজের ভিসা খোলা আছে। ফলস্বরুপ গত ছয় বছরে মোট ৬৩৫৩৪ জন মহিলা কর্মী সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়েছেন।

বর্তমানে দুবাই সহ আরব আমিরাতের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ১ লক্ষ শ্রমিক কাজ করছে।

দুবাই ভিসার ধরন

আপনি যদি দুবাই ভিসা করতে চান? তাহলে দুবাই ভিসার অনেক ধরণ আছে যেমন-

  • দুবাই কুক ভিসা
  • দুবাই বাড়ির কৃষক ভিসা
  • দুবাই ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক ভিসা
  • দুবাই গৃহকর্মী ভিসা
  • দুবাই গৃহপালিত ঘোড়া মুদি ভিসা
  • দুবাই ব্যক্তিগত চাষ শেফিল্ড ভিসা
  • দুবাই ব্যক্তিগত নাবিক ভিসা
  • দুবাই নিরাপত্তা প্রহরী ভিসা
  • দুবাই ভ্যালেট পার্কিং কর্মী ভিসা
  • দুবাই বিশেষ নার্স কর্মী ভিসা ইত্যাদি।

আরব আমিরাত ভিসার জন্য আবেদনকারী বিদেশী কর্মীদের নতুন আইন মেনে কাজ করতে হবে। এই জন্য ভিসার জন্য আপনাবেদন করার আগে ভালো ভাবে আচরণের সনদ উপস্থাপন করতে হবে।

UAE কাজের ভিসা পেতে চাইলে এমন প্রত্যেক কর্মীকে তাদের নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পূর্ববর্তী কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র বা তাদের নিজ দেশ থেকে ব্যক্তিগত শংসাপত্রসহ একটি ভিসার আবেদন জমা করতে হবে।

আরও পড়ুন: ভারতীয় ভিসা আবেদন করার নিয়ম (জেনেনিন এখানে)

ডকুমেন্ট তথ্য বিবরণ দেবে যে, দুবাই ভিসা আবেদনকারী’রা গত 5বছর ভালো আচরণ করেছে কিনা। নিরাপত্তার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার ২০১৬ সালে উক্ত নিয়ম চালু করেন। যায় হোক, চিকিৎসা, ভ্রমণ ভিসার জন্য দাদলাল হতে দূরে থাকুন।

আপনি যদি গৃহকর্মী বা অনুরুপ ভিসা বিনামূল্যে বা কম খরচে করে নিয়ে সেখানে, ৬০০-৮০০ দিরহাম পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।

কিন্তু বাংলাদেশে আমাদের দালালরা উক্ত ভিসা পেতে লক্ষ লক্ষ টাকা চুরি করে নেই। উক্ত টাকা জোগার করার জন্যে অনেকে তাদের শেষ সম্পদও বিক্রি করে দেন।

তবে এ সকল শ্রমিকদের নেই কোন প্রশিক্ষণ, সঠিক ব্যবসায়ীক ধরাণা। দালালরা অন্যান্য ব্যবসার কথা বলে গৃহকর্মী ভিসায় লক্ষ লক্ষ টাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে। তারপর যখন দেখা যায় যে, কর্ম ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা আছে। তখন তারা এই সম্পদ হারিয়েছে তাদের কিছুই করার নেই।

তাই আপনি যদি দুবাই ভিসা করতে চান? তাহলে কোন এজেন্সির মাধ্যমে কোন ভিসায় যেতে হবে তা বাছাই করে তারপরে দুবাই পা রাখুন।

উক্ত দুবাই ভিসা গুলোর জন্য কোন এজেন্সিকে টাকা প্রদান করতে ভুলবেন না। দুবােই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এক মাত্র মূল্যায়ন কেন্ত্র বাংলাদেশ থেকে আরব আমিরাতে শ্রমিক নিয়োগ করবে।

উক্ত দুবাই ভিসা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার করচ ও বিস্তারিত উপায় সেগুলো আপনি আবেদন করার তিন মাসের মধ্যে পেয়ে যাবেন।

আরো দেখুনঃ মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম | বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ভিসা

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা এই পোস্টে, আপনি জানতে পারলেন, দুবাই কাজের ভিসা সম্পর্কে। আপনি যদি দুবাই গমন করতে চান? তাহলে উক্ত বিষয় গুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করে তারপরে কোন ভালো এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে ভিসার জন্য আবেদন করুন।

আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এবং একটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের এই পোস্ট বিষয়ে জানিয়ে দিন।

আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত সময় দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 thoughts on “দুবাই কাজের ভিসা ২০২৩ প্রসেসিং | দুবাই ভিসা নিজেই করুন”

  1. Dear Facebook Team.
    My Facebook Account Has been lock……and not getting unlock because its showing confirm your identity. This account is very important for me. So, i request to facebook given me a other option like “get a code on my phone number or get a code on my gmail” to recover my account. Please help me to unlock my account as soon as possible.
    My Account Information:
    Name: MD MEHEDI
    Gmail:[email protected]
    Birthday:03 febroary 2004

Scroll to Top