মালয়েশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত একটি দেশ। এটি নিউজ়িল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ এবং ইন্দোনেশিয়ার মাধ্যমে ইন্দোচাইনা দ্বীপপুঞ্জ সহ বৃহত্তম দ্বীপপুঞ্জের একটি অংশ।
রাষ্ট্রটি পেনিনসুলার মালয়েশিয়া ও বোরনিও দ্বীপপুঞ্জ থেকে গঠিত। মালয়েশিয়া উত্তরে থাইল্যান্ড ও বরমা, পূর্বে সাউথ চাইনা সাম্রাজ্য এবং উত্তর-পশ্চিমে সুমাত্র দ্বীপপুঞ্জের সাথে সীমাবদ্ধ।

মালয়েশিয়া সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গড়বধারা, বছরব্যাপী তাপমাত্রা এবং বিভিন্ন ধর্মীয় ও নৈতিক সংস্কৃতির অন্যতম পরিচিত।
মালয়েশিয়ার অফিশিয়াল ভাষা মালয়। যুক্তরাজ্যের বিদেশমন্ত্রীর প্রতিষ্ঠায় মালয়েশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথম বিদেশী রাষ্ট্র হিসেবে দূতাবাস স্থাপন করেন।
মালয়েশিয়া একটি সংবিধানগত শাসনামলে ব্যবহৃত পরস্পর স্বাধীন দেশ এবং পরস্পর স্বাধীন রাজ্যের মাধ্যমে প্রচলিত হয়।
রাষ্ট্রটির শাসনামলে বলা হয়েছে যে, মালয়েশিয়া ইসলামী রাষ্ট্র এবং এটি কনফেডারেশন সরকার উপস্থাপন করে।
কুয়ালালামপুর শহরটি মালয়েশিয়ার রাজধানী ও সবচেয়ে বড় শহর।
মালয়েশিয়া একটি বিশ্বব্যাংক, মানবসম্পদ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংগ্রহস্থল। এটি বিশ্বের একটি অতিরিক্ত চা, প্যালম তেল এবং প্যালম প্রক্রিয়ায়িত খাদ্য উৎপাদন দেশ। প্রধান রপ্তানি দেশের টিম্বার, কাগজ এবং লেটাক্সের জন্য পরিচিত।
মালয়েশিয়াতে প্রাচীনতম নিশ্চিত ঐতিহাসিক আবস্থান গুপ্তচর গুফা হয়, চিন্তামনি চক্রবর্তীর স্মৃতিস্তম্ভ। কুয়ালালামপুরের দাদানের মানিয়াল রাত্রিকের স্থানটি যুগের প্রাচীনতম মানব আবস্থান হয়।
মালয়েশিয়া পর্যটনের দিক থেকেও অত্যন্ত পরিচিত একটি দেশ, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, উদ্যানসমূহ, সৈকতবন্দর, ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং অন্যান্য পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে।
কুয়ালালামপুরের পেট্রোনাস টাওয়ারস, মালাকা জমিতে সুপ্রিম কোর্ট এবং লাঙ্গকায় জাহারীর সুন্দরবন বনস্পতি সমৃদ্ধ দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম পরিচিত।
মালয়েশিয়া একটি ভিসা প্রয়োজনের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান দেশ, যার সময়সীমা বহুদিনের জন্য কিছু দেশের নাগরিকের জন্য মুক্ত।
পর্যটকদের জন্য মালয়েশিয়া একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। বিভিন্ন পর্যটন আকর্ষণ ও ব্যবসায়িক সুযোগের জন্য মালয়েশিয়ায় অনেক মানুষ ভ্রমণ করেন।
কুয়ালালামপুরের মালয়েশিয়া পেট্রোনাস টাওয়ারস, লাঙ্গকায় জাহারীর সুন্দরবন, পেনাঙা ইন্দাহ প্রাকৃতিক উদ্যান, কলারা জামিতে মালাকা সুপ্রিম কোর্ট, বাতু জামি, সুলতান আব্দুল সামাদ দ্বীপপুঞ্জ এবং তামান নেগারা ন্যাশনাল পার্কের মধ্যে কিছু।
মালয়েশিয়ার স্থানীয় খাদ্য ও রান্নার স্বাদ অনেক ধরণের মানুষের জন্য আকর্ষণীয়। রেন্ডাঙ্গ চিলি, নাসি লেমাক, রোজমাক, হাইনান চিকেন রাইস এবং কুই তোর্ত মালয়েশিয়ার পরিচিত খাবারের মধ্যে কিছু।
বাংলাদেশ থেকে বিমান দ্বারা মালয়েশিয়ায় যাওয়া যায়। এটি মালয়েশিয়া সম্পর্কে সংক্ষেপে তথ্য ছিল। আরও বিস্তারিত জানতে অনুগ্রহ করে আপনার মতামত জানাতে পারেন।
বাংলাদেশ থেকে কোন কোন ভিসায় মালয়েশিয়া যাওয়া যায়?
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য কিছু ভিসা ক্যাটাগরি উল্লেখযোগ্য সেগুলো হলো :
পর্যটন ভিসা (Tourist Visa):
এটি পর্যটনের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের জন্য প্রয়োজন। এই ভিসা দ্বারা আপনি মালয়েশিয়ায় পর্যটন করতে পারেন এবং সর্বাধিক 90 দিন পর্যন্ত থাকতে পারেন।
ব্যবসায়িক ভিসা (Business Visa):
এটি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজন হতে পারে। যদি আপনার কোন ব্যবসা করার পরিকল্পনা থাকে মালয়েশিয়ায়, তবে ব্যবসায়িক ভিসা আবেদন করতে হবে।
কাজের ভিসা (Employment Visa):
মালয়েশিয়ায় চাকরি করার পরিকল্পনা থাকলে কাজের ভিসা প্রয়োজন হতে পারে। যদি আপনি মালয়েশিয়ায় কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী হিসেবে চাকরি করতে চান, তবে কাজের ভিসা আবেদন করতে হবে।
শিক্ষা ভিসা (Student Visa):
মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা করতে চাইলে শিক্ষা ভিসা প্রয়োজন হতে পারে। এই ভিসা দ্বারা আপনি মালয়েশিয়ায় কোন শিক্ষামত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেন।
এগুলো কয়েকটি ভিসা ক্যাটাগরি, যেগুলো বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের জন্য প্রয়োজন হতে পারে। আপনার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করুন।
মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা দাম কত টাকা ?
আমি আপনাকে জানাতে পারি যে, মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা এর দাম তিনটি অংশে বিভক্ত হয়ে থাকে: ভিসা আবেদন ফি, ভিসা ইউনিভার্সিটি ফি, এবং ভিসা ইউনিফর্ম ফি।
ভিসা আবেদন ফি এবং ইউনিভার্সিটি ফি বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির ভিত্তিতে পরিবর্তন করতে পারে এবং এটি আপনার পছন্দ মতো ইউনিভার্সিটির উপরও নির্ভর করে।
এই ফি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানার জন্য, আপনাকে আপনার পছন্দসই ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট বা সরাসরি ইউনিভার্সিটি সংশ্লিষ্ট অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
ভিসা ইউনিফর্ম ফি বিভিন্ন হোস্ট কান্ট্রাক্টর বা ভিসা প্রসেসিং এজেন্সির মাধ্যমে প্রদান করা হয়ে থাকে। এই ফি সম্পর্কেও সঠিক তথ্য জানার জন্য, আপনাকে অনুগ্রহ করে ভিসা প্রসেসিং এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
এই সাধারণত ভিসা খরচ প্রায় 1000 ডলার হতে 20000 ডলার পর্যন্ত হতে পারে। তবে, এটি অন্যান্য ফি এবং খরচ সহ ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি বা ইউনিভার্সিটির নীতিমালা ও পরিস্থিতির উপরও নির্ভর করতে পারে।
আপনি এই তথ্য গুলো ব্যবহার করে, অগ্রিম পরিকল্পনা করার জন্য ভিসা প্রসেস এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করাটি শুধুমাত্র সুপারিশকারী উপায়, আপনাকে একটি নিশ্চিত উত্তর পেতে আপনার নিজের জন্য সরাসরি অনুসন্ধান করতে হবে।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা দাম কত টাকা ?
মালয়েশিয়ায় ট্যুরিস্ট ভিসা এর দাম বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত হয়ে থাকে। নতুন দাম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানার জন্য, আপনাকে মালয়েশিয়া হাই কমিশন এর ওয়েবসাইট বা অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
সাধারণত, মালয়েশিয়ায় ট্যুরিস্ট ভিসা এর জন্য দরকারী ফি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পরিবর্তন করতে পারে। এছাড়াও, অন্যান্য খরচসহ ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি বা কনসুলেট সার্ভিস চার্জ সহ এই দাম পরিবর্তন হতে পারে।
আমি আপনার জন্য সম্ভাব্যতঃ সর্বাধিক প্রামাণিক তথ্য দিতে পারি না কারণ ভিসা ফি এবং অন্যান্য খরচগুলি পরিবর্তনশীল হতে পারে।
তাই, ভিসা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য জানার জন্য সরাসরি মালয়েশিয়া হাই কমিশন এর সাথে যোগাযোগ করবেন। এক্ষেত্রে, আপনার সুবিধার জন্য বলতে পারি, টুরিস্ট ভিসার দাম বাংলাদেশি টায় ৭০ হাজার থেকে ১ লখ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।
মালয়েশিয়া কাজের ভিসা দাম কত টাকা ?
মালয়েশিয়ায় কাজের ভিসা (Employment Visa) এর দাম বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পরিবর্তন হতে পারে। এই ভিসা ফি এর সঠিক তথ্য জানার জন্য, আপনাকে মালয়েশিয়া হাই কমিশন এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
সাধারণত, কাজের ভিসা এর জন্য দরকারী ফি মালয়েশিয়ায় কাজের ক্ষেত্রে কার্যসম্পাদন নিয়ম ও আবেদনকারীর জাতীয়তা উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
আপনাকে অনুরোধ করছি মালয়েশিয়া হাই কমিশন এর সাথে যোগাযোগ করে সঠিক ফি সম্পর্কে তথ্য জানতে। তবে, কাজের ভিসার দাম বাংলাদেশি টাকায় ১৫০ ডলার থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত লাগতে পারে।
মালয়েশিয়া বিজনেস ভিসা দাম কত টাকা ?
মালয়েশিয়ায় বিজনেস ভিসা (Business Visa) এর দাম বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পরিবর্তন হতে পারে। এই ভিসা ফি সংক্রান্ত সঠিক তথ্য জানার জন্য আপনাকে মালয়েশিয়া হাই কমিশন এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
সাধারণত, বিজনেস ভিসা এর জন্য দরকারী ফি মালয়েশিয়ায় ব্যবসার ক্ষেত্রে নির্ধারিত কর্মসূচি, আবেদনকারীর জাতীয়তা ও ভিসা মেয়াদ উপর নির্ভর করে পরিবর্তন হতে পারে।
আপনাকে অনুরোধ করছি মালয়েশিয়া হাই কমিশন এর সাথে যোগাযোগ করে সঠিক ফি সম্পর্কে তথ্য জানতে। তবে আপনার সুবিধার জন্য বলে দিচ্ছি বিজনেস ভিসার জন্য খরচ হতে পারে, বাংলাদিশে টাকায় ৫ লাখ হতে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত।
শেষ কথাঃ
আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় ভ্রমণ করতে চান? তাদের সুবিধার জন্য আমরা উপরে উল্লেখিত আলোচনায়, মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ধরনের ভিসা ক্যাটাগরির সম্পর্কে এবং ভিসার দাম সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি।
এখন আপনি কোন ধরনের ভিসা ক্যাটাগরিতে যেটা চান সেটি নির্বাচন করুন। ধন্যবাদ…