ঘড়ি কে আবিষ্কার করেন

ঘড়ি কে আবিষ্কার করেন : বর্তমান সময়ে ঘড়ি ছাড়া আমরা কিন্তু সময় নির্ধারণ করতে পারি না।

তাই আগের সময় গুলোর তুলনায় এখন ডিজিটাল প্রযুক্তিতে অনেক ধরনের ঘড়ি তৈরি হয়েছে। আপনারা সকলেই ঘড়ির ব্যবহার করেন।

কিন্তু কখনো কি জানতে চেয়েছেন। ঘড়ি কে আবিষ্কার করেন?

ঘড়ি কে আবিষ্কার করেন
ঘড়ি কে আবিষ্কার করেন

তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন। ঘড়ি কে আবিষ্কার করেন ঘড়ি সম্পর্কে আরো অন্যান্য তথ্য সমূহ।

বিশেষ করে, আপনারা এখানে জানতে পারবেন সর্ব প্রথম ঘড়ি আবিষ্কার করেন কে, এবংঘড়ি ইতিহাস, ঘড়ি আবিষ্কারের ইতিহাস নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।

তাই আপনি যদি ঘড়ি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে চান? তাহলে আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত করুন।

আমরা যদি বর্তমান সময়ের বিষয়ে বলি। তাহলে, এখন আমরা ঘড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে, পারছি স্মার্ট ওয়াচ গুলো।

উক্ত স্মার্ট ওয়াচ গুলোর মাধ্যমে আমরা সময় দেখার সাথে সাথে, হাঁটাচলার মিনিট, হার্ট রেট এবং ফিটনেস মিনিট কথা গুলো খুব সহজেই জানতে পারছি।

তাছাড়া বর্তমানে আধুনিক স্মার্টওয়াচগুলোর মাধ্যমে, মোবাইলের কল রিসিভ করা এবং এসএমএস দেখা ইত্যাদি সবকিছুই সম্ভব।

তো স্মার্ট ওয়াচ গুলো প্রচলন কিছু বছর আগেই শুরু হয়েছে। তবে এটি সময় সময়ে উন্নতি করা হয়। কিন্তু বর্তমানে এই সাধারণ ঘড়ি যখন আমরা হাতে পরি। তখন সেটা কিন্তু স্মার্টওয়াচ এর তুলনায় অধিক জনপ্রিয় দেখায়।

এই সময়ে প্রায় সকলেই ঘরে ঘরে আধুনিক ঘড়ি গুলো আছে। কিন্তু আপনি কি জানেন এই আধুনিক ঘড়িগুলো শুধু কে করেছিলেন। যদি এ বিষয়ে না জানেন তবে চিন্তার কোন কারনে আজকের এই আর্টিকেলের সব কিছুই আপনারা জানতে পারবেন ঘড়ি বিষয়ে।

ঘড়ি মানে কি ?

আপনাদের সুবিধার জন্য এখন বলব, ঘড়ি এমন এক ধরনের যন্ত্র যা আমাদের সঠিক সময় জানিয়ে থাকে। ঘড়ি অনেক ধরনের হতে পারে যেমন-

  • এনালগ ঘড়ি
  • ডিজিটাল ঘড়ি
  • স্বয়ংক্রিয় ঘড়ি
  • ক্রোনোগ্রাফ ওয়াচ
  • ডাইভিং ওয়াচ
  • কোয়ার্টজ ঘড়ি
  • যান্ত্রিক ঘড়ি

উপরোক্ত যেকোনো ঘড়ি হোক না কেন? তাদের মূল উদ্দেশ্য কিন্তু একটাই সঠিকভাবে সময় দেখানো। আমরা ঘড়ি বলতে সরাসরি হাতঘড়ি মনে করে থাকি।

এখন যদি হাতঘড়ির কথা বলা হয়। তাহলে এটি মূলত একটি পোর্টেবল ডিভাইস। যা বহন করা এবং ব্যবহার করা অনেকটাই সহজ। উক্ত ঘড়ি গুলোকে আমরা আমাদের হাতের মধ্যে পড়ে আনন্দবোধ করি।

আমাদের মধ্যে এমন মানুষ আছে। যারা আবার পকেট ওয়াচ ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। আজকে থেকে কিছু বছর পূর্বে পকেট ওয়াজ গুলোর চাহিদা অনেক বেশি ছিল বলে জানা গিয়েছে।

মোবাইল ও স্মার্টফোনের যোগ চলে আসার পরে পকেট ঘড়ির চাহিদা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। কিন্তু যাই বলেন না কেন? সে আগের সময় গুলোতে কিন্তু পকেট ওয়াচ গুলোর চাহিদা সাংঘাতিক ভাবে ছিল।

পকেট ঘড়িগুলোকে মূলত প্যান্টের পকেটে রেখে বহন করা যেত। যখন সময় দেখার দরকার হতো তখন সেই ঘড়ির পকেট থেকে বের করে সময় দেখা যেত।

হাতঘড়ি এক ধরনের ছোট এনালগ ঘড়ি। যার মধ্যে এক ধরনের রশির মত তৈরি থাকে। যা ব্যবহার করে আমরা ঘড়িটি হাতে বাধতে পারি।

ঘড়ির মধ্যে থাকা সেই মূলত প্লাস্টিক, লেদার এছাড়া স্টিল দিয়ে তৈরি করা হয়। ঘড়ি হাতে বাধার জন্য হাত ঘড়ির মধ্যে সেই রসের মতো অংশ আছে, যা কে স্ট্রেপ বলা হয়।

এই ধরনের এনালগ ঘড়ি গুলোকে মূলত হাতে করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। আশা করি ঘড়ি মানে কি এ বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে গেছেন।

প্রথম ঘড়ি কে আবিষ্কার করেন ?

এখনো অনেকে প্রশ্ন করতে যে ঘড়ি সর্বপ্রথম কে আবিষ্কার করেছিলেন। তাই আমি আপনাকে সরাসরি বলতে চাই ঘড়ি আবিষ্কার করেছিলেন – Peter Henlein (পিটার হেনলেইন)।

ঘড়ি আবিষ্কার পৃথিবীর প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার গুলোর মধ্যে একটি হিসাব করা হয়। এমনিতে, স্মার্টফোন এবং স্মার্ট ওয়াচ গুলো বাজারে আসার পর থেকে, হাতঘড়ির চাহিদা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কমে গেছে। এখন আগের তুলনায় মানুষ আর হাতঘড়ি ব্যবহার করেন না।

কিন্তু যদি কখনো ঘড়ি আবিষ্কার না হতো তাহলে, আমরা কখনোই সঠিক সময় অনুমান করে বলতে পারতাম না। সময় দেখতে গেলে ঘড়ি আবিষ্কারের শ্রেয় কেবল একজন ব্যক্তি সম্পূর্ণভাবে দেওয়া হয় না।

যখন পৃথিবীর বিভিন্ন সভ্যতা গুলো একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়নি। তখন কিন্তু বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে, সময়ের দেখা বিভিন্ন আলাদা আলাদা নিয়ম অবশ্যই ছিল।

সেই সময় লোকেরা সবাই নির্ধারণ করার জন্য তৈরি করেছিল, জলঘড়ি আবার কেউ কেউ তৈরি করেছিল ডুও ঘড়ি। সময় দেখা কিন্তু বন্ধ ছিল না।

কিন্তু একমাত্র ঘড়ি আবিষ্কারকের নাম হিসেবে আপনি যদি সন্ধান করেন তাহলে পিটার হেনলেইন এর নামে দেখানো হবে।

ঘড়ির আবিষ্কার কখন হয় ?

আমরা উপরোক্ত আলোচনায় জানতে পারলাম পিটার হেনলেইন এর মাধ্যমে ঘড়ি আবিষ্কার করার আগে কিন্তু মানুষ এ ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করতেন।

যার মাধ্যমে সঠিক সময় দেখা যেত। কিন্তু পিটার এর আবিষ্কারের কথা বলা হয় তিনি ১৫০৫ সালে ঘড়ি আবিষ্কার করা।

পিটার হেনলেইান এর মাধ্যমে তৈরি করা ক্লক ওয়াচের আবিষ্কারের পরে ১৫৭৭ সালে সুইজারল্যান্ড এর জব বর্গীর মাধ্যমে মিনিটের কাটা থাকা ঘড়ি আবিষ্কার করা হয়।

তারপর, পকেট ঘড়ি আবিষ্কার হয় ১৬৫০ সালে। মানুষ নিজের পকেটে ঘড়ি বহন করে, যে কোন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন এবং সময় দেখতে পারতেন।

তারপর, Steve Mann এর মাধ্যমে ১৯৮৮ সালে লিনাক্স ঘড়ি আবিষ্কার করা হয়। আশা করি আপনারা বুঝতে পারলেন ঘড়ির আবিস্কার কখন করা হয়েছিল।

ঘড়ি আবিষ্কার এর গুরুত্ব

ঘড়ি ব্যবহার করার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সঠিকভাবে সময় দেখা। বর্তমান সময়ে, সময় দেখার জন্য আমাদের কাছে অনেক ধরনের ঘড়ি ডিভাইস রয়েছে যেমন-

  • স্মার্ট ওয়াচ।
  • এনালগ ওয়াচ।
  • ডিজিটাল ওয়াচ।
  • ইলেকট্রনিক ওয়াচ এবং
  • স্মার্টফোন, ইত্যাদি।

উপরোক্ত উপকরণগুলো আজ থেকে বহু বছর আগে থেকে মানুষের কাছে ছিল কিন্তু সেগুলো একেবারে সঠিক নিয়ম দেখাতে পারতো না।

তারা এটা বুঝতে পারতেন, যে এখন সময় কি হতে পারে। কিন্তু যতটা সময় আমরা দেখতে থাকি। সেটি সেই সময় দেখা বা জানা সম্ভব ছিল না।

বর্তমানে যেকোনো মানুষ ঘড়ি এর মাধ্যমে একেবারে সঠিক সময় দেখে নিতে পারে। যার ফলে আমরা সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে পারছি।

তাই দেখা গেল ঘড়ি না থাকলে, আমরা সময়ের মূল্য কখনোই বুঝতে পারি না ।আর সময় ছাড়া আমরা সঠিক ভাবে কোন কাজও করতে পারিনা।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা যারা আজকের আলোচনা মনোযোগ সহকারে অনুসরণ করেছেন। তারা ঘড়ি কে আবিষ্কার করেন? ঘড়ি কত সালে আবিষ্কার হয় সে বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে গেলেন।

এখন ঘড়ি সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে। তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top