আমাদের আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করব বিদ্যুৎ কে আবিষ্কার করেন? মানুষের জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস হিসেবে দাড়ি উঠেছে বিদ্যুৎ। কারণ বিদ্যুৎ ছাড়া স্বাভাবিক জীবন যাপন করা কল্পনাও করা যায় না।
বিশেষ করে প্রতিদিন সকালে, ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমানো যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের বিদ্যুৎ প্রয়োজন।
বর্তমান সময়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। আমি আপনার সুবিধার জন্য এখানে কোন কোন খাতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় সে বিষয়ে একটু বলছি।
বিদ্যুৎ আমরা নিজের বাসা থেকে শুরু করে অফিস আদালত ব্যবসা-বাণিজ্য এমন কোন ক্ষেত্রে যেখানে বিদ্যুৎ নেই। প্রতিটি জায়গায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়।
আর আমরা বিদ্যুতের মাধ্যমে যেগুলো ব্যবহার করি সেগুলো হচ্ছে- মোবাইল, টেলিভিশন, কম্পিউটার, ফ্যান, লাইট এ ছাড়া আরো বড় বড় ইঞ্জিনগুলো আমরা বিদ্যুতের মাধ্যমে ব্যবহার করে থাকি।
আর বাংলাদেশ এ সবথেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন কলকারখানায় বিশেষ করে গার্মেন্টস গুলোতে।
বাংলাদেশ উন্নত হার পেছনে বিদ্যুতের অনেক অবদান আছে। আমাদের বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশের উন্নয়নে রেলের একটি বড় অবদান হচ্ছে বিদ্যুৎ।
বর্তমান সময়ে ভারতের পাশাপাশি আমাদের বাংলাদেশও এখন বিভিন্ন ট্রেন বিদ্যুতের সাহায্যে চলছে। তো আমরা সকলেই কিন্তু বিদ্যুৎ ব্যবহার করি আমাদের প্রয়োজনীয় কাজের জন্য।
কিন্তু আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি বিদ্যুৎ কিভাবে আবিষ্কার করেছেন। তো আমার বিশ্বাস অনেকেই এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই। তাই তাদের সুবিধার জন্য আমি এখানে, জানিয়ে দেব। বিদ্যুৎ কে আবিষ্কার করেন।
তাই আমাদের আর্টিকেল থেকে সঠিক তথ্য জানতে, শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়তে থাকুন।
বিদ্যুৎ কে আবিস্কার করেন ?
সারা বিশ্বে প্রথম, ৬০০ খ্রিস্টাব্দ পূর্বে, “থ্যালেস নাম এর একজন বিজ্ঞানী” বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেছিলেন। থ্যালেস ছিল দেশের একজন মহান দার্শনিক।
তিনি বিশ্বের সর্বপ্রথম পাইন গাছ। যেখানে রস বা আঠা হয় সেটি কাপড়ে বা শুকনো পাতা। এছাড়া যেকোনো পাখির পালকে ঘষে ঘষে। তখণ থ্যালেস বিজ্ঞানী এটির নাম দেন বিদ্যুৎ।
তারপর থেকে বহুবিজ্ঞানে বিদ্যুৎ আবিষ্কার করায় নিয়োজিত হন। তারপর যুক্তরাষ্ট্র এর একজন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন একটি পরীক্ষা করে বিদ্যুৎ উৎপাদন আবিষ্কার করে ফেলেন।
তিনি মানুষকে বলছেন আকাশে যে বজ্রপাত হয় তা বর্জাপতি অনুরূপ বিদ্যুৎ। তারপর জর্জেস লেকলাঞ্চ নামের একজন ফরাসি বিজ্ঞানী তিনি একটি ভেজা ব্যাটারি তৈরি করে সেখান থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করেন।
তিনি তখন কেন এনোনিয়াম ক্লোরাইড এর তৈরি করেন। সেখানে জিঙ্ক এবং কার্বন রড তৈরি করেন। আর এমোনিয়াম ক্লোরাইডের দ্রবণ এ ডুবিয়ে তিনি বিদ্যুৎ উৎপন্নের বিষয়টি মানুষদের দেখান।
পঠিতপক্ষে বিদ্যুৎ ১৮০০ সালে, আলেসান্দ্রো ভোল্ট এর মাধ্যমে আবিষ্কৃত হয়েছিল। তিনি প্রথম ব্যক্তি ছিলেন বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন। এখন আপনাদের সামনে এমন একটি প্রশ্নের উত্তর দেবো যা হচ্ছে, সর্বপ্রথম কে বিদ্যুতিক কোষ তৈরি করেন।
যেখান থেকে তড়িং প্রবাহ পাওয়া সম্ভব হতো। বৈদ্যুতিক কোষ আবিষ্কারের কয়েক দিনের পরে, সাধারণ মানুষ জানতে পায় যে তাপ, আলো, রাসায়নিক বিক্রিয়া এবং চুম্বকীয় প্রভাব বইটি ক ব্যবহার এর মাধ্যমে তৈরি হতে পারে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিক থেকে সবচেয়ে, বিপ্লবী কাজটি করেছিলেন মাইকেল ফ্যারাডে ১৮৩১ সালের দিকে। তিনি সর্বপ্রথম বলেছিলেন যে, তামার তার এর তৈরি একটি কোয়েলের চুম্বককে সামনে পিছনে দাঁড়ালে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
ফ্যারাডে উক্ত নীতি ব্যবহার করে জেনারেটর যা বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে তা তৈরি করা ছিল। ১৮৬৭ সালের দিকে প্রথম সফল বৈদ্যুতিক ডায়নামো/ জেনারেটর তৈরি করা হয়।
১৮৫৮ সালে আমেরিকায় পতনশীল পানির মাধ্যমে টারবাইন চালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়েছিল। তারপর সারা পৃথিবীতে অনেক জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিদ্যুৎ কত প্রকার ?
আপনারা সকলেই জানেন বিদ্যুৎ মূলত কি? তবে অনেকে জানেন না বিদ্যুৎ কত প্রকার। তাই আমি তাদের উদ্দেশ্য করে বলছি। বিদ্যুৎ হচ্ছে দুই প্রকার যথা-
- সরাসরি বর্তমান বিদ্যুৎ।
- বিবর্তিত বিদ্যুৎ।
বিদ্যুৎ এর ইতিহাস
থ্যালেস নাম এর একজন বিজ্ঞানী ৬০০ খ্রিস্টাব্দ পূর্বে, বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন। থ্যালেস ছিল গ্রীসের একজন দার্শনিক। তারপর যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিজ্ঞানী ব্যঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বিদ্যুৎ পরীক্ষার চালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন আবিষ্কার করেন।
তিনি মানুষকে জানান আকাশের যে বজ্রপাত হয় সে বজ্রপাত থেকেই বিদ্যুতের অন্য রুপ। তারপর জর্জেস লেক লাঞ্চ নামের একজন ফরাসি বিজ্ঞানী একটি ভেজা ব্যাটারি তৈরি করেন। সেখানে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করেন।
আর ১৮০০ সালে আলেসান্দ্রো ভোল্টা সর্বপ্রথম বৈদ্যুতিক কোষ তৈরি করেন। যা থেকে বিদ্যুৎ প্রবাহ পাওয়া যেত।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিক থেকে সবথেকে বিপ্লবী কাজটি করেছিলেন মাইকেল ফ্যারাডে। তিনি সর্বপ্রথম বলেছিলেন। যে তাপমাত্রার তারের তৈরি একটি কয়েল চুম্বককে সামনে পেছনে নাড়ালে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা জানতে, চেয়েছিলেন বিদ্যুৎ কে আবিষ্কার করেন। সেটি উপরোক্ত আলোচনায় আমরা জানিয়ে দিয়েছি। এছাড়া বিদ্যুতের ইতিহাস সম্পর্কে আমরা সংক্ষিপ্ত ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি।
এখন বিদ্যুৎ সম্পর্কে আপনার যদি আরো কোন পোস্ট সম্পর্কে জানার থাকে, তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন ধন্যবাদ।
এভাবেই বাংলা কনটেন্ট এর মাধ্যমে জ্ঞানের সাগর বিস্তৃত হোক