কেওয়াইসি (KYC) কি ? KYC Full Form In Bengali

KYC Full Form In Bengali : আমাদের আগের আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে। কেওয়াইসি কি ? এবং কেওয়াইসি এর পূর্ণরূপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

তাই আপনি যদি কেওয়াইসি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জানতে চান। তাহলে নিচে দেওয়া তথ্য গুলো ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন।

কেওয়াইসি (KYC) কি ? KYC Full Form In Bengali
কেওয়াইসি (KYC) কি ? KYC Full Form In Bengali

বর্তমানে আপনি একটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার থেকে শুরু করে। মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ার বাজার, গোল্ড লোন অন্যান্য লোন নেওয়া।

এ ছাড়া গোল্ড ইনভেস্ট ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে আমাদের কেওয়াইসি করতে হয়।

কিন্তু যদি আপনার একেওয়াইসের বিষয়ে ভালো করে না জানা থাকে। তবে আপনি চিন্তা করবেন না। আমরা নিজের আলোচনাতে কেওয়াইসি কি?  এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

কেওয়াইসি (KYC) কি ?

আপনার কি জানেন কেওয়াইসি এর পূর্ণরূপ কি আসলে কেওয়াইসি এর পূর্ণরূপ হচ্ছে,  Know Your Customer (KYC)

কেওয়াইসি এর বাংলা অর্থ হচ্ছে, Know Your Customer (KYC) = জানো নিজের গ্রাহকদের। এটিকে আমরা যদি সহজ করে বলে তাহলে বলা যায় নিজের গ্রাহকদের জানা।

এটি হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া যা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বারা সম্পূর্ণ করা হয়ে থাকে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের গ্রাহকদের পরিচয় এবং আয় এর মাধ্যম গুলো যাচাই করে।

কেওয়াইসির মাধ্যমে গ্রাহক কার্যক্রম পরিচয় ঠিকানা এবং যে টাকা গ্রাহক বিনিয়োগ করতে চান। সেটি সম্পূর্ণ বৈধ বা ন্যায্য এ বিষয়গুলো নিয়ে যাচাই-বাছাই করা হয়।

কি হইছে স্ট্যান্ডার্ড গুলো এরকম ভাবে পরিকল্পিত করা হয়েছে। যাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ফান্ড, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং ইত্যাদি হাত থেকে সুরক্ষিত করা যায়।

তাই আপনাকে সহজভাবে বলতে গেলে, কেওয়াইসি একটি প্রতিষ্ঠানকে তার বিনিয়োগকারীর পরিচয় এবং ঠিকানাকে প্রমাণিত করতে সক্ষম করে।

যে কোন গ্রাহক যেকোনো ব্যাংক, মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ার বাজার, গোল্ড ইত্যাদিতে ইনভেস্ট শুরু করতে চান? তাকে সবার আগে নিজের কেওয়াইসি জমা দিতে হয়।

কিন্তু আপনাকে বারবার কেওয়াইসি প্রক্রিয়ার সম্পন্ন করতে হবে না। মানে, যখন আপনি জীবনে প্রথম বারের জন্য বিনিয়োগ করতে যাবেন।

শুধুমাত্র তখন কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

ভবিষ্যতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলোতে, বিনিয়োগ ইত্যাদি করতে চাইলে। আপনার সেই প্রথমবার করা কেওয়াইসি দিয়েই কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

KYC এর পূর্ণরূপ কি ?

আমরা উপরের আলোচনাতে কেওয়াইসি এর পূর্ণরূপ সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছে কিন্তু এখন আমি পরিষ্কারভাবে আপনাকে জানাতে চাচ্ছি- KYC এর পূর্ণরূপ হচ্ছে, Know Your Customer (KYC). আর কেওয়াইসের বাংলা অর্থ হচ্ছে, নিজের গ্রাহকদের জানো।ৎ

কেওয়াইসি কেন জরুরি ?

কেওয়াইসি হয়েছে এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে কাস্টমারদের পরিচয় ভালো করে ভেরিফাই করা সম্ভব হয়।

কেওয়াইসি নির্দেশিকা গুলোর উদ্দেশ্য এটি যে যাতে করে, ব্যাংক বা ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন গুলোকে। অপরাধকারীদের দ্বারা টাকা পাচার কার্যক্রমের মতো অপরাধ মূলক কার্যক্রম গুলো করা থাকে বাঁধা প্রদান করা যেতে পারে।

এর মাধ্যমে ব্যাংক বা ফিনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকদের এবং তাদের আর্থিক লেন-দেন গুলো ভালো ভাবে বুঝতে পারেন।

গ্রাহকদের কিছু স্বাধীনতা এবং নির্ভরশীলতা ডকুমেন্ট ডাটা বা ইনফরমেশন গুলোর মাধ্যমে। সেই গ্রাহকের পরিচয় সনাক্তকরণ এবং যাচাই করার প্রক্রিয়াকেই কেওয়াইসি বলে।

তার জন্য উপরোক্ত কেওয়াইসি এতটা জরুরী।

KYC Documents গুলো কি কি ?

ইন্ডিভিজ্যুয়াল ক্যামেসের জন্য কিছু জরুরি ডকুমেন্ট গুলো হচ্ছে-

  • পাসপোর্ট
  • ভোটার আইডি কার্ড
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স
  • প্যান কার্ড
  • আধার কার্ড

উপরোক্ত ডকুমেন্টগুলো যেকোনো একটি আপনার পরিচয় প্রমাণ এবং ঠিকানা প্রমাণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন।

KYC কত প্রকার ও কি কি ?

তো এখন আমি আপনাকে জানিয়ে দেবো কেওয়াইসি কত প্রকার ও কি কি ? কেওয়াইসি মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে এ দুইটি প্রক্রিয়ায় সুবিধা জনক ও কার্যকর।

তো চলুন, কেওয়াইসি ২ প্রকার সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

  1. Aadhaar Based KYC
  2. In-Person Verification KYC

Aadhaar Based KYC

Aadhaar Based KYC ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া মূলত আঁধার এর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। কেওয়াইসি এর এই প্রক্রিয়া আপনারা সম্পূর্ণ অনলাইনের মাধ্যমে করে নিতে পারবেন।

এই প্রক্রিয়াতে আপনাকে নিজের আধার কার্ড এবং স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন আদার বেসড কেওয়াইসির মাধ্যমে একজন গ্রাহক যদি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে চাই তবে শুধুমাত্র ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত প্রতি বছর বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবেন।

In-Person Verification KYC

In-Person Verification KYC ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ অফলাইন হয়ে থাকে। আপনাকে প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে কেওয়াইসি ভেরিফাই করতে হয়।

আপনি যদি মিউচুয়াল ফান্ড বা শেয়ার বাজারের মাধ্যমে নিয়মিত অধিক বিনিয়োগ করতে চান তাহলে আপনার এই ধরনের ইন পারসন ভেরিফিকেশন কেওয়াইসি করাটা অত্যন্ত জরুরী।

এই পদ্ধতিতে গ্রাহকের আইডেন্টিটি এবং পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস গুলো ভেরিফিকেশন করার জন্য প্রাসঙ্গিক হিসেবে, ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়।

আপনারা চাইলে কেওয়াইসি নিয়মগুলো অনুসরণ করে চলার ক্ষেত্রে আইডেন্টিটি এবং অ্যাড্রেস প্রমাণ হিসেবে, self attested PAN Card, পাসপোর্ট, বিদ্যুৎ বিল, টেলিফোন বিল, জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড, ইত্যাদি জমা দিতে পারেন।

শেষ কথাঃ

তো আজ আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হলো কেওয়াইসি কি ? কেওয়াইসি পূর্ণরূপ সম্পর্কে।

আপনি যদি বিভিন্ন ফান্ডে টাকা বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে আপনার তথ্য ভেরিফাই করার জন্য কেওয়াইসি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

তো আপনি যদি আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করে থাকেন তাহলে, আপনারা  কেওয়াইসি সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত তথ্য পেয়ে গেছেন।

এছাড়া আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে আরো নতুন নতুন টিপস এন্ড টিক্স পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top