এনআইডি কার্ডে স্বামী ও স্ত্রীর নাম সংশোধন করার উপায় (বিস্তারিত জানুন)

এনআইডি কার্ডে স্বামী ও স্ত্রীর নাম সংশোধন করার উপায় : বর্তমান সময়ে যারা ভোটার হওয়ার আগে বিয়ে করেছেন। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ডে হয়তো স্বামী স্ত্রীর নাম উল্লেখ করা রয়েছে।

কিন্তু আপনারা যারা ভোটার হওয়ার পরে বিয়ে করেছেন, তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র/ ভোটার আইডি কার্ডের তথ্যের স্বামীর নাম এবং স্ত্রীর নাম উল্লেখ নেই।

এনআইডি কার্ডে স্বামী ও স্ত্রীর নাম সংশোধন করার উপায় (বিস্তারিত জানুন)
এনআইডি কার্ডে স্বামী ও স্ত্রীর নাম সংশোধন করার উপায় (বিস্তারিত জানুন)

ভোটার হওয়ার পরে যারা বিয়ে করেছেন, তাদের সকলের জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ডে, স্বামী ও স্ত্রীর নাম, কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য অবশ্যই সংযোজন করার দরকার হবে।

যদিও কোন পুরুষ বা মহিলাদের জাতীয় পরিচয় পত্র/ ভোটার আইডি কার্ডে স্বামীর নাম বা স্ত্রীর নাম লেখা থাকে না। তবে ভোটার তথ্যের মধ্যে সকলের স্বামী ও স্ত্রীর নাম সংরক্ষিত হয়।

সেই নাম কিছু কিছু কাজে এতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যা বলার অপেক্ষা করে না। বিশেষ করে যারা সরকারি চাকরি করেন, তাদের সার্ভিস বই এ উল্লেখিত, স্বামী ও স্ত্রীর নাম এবং জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ডে উল্লেখিত স্বামী ও স্ত্রীর নাম সহ মিল না থাকলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

তাই, জাতীয় পরিচয় পত্র এন আইডি কার্ডে স্বামী ও স্ত্রীর নাম সংশোধন সম্পর্কে বিস্তারিত, পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই আপনি যদি এ বিষয়ে সঠিক ধারণা পেতে চান?

আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়ুন।

ভোটার আইডি কার্ডে স্বামী ও স্ত্রীর নাম কেন ভুল হয় ?

বিভিন্ন কারণবশত জাতীয় পরিচয় পত্র/ ভোটার আইডি কার্ডে বিদ্যমান, স্বামী ও স্ত্রীর নাম ভুল হতে পারে। কিন্তু বেশির ভাগ অসাবধানতার কারণে ভুল গুলো বেশি হয়ে থাকে।

নতুন ভোটার হওয়ার সময় দেখা যায় যে, ২নং নিবন্ধন ফরম পূরণ করার সময় স্বামী বা স্ত্রী কিংবা নামের বানানগুলো লেখার সময় সতর্কতার সাথে না লিখে, গতানুগতিক ভাবে লিখে থাকে যার ফলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

তো যারা পুরাতন ভোটার, বিশেষ করে ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল এর মধ্যে ভোটার হয়েছেন। তাদের অনেকের কাবিননামা সনদ নেই। যদি থাকেও অনেকে সেটি হারিয়ে ফেলেছেন।

আগের সময়ে মানুষ জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে খুব বেশি জানতেন না। যার ফলে, ২ নং নিবন্ধন ফরম পূরণের সময় যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করেননি। বিধায় বিভিন্ন ধরনের তথ্য গত ভুল ভোটার আইডি কার্ডে সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া, কম্পিউটার অপারেটর করতে টাইপিং মিসটেক হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। কিন্তু বর্তমান সময়ের নতুন ভোটারদের ডাটা সার্ভারে আপলোড করার আগে ভালো করে প্রমাণ হয়। সুতরাং বলা যায় কম্পিউটার অপারেটর কর্তৃক দ্বারা ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম।

ভোটার আইডি কার্ডে স্বামী ও স্ত্রীর নাম সংশোধনের আবেদন পদ্ধতি

জাতীয় পরিচয় পত্র/ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন মূলত দুটি পদ্ধতিতে করা যায়। প্রচলন ভোটার আইডি কার্ডে স্বামী ও স্ত্রীর নাম সংশোধনের আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

১। প্রথমত আপনারা উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে, ভোটার আইডি কার্ড ২নং সংশোধন ফর্ম সংগ্রহ করে পূরণ করতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের অবশ্যই হিসাব করে, আপনারা মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে পারবেন।

নির্ধারিত সংশোধন ফি জমা দানের রশিদ এবং অন্যান্য কাগজপত্র আবেদনের সাথে সংযুক্ত করে, উপজেলা নির্বাচন অফিসের জমা দিতে হবে।

২। দ্বিতীয় পদ্ধতিতে আপনারা অনলাইন সিস্টেম ব্যবহার করে, ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

তো আপনার ভোটার আইডি কার্ডে স্বামী ও স্ত্রীর নাম সংশোধনের আবেদন করার জন্য, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট services.nidw.gov.bd এখানে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়ে গেলে লগইন করতে হবে। অ্যাকাউন্ট লগইন করার পরে প্রোফাইল অপশনে প্রবেশ করলে, “Other Info” এ নামে একটি অপশন দেখতে পারবেন। সেখানে স্বামী ও স্ত্রীর নাম সহ যাবতীয় তথ্য দেখানো হবে।

সেখান থেকে মূলত স্বামী ও স্ত্রীর নাম এডিট করে সঠিকভাবে লিখে পরবর্তী ধাপে ক্লিক করতে হবে। তারপরে, ভোটার আইডি কার্ডের স্বামীর ও স্ত্রীর নাম সংশোধনের, ফি কত টাকায় সে সম্পর্কে জেনে নিয়ে পরিশোধ করে দিবেন।

সেই সাথে ফি এর রশিদ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে আপলোড করে দেবেন।

আপনার আবেদন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে গেলে, আপনাকে একটি পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করার জন্য বলা হবে। সেটি আপনি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিজের কাছে সংরক্ষিত করবেন।

পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে, ভোটার আইডি কার্ডের স্বামীর ও স্ত্রীর নাম সংশোধন হয়েছে কিনা? জানতে চাইলে অবশ্যই অনলাইন আবেদন কপি টি সাথে নিয়ে যেতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ডে স্বামী ও স্ত্রীর নাম সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

তো বন্ধুরা আপনারা যারা নতুন বিয়ে করেছেন এবং একে অপরের জাতীয় পরিচয় পত্র এন আইডি কার্ডে, স্বামী স্ত্রীর নাম উল্লেখ নেই।

তাদের জন্য নিচে দেওয়া কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে, উপজেলা নির্বাচন অফিসে বা অনলাইনের মাধ্যমে আপলোড করতে হবে।

তাই চলুন আর দেরি না করে জেনে নেয়া যাক। ভোটার আইডি কার্ডে স্বামী ও স্ত্রীর নাম সংশোধনের জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে।

  • কাবিননামা/ বৈবাহিক সনদ পত্র।
  • স্বামী ও স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ডের কপি।
  • সন্তানদের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি।
  • সন্তানদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র।
  • সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র।
  • সার্ভিস বই এর কপি।

আপনারা উপরোক্ত কাগজপত্র সংরক্ষিত করে, ভোটার আইডি কার্ডে স্বামী ও স্ত্রীর নাম সংশোধন করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে, যারা প্রথম স্ত্রী মারা গেছে দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন, সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম ভোটার আইডি কার্ডে যুক্ত করার জন্য যে সকল কাগজপত্র লাগবে। সেগুলো জানতে নিচের তথ্য গুলো দেখুন।

  • স্বামী ও স্ত্রীর মৃত্যু সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় বিবাহের কাবিননামা।
  • দ্বিতীয় স্বামী বা স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ডের কপি।

আপনারা এই সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করে, ভোটার আইডি কার্ডে স্বামী ও স্ত্রীর নাম সংশোধন করে নিতে পারবেন।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা যারা এনআইডি কার্ডে স্বামী ও স্ত্রীর নাম সংশোধন করার উপায় জানতে চেয়েছিলেন। তারা উপরে উল্লেখিত আলোচনা অনুসরণ করে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ফি জমা দিয়ে।

সরাসরি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে ফরম পূরণ করে, আবার নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে, এনআইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

তো বন্ধুরা এনআইডি কার্ডে স্বামী ও স্ত্রীর নাম সংশোধন করার উপায় নিয়ে আপনার যদি আরো কোন কিছু জানার থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

সেই সাথে আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত আরো নতুন নতুন তথ্য জানতে চান? তবে অবশ্যই জিজিট করতে পারেন।

ধন্যবাদ…

আপনার জন্য আরও আর্টিকেল

Leave a Comment