ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হতে কত দিন লাগে ? জেনেনিন এখানে!

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হতে কতদিন লাগে : ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা খুবই সহজ কাজ আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে খুবই কঠিন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন কোথায় করা হয়? ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন কিভাবে করা যায়। এছাড়া ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কতদিন লাগে এ বিষয় নিয়ে অনেকেই জানতে চান?

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হতে কত দিন লাগে ? জেনেনিন এখানে!
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হতে কত দিন লাগে ? জেনেনিন এখানে!

তাই তাদের উদ্দেশ্যে তাদেরকে আর্টিকেলে, বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেয়া হবে, ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হতে কতদিন লাগে।

আপনি যদি সঠিক তথ্য প্রদান করে সংশোধনের আবেদন করেন। তাহলে আপনার সংশোধন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে যাবে।

তাই চলুন, আর সময় নষ্ট না করে, বিস্তারিত আলোচনায় ফিরে দেয়া যায়।

বর্তমান সময়ে যারা ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য গত ভুল সংশোধন করার জন্য আবেদন করেন। তারা সঠিক পরামর্শ না নিয়ে হঠাৎ করে, অল্প কিছু পরিমাণের কাগজপত্র দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করা হলো। সে ক্ষেত্রে, তাদের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র দেয়া হয়।

যার ফলে বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। জাতীয় পরিচয়পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হতে কতদিন লাগে এ বিষয়ে, জানতে চাইলে আপনাকে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন কিভাবে হয় ?

জাতীয় পরিচয় পত্র/ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হয় আবেদনের সাথে কাগজপত্রের উপর নির্ভর করে। ভোটার আইডি কার্ড এ অনেক লোকের অনেক ধরনের তথ্যগত ভুল রয়েছে।

মনে করুন আপনার ভোটার আইডি কার্ডে নিজের নাম ভুল এসেছে। যেমন- মোঃ মানিক এর জায়গায় আব্দুল মানিক হয়েছে। এখন এটি সংশোধন করতে চাইলে অবশ্যই আবেদন করতে হবে।

ভোটার আইডি সংশোধনের সাথে উপযুক্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে। যে আপনার নাম আব্দুল মানিক নয় বরং মোঃ মানিক।

এখন আপনারা ভেবে দেখবেন, কি কি কাগজপত্রে সঠিত ভাবে আপনার নাম সঠিক করে লেখা রয়েছে। সেই সকল কাগজপত্র আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

আপনার কাছে চাইতো নাম বা তথ্যের স্বপক্ষে যত বেশি কাগজপত্র জমা দিতে পারবেন। তত দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হয়ে যাবে।

এক্ষেত্রে আপনি যদি অল্প কাগজপত্র দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করেন। সেক্ষেত্রে, আপনার কাছে একে একে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র চাইবে। যার ফলে আপনার অনেক সময় লেগে যাবে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনের জন্য।

আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ রয়েছে, যারা ভোটার আইডি কার্ডে অনুরূপ ভুল সংশোধনের জন্য, শুধুমাত্র জন্ম নিবন্ধনের প্রদান করে থাকে। যার ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন হয় না।

এক্ষেত্রে হতে পারে সে ব্যক্তি বিবাহিত, তার সন্তান রয়েছে, কোন শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট নাই। কিন্তু স্কুল পরে থেকে ছাড়পত্র রয়েছে।

এই ধরনের ব্যক্তিরা যদি তাদের জন্ম নিবন্ধনের সাথে স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ডের কপি, সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন, স্কুল সার্টিফিকেট, অন্যান্য প্রয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন পত্র আবেদনের সাথে জমা দিতে পারেন। তবে এ সকল কাগজপত্রে উল্লেখিত সঠিক নাম তার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

তাই বলা যায় ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হয়। আবেদনের সাথে দাখিল করা কাগজ পত্রের উপর নির্ভর করে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন কোথায় হয় ?

অনেকেই এখন পর্যন্ত জানে না, ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করলে প্রথমত আবেদন অফিসে চলে যায়। সেখান থেকে আবেদন গুলোর জটিলতার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে রাখা হয় যেমন- ক, খ, গ, ঘ ক্যাটাগরি।

আপনাদের ভোটার আইডি কার্ডে যে তথ্য গুলো ব্যাপক জটিলতায় রয়েছে, সেগুলো মূলত ঢাকার হেড অফিস গুলোতে সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আর সাধারণত, ভোটার আইডি কার্ডে যে ছোট ছোট ভুলগুলো রয়েছে, সেগুলো আপনারা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে, সংশোধন করে নিতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে ?

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কতদিন লাগে, এ বিষয়ে সঠিকভাবে কেউ বলতে পারবে না। কারণ এটি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ব্যস্ততার উপর ভিত্তি করে, আপনার আবেদন করা ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য কবে নাগাদ সংশোধন হতে পারে।

কিন্তু উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে যে সকল আবেদন আসে সেগুলো খুব দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয় বলে জানা যায়।

অন্যদিকে বিভাগীয় পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট জেলা এবং উপজেলা সমূহের সকল জটিল জটিল আবেদন জমা হয় বিধায়, সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয় না। সেক্ষেত্রে একটা সময় বেশি লাগে।

এছাড়া জটিল আবেদনগুলোর সিদ্ধান্ত সঠিক তদন্ত না করে, সংশোধন করা হয় না। আবেদনের সঙ্গে জমা দেওয়া কাগজপত্র এবং সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে, কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার।

অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কতদিন লাগে, সেই বিষয়ে চিন্তা না করে সময় নষ্ট না করাই ভালো। আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ডে কোন তথ্য ভুল থাকে। তবে সেটি সংশোধনের জন্য দ্রুত আবেদন করে ফেলুন।

শেষ কথাঃ

জাতীয় পরিচয় পত্র/ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হতে কত দিন লাগে এ বিষয়ে, সঠিকভাবে কেউ বলতে পারবে না। এক্ষেত্রে আমরা উপরোক্ত আলোচনায় বলেছি।

আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ডে থাকার তথ্য গুলো সংশোধন করতে চান সে ক্ষেত্রে, সে ভুলগুলোর সঠিক প্রমাণ পত্র অর্থাৎ কাগজপত্র প্রদান করতে পারলে, দ্রুত সংশোধন হয়ে যাবে।

তো বন্ধুরা আজকের এই আইডি গেলে আপনারা জেনে নিতে পারলেন, ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হতে কতদিন লাগে।

এছাড়া এই ওয়েবসাইট থেকে আপনি যদি জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত আরো নতুন নতুন গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলো সম্পর্কে জানতে চান অবশ্যই ভিজিট করুন।

ধন্যবাদ।

আপনার জন্য আরও আর্টিকেল

Leave a Comment