ইন্ডাকশন চুলার দাম কত : বর্তমান সময়ে মানুষ গ্যাসের চুলা পরিবর্তে, ইন্ডাকশন চুলার প্রতি বেশি আগ্রহী হয়ে পড়ছে। তার কারণ বর্তমানে গ্যাসের যে, পরিমাণের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, সে তুলনায় বিদ্যুৎ বিলের দাম অনেক কম।
অনেক অল্প খরচেই ইন্ডাকশন চুলা ব্যবহার করে, সকল প্রকার রান্না সম্পন্ন করা যায়। আমরা আজকে এই আর্টিকেলে, ইন্ডাকশন চুলার বিভিন্ন কোম্পানির দাম সম্পর্কে জানাবো।
আমরা পূর্বের একটি আর্টিকেলে, ইলেকট্রিক চুলার দাম সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি। আপনারা চাইলে সেই আর্টিকেলটি পরে ইন্ডাকশন চুলা এবং ইনফারেট চুলার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
একটি ইন্ডাকশন চুলা কোম্পানির ব্র্যান্ড, পাওয়ার ওয়েটেজ ও চুলার মানের উপর ভিত্তি করে, শ্রেণীবদ্ধ করা যায়। আপনারা একটি ইন্ডাকশন ইলেকট্রিক চুলাতে, যাবতীয় রান্নাবান্না করতে পারবেন।
ইন্ডাকশন চুলা গুলো বর্তমানে ব্যাচেলরদের জন্য অনেক সুবিধা প্রদান করে থাকে। এই চুলা গুলো যেখানে সেখানে, রেখে দিয়ে রান্না করা যায় আপনারা চাইলে, নিজের বিছানাতেও রেখে রান্না করতে পারবেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির ইন্ডাকশন চুলা বাজারে চলে এসেছে। যা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারিত হয়।
তাই আপনারা যারা ইলেকট্রিক ইন্ডাকশন চুলা কিনতে চান? চুলা ক্রয় করার আগে, দাম এবং স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে জানতে হবে। ইন্ডাকশন চুলা গুলো বাংলাদেশ এর তরুণ প্রজন্মের কাছে চাহিদা পূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এই চুলা গুলোতে, ছোট বড় সকলেই রান্না করতে পারবে। যেখানে আগুন লাগার কোন ভয় নেই।
ইলেকট্রিক ইন্ডাকশন চুলার দাম কত ?
বাংলাদেশ জনপ্রিয় ইন্ডাকশন চুলা গুলো বিভিন্ন ব্র্যান্ড, কোম্পানি হতে আপনারা বিভিন্ন দামে কিনতে পারবেন। তবে সর্বনিম্ন ইন্ডাকশন চুলা গুলো কিনতে চাইলে, আপনার দাম পড়বে সর্বনিম্ন ২,৫০০/- টাকা থেকে শুরু করে, ৯,০০০/- টাকা পর্যন্ত।
আপনারা ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহার করতে চাইলে, ইন্ডাকশন চুলা গুলো ভাল কোম্পানি থেকে কেনার চেষ্টা করবেন।
যার ফলে, বিদ্যুৎ খরচ অনেক পরিমাণে কম হবে। একটি ইন্ডাকশন চুলা ব্যবহার করে, আপনারা নিরাপত্তার সাথে সকল প্রকার রান্নাবান্না করতে পারবেন।
তাই আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য আজকের এই আর্টিকেলে বিভিন্ন কোম্পানির ইন্ডাকশন কুকার দাম কত ? সে বিষয়ে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ বিষয়ে জানতে নিজেও তথ্য গুলো অনুসরণ করুন।
- ইঞ্জিনিয়ারিং কি ? ইঞ্জিনিয়ারিং কত প্রকার ? ইঞ্জিনিয়ার এর কাজ কি ?
- ভার্চুয়াল অফিস কি ? ভার্চুয়াল অফিসের সুবিধা ও অসুবিধা
- VIVO কোন দেশের কোম্পানি ? ভিভো কোম্পানি’র মালিক ও প্রতিষ্ঠাতা
ওয়ালটন ইন্ডাকশন চুলার দাম ও মডেল
- ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ইন্ডাকশন চুলায় রান্নার জন্য স্পিড পাবেন, 1800W থেকে 2000W পর্যন্ত।
- ১২০ ওয়ার্ড থেকে দুই হাজার ওয়াট পর্যন্ত সামঞ্জস্যযোগ্য ওয়াটেজ পাবেন।
- ইন্ডাকশন চুলাতে টাচ স্কিন কন্ট্রোল প্যানেল পাবেন।
- ইন্ডাকশন চুলাতে, একাধিক তাপমাত্রা সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন।
- নিরাপত্তার সাথে রান্নার শেষ করতে পারবেন। রান্না করার সময় গরম পানি জাতীয় কিছু করলেও কোনো সমস্যা হবে না।
- ওয়ালটন ইনডাকশন চুলার দাম ৩,০০০/- টাকা।
এলজি ইন্ডাকশন চুলার দাম ও মডেল
- ইলেকট্রিক ইন্ডাকশন চুলার মডেল- LIG-268
- চুলাতে দ্রুত রান্না করার জন্য আপনারা সর্বোচ্চ 2200W পাবেন।
- চুলা তে সামঞ্জস্যের জন্য চার শক্তি তাপমাত্রা স্তর পাবেন।
- উচ্চ এবং নিম্ন গরম বা ভোল্টেজ সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।
- একাধিক ফাংশন ও সময় সেটিং করে রান্না করতে পারবেন।
- এই চুলা ব্যবহার করলে কত টাকা বিদ্যুৎ খরচ হবে সেটিও জানতে পারবেন।
- এলজি ইন্ডাকশন চুলার দাম ৩,৩০০/- টাকা।
মিয়াকো ইন্ডাকশন চুলার দাম ও মডেল
- চুলাতে দ্রুত রান্না করার জন্য আপনারা সর্বোচ্চ 2200W পাবেন।
- রান্না করার সময় চারটি ম্যানু লেভেল পাবেন।
- ৮০০ ডিগ্রি উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করতে পারবেন।
- এবং ধোয়া হীন রান্না করতে পারবেন।
- ৯০% সাশ্রয়ে রান্না করতে পারবেন।
- সহজে পরিষ্কার করতে পারবেন।
- মিয়াকো ইন্ডাকশন চুলার দাম ৩,৮০০/- টাকা।
কিয়াম ইন্ডাকশন চুলার দাম
- চুলতে রান্না করার সময় চার ডিজিট সেটিং অপশন পাবেন।
- ইন্ডাকশন চুলার প্যানেল ইন্টিগ্রাল টফেনড গ্লাস দিয়ে তৈরি।
- দুই হাজার ওয়াট পর্যন্ত তাপমাত্রায় রান্না করতে পারবেন।
- বিদ্যুৎ খরচের পরিমাণ অনেক কম।
- স্পর্শ সেন্সর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
- আগুন ধরার কোন সম্ভাবনা নেই।
- ইন্ডাকশন চুলার দাম ৩,৬৯০/- টাকা।
উপরোক্ত আলোচনায় আপনারা ইলেকট্রিক ইন্ডাকশন চুলার বিভিন্ন কোম্পানির দাম সম্পর্কে জানতে পারলেন। এখান থেকে আপনার যে, কোম্পানিটি ভালো লাগে সেই কোম্পানির শোরুমে গিয়ে, আপনার পছন্দমত একটি ইন্ডাকশন চুলা ক্রয় করতে পারেন।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহার করতে চাচ্ছেন? তারা উপরে উল্লেখিত বিভিন্ন কোম্পানি হতে, ইন্ডাকশন চুলা ক্রয় করতে পারেন।
আপনারা যে, কোন ইন্ডাকশন চুলা ব্যবহার করার সময় কোন প্রকার বিদ্যুৎ শকট, আগুন লাগার ভয় দূরে রেখে রান্না বান্না সম্পন্ন করতে পারবেন।
তাই আপনি যদি গ্যাসের চুলার বিপরীতে ইলেকট্রিক চলা ব্যবহার করতে চান? তাহলে ইন্ডাকশন চুলা কিনে নিয়ে আসুন।
আর এই চলা সম্পর্কে আপনার যদি আরো কোন প্রশ্ন থাকে, তবে অবশ্যই জানাবেন। ধন্যবাদ…