VIVO কোন দেশের কোম্পানি ? VIVO কোম্পানীর মালিক কে?

VIVO কোন দেশের কোম্পানি – বর্তমানে প্রতিটি মানুষের কাছে স্মার্টফোন রয়েছে। এখন সকলেই কোন না কোন, ব্র্যান্ডের মোবাইল ব্যবহার করছেন।

বিশেষ করে, আমরা বর্তমান সময়ে, বেশ কয়েকটি চীনা স্মার্টফোন ব্র্যান্ডকে কম দামে ভালো স্পেসিফিকেশন যুক্ত স্মার্টফোন সরবরাহ করে, এশিয়ার বাইরে একটি বড় মার্কেট তৈরি করে ফেলতে দেখেছি।

VIVO কোন দেশের কোম্পানি ? VIVO কোম্পানীর মালিক কে?
VIVO কোন দেশের কোম্পানি ? VIVO কোম্পানীর মালিক কে?

সেই লক্ষ্যে ভিভো কোম্পানির স্মার্ট ফোন গুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। অল্প করেছে দিনের মধ্যে, আমরা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে, স্যামসাং গ্যালাক্সি ও আইফোনের পাশাপাশি ভিভো স্মার্ট ফোন গুলো দেখতে পাচ্ছি।

তো আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে, শুধুমাত্র vivo কোম্পানির সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। বিশেষ করে, আপনারা এই আর্টিকেলে জানতে পারবেন, ভিভো কোন দেশের কোম্পানি এবং ভিভো কোম্পানির মালিক কে।

যদি এই বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা জানতে চান? অবশ্যই আমাদের আর্টিকেল পোস্ট শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়ুন।

ভিভো কোম্পানির মালিক কে ?

বর্তমানে ভিভো কোম্পানির মালিক ও সিইও হচ্ছেন- “Shen Wei” – (শেন ওয়েই)। তিনি একজন চীনা নাগরিক। “Shen Wei” দ্বারা ২০০৯ সালে চীন দেশে ভিভো কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।

ভিভো কোম্পানির সদর দপ্তর হচ্ছে-  ডংগুয়ান, গুয়াংডং চীন দেশে অবস্থিত। ভিভো আজ সারা বিশ্ব এর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ স্মার্ট ফোন সংস্থার মধ্যে একটি মনে করছে।

ভিভো কোম্পানির মূল সংস্থা হচ্ছে বিবিকে ইলেকট্রনিক্স। এটি মোবাইল ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী তৈরি করেন।

বিভাগ কোম্পানির সকল স্মার্ট ফোন বিবিকে ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি দ্বারা তৈরি করা হয়। বিবিকে ইলেকট্রনিক্স কোম্পানির মালিক হচ্ছেন- ডুয়ান ইয়ংপিং।

এটি স্মার্টফোন তৈরি করার পাশাপাশি, বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার এবং বৈদ্যুতিক সামগ্রীয় তৈরি করেন। তাই ভিভো কোম্পানিকে আজ বিশ্বের সেরা স্মার্টফোন গুলোর মধ্যে একটি মনে করা হয়।

ভিভো কোম্পানি বিশ্বের সব দেশেই নিজেদের স্মার্ট ফোনের মার্কেটিং কাজ করার জন্য সিইও নিয়োগ করেছেন। সেরকম ভাবে ভারতবর্ষে ভিভো কোম্পানির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন- জেরোম চেন।

VIVO কোন দেশের কোম্পানি ?

Vivo একটি চাইনিজ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড। vivo কোম্পানির মূল কার্যালয় হচ্ছে- ডংগুয়ান। যা চীন দেশে অবস্থিত।

২০০৯ সালের দিকে ভিভো কোম্পানি স্মার্ট ফোন উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেন। স্মার্টফোন তৈরি করার আগে ভিভো কোম্পানি শুধুমাত্র সফটওয়্যার পরিষেবা নিয়ে কাজ করতো।

তারপর ২০১২ সালে ভারতে এসে ভিভো কোম্পানি ব্যবসা শুরু করেন। তারা তখন ভিভো কোম্পানির ভিভো এক্স ওয়ান নামে স্মার্ট ফোন লঞ্চ করেছিল।

এরপরে ভিভো কোম্পানির 2014 সালে এশিয়ার দেশ গুলোতে ব্যবসার চালিয়ে যান। তারপর থেকে ভিভো কোম্পানিকে পিছনের দিকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি।

আর এখন বর্তমানে ভিভো কোম্পানিটি বিশ্বের নামকরা মোবাইল কোম্পানির মধ্যে অন্যতম ভূমিকা পালন করছে। কোর এশিয়াতে মোবাইলের জগতে vivo অনেক পরিচিত নাম।

2018 সাল থেকে vivo স্মার্টফোন এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যা লক্ষ লক্ষ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তো ২০০৯ সালে ভিভো কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে, ভিভো বিশ্বের ১০০ টি দেশেরও বেশিও দেশে তাদের ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।

VIVO মোবাইলের ইতিহাস

ভিভো কোম্পানির বক্তব্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ভিভো ও Zeiss যৌথভাবে ইমেজিং প্রযুক্তিতে যুগান্তরকারী উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা চালান। এই প্রচেষ্টার বিকাশের জন্য একটি দীর্ঘ মেয়াদী অংশীদারিত্ব ঘোষণা করা হয়।

Vivo x60 সিরিজে প্রথম ভিভো Zeis কো ইঞ্জিনিয়ারড ইমাজিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। সহযোগী চুক্তির অংশ হিসেবে ভিভো ও Zeiss একটি ইমেজিং ল্যাব প্রতিষ্ঠা করবেন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

Vivo কোম্পানির স্মার্টফোন কাজে লাগানো যাবে এমন মোবাইল ইমেজিং প্রযুক্তি উদ্ভাবন এর জন্য একটি যৌথ আর এন্ড ডি প্রোগ্রাম তৈরি করেন দুই কোম্পানি মিলে।

২০১৫ সালের শুরুতে দুই বছরের চুক্তিতে vivo 2016 সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের টাইটেল স্পন্সর হয়ে ওঠেন। ২০১৭ সালে এই চুক্তি বাড়িয়ে ২০২২ সাল পর্যন্ত করা হয়েছিল।

2017 সালে, 2018 সালে এবং ২০২২ সালে ফিফা বিশ্বকাপের অফিসিয়াল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হওয়ার জন্য ফিফার সঙ্গে একটি স্পন্সরশিপ চুক্তিতে আবদ্ধ হন।

কোম্পানিটি ইউইএফএ ইউরো ২০২০ ও ইউইএফএ ইউরো ২০২৪ এর অফিসিয়াল পার্টনার হিসেবে, ইউইএফএ এর সঙ্গে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

ভিভো কোম্পানির জনপ্রিয় কিছু প্রোডাক্ট তালিকা

বর্তমানে কিছু জনপ্রিয় ভিভো কোম্পানির স্মার্টফোনের মডেল আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো। যেমন-

  • VIVO X80 Pro
  • VIVO X70 Pro+
  • VIVO T1 5G
  • VIVO X60 Pro+
  • VIVO V23 Pro

বর্তমানে মার্কেটে এই ভিভো কোম্পানির মডেল গুলো অনেক চাহিদা সম্পন্ন। আপনারা অল্প টাকায় ভালো স্পেসিফিকেশনের স্মার্টফোনগুলো পেয়ে যাবেন।

শেষ কথাঃ

কোম্পানির স্মার্টফোন ব্যবহার করতে চান? তাহলে অল্প দামে ভালো স্পেসিফিকেশন এর স্মার্টফোনগুলো পেয়ে যাবেন। আর আপনাদের সুবিধার জন্য জানিয়ে দিলাম vivo কোন দেশের কোম্পানি এবং ভিভো কোম্পানির মালিক কে।

আপনি যদি ভিভো কোম্পানির সম্পর্কে আরো কোন কিছু জানতে চান? তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন ধন্যবাদ।

আপনার জন্য আরও আর্টিকেল

Leave a Comment