নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা : নতুন ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া। সারা বছর ধরেই একই কার্যক্রম চালু থাকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য।
শুধুমাত্র বিভিন্ন নির্বাচন চলাকালীন সময় ব্যতীয় আর বাকি যে কোন সময় উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে ২নং ভোটার নিবন্ধন ফরম সংগ্রহ করে কিংবা অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করা যায়।

নতুন ভোটার হতে চাইলে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র এর সাথে সাথে অনেক সময় অঙ্গীকারনামা প্রদান করার দরকার হয়। নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গকিারনামা তৈরি করা অনেক সহজ ব্যাপার।
কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেক নতুন ভোটার আছে। যারা ভোটার আবেদন করার জন্য অঙ্গীকারনামা লিখতে পারে। যার ফলে নতুন ভোটার আবেদনের ক্ষেত্রে ভোগান্তির শিকার হয়।
নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা সবার জন্য প্রয়োজন না পরলেও, ভোটার হওয়ার সময় সকলের অঙ্গকিারনামা প্রদান করা দরকার।
বর্তমান সময়ে যাদের জন্ম তারিখ 01-01-2004 সালে বা তার আগে জন্ম গ্রহণ করেছে। তাদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত করা হচ্ছে।
তাই একজন আবেদনকারীর জন্ম তারিখ যদি 01-12-2003 সাথে হয়ে থাকে, তার অঙ্গীকার নামা নাও চাওয়া হতে পারে। তার কারণ 2-4 বছর আগে তার ভোটার হওয়ার কোন সুযোগ ছিল না।
আরো দেখুনঃ নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম (অনলাইন এবং অফলাইন)
তবে যে ব্যক্তি অভারএজ কিংবা জন্ম তারিখ 2000 সালের আগে হয়। সেক্ষেত্রে ভোটার হওয়ার জন্য অঙ্গীকার নামা বাধ্যতামূলক ভাবে জমা দিতে হবে।
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অঙ্গীকারনামা চাওয়ার কারণ হলো- সেই ব্যক্তি একাধিক বার ভোটার হযেছে কিনা সেটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য।
বর্তমানে বাংলাদেশে দ্বৈত ভোটার মানে একাধিকবার ভোটার হওয়ার প্রবণতা অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই প্রতিটি ভোটার এর কাছে অঙ্গকিারনামা চাওয়া হচ্চে।
যদি একাধিকবার ভোটার হওয়ার পরিনাম অনেক ভয়াবহ। কিন্তু অনেকে তথ্য গোপন রেখে দ্বৈত ভোটার হয়ে যায়।
নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা লেখার নমুনা
আপনি যদি নতুন ভোটার হতে চান? মানে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে চান? তবে অবশ্যই নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অঙ্গীকার নামা লিখতে হবে।
তাই আমি আপনাদের সুবিধার জন্য এখানে, নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা লেখার নমুনা প্রস্তুত করেছি।
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অঙ্গীকারনামা
এই মর্মে অঙ্গীকার করিতেছি যে, আমি মোঃ মোছাঃ এখানে আবেদনকারীর নাম লিখুন, পিতাঃ মোঃ/ মৃত. পিতার নাম লিখুন, মাতাঃ মোছাঃ/ মতৃ. এখানে মাতার নাম লিখুন, গ্রামঃ এখানে আবেদনকারীর গ্রামের নাম লিখুন, পোস্ট অফিসঃ এখানে আবেদনকারীর পোস্ট অফিস ঠিকানা লিখুন, উপজেলাঃ উপজেলার নাম লিখুন, জেলাঃ জেলার নাম লিখুন। আমি উক্ত এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা। লেখা পড়া / চাকরিরত কারণে বাড়ির বাহিরে অবস্থান করায়, আমি সঠিক সময়ে ভোটার হতে পারি নাই। সেই প্রেক্ষিত্রে নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য আপনার নিকট একখানা আবেদন করিলাম। আমি আরো অঙ্গীকার করতেছি যে, আমি পূর্বে বাংলাদেশের কোন জায়গায় ভোটার হয়নি। এই প্রথমবার ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছি। যেহেতু একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দন্ডনীয় অপরাত। সেহেতু আমি দ্বৈত ভোটার হলে বাংলাদেশে নির্বাচন আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। আমি তা মেনে নিতে সর্বদা বাধ্য থাকিব। এমতাবস্থায় আমাকে নতুন ভোটার করার জন্য আপনাকে সবিনয় অনুরোধ করছি।
আবেদনকারীরর স্বাক্ষর
আবেদনকারীর নামঃ
পিতার নামঃ
ঠিকানাঃ
মোবাইল নম্বরঃ
আপনারা নতুন ভোটার হওয়ার সময় প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজ গুলোর সঙ্গে উক্ত নিয়ম অনুযায়ী অঙ্গীকারনামা তৈরি করে, ভোটার আবেদন এর সাথে জমা দিবেন।
যদি অঙ্গীকার নামা জমা না দেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে হয়তো আবার আবেদন নিয়ে ফিরে আসতে হতে পারে। তাই অঙ্গীকানামা তৈরি করে সঙ্গে নিয়ে যাবেন।
আর আমরা উক্ত আলোচনায় অঙ্গীনার নামা লেখার নমুনা সহ নিচের অংশে নতুন ভোটাদের জন্য অঙ্গীকারনামা PDF ডাউনলোড করার লিংক যুক্ত করে দিয়েছি।
আপনারা অঙ্গীকারনামা’র পিডিএফ কপি ডাউনলোড করে, প্রিন্ট করে নিবেন। তারপরে, আপনার ব্যক্তিগত সকল তথ্য সঠিক ভাবে পূরণ করে, নতুন ভোটার আবেদন এর সঙ্গে সংযুক্ত করে নির্বাচন অফিসে জমা দিবেন।
ডাউনলোড করুন- ভোটার অঙ্গীকারনামা pdf
শেষ কথাঃ
আপনি যদি নতুন ভোটার হতে আগ্রহী হোন। তবে ভোটার আবেদন করার পরে আরো সকল কাগজ পত্র এর সঙ্গে ভোটার অঙ্গীকানামা সংগ্রহ করে জমা দিবেন।
আমি আপনাদের সুবিধার জন্য এখানে ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা পিডিএফ ফাইল লিংক দিয়েছি। যা একটি ক্লিক করে ডাউনলোড করতে পারবেন।
তারপরে সেটি সঠিক ভাবে পুরণ করে জমা দিবেন। ধন্যবাদ।