ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম [অনলাইনে সম্পূর্ণ নতুন নিয়মে]

ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া নাগরিক জীবন বর্তমানে কল্পনাই করা যায়না। ঘরে-বাইরে সকল কাজে বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র এর ব্যবহার বাধ্যতামূলক ঘোষনা করেছে। তাই নির্ভুল ভোটার আইডি কার্ড আমাদের অধিকার রক্ষার জন্য সবচেয়ে জরুরি। ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন এখন অনেক বেশি সক্রিয়।

অতি সহজেই কিছু সহজ পদ্ধতি মেনে চললে এখন ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করা যায়৷ 

আজকের এই লেখাটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন, অনলাইনে ভোটার আইডিকার্ড এর তথ্য সংশোধনের গাইড, ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংগ্রহ করতে কত টাকা লাগে ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব৷ তো, চলুন শুরু করা যাক!

জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড ও সংশোধন এর নিয়ম
জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড ও সংশোধন এর নিয়ম

Table of Contents

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন

দেশের একজন নাগরিকের কাছে ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। ভোটার আইডি কার্ড ভোটাধিকার প্রয়োগসহ আরো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। বেশিরভাগ সময় এটিকে বহন করতে হওয়ায় অনেকসময় এই ভোটার আইডিকার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অথবা স্মার্ট কার্ড হারিয়ে যেতে পারে।

অনেক সময় এর তথ্যে ভুল থাকতে পারে। এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট হওয়ায় সামান্য তথ্যগত ভুলও অনেক বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তবে চিন্তার কিছু নেই। বর্তমানে আপনি ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডিকার্ড এর নাম, ছবি ইত্যাদি সংশোধনের আবেদন করতে পারেন।

Read More:

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন এর নিয়ম স্টেপ বাই স্টেপ:

১. জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডে থাকা ভুল তথ্য সংশোধন করতে প্রথমে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করতে এই লিংকে যান– জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিষ্ট্রেশন>>

নিচের ছবির মতো একটি পেজ আসবে>>

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন

অতপর জাতীয় পরিচয় পত্র >> জন্ম তারিখ >> এবং ক্যাপচা টি পূরণ করে সাবমিট বাটুনে ক্লিক করুন। নিচের ছবির মতো একটি পেজ আসবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন

এখানে ড্রাপডাউব মেনু থেকে আপনার স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা নির্বাচন করুন এবং পরবর্তী বাটুনে ক্লিক করুন। অতপর নিচের মতো একটি পেজ আসবে >>

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন

এখানে আপনার সঠিক মোবাইল নম্বর দিয়ে বার্তা পাঠান বাটুনে ক্লিক করতে হবে >>

অতঃপর আপনার মোবাইলে একটি কনফার্মেশন কোড চলে আসবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন

অতঃপর যাচাইকরণ কোড টি এখানে দিয়ে বহাল বাটনে ক্লিক করুন>> অতঃপর নিচের ছবির মত একটি পৃষ্ঠা প্রদর্শিত হবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার নিয়ম
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার নিয়ম

এবার আপনাকে একটি ভিন্ন কাজ করতে হবে। আপনার স্মার্টফোনটি হাতে নিন এবং এনআইডি ওয়ালেট এপ্লিকেশনটি ইন্সটল করে ফেলুন। অতঃপর এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপসটি অন করুন। অতঃপর আপনার NID Wallet দিয়ে এই বারকোড টাকে স্ক্যান করে ফেলুন। স্ক্যান করার পর নিচের মত চিত্র প্রদর্শিত হবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার নিয়ম
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার নিয়ম

অতঃপর নিচের স্কিন এর ছবির মত দেখতে স্কিন প্রদর্শিত হলে আপনার চেহারা সামনে থেকে, ডান থেকে, এবং বাম থেকে, 3 এঙ্গেল এ স্ক্যান করে ফেলুন।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার নিয়ম
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার নিয়ম

তারপর আপনার ছবি সহ জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য প্রদর্শিত হবে। পৃষ্ঠাটি নিচের ছবির মত দেখাবে>>

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার নিয়ম
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার নিয়ম

আপনি চাইলে সেখান থেকে একটি পাসওয়ার্ড সেট করে নিতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে আর স্ক্যান করার প্রয়োজন হবে না। আর যদি পাসওয়ার্ড সেট করতে না চান তাহলে এড়িয়ে যান বাটনে ক্লিক করে অগ্রসর হন।

পৃষ্ঠাটি নিচের ছবির মত দেখাবে>>

পৃষ্ঠাটি নিচের ছবির মত দেখাবে>>
পৃষ্ঠাটি নিচের ছবির মত দেখাবে>>

এ পর্যায়ে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের একাউন্টে সম্পূর্ণভাবে এক্সেস পেয়ে গিয়েছেন। এখন এখান থেকে যেকোনো তথ্য পরিবর্তন, সংশোধন, পুনরায় প্রিন্ট, এবং আপনার এনআইডি টি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

এনআইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য প্রথমে আপনাকে প্রোফাইল বাটনে ক্লিক করতে হবে। এ পর্যায়ে আপনার পৃষ্ঠাটি নিচের পৃষ্ঠার মত চলে আসবে>>

NID Card correction
NID Card correction

অতঃপর এখান থেকে উপরের ডান দিকে থাকা এডিট বাটনে ক্লিক করতে হবে >> তারপর আপনার সকল তথ্য এডিট করতে পারবেন। পৃষ্ঠাটি দেখতে নিচের ছবির মতো আসবে।

এন আইডি কার্ড সংশোধন এর নিয়ম
এন আইডি কার্ড সংশোধন এর নিয়ম

অতঃপর আপনাকে পাঁচটি ধাপে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।

১। প্রথম ধাপে আপনার যে সমস্ত বিষয়গুলি পরিবর্তন করতে হবে সেটি এডিট করুন এবং ভালোভাবে চেক করুন।

২। দ্বিতীয় ধাপে আপনি যে সমস্ত বিষয়গুলি পরিবর্তন করেছেন তার পূর্বের এবং বর্তমান রূপ দেখতে পাবেন।

৩। তৃতীয় ধাপে আপনাকে পেমেন্ট পরিশোধ করতে হবে।

৪। চতুর্থ ধাপে প্রয়োজনীয় কাজপত্রাদী আপলোড করতে হবে।

৫। পঞ্চম ধাপে আপনাকে ফাইনাল সাবমিশন দিতে হবে।

এবার আপনার কাজ শেষ। এখন আপনার আবেদনটি নির্বাচন কমিশন থেকে পর্যালোচনা করে এপ্রুভ করে দেবে। এবং আপনার তথ্যগুলি সংশোধন হয়ে যাবে। এবং আপনি তাৎখনাত একটি সংশোধিত কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

আরও বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন।

Read More:

ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করতে কি কি লাগে

ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন প্রক্রিয়া বর্তমানে অনেক সহজ একটি প্রক্রিয়া। ভোটার আইডি কার্ডের বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত আমরা লেখাটির এই অংশে আলোচনা করব-

ভোটার আইডিকার্ড এর নাম (বাংলা ও ইংরেজি) এবং জন্মতারিখ সংশোধন করতে কি কি লাগে?

ভোটার আইডি কার্ডের এই ধরনের সংশোধনের জন নিচে বর্ণিত কাগজপত্র/তথ্যাদি জমা দিতে হবে-

  •  শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি/সমমান হলে এসএসসি/সমমান সনদপত্র;
  •  শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি/সমমান না হলে সেক্ষেত্রে তিনি যদি সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত কিংবা সংবিধিবদ্ধ কোনো সংস্থায় চাকরিরত হোন, তবে চাকরি বই/মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও);
  • অন্যান্য ক্ষেত্রে, জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন সনদ/ড্রাইভিং লাইসেনস/ট্রেড লাইসেনস/কাবিননামার সত্যায়িত অনুলিপি;
  • নামের পুরো অংশ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, আপনার নাম পরিবর্তনের যথার্থতা সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য দলিলাদি,  যেমনঃ এসএসসি সনদ/পাসপোর্ট/চাকরি বই/মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও)/ড্রাইভিং লাইসেনস, যার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য ইত্যাদি৷ এছাড়াও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কপি;
  • ধর্ম পরিবর্তনের কারণে নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হবে। এগুলোর মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কপি এবং আবেদনের যথার্থতা সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য দলিলাদি, যেমনঃ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেনস/জন্মনিবন্ধন সনদ, ইত্যাদি যাহার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য। 

বিবাহ বা বিবাহবিচ্ছেদ বা অন্য কোনো কারণে কোনো নারী তার নামের সঙ্গে স্বামীর নামের অংশ (টাইটেল) সংযোজন বা বিয়োজন বা সংশোধন করতে চাইলে কি কি কাগজপত্র দরকার হবে?

এ ধরনের সংশোধনের ক্ষেত্রে তাকে কাবিননামা/তালাকনামা/মৃত্যু সনদ/ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা/বিবাহবিচ্ছেদ ডিক্রির সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রয়োজনে, সরেজমিন তদন্ত করবেন। সত্যতা পেলে এরপরেই সেটি সংশোধন করা যাবে৷ 

পিতা/মাতার নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে কি কি দলিল উপস্থাপন করতে হবে

ভোটার আইডি কার্ড যার নামে আছে তার  এসএসসি, এইচএসসি বা সমমান সনদপত্র (যদি তা বাবা/মায়ের নাম উল্লিখিত থাকে) এবং জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর পিতা, মাতা, ভাই ও বোনের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রয়োজনে, সরেজমিন তদন্ত করতে পারবেন।

বাবা/মায়ের নামের আগে ‘মৃত’ অভিব্যক্তিটি সংযোজন বা বিয়োজন করতে চাইলে কি ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন

বাবা বা মায়ের নামের আগে মৃত শব্দটি বসাতে চাইলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, পিতা/মাতার মৃত্যু সনদের সত্যায়িত অনুলিপি বা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি ও জীবিত থাকবার সমর্থনে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান/পৌর মেয়র/কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।

ঠিকানা (বাসা/হোল্ডিং/গ্রাম/রাস্তা/ডাকঘর) সংশোধনের ক্ষেত্রে কি ধরনের দলিল প্রয়োজন

এ ধরনের তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে সঠিক ঠিকানার স্বপক্ষে বাড়ির দলিল/টেলিফোন, গ্যাস বা পানির বিল/বাড়িভাড়ার চুক্তিপত্র/বাড়িভাড়া রশিদের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হবে।

রক্তের গ্রুপ সংযোজন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে কি কি তথ্যের প্রয়োজন?

রক্তের গ্রুপ সংযোজন এর ক্ষেত্রে এটার স্বপক্ষে চিকিৎসকের সনদপত্র জমা দিতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা সংশোধনের জন্য কি ধরনের দলিলাদি প্রয়োজন?

ভোটার আইডি কার্ডের মালিকের সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হবে।

টিআইএন/ড্রাইভিং লাইসেনস নম্বর/পাসপোর্ট নম্বর সংশোধনের ক্ষেত্রে কি ধরনের দলিলাদির প্রয়োজন?

এ ধরনের তথ্যগুলো সংশোধনের প্রয়োজনে, টিআইএন সনদ/ড্রাইভিং লাইসেনস/পাসপোর্টের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হবে।

তাছাড়া অন্য যেকোনো সংশোধনের ক্ষেত্রে, এ-রকম সংশোধনের স্বপক্ষে উপযুক্ত সনদ, দলিল ইত্যাদির সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হবে।

আবেদনপত্রের সঙ্গে দাখিল করা অনুলিপিগুলো কারা সত্যায়িত করবেন?

 নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিরা সত্যায়িত করতে পারবেন: সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রমুখ। তবে এটি মনে রাখতে হবে যে ,  অসম্পূর্ণ বা ত্রুটিপূর্ণ আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন ধরনের ফি প্রয়োজন হয়। লেখার এই অংশটিতে আমরা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন শুরু করা যাক!

জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম/ পিতা/ মাতা/ স্ত্রীর নামের বানান সংশোধন (বাংলা ও ইংরেজি)

আমাদের মাঝে অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম/ পিতা/ মাতা/ স্ত্রীর নাম ভুল আসেএক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবেআবেদনের জন্য নিম্নোক্ত কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে

. অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ;

. পি.এস.সি/ জে.এস.সি/ এস.এস.সি অথবা সমমান পরীক্ষার সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);

. পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্স / নিকাহ্ নামা / এমপিওসিট / সার্ভিস বহি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);

. চাকুরীজীবিদের ক্ষেত্রে অফিস প্রধানের প্রত্যয়ন। 

সেবামূল্য এবং পরিশোধ পদ্ধতি (যদি থাকে)

জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম/ পিতা/ মাতা/ স্ত্রীর নামের বানান সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রথমবার আবেদন ফি হিসেবে ২০০ টাকা প্রদান করতে হবে এবং ভ্যাট হিসেবে ৩০ টাকা প্রদান করতে হবেদ্বিতীয় বার সংশোধনের ক্ষেত্রে আবেদন ফি হিসেবে ৩০০ টাকা এবং ভ্যাট হিসেবে ৪৫ টাকা প্রদান করতে দ্বিতীয় বার পরবর্তী যেকোনো সময়ে একই সমস্যা সংশোধনের জন্য আবেদন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা এবং ৭৫ টাকা ভ্যাট প্রদান করতে হবে

পরিশোধ পদ্ধতিঃ

সরাসরি রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।

অথবা

ট্রেজারি চালান/ অনলাইন পদ্ধতি ;

ফি কোডঃ ০৬০১০০০১১৮৪৭

ভ্যাট কোডঃ ১১৩৩০০৪৫০৩১১

জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজ নাম/ পিতা/ মাতা/ স্ত্রীর নাম পরিবর্তন (বাংলা ও ইংরেজি

জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজ নাম/ পিতা/মাতা/ স্ত্রীর নাম পরিবর্তনের জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদ করতে হবে এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে

.অনলাইন নিবন্ধন সনদ;

. পি.এস.সি/ জে.এস.সি/ এস.এস.সি বা সমমান পরীক্ষার সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);

. জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কতৃক এফিডেফিট;

. পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ নিকাহ্ নামা/ এমপিও সিট/ সার্ভিস বহি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);

. পিতার সকল সন্তানদের জন্মের ক্রম অনুযায়ী নাম জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখ পূর্বক ওয়ারিশান সনদ/ প্রতয়ন পত্র;

. জাতী পরিচয় পত্রে নিজ নাম/পিতা/মাতা/ স্তীর নাম পরিবর্তনের কারন সম্পর্কে আবেদনকারীর লিখিত বক্তব্য;

. চাকুরীজীবিদের ক্ষেত্রে অফিস প্রধানের প্রত্যয়ন;

. উপজেলা নির্বাচন অফিসার কতৃক চাহিত অন্যান্য দলিলপত্র

সেবামূল্য এবং পরিশোধ পদ্ধতি (যদি থাকে)

জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম/ পিতা/ মাতা/ স্ত্রীর নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রথমবার আবেদন ফি হিসেবে ২০০ টাকা প্রদান করতে হবে এবং ভ্যাট হিসেবে ৩০ টাকা প্রদান করতে হবেদ্বিতীয় বার সংশোধনের ক্ষেত্রে আবেদন ফি হিসেবে ৩০০ টাকা এবং ভ্যাট হিসেবে ৪৫ টাকা প্রদান করতে দ্বিতীয় বার পরবর্তী যেকোনো সময়ে একই সমস্যা সংশোধনের জন্য আবেদন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা এবং ৭৫ টাকা ভ্যাট প্রদান করতে হবে

পরিশোধ পদ্ধতিঃ 

সরাসরি রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।

অথবা

ট্রেজারি চালান/ অনলাইন পদ্ধতি;

ফি কোডঃ ০৬০১০০০১১৮৪৭

ভ্যাট কোডঃ ১১৩৩০০৪৫০৩১১

 জন্ম তারিখ সংশোধন

ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র তে  জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে এক্ষেত্রে আবেদনের জন্য নিম্নোক্ত কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে-

. অনলাইন জনৃম নিবন্ধন সনদ;

. পি.এস.সি/ জে.এস.সি/ এস.এস.সি বা সমমান পরীক্ষার সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);

. জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কতৃক এফিডেফিট;

. পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স / নিকাহ্ নাম/ এমপিও সিট/ সাভিস বহি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);

. পিতা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ;

. পিতার সকল সন্তানদের জন্মের ক্রম অনুযায়ী নাম জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখ পূর্বক ওয়ারিশান সনদ / প্রত্যয়ন পত্র;

. জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্মতারিখ সংশোধনের কারন সম্পর্কে আবেদনকারীর লিখিত বক্তব্য;

. নিজ ছেলে মেয়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি/ শিক্ষাগত সনদের ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);

. চাকুরীজীবিদের ক্ষেত্রে অফিস প্রধানের প্রত্যয়ন;

১০. উপজেলা নির্বাচন অফিসার কতৃক চাহিত অন্যান্য দলিলপত্র

Read More:

সেবামূল্য পরিশোধ (যদি থাকে)

জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রথমবার আবেদন ফি হিসেবে ২০০ টাকা প্রদান করতে হবে এবং ভ্যাট হিসেবে ৩০ টাকা প্রদান করতে হবেদ্বিতীয় বার সংশোধনের ক্ষেত্রে আবেদন ফি হিসেবে ৩০০ টাকা এবং ভ্যাট হিসেবে ৪৫ টাকা প্রদান করতে দ্বিতীয় বার পরবর্তী যেকোনো সময়ে একই সমস্যা সংশোধনের জন্য আবেদন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা এবং ৭৫ টাকা ভ্যাট প্রদান করতে হবে

পরিশোধ পদ্ধতিঃ

সরাসরি রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।

অথবা

ট্রেজারী চালান/ অনলাইন পদ্ধতি;

ফি কোডঃ ০৬০১০০০১১৮৪৭

ভ্যাট কোডঃ ১১৩৩০০৪৫০৩১১

তীয় পরিচয়পত্রে স্বামী/ স্ত্রীর নাম সংযুক্ত করা/ বাদ দেওয়ার জন্য প্রথমে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন করতে হবে এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে

. নিকাহ্ নামা / তালাক নামা/ মৃত্যু সনদ ( প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);

. স্বামী/ স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। 

সেবা মূল্য পরিশোধ পদ্ধতি  (যদি থাকে)

জাতীয় পরিচয়পত্রে স্ত্রী/স্বামীর নাম সংযোজন বা বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমবার আবেদন ফি হিসেবে ২০০ টাকা প্রদান করতে হবে এবং ভ্যাট হিসেবে ৩০ টাকা প্রদান করতে হবেদ্বিতীয় বার সংশোধনের ক্ষেত্রে আবেদন ফি হিসেবে ৩০০ টাকা এবং ভ্যাট হিসেবে ৪৫ টাকা প্রদান করতে দ্বিতীয় বার পরবর্তী যেকোনো সময়ে একই সমস্যা সংশোধনের জন্য আবেদন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা এবং ৭৫ টাকা ভ্যাট প্রদান করতে হবে

পরিশোধ পদ্ধতিঃ

সরাসরি রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।

অথবা

ট্রেজারী চালান/ অনলাইন পদ্ধতি ;

ফি কোডঃ ০৬০১০০০১১৮৪৭

ভ্যাট কোডঃ ১১৩৩০০৪৫০৩১১

জাতীয় পরিচয়পত্রে গ্রাম/ রাস্তা/ ডাকঘর সংশোধনঃ

জাতীয় পরিচয়পত্রে গ্রাম/ রাস্তা/ ডাকঘর সংশোধনের জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে

. জন্ম নিবন্ধন সনদ;

. চেয়ারম্যান/ মেয়র কতৃক নাগরিকত্ব সনদ

সেবা মূল্য পরিশোধ পদ্ধতি (যদি থাকে)

জাতীয় পরিচয়পত্রে গ্রাম/রাস্তা/ ডাকঘর সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রথমবার আবেদন ফি হিসেবে ২০০ টাকা প্রদান করতে হবে এবং ভ্যাট হিসেবে ৩০ টাকা প্রদান করতে হবেদ্বিতীয় বার সংশোধনের ক্ষেত্রে আবেদন ফি হিসেবে ৩০০ টাকা এবং ভ্যাট হিসেবে ৪৫ টাকা প্রদান করতে দ্বিতীয় বার পরবর্তী যেকোনো সময়ে একই সমস্যা সংশোধনের জন্য আবেদন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা এবং ৭৫ টাকা ভ্যাট প্রদান করতে হবে

পরিশোধ পদ্ধতিঃ

সরাসরি রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।

অথবা

ট্রেজারী চালান/ অনলাইন পদ্ধতি;

ফি কোডঃ ০৬০১০০০১১৮৪৭

ভ্যাট কোডঃ ১১৩৩০০৪৫০৩১১

জাতীয় পরিচয়পত্রে রক্তের গ্রুপ সংযোজন ও সংশোধনঃ

জাতীয় পরিচয় পত্রে রক্তের গ্রুপ সংশোধন সংযোজনের জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে

. প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট/ চিকিৎসকের সনদপত্র

সেবামূল্য এবং পরিশোধ পদ্ধতি (যদি থাকে)

জাতীয় পরিচয়পত্রে রক্তের গ্রুপ সংযোজন ও সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রথমবার আবেদন ফি হিসেবে ২০০ টাকা প্রদান করতে হবে এবং ভ্যাট হিসেবে ৩০ টাকা প্রদান করতে হবেদ্বিতীয় বার সংশোধনের ক্ষেত্রে আবেদন ফি হিসেবে ৩০০ টাকা এবং ভ্যাট হিসেবে ৪৫ টাকা প্রদান করতে দ্বিতীয় বার পরবর্তী যেকোনো সময়ে একই সমস্যা সংশোধনের জন্য আবেদন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা এবং ৭৫ টাকা ভ্যাট প্রদান করতে হবে

পরিশোধ পদ্ধতিঃ

সরাসরি রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।

অথবা

ট্রেজারী চালান/ অনলাইন পদ্ধতি;

ফি কোডঃ ০৬০১০০০১১৮৪৭

ভ্যাট কোডঃ ১১৩৩০০৪৫০৩১১

জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি/ সাক্ষর পরিবর্তনঃ

জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি সাক্ষর পরিবর্তনের জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে

. ছবি / সাক্ষর পরিবর্তনের স্বপক্ষে কাগজপত্র সহ স্বশরীরে উপস্থিত 

সেবা মূল্য পরিশোধ পদ্ধতি (যদি থাকে)

জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি ও সাক্ষর পরিবর্তনের  ক্ষেত্রে প্রথমবার আবেদন ফি হিসেবে ২০০ টাকা প্রদান করতে হবে এবং ভ্যাট হিসেবে ৩০ টাকা প্রদান করতে হবেদ্বিতীয় বার সংশোধনের ক্ষেত্রে আবেদন ফি হিসেবে ৩০০ টাকা এবং ভ্যাট হিসেবে ৪৫ টাকা প্রদান করতে দ্বিতীয় বার পরবর্তী যেকোনো সময়ে একই সমস্যা সংশোধনের জন্য আবেদন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা এবং ৭৫ টাকা ভ্যাট প্রদান করতে হবে

পরিশোধ পদ্ধতিঃ

সরাসরি রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।

অথবা

ট্রেজারী চালান/ অনলাইন পদ্ধতি ;

ফি কোডঃ ০৬০১০০০১১৮৪৭

ভ্যাট কোডঃ ১১৩৩০০৪৫০৩১১

ডাটাবেজে সংরক্ষিত তথ্য উপাত্ত সংশোধন ( জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদত্ত তথ্যাদি ব্যতিত ফরম-২ এ প্রদত্ত অন্য সকল তথ্যাদি যেমনঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স / পাসপোর্ট নাম্বার

ডাটাবেজে সংরক্ষিত তথ্য উপাত্ত  সংশোধন ( জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদত্ত তথ্যাদি ব্যতিত ফরম-২ প্রদত্ত অন্য সকল তথ্যাদি যেমনঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স / পাসপোর্ট নাম্বারএর জন্য প্রথমে  আবেদন করতে হবে এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে

. পরিবর্তনের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

সেবামূল্য পরিশোধ পদ্ধতিঃ

আবেদনের জন্য ফি হিসেবে প্রথমবারে ১০০ টাকা   ১৫ টাকা ভ্যাট প্রদান করতে হবে

পরিশোধ পদ্ধতিঃ

সরাসরি রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।

অথবা

ট্রেজারী চালান/ অনলাইন পদ্ধতি;

ফি কোডঃ ০৬০১০০০১১৮৪৭

ভ্যাট কোড- ১১৩৩০০৪৫০৩৩১

Read More:

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের গাইড

জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন এখন অনেক সহজ একটি ব্যাপার। ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনের পুরো প্রক্রিয়াটিকে এখন অনলাইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে । অনলাইনে আপনি সহজেই ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করার আবেদন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের প্রক্রিয়ায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সকল সার্ভিসকে অনলাইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ভোটার আইডি কার্ডের সংশোধন করা যায়। তবে সব ধরনের তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে সংশোধন করা যায় না। ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে সংশোধন করা যায়। সেগুলো হলো

  • ভোটার এলাকার পরিবর্তন
  • ছবি পরিবর্তন
  • ব্যক্তিগত তথ্য পরিবর্তন
  • ঠিকানা পরিবর্তন
  • ন্যাশনাল আইডি কার্ড (এন আই ডি) / ভোটার আইডি কার্ড রিপ্রিন্ট ইত্যাদি

অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়াটি  বিস্তারিত ভাবে এই লেখাটিতে বর্ণনা করা হবে। তাই অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করার উপায় জানতে লেখাটির এই অংশে চোখ রাখুন।

১. অনলাইনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন বা  তথ্য পরিবর্তন করতে হলে আগে আপনাকে বাংলাদেশ জাতীয় পরিচয়পত্র পোর্টাল ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই নিজস্ব মোবাইল নম্বর ও ইমেইল আইডি থাকতে হবে।

২. পরবর্তীতে, জাতীয় পরিচয়পত্র পোর্টালে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হয়ে গেলে—-  লিংকে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আপনার একাউন্টে লগ ইন করতে হবে। সফলভাবে লগ ইন করতে সক্ষম হলে, এর পর এইরকম একটি নতুন ওয়েবপেইজ আপনি দেখতে পারবেন

৩. কাঙ্ক্ষিত সেই ওয়েবপেজটি দেখতে পেলে সেই ওয়েব পেজের টপ লেফট কর্নারে থাকা “প্রোফাইল” ট্যাব এ ক্লিক করতে হবে। প্রোফাইল ট্যাবে ক্লিক করার পর আপনার সামনে আপনার সকল ব্যক্তিগত তথ্য, যেমনঃ নাম, জন্মতারিখ, জন্মস্থান, মা-বাবার নাম ইত্যাদি তথ্য সংবলিত একটি নতুন ওয়েবপেজ চালু হবে। 

৪. এরপরে আপনি ওয়েবপেজটির  উপরের পাশে ডানদিকে “এডিট” নামে একটি বাটন দেখতে পাবেন। “এডিট” বাটনে ক্লিক করলে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য পরিবর্তন এর জন্য প্রযোজ্য ফি বা চার্জ এর তথ্য সংবলিত একটু নতুন পপ আপ পেজ প্রদর্শিত হবে।

৫. ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন কররে কত টাকা লাগে সেটি নিশ্চিত হয়ে নিন। এরপর সেখান থেকে “বহাল” বাটন এ ক্লিক করলে আপনাকে আবারো “এডিট প্রোফাইল পেজ” এ নিয়ে যাওয়া হবে। এই ওয়েবপেজটিতে আপনার সকল ব্যক্তিগত তথ্য আপনি পুনরায় দেখতে পাবেন। 

৬. ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে এবারের ধাপটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।  খেয়াল করে দেখবেন যে, প্রতিটি তথ্যের পাশে একটি করে ফাকা বক্স রয়েছে। এই ফাকা বক্স গুলোতে ক্লিক করলে বক্সটিয়ে টিক চিহ্ন যুক্ত হবে। টিকচিহ্ন যুক্ত বক্সগুলোর তথ্য আপনি সংশোধন করতে পারবেন। 

৭. এডিট প্রোফাইলের এই ওয়েবপেজ থেকে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডে উল্লেখ থাকা নিজের নাম, জন্ম তারিখ, রক্তের গ্রুপ, জন্ম-নিবন্ধন নাম্বার, মা-বাবার নাম ইত্যাদি পরিবর্তন করতে পারবেন।

৮. এবার যে সমস্ত তথ্য আপনি পরিবর্তন করতে চান, সেগুলোর পাশে থাকা ফাঁকা বক্সে ঠিক মার্ক দিন। এরপর তথ্য গুলো এডিট করুন। প্রয়োজনীয় তথ্য পরিবর্তন করা হয়ে গেলে একদম উপরের ডানদিকে “পরবর্তী” বাটন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করুন।

৯. “পরবর্তী” ট্যাবটিতে ক্লিক করার পর আপনাকে “পরিবর্তন” নামের একটি ওয়েবপেজে নিয়ে যাওয়া হবে। এই পেজটিতে আপনি যেসব তথ্য পরিবর্তন করেছেন, সেগুলোর বর্তমান অবস্থা (সংশোধনের পরের অবস্থা) দেখানো হবে। সংশোধনের পরের অবস্থা ভালভাবে দেখে নিন। এরপর আবার উপরে ডানদিকে থাকা “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।

১০.  পরবর্তী বাটনে ক্লিক করার পর আপনাকে ট্রানজেকশন ট্যাবে নিয়ে যাওয়া হবে। 

১১. ভোটার আইডিকার্ডের তথ্য সংশোধন প্রক্রিয়ার এই ধাপে আপনি যেসব তথ্য পরিবর্তন করেছেন এবং সেগুলোর জন্য নির্ধারিত কত টাকা ফি প্রদান করতে হবে সেটির লিস্ট প্রদর্শিত হবে। নির্ধারত এই ফি প্রদান না করা পর্যন্ত আপনি পরবর্তী ওয়েজপেজে যেতে পারবেন না।  

১২. অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনের এই পর্যায়ে আপনাকে উল্লেখিত ফি প্রদান করতে হবে। ভোটার আইডিকার্ড সংশোধনের ফি মোবাইলের মাধ্যমেই পরিশোধ করা যায়। 

যেসব মোবাইল বা ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এই ফি প্রদান করতে পারবেন, সেগুলো হলোঃ

  • বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড
  • ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
  • ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এবং রকেট মোবাইল ব্যাংকিং
  • ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড এবং ওকে ওয়ালেট মোবাইল ব্যাংকিং
  • ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং টি-ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং
  • মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেড

মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের ফি প্রদানের নিয়ম

অনলাইনের মাধ্যমে ফি প্রদান করতে আপনার পছন্দমত মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বেছে নিন। এরপর অ্যাপে প্রবেশ করে “Pay Bill” অপশনে ঢুকুন। “Pay Bill” এ ঢুকার পর “1000” লিখে সার্চ করুন। সার্চ রেজাল্ট হিসেবে  “EC Bangladesh” অপশনটি আসবে। এই  অপশনটি সিলেক্ট করুন। 

EC Bangladesh অপশনটি সিলেক্ট করার পর আপনাকে অন্য একটি পেজে নিয়ে যাওয়া হবে। এই ওয়েবপেজে  আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর নাম্বার জানতে চাওয়া হবে। সতর্কতার সাথে  আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর নাম্বার সঠিকভাবে প্রদান করুন। এই ধাপটি সম্পন্ন হয়ে গেলে  আপনার উল্লেখিত ভোটার আইডি কার্ড এর নাম্বারের জন্য পাঠানো টাকা জমা হয়ে যাবে।

এরপরের ধাপটিতে আপনকে  “Application Type” এ ক্লিক করতে হবে। Applocation Type লেখাটিতে ক্লিক করলে কোন ধরনের তথ্য সংশোধনের এর জন্য কোন সংখ্যা লিখতে হবে, তা প্রদর্শিত হবে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সংখ্যাটি লিখুন।

এরপর ওয়েবপেজটির নিচের দিকে আসতে হবে। নিচের দিকে আসলে “Pay For” নামের একটি লেখা দেখতে পাবেন। সেখান থেকে নিজের জন্য ফি প্রদান করলে “Self” এবং অন্যের জন্য হলে “Other” এ ক্লিক করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে “Validate” এ ক্লিক করতে হবে। এরপর “Ok” চাপুন।

 “Biller Short Name” নামে একটি বক্স দেখানো হবে।  এই বক্সের ফাকা জায়গায় আপনার নামের শর্ট ফর্ম লিখুন। এরপর কত টাকা পাঠানো হবে, সে সম্পর্কিত তথ্য দেখতে পাবেন।

পরবর্তীতে আপনার মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট এর পিন বসিয়ে দিন। এরপরই পুরো  প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে। সঠিকভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয়ে গেলে আপনি বিল এর একটি রিসিট পাবেন।

বিল পরিশোধ করা হয়ে গেলে আবার চলে আসুন ভোটার আইডি কার্ড এর তথ্য পরিবর্তন এর প্রক্রিয়াতে। এখানে এসে “ট্রানজেকশন” পেজটি রিলোড করুন। রিলোড করার পর আপনার পরিশোধকৃত অর্থ এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে দেখতে পাবেন। 

এরপর “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করলে আপনাকে “কাগজপত্র” নামের একটি ওয়েবপেজে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আপনি আপনার তথ্য সমূহের ভ্যালিডেশন হিসেবে এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট বা জন্মসনদ এর স্ক্যানকৃত ডকুমেন্ট যুক্ত করে দিতে হবে। এরপর “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

এখন আপনার আবেদনকৃত ভোটার আইডি কার্ড এর সকল তথ্য পরিবর্তন এর প্রক্রিয়াটি নিশ্চিত করতে হবে। সকল তথ্য ঠিকমত দেওয়া হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করুন।

এরপরের ধাপে ওয়েবপেজটিত উপরে ডানদিকে থাকা “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করুন। এরপর প্রোফাইল পেজ দেখতে পাবেন। 

প্রোফাইল পেজের নিচের দিকে থাকা “বিস্তারিত তথ্য” বাটনে ক্লিক করতে হবে৷ সেখানে একটি নতুন পেজ দেখতে পাবেন। এই পেজের ডানদিকে উপরে থাকা “ডাউনলোড” বাটনে ক্লিক করলে একটি পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড হবে। এই পিডিএফ এর প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করুন।

এরপর আপনাকে আপনার ফোন নাম্বারে এসএমএস মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে কোথায় গেলে আপনার নতুন আইডি কার্ড পাবেন। এসএমএস এ উল্লেখিত স্থানে এই পিডিএফ এর প্রিন্ট কপি নিয়ে গেলেই নতুন তথ্যযুক্ত আইডি কার্ড পেয়ে যাবেন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন করা সবচাইতে সহজ। তাছাড়াও আপনি উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস কিংবা জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে যোগাযোগ করে তথ্য সংশোধন করতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশন অফিসে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম প্রয়োজন হবে। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম হাতে লিখে পূরন করে জমা দেওয়া যায়। আবার অনলাইনের মাধ্যমে পূরন করেও সেটি প্রিন্ট করে নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দেওয়া যায়। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম ডাউনলোড করার পদ্ধতি হচ্ছে-

১. প্রথমত আপনার মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপের যেকোনো ওয়েব ব্রাউজারে প্রবেশ করুন।

২. এড্রেসবারে নিম্নের এই ঠিকানাটি লিখুন  https://services.nidw.gov.bd/forms

৩. সঠিকভাবে লিংকটি প্রবেশ করানো হলে যে ওয়েবপেজটি প্রদর্শিত হবে সেখানে 

হারানো আইডি কার্ড উত্তোলনের আবেদন ফরম

আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন ফরম (উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে আবেদনের জন্য)

এমন দুইটি ট্যাব দেখা যাবে। আপনাকে আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন ফরম (উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে আবেদনের জন্য) ট্যাবটিতে ক্লিক করতে হবে।

৪. এরপরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ডিভাইসে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম Pdf ফাইল হিসেবে ডাউনলোড হয়ে যাবে।

শেষ কথা

ভোটার আইডিকার্ড এর তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে অনলাইন বর্তমানে সহজ একটি মাধ্যম৷ এই লেখাটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকলে আশা করি ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনের পদ্ধতি নিয়ে আপনাদের মধ্যে কোনো প্রশ্ন অবশিষ্ট থাকবেনা। আপনার কাছে লেখাটি ভালো লেগে থাকলে সোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন। কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আমাদেরকে জানান।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 thoughts on “ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম [অনলাইনে সম্পূর্ণ নতুন নিয়মে]”

  1. আমার ঠিকানা ঠিক আছে,বাবার নাম কিছুটা ভুল।নিজের নাম,মার নাম,বয়স ও স্বাক্ষর ভুল। এটা কি ঠিক করতে পারবো? করতে কি কি লাগবে? জম্ন সনদ ঠিক আছে।এটা হলে কি হবে?

  2. আসসালামু আলাইকুম , খুব সুন্দর উপস্থাপনা আপনার.. ধন্যবাদ আমাদের সাথে সুন্দর একটি বিষয় শেয়ার করার জন্য।

  3. আমার ডাক নামে এবং জন্ম তারিখ ভুল এ আইডি করা হয়েছে আমি সংশোধন করতে দিছি 2017 কিন্তু হচ্ছে আমি কি করবো?

    1. আপনি খোজ নিয়ে দেখেন সংশোধন হয়েছে কিনাা? নাহলে আবার আমাদের দেখানো নিয়মে আবেদন করুন। হয়ে যাবে।

  4. আমার NID তে মায়ের নাম, আমি বিবাহিত সংশোধন করেছি, পুনরায় মোবাইলে মেসেজ এসেছে নিকাহনামা এবং এস এস সি এর সনদ পত্র সাবমিট করার জন্য, সেটা আমি কিভাবে করবো?

    1. লগিন করার পর- প্রোফাইল এ ক্লিক করে এডিট এপ্লিকেশন এ ক্লিক করলেই অপশন দেখাবে।

  5. আমার আই‌ডি কার্ডের স্থায়ী ঠিকানা অনলাইনে প‌রিবর্তন করতে পারবো কি? জানাবেন দয়াকরে।

  6. যোগাযোগ করতে পারেন ফ্রিতে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্য করে দিবো । প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের ওয়েবসাইটের এই পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং বেশি-বেশি জানতে চাইলে কমেন্ট করতে পারেন। আপনার সাথেই আছি।

Scroll to Top