অংশীদারি ব্যবসার চুক্তিপত্র

অংশীদারি ব্যবসার চুক্তিপত্র : অংশীদারি এমন একটি ব্যবসা যেখানে, ততধিক ব্যক্তির মুনাফা লাভের আশায়। পারস্পারিক চুক্তির ভিত্তিতে দেশের প্রচলিত, আইন মান্য করে যে ব্যবসা গঠন করা হয় তাকেই অংশীদারী ব্যবসা বলা হয়।

এই অংশীদারি ব্যবসায় নিজেরায় চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মূলধন সরবরাহ করে থাকেন। অংশীদার ব্যবসার সকল অংশীদারীর সম্মতি ক্রমে একজনের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালিত হয়। এ ব্যবসা শুরু করার জন্য সর্বনিম্ন দুইজন ব্যক্তি থেকে সর্বোচ্চ ২০ জন নিয়ে গঠিত হয়।

অংশীদারি ব্যবসার চুক্তিপত্র
অংশীদারি ব্যবসার চুক্তিপত্র

কিন্তু ব্যাংকিং ব্যবসা এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ জন অংশীদারী থাকতেও পারে। তাই আপনারা যারা অংশীদারি ব্যবসার চুক্তিপত্র করতে চান? কিভাবে করবেন। সে বিষয়ে জানতে আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

আর্টিকেলের শুরুতে আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছি, আপনাদের ব্যবসার চুক্তিপত্র করতে চাইলে, আপনাকে অবশ্যই সরকারি অনুমোদিত স্ট্যাম্প এর মাধ্যমে চুক্তিপত্র কার্য সম্পাদন করতে হবে।

তো কিভাবে, অংশীদারি চুক্তিপত্র স্ট্যাম্পেল লিখতে হয়। সে বিষয়ে আমরা নমুনা হিসেবে জানিয়ে দেব। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

অংশীদারি ব্যবসার চুক্তিপত্র নমুনা সমূহ

আপনি যদি অংশীদারী ব্যবসার সাথে নিজেকে জড়িত করতে চান? সেক্ষেত্রে দুইজন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ জন মিলে একটি অংশীদারী ব্যবসা চালু করতে পারবেন। আর এই অংশীদারী ব্যবসা চালু করার জন্য, অবশ্যই একটি চুক্তিপত্র বানাতে হবে।

তো অংশীদারি ব্যবসার চুক্তিপত্রে কি কি বিষয় থাকে সে বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। এবং অংশীদারের ব্যবসার চুক্তিপত্র লেখার বিষয়ে জানতে হবে।

আর অংশীদারী ব্যবসা তৈরি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সরকারের অনুমোদিত ১৫০ টাকা স্ট্যাম্প বা ৩০০ টাকা দামে স্ট্যাম্পে অংশাদারী ব্যবসার চুক্তিপত্র লিখতে হবে। তো চলুন অংশীদারী ব্যবসা নমুনা সম্পর্কে জেনে নেয়া যায়।

“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম”

অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্র

গত ১৯/০৫/২০২৩ ইং তারিখে পত্র অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্র সম্পাদন করা হলো। এরকমভাবে আপনারা প্রথম লাইনে তারিখ সহ লিখবেন। তারপর আপনারা কয়জন মিলে অংশগ্রহণ ব্যবসা শুরু করছেন। তাদের নাম ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। সে বিষয়ে জানতে নিচের তথ্যগুলো অনুসরণ করুন।

অংশীদারি ব্যবসায়ীদের নাম ঠিকানা

১। মোঃ/ মোছাঃ (আক্কাস আলী), জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বারঃ ১২৩৪৫৬৭৮২০, জন্ম তারিখঃ ০১/০১/১৯৮৮, পিতা/স্বামীঃ (এখানে মহিলা হলে স্বামীর নাম লিখবেন আর পুরুষ হলে পিতার নাম লিখবেন), মাতাঃ (এখানে ব্যক্তির মাতার নাম লিখবেন), গ্রামঃ (গ্রামের নাম লিখবেন), ডাকঘরঃ (ডাকঘরের ঠিকানা লিখবেন), উপজেলাঃ (আপনার উপজেলার নাম লিখবেন), জেলাঃ (আপনার জেলার নাম লিখবেন), ধর্মঃ ইসলাম/ হিন্দু/ খ্রিস্টান। যারা যে ধর্মে রয়েছেন সেই ধর্মটি উল্লেখ করবেন। পেশাঃ (এখানে আপনাদের পেশা উল্লেখ করবেন)। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী।

২। মোঃ/ মোছাঃ (আবু বক্কর সিদ্দিক), জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বারঃ ১২৩৪৫৬৭৮১০, জন্ম তারিখঃ ০১/০১/১৯৮৮, পিতা/স্বামীঃ (এখানে মহিলা হলে স্বামীর নাম লিখবেন আর পুরুষ হলে পিতার নাম লিখবেন), মাতাঃ (এখানে ব্যক্তির মাতার নাম লিখবেন), গ্রামঃ (গ্রামের নাম লিখবেন), ডাকঘরঃ (ডাকঘরের ঠিকানা লিখবেন), উপজেলাঃ (আপনার উপজেলার নাম লিখবেন), জেলাঃ (আপনার জেলার নাম লিখবেন), ধর্মঃ ইসলাম/ হিন্দু/ খ্রিস্টান। যারা যে ধর্মে রয়েছেন সেই ধর্মটি উল্লেখ করবেন। পেশাঃ (এখানে আপনাদের পেশা উল্লেখ করবেন)। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী।

৩। মোঃ/ মোছাঃ (আস্কর আলী), জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বারঃ ১২৩৪৫৬৭৮৪০, জন্ম তারিখঃ ০১/০১/১৯৮৮, পিতা/স্বামীঃ (এখানে মহিলা হলে স্বামীর নাম লিখবেন আর পুরুষ হলে পিতার নাম লিখবেন), মাতাঃ (এখানে ব্যক্তির মাতার নাম লিখবেন), গ্রামঃ (গ্রামের নাম লিখবেন), ডাকঘরঃ (ডাকঘরের ঠিকানা লিখবেন), উপজেলাঃ (আপনার উপজেলার নাম লিখবেন), জেলাঃ (আপনার জেলার নাম লিখবেন), ধর্মঃ ইসলাম/ হিন্দু/ খ্রিস্টান। যারা যে ধর্মে রয়েছেন সেই ধর্মটি উল্লেখ করবেন। পেশাঃ (এখানে আপনাদের পেশা উল্লেখ করবেন)। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী।

পাতা- ২

আমরা উল্লেখিত পক্ষগণ পরস্পর বন্ধ এবং সুপরিচিত। বাংলাদেশ এর নাগরিক ও পেশার সকলের ব্যবসা। আমরা সকলে মিলে, বিভিন্ন শুটকি উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য, মেসার্স জে-জে এন্টারপ্রাইজ, প্রতিষ্ঠানটি যতভাবে পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।

যা ভবিষ্যতে আইনগত জটিলতা এবং ভবিষ্যতে, বিবাদ পরিহারের লক্ষ্যে, একটি লিখিত অংশীদারী চুক্তির দলিল সম্পাদনের আলোচনা করা হলে আমরা সকলের সম্মতি জানায়।

এছাড়া লিখিতভাবে অংশীদারি ব্যবসার শর্তাবলের নির্দিষ্ট করে, নিম্নলিখিত শর্তাবলের ভিত্তিতে অংশেদের ব্যবসার চুক্তিপত্র সকলের সম্পাদন করছি।

পাতা- ৩

অংশীদারি ব্যবসার শর্ত সমূহ

এখানে আপনার অংশীদারী ব্যবসার কিছু শর্ত সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে হবে যেমন-

১। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান- শুটকি উৎপাদন প্রক্রিয়া ও বাজারজাতকরণ মেসার্স জে-জে এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি।

২। অংশগ্রহণ ব্যবসার মূল প্রতিষ্ঠানের স্থান- মেসার্স জে-জে এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি, জায়গার নাম লিখবেন, পোস্ট অফিসের নাম লিখবেন, উপজেলার নাম লিখবেন এবং জেলার নাম লিখবেন। অংশীদারি ব্যবসায় ব্যবসায়ীরা নিম্নলিখিত হারে মূলধন সরবরাহ করবে।

  • মোঃ আক্কাস আলী- ৫০%
  • মোঃ আবু বক্কর সিদ্দীক- ২৫%
  • মোঃ আস্কর আলী- ২৫%

৩। ব্যবসায়ী আয় ও ব্যায় সকল অংশ উক্ত হারে বন্টন হবে। প্রতিমাসের শেষের দিনে ব্যবসা এর আয় ও ব্যয়ের হিসাব করা হবে।

৪। এই ব্যবসার আনুপাতিক হারে সকলে দেখাশোনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করবে। সকল পক্ষ গনের সম্মতিক্রমে, মোঃ আক্কাস আলী উভয় উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করবে। তাদের স্বাক্ষর এই ব্যাংকের চেক এবং অন্যান্য প্রয়োজনের কাগজপত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান ভাড়া ক্রয় ও বিক্রয় করার দলিল সম্পাদন করার ক্ষমতা থাকবে।

৫। উক্ত চুতি না আমায় কোন পরিবর্তন এর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে সর্বসম্মতিক্রমে সেটি সম্পন্ন হবে।

আপনারা যখন অংশীদারি চুক্তির বিষয়ে লিখবেন। তখন আপনাদের আরো বিভিন্ন ধরনের শর্ত থাকতে পারে। সে শর্ত গুলো আপনারা স্ট্যাম্পে উল্লেখ করবেন।

সাক্ষী গনের স্বাক্ষর এবং পার্টনারশিপদের স্বাক্ষর

উপরের নিয়ম অনুযায়ী আপনারা খুব সহজেই, অংশীদারি ব্যবসার চুক্তিপত্র কার্য সম্পাদন করতে পারবেন। আর অবশ্যই এই চুক্তিপত্র আপনাদের কম্পিউটারের টাইপিং করতে হবে।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা যারা অংশীদারি ব্যবসার চুক্তিপত্র সম্পাদন করতে চান? তারা উপরে উল্লেখিত, নমুনা অনুযায়ী খুব সহজেই, অংশীদারি ব্যবসার চুক্তিপত্র সম্পাদন করতে পারবেন।

তো অংশীদারি ব্যবসার চুক্তিপত্র সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে। তবে অবশ্যই কমেন্ট করে, জানাতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top