যেভাবে নতুন ব্যবসার পরিকল্পনা করবেন ?

নতুন ব্যবসা পরিকল্পনা : তো আপনারা যারা বর্তমান সময়ে, বিভিন্ন ব্যবসা স্থাপন করার চিন্তা করছেন। তাদের অবশ্যই নতুন ব্যবসার পরিকল্পনা সম্পর্কে ভাবতে হবে।

যে কিভাবে নতুন ব্যবসার পরিকল্পনা করলে আপনারা খুব বেশি লাভজনক হতে পারবেন। .

যেভাবে নতুন ব্যবসার পরিকল্পনা করবেন ?
যেভাবে নতুন ব্যবসার পরিকল্পনা করবেন ?

বিশেষ করে, ব্যবসার পরিকল্পনার প্রধান পদক্ষেপ হচ্ছে, আপনার অভষ্ট বাজার নির্ধারণ করা এবং কেন ক্রেতারা আপনার পণ্য ক্রয় করবে, তা নির্ধারণ করা।

মূলত যে বাজারে আপনি আপনার পণ্য বা প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন। তা আপনার জন্য সর্বোত্তম কিনা জানতে হবে।

আপনার ব্যবসার সুযোগ সুবিধা এবং রীতি সমূহ সেগুলো কি ক্রেতার চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা।

তো এই সম্পূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। যা থেকে আপনারা বাজার নির্ধারণ এবং নিজস্ব যথাযোগ্য মর্যাদা তৈরি সহায়তা করতে পারবেন।

তাই নতুন ব্যবসা পরিকল্পনা যেভাবে করবেন? তার বিস্তারিত জানতে, আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

যেভাবে নতুন ব্যবসার পরিকল্পনা করবেন ?

একটি নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য বিশেষভাবে পরিকল্পনা করতে হবে আপনি সেই ব্যবসায়ী কিভাবে অগ্রসর হতে পারবেন।

এবং কিভাবে লাভজনক হতে পারবেন কিভাবে ব্যবসা নির্মাণ করবেন। কত টাকা বিনিয়োগ করবেন। তার বিস্তারিত তথ্য অবশ্যই জানতে হবে।

তাই আমি আপনাদের সুবিধার জন্য। যেভাবে নতুন ব্যবসার পরিকল্পনা করবেন। তার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

ব্যবসার কৌশল শিখুন

আপনি কি ধরনের পণ্য বিক্রি করছেন তার স্বচ্ছভাবে নির্ধারণ করবেন, এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি সকল ব্যবসার সবজান্তা হতে চাইবেন না। কারণ এতে ব্যবসার উন্নয়নের ওপর একটি খারাপ প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে।

একটি ক্ষুদ্রতম ব্যবসা হিসেবে আপনার অন্য বা সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ সার্থ বাজারে যথাযথভাবে নিম্নস্ত করা প্রায় একই সর্বোচ্চ কৌশল বানিয়ে দিন হয়ে যেতে পারে।

ছোট ছোট বিভাজন পরবর্তীতে, বিশেষায়িত প্রোডাক্টের অফার করতে পারে। যার নির্দিষ্ট শ্রেণীর সম্ভাব্য ক্রেতাদের নিকট আকর্ষণীয় বলে মনে হবে।

তাই ব্যবসার পরিকল্পনা সম্পর্কে আপনার ব্যবসার কৌশল গুলো শেখার বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে। আপনি ব্যবসার যত বেশি কৌশলী হতে পারবেন তত বেশি উন্নতি সাধন করতে পারবেন।

আপনার ব্যবসার জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন

আপনি যে কোন ব্যবসা শুরু করতে গেলে অবশ্যই ব্যবসার পরিকল্পনা করতে হবে। আর ব্যবসা পরিকল্পনা হিসেবে আপনাকে অবশ্যই ব্যবসার জন্য উপযুক্ত একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে।

কারণ এমনভাবে একই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে হবে যেখানে মানুষ সহজেই যেতে পারবে।

বর্তমান সময়ে একজন নতুন ব্যবসার মালিকরা তাদের নিজস্ব ব্যবসায়িক দক্ষতার উপর ভিত্তি করে স্থান নির্বাচন করতে পারে।

তবে গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে বাজার পর্যালোচনা করে, ব্যবসার স্থান নির্বাচন করা হলে আরও বেশি ভালো হতে পারে।

মোটকথা আপনি ব্যবসার পরিকল্পনা হিসেবে বেছে নিতে হবে, আপনার ব্যবসার জন্য উপযুক্ত স্থান। যে স্থানে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করলে, খুব বেশি লাভজনক হওয়া যাবে সেভাবে ব্যবসার স্থান নির্বাচন করুন।

ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা

আপনি নতুন ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই পরিকল্পনা করে নেবেন। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে কি কি বিষয় নিয়ে, শুরু করতে যাচ্ছেন।

তো আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে শুরু করে বিস্তারিত পণ্য সম্পর্কে, বর্ণনা করতে হবে।

এমন ভাবে আপনার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা দিতে হবে। যাতে করে, কাস্টমাররা বুঝতে পারে। আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কি ধরনের সেবা তারা গ্রহণ করতে পারবে।

বাজার বিশ্লেষন

আপনার ব্যবসার পরিকল্পনায় বাজার বিশ্লেষণ অধ্যয়নটি যে, কোন গবেষণালব্ধ বিষয় ও সিদ্ধান্তের পাশাপাশি। আপনার শিল্প ও বাজার সংক্রান্ত জ্ঞান বৃদ্ধি করতে হবে।

আপনার বাজার বিশ্লেষণে যে বিষয়সমূহ সংযুক্ত করতে হবে- শিল্পের বর্ণনা এবং আউটলুক। বর্তমানে আয়তন এবং ঐতিহাসিক বৃদ্ধির হারের পাশাপাশি গতি ধারা ও বৈশিষ্ট্য সহ আপনার শিল্পকে বর্ণনা করতে হবে।

বিশেষ করে জীবনচক্রের স্তর পরিকল্পিত উৎপাদনের হার ইত্যাদি বিষয় সমূহ।

পরবর্তীতে আপনার শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের তালিকা তৈরি করতে হবে। আপনার ব্যবসার অভীষ্ট বাজার সম্পর্কে তথা আপনার ব্যবসার অবিষ্ট বাজারের একটি নিয়ন্ত্রণ আকারে সংকুচিত করতে হবে।

অনেক ব্যবসাতে অসংখ্য বাজারের আবেদন তৈরি করতে গিয়ে ভুল করে থাকে। পরিকল্পনা করুন এবং বাজার সম্পর্কে নিজেদের তথ্য গুলো সংযুক্ত করুন।

তাহলেই আপনার ব্যবসায়ী উন্নত সাধন করতে পারবেন। যেমন-

  • পার্থক্য সৃষ্টিকারী বৈশিষ্ট্য সমূহ।
  • মূল্য নির্ধারণ এবং মোট প্রান্তিক লক্ষ সমূহ।
  • প্রতিযোগিতা মূলক বিশ্লেষণ সমূহ।

তো আপনারা বাজার বিশ্লেষনের জন্য উপরোক্ত পদক্ষেপ গুলো অবশ্যই গ্রহণ করবেন। যা থেকে আপনারা ব্যবসায়ী অনেক লাভবান হতে পারবেন।

ব্যবসায় বিনিয়োগ

তো আপনি যদি নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান? তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেই ব্যবসায় কি পরিমাণ এর টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। সে বিষয়ে পরিকল্পনা করুন।

এক্ষেত্রে আপনার নতুন ব্যবসাটি যদি বড় আকারে দিতে চান? সে ক্ষেত্রে, একটু বেশি পুঁজি খাটাতে হবে আর যদি আপনি ছোট আকারে একটি ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে অল্প পুঁজি লাগবে।

বিশেষ করে, বর্তমান সময়ে একটি মোটামুটি আকারের নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আপনাকে কমপক্ষে চার লক্ষ থেকে 5 লক্ষ টাকা ব্যবসা শুরু করতে হবে।

তবে আপনি যদি আরো বড় ব্যবসা শুরু করতে চান? তাহলে 10 থেকে 15 লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

তো আপনারা কি কি ব্যবসা করে ইনকাম করতে পারবেন। সে বিষয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেল পাবলিশ রয়েছে। আপনারা চাইলে সেগুলো ভিজিট করে পড়তে পারেন।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা যেভাবে নতুন ব্যবসার পরিকল্পনা করবেন তার বিষয়ে আমরা সংক্ষিপ্তভাবে উপরোক্ত আলোচনাতে জানানোর চেষ্টা করেছি।

তো আপনারা যারা নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান? তবে অবশ্যই উপরক্ত পরিকল্পনা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।

যার ফলে আপনারা অবশ্যই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে, সেখানে লাভজনক হতে পারবেন।

তো শেষ পর্যন্ত আমাদের লেখা আর্টিকেলটি পরে আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

এছাড়া আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত নতুন আপডেট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।

ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top