মাইক্রোসফট অফিস কি : বর্তমান সময়ে যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাদের কাছে হয়তো এই শব্দটা অনেক চেনা চেনা লাগছে তাই-তো। তো চলুন একটু ভালো ভাবে জানিয়ে দিচ্ছি।
আমরা স্কুল জীবনে যে, সকল অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি ও উপস্থাপনার কাজ করতাম, তখন এই মাইক্রোসফট অফিস নিয়ে কাজ করতে হতো।

তবে এটি কি এখন বাস্তব সম্মত প্রশ্ন করেন থাকেন। তাহলে বলব হ্যা অবশ্যই।
এটি কম্পিউটার ব্যবহার করে এমন প্রায সকলেই কাছে একটি ওয়ার্ড প্রসেসর, স্প্রেডশীট ও উপস্থাপনা সফটওয়্যার দ্বারা গঠিত একটি অফিস সফটওয়্যার দরকার হয়।
মাইক্রোসফট অফিস গুলোকে আমরা এমনিতে শটকার্ড হিসেবে, এমএস অফিস নামে বলে থাকি। যা বিশ্বের একত্রিত করে কয়েক দশক ধরে জনপ্রিয়তার সঙ্গে ব্যবহার হয়ে আসছে।
তাই আজকের এই আর্টিকেলে আপনাকে মাইক্রোসফট অফিস/ এমএস অফিস এর এমন কিছু বৈশিষ্ট সম্পর্কে বলব। যা আপনারা অনুসরণ করলে জানতে পারবেন। শিক্ষা জীবন থেকে শুধু করে ব্যবসা বা চাকরির ক্ষেত্রে কত টা গুরুত্বপূর্ণ।
তো চলুন আর সময় নষ্ট না করে, মাইক্রোসফট অফিস কি এবং মাইক্রোসফট অফিস এর কাজ কি এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মাইক্রোসফট অফিস কি ?
মাইক্রোসফট অফিস হচ্ছে এমন একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার যা মূলত শিক্ষা ক্ষেত্রে, ব্যবসা এবং অফিসের কাজ গুলোর উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।
মাইক্রোসফট অফিস ১৯৯০ সালে প্রথম চালু হওয়া এই সফটওয়্যার, মাইক্রোসফট কর্পোরেশনর মাধ্যমে তৈরি হয়েছি। মাইক্রোসফট অফিস প্রাথমিক অফিস এর কাজ গুলো কে সহজ করতে ও কাজের উৎপাদনশীলতা উন্নত করতে সহায়তা করে।
প্রতিটি সফটওয়্যার এর নির্দিষ্ট কাজ এর জন্য ডিজাইন করা হয়েছ। যেমন- ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডাটা মেনেজমেন্ট, উপস্থাপনা তৈরি করা ও ইমেইল গুলো সংগঠিত করা।
মাইক্রোসফট অফিস এর একাধিক সংস্করণ তৈরি করা হয়েছে যা আপনারা উইন্ডোজ, লিনাক্স এবং এমএসি ওএস সহ বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন।
তাছাড়া, উক্ত মাইক্রোসফট অফিস সফটওয়্যারে আপনারা ৩৫ টি ভাষার অফার পেয়ে যাবেন। যা আপনার কাজের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
Microsoft office এর কাজ কি ?
আমরা এতক্ষণ আপনাদের জানিয়ে দিলাম। মাইক্রোসফট অফিস কি ? কিন্তু এখন আমি আপনাদের পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করব, মাইক্রোসফট অফিস এর কাজ কি?
আমরা জানি, মাইক্রোসফট অফিস হচ্ছে অপিস সম্পর্কিত এপ্লিকেশন গুলোর একটি সেট-আপ। যা মূলত ব্যবসা বা অফিসিয়াল কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।
মাইক্রোসফট অফিস প্রাথমিক অফিসের কাজ গুলো কে সহজ করার জন্য কাজের ফলাফল কে আরো উন্নত করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রতিটি সফটওয়্যার একটি অনন্য উদ্দেশ্য কে পরিবেশ করে থাকে। এবং নির্দিষ্ট কাজ গুলো কে অফার করে থাকে।
যেমন- মাইক্রোসফট অফিস/ এমএস ওয়ার্ড শব্দ প্রক্রিয়াকরণ এর জন্য ব্যবহার করা হয়। ডাটা পরিচালনার জন্য এক্সেল, প্রজেক্ট তৈরি করার জন্য পাওয়ার পয়েন্ট ও ইমেইল গুলো সংগঠিত করার জন্য আউটলুক ইত্যাদি তৈরি করা হয়।
মাইক্রোসফট অফিস অনেক আকর্ষণীয় ও দরকারী বৈশিষ্ট্য বহন করে থাকে। যা আমাদের এই ডিজিটাল বিশ্বে কাজ গুলো সহজ করে তোলে।
মাইক্রোসফট অফিস একটি বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত সফটওয়্যার। যা সর্বাধিক ক্রমবর্ধমান শিল্প গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম সফটওয়্যার।
তো চলুন জেনে নেওয়া যাক, মাইক্রোসফট অফিস এর কিছু সেরা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত।
মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড – MS Word
- এমএস ওয়ার্ড এটি প্রথম রিলিজ হয় 25 অক্টোরব 1983 সালে।
- Doc ফাইল এর এক্সটেশন হলো ‘.doc’.
- এটি অনেক বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। টেক্স ডুকুমেন্ট তৈরি করার জন্য।
- এমএস ওয়ার্ড এর সহায়তায় বিভিন্ন ধরণের টেমপ্লেট তৈরি করা যায় খুব সহজেই।
- এসএমএস ওয়ার্ডে- ওয়ার্ড আর্ট, রং, ছবি, এনিমেশন একই ফাইলে পাঠ্যের সঙ্গে যোগ করা যায়। আর একটি নথি আকারে ডাউলোড করা যায়। এবং প্রিন্ট করা যায।
- এমএস ওয়ার্ডে লেখকরা তাদের কাজ লিখতে/ সম্পাদন করতে ব্যবহার করতে পারেন এই এমএস ওয়ার্ড প্রোগ্রামটি।
মাইক্রোসফট অফিস – MS Excel
- এক্সেল প্রধানত ডাটা বেজ তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
- এক্সেল ডাটা প্রসেসিং এ ব্যবহার করা হয়।
- এক্সেল একটি স্প্রেডশিট রো এবং কলাম এর আকারে গ্রিড থাকে। যা পরিচালনা করা অনেক সহজ। কাগজের প্রতিস্থাপন হিসেবে এটিকে ব্যবহার করা যায়।
- এক্সেল ব্যবহার করে, ট্যাবুলার ফরম্যাটে বড় ডাটা গুলোকে সহজেই পরিচালনা করা ও সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়।
- প্রতিটি সেকেন্ড এর মধ্যে স্প্রেডশিটের সেল-এ প্রবেশ করানো অনেক সংখ্যক ডাটার উপর ভিত্তি করে গণনা করা যায়।
এক্সেল ফাইলে কাজ করার পরে, এটি সংরক্ষণ করার জন্য এর এক্সটেনশন থাকে .xls ফাইল আকারে।
মাইক্রোসফট অফিস – MS PowerPoint
- পাওয়ার পয়েন্ট রিলিজ করা হয় 20 এপ্রিল 1987 সালে।
- এখানে অডিও ভিসুয়াল প্রেজেন্টেশন তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
- পাওয়ার পয়েন্ট একটি প্রেজেন্টেশনে অনেক গুরো স্লাইড নিয়ে কাজ করা যায়।
- এখানে প্রতিটি স্লাইডের মধ্যে অডিও, ভিডিও, গ্রাফিক্স, টেক্স, বুলেট নাম্বারিং, টেবিল সহ আরো বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করা যায়।
- আপনি পাওয়ার পয়েন্টে প্রজেক্ট সম্পন্ন করার পরে সংরক্ষণ করতে চাইলে এই ফাইল এক্সটেনশন হবে .ppt.
মাইক্রোসফট অফিস – MS Access
- MS ACCESS রিলিজ হয় 13 নভেম্বর 1992 সালে।
- এখানে একটি ডাটাবেজ মেনেজমেন্ট সফটওয়্যার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
- এটি ব্যবহার করে, টেবিল কোয়ারিস ফর্ম ও রিপোর্ট তৈরি করা হয়।
- অন্যান্য ফরমেটে ডা্টার ইমপোর্ট এক্সপোর্ট এই এক্সেস করে থাকে।
মাইক্রোসফট অফিস এর এই একই সফটওয়্যারে এই প্রোগ্রাম গুলো ছাড়া আরো অসংখ্য প্রোগ্রাম রয়েছে। যেগুলো আমরা ব্যবসা ও অফিসের কাজে ব্যবহার করার সুযোগ পায়।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা, আপনারা যারা ব্যবসা করতে চান বা চাকরি করতে চান? সেক্ষেত্রে উক্ত মাইক্রোসফট অফিস এর প্রতিটি প্রোগ্রাম এর কাজ জানা থাকতে হবে।
কারণ এই বিষয় গুলো নিয়েই মূলত ব্যবসা ও অফিসেরর কাজ গুলো সম্পাদন করতে হবে। বিশেষ করে আপনি যদি মাইক্রোসফট অফিস এর কাজে দক্ষ হতে পারেন। তাহলে চাকরি পেতে অনেক সুবিধা হবে।
আর এই মাইক্রোসফট অফিস সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে। কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
ধন্যবাদ।