থাইল্যান্ড ভিসা : বর্তমান সময়ে, ভ্রমণ করার জন্য ইন্ডিয়ার পরে, আমাদের বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষের প্রথম পছন্দ হয় থাইল্যান্ড।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড যেতে চান? তাহলে অনেক ধরনের ভিসা ক্যাটাগরি পেয়ে যাবেন।
তাই আপনি যদি থাইল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং এর বিস্তারিত তথ্য জানতে চান? তাহলে আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
থাইল্যান্ড ভিসা
থাইল্যান্ড টুরিস্ট ভিসা এবং থাইল্যান্ড ভ্রমণ ভিসাতে সাধারণত সিঙ্গেল এন্ট্রি তিন মাস এর এবং মাল্টিপল এন্ট্রি ছয় মাসের মেয়াদ দেওয়া হয়।
উক্ত ভিসাতে প্রতি এন্টিতে থাইল্যান্ডে আপনি সর্বোচ্চ ৬০ দিন অবস্থান করতে পারবেন।
আগের সময় গুলোতে ডাবল এন্ট্রি ছয় মাসের ভিসা প্রদান করা হতো । এ সময় মনে হয় এখন আর সেটি প্রদান করা হয় না।
থাইল্যান্ড টুরিস্ট ভিসা টাইপ হচ্ছে- TR. তাছাড়া ট্রানজিট, মেডিকেল এবং বিজনেস ইত্যাদি ভিসা সার্ভিস থাইল্যান্ডের রয়েছে।
থাইল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং নিজে করবেন না এজেন্সি দিয়ে করাবেন ?
আপনি যদি থাইল্যান্ড যেতে চান তাহলে থাইল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং আপনি নিজে করবেন না এজেন্সি দিয়ে করাবেন। এটি পুরোপুরি আপনার উপর নির্ভর করবে।
এখন আপনি যা ডিসিশন নেবেন, নিজে নিজে থাইল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং করতে পারেন। আবার এজেন্সির মাধ্যমেও করাতে পারেন।
এজেন্সি দিয়ে দিয়ে ভিসা করার ফলাফল
আপনি যদি থাইল্যান্ড ভিসা সম্পর্কে না বোঝেন সে ক্ষেত্রে, সব থেকে ভালো হবে। কোন ভাল এজেন্সির মাধ্যমে থাইল্যান্ড ভিসা করে নেওয়া।
তাছাড়া এজেন্সি ফরম পূরণ করা থেকে শুরু করে, ভিসা আবেদন জমা করে আপনার কাছে পাসপোর্ট ফেরত দেবে।
যার ফলে আপনাকে থাইল্যান্ড ভিসা করার সময় কোন ঝামেলা করতে হবে না অনেক সময় বেঁচে যাবে।
আর আপনারা যদি এজেন্সির মাধ্যমে থাইল্যান্ড ভিসা করতে চান? তাহলে মূল চার্জের পরে যে ফ্রি নেয়া হয় তা অনেকটাই কম।
এক্ষেত্রে আপনি আপনি যদি একজন চাকরিজীবী হয়ে থাকেন। বা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন। বা অন্য কোন প্রফেশনে ভালো অবস্থানে থাকেন।তবে এজেন্সি আপনার জন্য অনেক ভালো হতে পারে।
নিজে নিজে ভিসা করার ফলাফল
আপনি যদি নিজের কাগজপত্র নিয়ে কনফিডেন্ট না হয়ে থাকেন বা আপনার পেশা যদি প্রচলিত ধাচের না হয়। এছাড়া আপনি যদি চান আপনার আবেদন ইউনিক হোক তাহলে নিজে নিজেই করুন।
আপনি যদি কোন অনলাইনে নিজের প্রফেশন গড়ে তোলেন তাহলে, আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা করার দায়িত্ব দেন। তাহলে কিন্তু সে সেরকম আইডিয়া করে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন না।
তাই আপনি যদি ইউনিকভাবে থাইল্যান্ড ভিসা করতে চান? তাহলে নিজে নিজেই করার চেষ্টা করুন।
থাইল্যান্ড টুরিস্ট ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
তো বন্ধুরা আপনারা যারা থাইল্যান্ড টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান? তাদের জন্য অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে। যা আবেদনের প্রথম ধাপ প্রয়োজনে কাগজপত্র সংগ্রহ করা।
তো আমি আপনার সুবিধার জন্য এখানে ধাপে ধাপে জানানোর চেষ্টা করব। থাইল্যান্ড ভিসা আবেদনের জন্য কি ধরনের ডকুমেন্ট লাগবে।
সেগুলো হচ্ছে-
- থাইল্যান্ডের ভিসা আবেদন ফরম
- পাসপোর্ট
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট
- আপনার প্রেশার প্রমাণপত্র
- ভিসা রিকুয়েস্ট লেটার
- এয়ার টিকেট বুকিং
- হোটেল বুকিং
- ভ্রমণ পরিকল্পনা
- পাসপোর্ট এর ডাটা পেজের ফটোকপি
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- বৈবাহিক সনদপত্র
- 18 বছরের নিচে হলে অভিভাবকের সম্মতি পত্র
তো বন্ধুরা আপনারা যারা থাইল্যান্ড টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান? তাহলে উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো ইংরেজিতে হতে হবে।
এক্ষেত্রে কোন ডকুমেন্টে যদি বাংলায় বা অন্যান্য কোন ভাষায় থাকে। তবে ইংরেজিতে নোটারি করে নিবেন।
থাইল্যান্ড টুরিস্ট ভিসা আবেদন ফরম পুরন
থাইল্যান্ড টুরিস্ট ভিসা যাওয়ার আগে সকল প্রকার ডকুমেন্টস জোগাড় করা হয়ে গেলে। এখন আপনাকে থাইল্যান্ডস ভিসা ফরম পূরণ করতে হবে।
থাইল্যান্ডের ভিসা ফরম অনেক সংক্ষিপ্ত এক পাতার একটি ফর্ম।
তাই আপনারা খুব সহজে সেটি পূরণ করে নিতে পারবেন। তো ফরম পূরণ করতে চাইলে প্রথমে আপনারা সাইমন গ্লোবাল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
তারপর সে ফর্মটি সঠিকভাবে ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে।
আপনারা থাইল্যান্ড ভিসা পাওয়ার জন্য এ ফর্মটি পূরণ করে সরাসরি ভিসা অফিসে জমা দিয়ে আসবেন।
থাইল্যান্ড ভিসা খরচ কত
আপনারা থাইল্যান্ড টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে উপরোক্তা আলোচনায় অনেক তথ্য জানতে পারলেন। কিন্তু এখন আমি আপনাকে জানাবো থাইল্যান্ড ভিসা খরচ কত টাকা।
তো আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড টোটেস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান? তাহলে আপনার ভিসা খরচ হতে পারে।
ভিসার ক্যাটগরি | ভিসা খরচ | ভিসা এন্ট্রি | ভিসার মেয়াদ |
টুরিস্ট ভিসা | ৩০০০/- | সিঙ্গেল ভিসা | ৩ মাস |
টুরিস্ট ভিসা | ১৫০০০/- | মাল্টিপল ভিসা | ৬ মাস |
ট্রানজিট ভিসা | ২৪০০/- | সিঙ্গেল ভিসা | ৩ মাস |
ট্রানজিট ভিসা | ৪৮০০/- | ডাবল ভিসা | ৬ মাস |
উপরোক্ত ভিসা যে খরচটি দেখতে পারছেন। এটি ছাড়াও ভিসা আবেদন গ্রহণকারীদের সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে। থাইল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং ফি ১২৬০ টাকা।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনার যারা থাইল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান? তারা কিভাবে আবেদন করবেন। কত টাকা লাগবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারলেন।
তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান? তাহলে উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী আবেদন ফরম পূরণ করে, নির্দিষ্ট ভিসা অফিসে জমা দিয়ে দ্রুত ভিসা করে নিতে পারবেন ফি পরিশোধ করে।
তো বন্ধুরা থাইল্যান্ড ভিসা আবেদন করার উপায় সম্পর্কে আপনার যদি আরো কোন কিছু জানার থাকে। তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
এছাড়া আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে বাংলাদেশ থেকে। বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য। ভিসা সম্পর্কিত তথ্য জানতে, নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।