বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা : আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জানিয়ে দেবো।
বেলজিয়াম কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত সেই সাথে, আপনারা বেলজিয়াম কাজের বেতন কেমন পাবেন। সে বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়ে দেব।
এক্ষেত্রে, আমি আশা করবো আপনি যদি আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়েন। তাহলে পুরোপুরি ভাবে, বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই চলুন বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা যাক।

বর্তমান সময়ে বেলজিয়ামের বিভিন্ন দেশ থেকে ওয়ার্ড পারমিট ভিসা নিয়ে মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছেন। কারণ বেলজিয়ামে কাজের চাহিদা দিন দিন অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে বেলজিয়ামে, কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে সেখানে কাজের তেমন কোনো রিকোয়ারমেন্ট প্রয়োজন হয় না।
তাই প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার জন্য বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় চালু করেছে, যা বিভিন্ন কোম্পানিতে জনবল নিয়োগ করার জন্য।
তাই আপনারা বেলজিয়ামে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানিতে, কাজ করতে আগ্রহী হলে অবশ্যই বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করে নিতে হবে।
বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিন ভিসা
বর্তমান সময়ে বেলজিয়াম সরকার বিশেষ করে, জনপ্রিয় কয়েকটি ক্যাটাগরিতে লোক নিয়োগ করার জন্য নোটিশ প্রদান করেছেন। তারা বিভিন্ন দেশ থেকে জনবল নিয়োগ দিবেন বলে জানিয়েছেন।
এশিয়া মহাদেশ হতে, প্রায় অনেক সংখ্যক লোক ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় বেলজিয়ামে গমন করতে পারবে। তারা বেলজিয়াম দিয়ে যে কাজগুলো করতে পারবেন তার কিছু ধারণা দিয়ে দিয়েছে যেমন- ড্রাইভিং, গার্মেন্টস শ্রম, কৃষি শ্রমিক, হোটেল কর্মী সহ আরো বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কাজ করতে পারবেন।
এই সকল কাজের বিনিময়ে আপনারা বাংলাদেশ থেকে বেলজিয়ামে গেলে মাস শেষে, ৭০ হাজার টাকা থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা আয় করার সুযোগ পাবেন।
উক্ত বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য এমন কোন কঠিন রিকোয়ারমেন্ট প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র তিন মাসের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একটি কাজের সার্টিফিকেট থাকতে হবে। যা আপনার বেলজিয়াম হওয়ার পারমিট ভিসা আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
বেলজিয়াম যেতে কত টাকা লাগে?
বাংলাদেশ থেকে যারা বেলজিয়াম যেতে চায়, তারা জানতে চাই বেলজিয়াম যেতে কত টাকা লাগে? তাই তাদের উদ্দেশ্যে আমি আপনাকে বলতে চাই।
আপনি যদি বেলজিয়াম যেতে চান? তাহলে সর্বনিম্ন ৭৫০ ডলার খরচ হতে পারে। যা আপনাকে বেলজিয়াম যাওয়ার সকল কাজের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে।
তাই আপনার যদি সামর্থ্য থাকে বেলজিয়াম যেতে, তাহলে টাকা সংগ্রহ করে, প্রয়োজনীয় রিকভারমেন্ট এবং কাগজপত্র সাথে নিয়ে বেলজিয়াম দূতাবাসে যোগাযোগ করে ভিসা সম্পন্ন করে নিতে পারেন।
বেলজিয়াম বেতন কত ?
অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন, বেলজিয়ামে কাজের বেতন কত? এক্ষেত্রে আমি আপনাকে বলতে চাই বেলজিয়ামের বিভিন্ন কাজের বেতন বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনি যদি ড্রাইভিং কর্মী হিসেবে বেলজিয়ামে গমন করেন, তাহলে আপনারা প্রায় 2 লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
ড্রাইভিং কাজে যদি আপনি মাস শেষে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে চান? তবে অবশ্যই 9 ঘণ্টা থেকে 12 ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করতে হবে।
এছাড়া বর্তমান সময়ে বেলজিয়ামের বিভিন্ন কাজের চাহিদা রয়েছে, যেগুলো আপনারা পার্টটাইম হিসেবে শুরু করতে পারবেন। আবার ফুল টাইম হিসেবে করে আরো বেশি টাকা রোজগার করতে পারবেন।
আবার আপনি যদি বেলজিয়ামে গিয়ে রেস্টুরেন্ট কর্মী হিসেবে কাজ করেন। সেক্ষেত্রে, ৭০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত রোজগার করতে পারবেন।
এখন আপনারা বেলজিয়াম যাওয়ার পর যে, কোন কাজই করেন না কেন? কাজের বিনিময়ে আপনি সর্বনিম্ন ৭০ হাজার টাকা অনায়াসে আয় করতে পারবেন। আপনার কাজের দক্ষতা যদি বেশি থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি আরও বেশি পরিমাণে টাকা রোজগার করতে পারবেন।
বেলজিয়ামে যাওয়ার উপায়
বর্তমান সময়ে বেলজিয়ামে যেতে চাইলে, বিভিন্ন দেশের এম্বারসির মাধ্যমে, খুব সহজে যেতে পারবেন। আপনি যদি বেলজিয়ামের উদ্দেশ্য থেকে কাজ নিয়ে যেতে পারেন।
তবে আপনাকে বেলজিয়াম এম্বাসি এবং বিভিন্ন ধরনের সরকারি ও বেসরকারি এম্বাসি গুলোর সাথে যোগাযোগ করে ভিসা সম্পন্ন করে নিতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে বেলজিয়ামে যাওয়ার জন্য কোন এম্বাসি চালু হয়নি। তাই আপনাকে দিল্লির মাধ্যমে বেলজিয়াম ভিসার জন্য যোগাযোগ করতে হবে। যার ফলে আপনার বেলজিয়াম যেতে খরচ হতে পারে প্রায় ৯ লাখ টাকার মত।
দিল্লির এম্বাসি থেকে যেতে চাইলে আপনাকে সরাসরি ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনি যদি ভিসা করার জন্য কোন দালালের খপ্পরে পড়ে যান। তাহলে আপনার খরচের পরিমাণ আরো বেশি লাগতে পারে। তাই নিজে নিজে ভিসার আবেদন সম্পন্ন করে, বেলজিয়াম গমন করতে পারেন।
বেলজিয়াম ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র
আপনি যদি বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান? তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সংগ্রহ করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং রিকোয়ারমেন্ট পূরণ না করতে পারলে, আপনি ভিসার জন্য অ্যাপ্রভাল পাবেন না।
তো চলুন জেনে নেয়া যাক, বেলজিয়াম ভিসার জন্য আবেদন করতে, কি ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে।
- আপনার কাছে ছয় মাস মেয়াদে পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি থাকতে হবে।
- যে কোন নির্দিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা সনদ থাকতে হবে।
- ইংরেজি ভাষা শিক্ষার সনদ থাকতে হবে।
- ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকতে হবে।
- করোনাভাইরাস (কোভিড-19) সনদপত্র থাকতে হবে।
আপনার কাছে যদি এই কাগজ পত্র গুলো সংরক্ষিত থাকে। তাহলে আপনি খুব সহজে, বেলজিয়ামের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা নিজের দেশ থেকে বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান? তারা চাইলে উপরোক্ত আলোচনা অনুসরণ করে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে এবং বেলজিয়াম যাওয়ার জন্য খরচ বহন করতে পারলে, খুব সহজেই বেলজিয়ামে গমন করতে পারবেন।
আর বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কোন কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে, জানাতে পারেন। এছাড়া আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে আরও বিভিন্ন ধরনের ভিসা সম্পর্কে জানতে নিয়মিত ভিজিট করুন।
ধন্যবাদ।