লন্ডন স্টুডেন্ট ভিসা : একজন মানুষ নিজের এবং পরিবারের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করার জন্য বিদেশ পাড়ি জমায়।
কারণ বাংলাদেশে অল্প বেতনে চাকরি করে বা কাজ করে, পরিবারের খরচ সচ্ছলভাবে চালাতে পারে না বিধায়, সে বিদেশ গিয়ে অবস্থান করেন।
আর বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশের কথা আসলেই মানুষের মনে প্রশ্ন শুরু হয় যে, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, দুবাই ইত্যাদি দেশ সম্পর্কে।
কিন্তু শিক্ষিত সমাজ এর মধ্যে লন্ডন নাম অতি পরিচিত। শিক্ষিত সমাজের অধিকাংশ মানুষ চাই একবার হলেও লন্ডন গমন করতে।
কারণ বর্তমান সময়ে, সব থেকে সৌন্দর্য এবং জীবনের বিলাসিতা দেখে যে কেউ লন্ডন যেতে চাই। বর্তমানে মানুষের জীবনযাত্রা অন্যরকম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া এই সকল দেশের কাজের বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে। সবকিছু মিলিয়ে মানুষ যখন লন্ডনের নাম শুনে তখন তার মনে এক অন্যরকম অনুভূতি সৃষ্টি হয়।
অনেকের মনে ইচ্ছা জাগে যদি লন্ডন যেতে পারতাম।
তাই আপনাদের কথা চিন্তা করে, আজ আমি এখানে লন্ডনের ভিসা কত টাকা সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।
তাই আপনি যদি লন্ডন স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আমরা আপনার সুবিধার জন্য এখানে লন্ডনের জনপ্রিয় ভিসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। যেগুলো অনুসরণ করে আপনারা বিভিন্ন প্রয়োজনে লন্ডন গ্রহণ করতে পারবেন।
- মালয়েশিয়া কলিং ভিসা ২০২৩ (জেনেনিন এখানে)
- দুবাই কাজের ভিসা ২০২৩ প্রসেসিং | দুবাই ভিসা নিজেই করুন
- কানাডা জব ভিসা খরচ ২০২৩ (বিস্তারিত)
তো চলুন আর দেরি না করে জেনে নেয়া যাক। লন্ডনের বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা এবং দাম সম্পর্কে।
লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আপনারা যারা লন্ডন কাজের উদ্দেশ্যে গমন করতে চান। সেক্ষেত্রে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে।
বর্তমান সময়ে লন্ডন বিশ্বের সকল দেশের মানুষ এর জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু করেছে।
তাই আপনি চাইলে বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে লন্ডন গমন করতে পারবেন। কিন্তু ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে, লন্ডন যেতে চাইলে অবশ্যই কিছু শর্ত অনুসরণ করতে হবে।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় লন্ডন যাওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে, লন্ডন ভাষা শিক্ষায় দক্ষ অর্জন করতে হবে।
এছাড়া ইংরেজি ভাষা ব্যতীত আপনাকে সর্বনিম্ন এইচএসসি পাস যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। এছাড়া আপনি ভিসা আবেদন করতে পারবেন না।
কারণ লন্ডন যে সকল কাজের জন্য, শ্রমিক নেওয়া হয়, সেখানে ভাষা শিক্ষার অনেক জরুরী। কারণ ভাষা না বুঝলে আপনি সেখানে গিয়ে কোন কাজই করতে পারবেন না।
তাছাড়া আপনাকে IELTS SCORE সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। আপনার যদি IELTS SCORE 6.00 এর উপরে হয়ে থাকে। তাহলে আপনি অতি সহজেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে আপনার খরচ হতে পারে প্রায় ৪০০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ৪ লক্ষ টাকা। এখানে সবকিছু মিলিয়ে আপনার খরচ হতে পারে পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা।
তো আপনি যদি উপরোক্ত টাকা খরচ করে, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে লন্ডন গমন করেন সে ক্ষেত্রে আপনার কাজের বেতন অনেক ভাল পাওয়া সম্ভব না হবে।
বিশেষ করে, আপনি যদি লন্ডন ওয়ার পারমিট ভিসায় যেতে পারেন। সেখানে কাজের বেতন হবে। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় মাসে 2 লক্ষ টাকা।
তাই আপনি যদি শ্রমিক হিসেবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে লন্ডন যেতে চান? সেক্ষেত্রে অবশ্যই ইংরেজি ভাষার দক্ষ হতে হবে।
লন্ডন স্টুডেন্ট ভিসা
আপনারা যারা লন্ডন পড়াশোনা করার জন্য যেতে চান। তাদের জন্য অবশ্যই লন্ডন স্টুডেন্ট ভিসা করতে হবে। তো আপনি যদি লন্ডন স্টুডেন্ট ভিসায় যান সে ক্ষেত্রে সেখানে বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় গুলো পেয়ে যাবেন।
যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিশ্বের সবথেকে নামিদামি, বিজ্ঞানী এবং ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তার বের হয়ে আসছে।
যদি আপনার ভালো পড়াশোনা করার ইচ্ছা থাকে তবে আপনি স্টুডেন্ট ভিসা করে লন্ডন যেতে পারেন।
তো আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসাইল লন্ডন যেতে চান? সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মত। কিন্তু এখানে আপনার এইচএসসির সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং IELTS SCORE 6.00 এর ওপরে হতে হবে।
লন্ডনের ভিসার দাম কত ?
তো আপনারা যারা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে লন্ডন যেতে চান? সেক্ষেত্রে লন্ডনের বিভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করবে আপনার ভিসার দাম কত হতে পারে।
লন্ডন যেতে সবথেকে কম খরচ হয় ভিজিট ভিসায়।
ভিজিট ভিসা বের করতে আপনার খরচ হতে পারে সর্বমোট ১০ হাজার টাকা। এরপর কম খরচ পড়বে স্টুডেন্ট ভিসা করতে। স্টুডেন্ট ভিসা বের করার জন্য আপনার খরচ হবে বারো হাজার টাকার মত।
কিন্তু সেখানে যেতে বিমান ভাড়া থেকে শুরু করে, অন্যান্য সবকিছু মিলিয়ে 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
বর্তমান সময়ের লন্ডনের সবথেকে দামি ভিসার নাম হচ্ছে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। এ ভিসা পাওয়া খুবই কঠিন কাজ। কারণ লন্ডন দক্ষ কারিগর ছাড়া ভিসা প্রদান করা হয় না।
আর লন্ডন আপনাকে ভিসা প্রদান করার আগে আপনাকে পরীক্ষা করে দেখবেন। যদি আপনি তাদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন তারপর আপনাকে তারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রদান করবেন।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বাংলাদেশ থেকে করতে চাইলে চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। শুধুমাত্র ভিসা বের করাতে এত খরচ হয়।
লন্ডন যেতে কত টাকা লাগে ?
আমি আপনার সুবিধার জন্য এখানে খোলাসা করে বলতে চাই, লন্ডন যেতে কত টাকা লাগে। আমরা আগেই বলেছি আপনাকে লন্ডন যেতে চাইলে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে।
আপনার প্রয়োজনীয় ভিসার ওপর নির্ভর করে ভিসার দাম নির্ধারণ হয়। তাই আপনি যদি লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান?
তাহলে চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হবে আবার আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় লন্ডন যেতে চান? সেক্ষেত্রে আপনার দুই লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।
লন্ডন ভিসা প্রসেসিং
লন্ডনের ভিসা প্রসেসিং করার আগে আপনাকে কিছু বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে যেমন আপনাকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং IELTS SCORE 6.00 এর উপরে থাকতে হবে।
এছাড়া আপনাকে অবশ্যই সর্বনিম্ন সার্টিফিকেট এসএসসি পাস হতে হবে। আবার এইচএসসিতে আপনার পয়েন্ট 4.00 এর উপরে হতে হবে।
যদি আপনার এই সকল জিনিস থাকে। তবে সহজেই লন্ডন ভিসা পেয়ে যাবেন।
লন্ডন ভিসা আবেদন করার পরে, তারা আপনাকে পরীক্ষার জন্য ডাকবে। আপনি যদি সেখানে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তারপর আপনার ভিসা প্রসেসিং শুরু হয়ে যাবে।
আপনার যদি ভিসা আবেদন করতে অসুবিধা হয় তাহলে, বিশ্বস্ত কিছু দালালের সম্মুখীন হতে পারেন। এক্ষেত্রে ভিসা প্রসেসিং খরচের যে টাকা লাগে তার থেকে একটু বেশি খরচ হতে পারে।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা লন্ডন ভিসার দাম কত? সে বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। তারা উপরোক্ত আলোচনা অনুসরণ করে, খুব সহজেই জেনে নিতে পারলেন লন্ডন বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসার দাম কত?
তো শেষ পর্যন্ত আমাদের লেখা আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
আর বিশেষ করে আপনার বন্ধু বান্ধবদের লন্ডন ভিসার দাম জানাতে, একটি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।