ইউকে ভিজিট ভিসা | ইউকে ভিজিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

বর্তমান সময়ে ইউকে ভিজিট ভিসা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। তাই তাদের সুবিধার জন্য আজকের এই আর্টিকেলে নিয়ে হাজির হয়েছি ইউকে ভিজিট ভিসা নিয়ে।

তাই আপনি যদি ইউকে ভিজিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে চান? আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়ুনভ

আশা করি আমাদের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ার ফলে আপনি ইউকে ভিজিট ভিসা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।

যার ফলে, আপনি ইউকে ভিজিট ভিসা আবেদন করার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সহজ হবে।

ইউকে ভিজিট ভিসা | ইউকে ভিজিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
ইউকে ভিজিট ভিসা | ইউকে ভিজিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

তো চলুন ভিজিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেয়া যাক।

ইউকে ভিজিট ভিসা

ইউকেতে আপনি যদি প্রথম অবস্থায় ভিজিট করতে আগ্রহী থাকেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ছয় মাসের জন্য আবেদন করতে হবে।

আবার কেউ ছয় মাসের ভিজিট ভিসা পাওয়ার পর, নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাসের ভিতরে নিজের দেশে ফিরে আসে। তাহলে পরবর্তী সময়ে এক বছরের জন্য ইউকে ভিজিট ভিসার আবেদন করতে পারবে।

আর ইউ কে ভিজিট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার পুরোপুরি নির্ভর করবে, আপনার যোগ্যতার ওপর এবং প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের উপর।

ইউকে ভিজিট ভিসা আবেদনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

প্রথমে বলে রাখি আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হিসেবে, চাকরিজীবী হিসেবে, ইউকে ভিজিট করবেন? সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিজের দেশের ফিরে আসতে হবে।

এক্ষেত্রে, আপনি যদি ব্যবসায়ী বা চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে, ইউকে ভিজিট ভিসা আবেদনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো প্রয়োজন হবে। যেমন-

আপনি যদি ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে আপনার ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স লাগবে।

আপনি যদি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন। কোন কোম্পানির পক্ষ থেকে ভিজিট পারমিশন লেটার ও ভিজিট করে আবার চাকরিতে যোগদান করবেন সে বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে।

ভিসা আবেদনকারী ব্যবসায়ী হলে তার ভিজিটিং কার্ড লাগবে।

আপনি কি ধরনের ব্যবসা করেন তার প্রমাণপত্র ডকুমেন্ট লাগবে। এক্ষেত্রে আপনি ক্লায়েন্টের সাথে কি ধরনের ব্যবসা করছেন বা কি প্রোডাক্ট বিক্রি করছেন তার রিসিপ্ট সহ প্রমাণপত্র লাগবে।

অন্যদিকে আপনি যদি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন বা ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন। আপনার নিজস্ব কিছু সম্পদ রয়েছে, তাদেরকে সেই কাগজপত্র গুলোর নোটারি পাবলিক ডকুমেন্ট সংরক্ষিত করতে হবে।

আপনার কাছে কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদী একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে।

বিভিন্ন দেশে ভিজিট করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

আপনার ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে।

ইউকে ভিজিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনারা উপরের আলোচনায় জানতে পারলেন। ইউকে ভিজিট ভিসা আবেদনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে। সেই সঙ্গে এখন আপনাকে জানতে হবে। ইউকে ভিজিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগবে।

তো চলুন জেনে নেয়া যাক ইউকে ভিজিট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত। যেমন-

  • ইউকে ভিজিট ভিসা আবেদন ফরম।
  • ভিসা পেমেন্ট কনফার্মেশন লেটার।
  • এপয়েন্টমেন্ট লেটার
  • এক বছর মেয়াদী পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট সর্বনিম্ন ৬ মাসের।
  • বর্তমানে যে দেশে অবস্থান করছেন সে দেশের লিগাল স্ট্যাটাস এর কপি।
  • স্টুডেন্ট হয়ে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হলিডে লেটার।
  • চাকরিজীবী হলে কোম্পানির উচ্চ কর্মকর্তার কনফার্মেশন লেটার।
  • চাকরিজীবী হলে সর্বশেষ তিন মাসের স্যালারি স্লিপ।
  • ব্যবসায়ী হলে রেজিস্ট্রেশন কাগজপত্র।
  • ব্যবসায়ী হলে ব্যবসার সর্বশেষ তিন মাসের ব্যালেন্স শীট।

ওপরে যাবতীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর, কেউকে ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ইউকে ভিজিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম

আপনি যদি ইউকে ভিজিট ভিসা আবেদন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে একটি ফরম পূরণ করতে হবে। আর আবেদন ফরম পূরণ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি ইউজার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।

তার জন্য আপনারা যে কোন ওয়েব ব্রাউজার চালু করে, ফরম পূরণের কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন visa4uk.fco.gov.uk/account এই লিঙ্কে প্রবেশ করেন।

ফরম পূরণের কাজ শেষ করে, আপনাকে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফি কনফার্ম করতে হবে। ভিসা কনফার্ম করার জন্য আপনারা পেপাল, ভিসা, মাস্টার কার্ড আরো ইত্যাদি মাধ্যমে পে করতে পারবেন। ইউকে ভিজিট ভিসা এপ্লিকেশন ফি জমা দিতে হবে 193 ইউরো।

ইউকে ভিজিট ভিসার পেমেন্ট সম্পন্ন হয়ে গেলে। ভিসা অ্যাপ্লিকেশন অফিসে অ্যাপ্লিকেশন জমা দেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো জমা দিতে হবে।

ইউকে ভিজিট ভিসা ইন্টারভিউ

আপনি যখন সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করে ইউকে ভিজিট ভিসা সেন্টারে প্রবেশ করবেন তখন এপয়েন্টমেন্ট কনফার্মেশন লেটারে জায়গা ও তারিখ লেখা থাকবে।

ইউকে ভিজিট ভিসা ইন্টারভিউ দেয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই, ইন্টারভিউ এর 15 মিনিট আগে ইন্টারভিউ বোর্ডে উপস্থিত থাকতে হবে।

ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে আবেদন জমা দেওয়ার পরে আপনাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হবে। সেই সঙ্গে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হবে।

আপনারা চাইলে সকল প্রকার ডকুমেন্ট অরজিনাল জমা দিতে পারবেন। তারা আপনাকে ভিসা কনফার্ম করে রেমিটেন্সের কপি বাদ দিয়ে সকল প্রকার ডকুমেন্ট আপনার পোস্ট অফিসে ফেরত দেবে।

ইউকে ভিজিট ভিসা আবেদনের দিন থেকে 15 দিনের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন হয়ে যায়। আপনি যদি ইউকে ভিজিট ভিসা প্রাপ্য হন বা ইউকে ভিজিট ভিসা থেকে রিজেক্ট হন।

তাহলে সরাসরি আপনার পোস্ট অফিসের মাধ্যমে, আপনার জমা দেয়া যাবতীয় কাগজপত্র পাঠিয়ে দেয়া হবে।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা যারা ইউকে ভিজিট ভিসা নিয়ে ভ্রমণ করতে চাচ্ছেন। তারা উপরে উল্লেখিত আলোচনা অনুসরণ করে, প্রথম অবস্থায় যেকোনো দেশ থেকে ভিজিট ভিসা নিয়ে গিয়ে ৬ মাস অবস্থান করতে পারবেন।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিজের দেশে ফিরে আসার পরে। পুনরায় আপনি যদি ইউকে ভিজিট ভিসা করতে চান সেক্ষেত্রে, এক বছরের জন্য ভিজিট ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন।

এছাড়া ইউকে ভিজিট ভিসা সম্পর্কে আরো যদি কোন প্রশ্ন থাকে। কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর বিশেষ করে আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন দেশের ভিসা সম্পর্কে জানতে নিয়মিত ভিজিট করুন।

ধন্যবাদ।

আপনার জন্য আরও আর্টিকেল

Leave a Comment