টেলিগ্রাম কি : আমাদের আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জানিয়ে দেয়া হবে টেলিগ্রাম অ্যাপ এর সুবিধা ইতিহাস এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।
বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট নির্ভর মেসেজিং অ্যাপ গুলো আমাদের যোগাযোগ করার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
অফিসিয়াল আলোচনা থেকে শুরু করে প্রিয় বন্ধুদের, সাথে যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য। এবং যে কোনো সময় এই টেলিগ্রাম অ্যাপ গুলো ব্যবহার করা ভীষণ সহজ হয়ে উঠেছে।
বিশেষ করে ফেসবুক মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত মেসেজিং অ্যাপ হলেও। বর্তমান সময়ে আরো একটি মেসেজ সুরক্ষিত মেসেজিং প্লাটফর্ম হচ্ছে টেলিগ্রাম মেসেঞ্জার।
তাই আজ আমি আপনাদের টেলিগ্রাম টাইপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করব। আপনি এ বিষয়ে সকল তথ্য পেতে, নিচে দেওয়া তথ্য গুলো মনযোগ দিয়ে পড়ুন।
- মোবাইল নাম্বার ট্র্যাকিং বাংলাদেশ ২০২৩
- এন্ড্রয়েড মোবাইল স্লো হয়ে গেছে ? ফাস্ট করার সেরা ৫ টি উপায়
- ফ্রি ফেসবুক ডাউনলোড করার সহজ উপায়
টেলিগ্রাম কি ?
টেলিগ্রাম হচ্ছে এক ধরনের অনলাইন মেসেজিং অ্যাপ। যা অনেকটাই ফেসবুক মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেঞ্জার এর মতোই কাজ করে থাকে।
মানে মোবাইল ডাটা হটস্পট বা ওয়াইফাই ব্যবহার করে আপনি এই টেলিগ্রাম অ্যাপ এর সাহায্যে যে কাউকে বার্তা পাঠাতে পারবেন।
কিন্তু অবশ্যই আপনি যার কাছে বার্তা পাঠাবেন। তারও কিন্তু টেলিগ্রাম প্রোফাইল থাকতে হবে।
টেলিগ্রাম একটি ক্লাউড ভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ। আর এই টেলিগ্রাম অ্যাপের দাবি হচ্ছে যে এটি একটি নিরাপত্তা এবং হাই স্পিড মেসেজিং পারফরম্যান্স দেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
এই জনপ্রিয় টেলিগ্রাম প্লাটফর্ম মেসেজিং অ্যাপটি এর বর্ধিত গোপনীয়তা এবং এনক্রিপশন বৈশিষ্ট্য এর জন্য মানুষের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
তাছাড়া এটি বিশাল বড় গ্রুপ চ্যাট বৈশিষ্ট্য গুলো সমর্থন করে থাকে।
ফেসবুক মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেঞ্জার এই দুইটি অ্যাপ একই কোম্পানির মালিক হলেও। এক্ষেত্রে, টেলিগ্রাম এর সাথে অন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের কোনরকম যোগসূত্র নাই।
অনেক মানুষের কাছে এর সার্ভিসকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে এই অ্যাপটির সংস্করণ এর সাথে কাজ করে।
যেমন- অ্যান্ড্রয়েড, আই ও এস, ম্যাক, উইন্ডোস এবং লিনাক্স।
মানে, টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার না করেও, আপনি এটি ওয়েব ব্রাউজার থেকে এটি ব্যবহার করতে পারবেন খুব সহজে।
টেলিগ্রাম এর বৈশিষ্ট্য
টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপটির অনেকগুলো প্রধান বৈশিষ্ট্য আছে সেগুলো হচ্ছে-
- টেলিগ্রাম বিনামূল্য একটি অতিদ্রুত বার্তা আদান প্রদান করতে সক্ষম এবং ব্যবহার করা অনেক সহজ বিশেষ করে নিরাপদ।
- আপনার সকল ডিভাইসে একই সময় টেলিগ্রাম অ্যাপ বা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে সক্ষম।
- আপনার বার্তা গুলো আপনার যে কোন মোবাইল কম্পিউটার বার ট্যাবলেট কোন ঝামেলা ছাড়াই দ্রুত গতিতে ব্যবহার করতে পারবেন।
- এখানে বর্ধিত অ্যান্টিক্রিপশন এবং গোপনীয়তা সহ ক্রস প্লাটফর্ম মেসেজিং সার্ভিস প্রধান ব্যবস্থা চালু রয়েছে।
- টেলিগ্রামের বার্তার উপর সাধারণত ক্লায়েন্ট টু সার্ভার এনক্রিপসন দেওয়া হয়ে থাকে।
- কিন্তু গোপন চ্যাট বার্তাগুলো গোপনীয়তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে জরুরী এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন করা হয়।
- টেলিগ্রাম ম্যাসেজিং একটি গ্রুপ চ্যাট এবং সেলফ ডেস্ট্রাকটিং মেসেজগুলো সমর্থন করে থাকে।
- টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপটি মোবাইল ডিভাইসে ১০০ এমবি এর থেকেও কম জায়গায় নিয়ে থাকে।
- টেলিগ্রাম এর মাল্টি ডাটা সেন্টার এবং এনক্রিপশন অনেক দ্রুত এবং নিরাপদ হয়।
- টেলিগ্রামের প্রাইভেট মেসেজিং সার্ভিসটি সারাজীবন বিনামূল্য থাকবে।
- আর সবথেকে মজার বিষয় হচ্ছে আপনারা টেলিগ্রামে কোন প্রকার বিজ্ঞাপন ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন ঝামেলা মুক্তভাবে।
টেলিগ্রাম এর ইতিহাস
টেলিগ্রাম সম্পর্কে বলতে গেলে বলা যায় এটির সর্বপ্রথম যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সালে। নিকোলাই ও পাভেল দূরভ নাম এর দুই রাশিয়ান বংশোদ্ভূত ভাই উক্ত টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপটি প্রতিষ্ঠিত করেন।
পাভেল টেলিগ্রামকে আর্থিক এবং আদর্শিকভাবে সমর্থন করে।ন আর নিকোলাই এর প্রযুক্তিগত উন্নতির দিকে নজরদারী করেন।
টেলিগ্রাম তৈরি করতে নিকুলাই একটি নতুন কাস্টম ডাটা প্রটোকল তৈরি করেন। যে কারণে এই অ্যাপটি একাধিক ডাটা সেন্টার এর সাথে কাজ করতে সক্ষম হয়।
যার ফলে টেলিগ্রাম একটি যথেষ্ট উন্মুক্ত সুরক্ষিত এবং অপটিমাইজ অ্যাপ হয়ে ওঠে।
বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে প্রায় 600 মিলিয়ন এর বেশি মানুষ সক্রিয়ভাবে, এই টেলিগ্রাম ব্যবহার করছে।
টেলিগ্রাম এর সুবিধা
টেলিগ্রাম অ্যাপস টি ব্যবহারের বেশ কিছু বিশেষ সুবিধা আছে। যা নিচে আমরা ধাপে ধাপে আলোচনা করেছি।
সেগুলো হচ্ছে-
আমরা জানি হোয়াটসঅ্যাপে মাত্র ২৫৬ জনের গ্রুপ তৈরি করতে সক্ষম সেখানে টেলিগ্রাম অ্যাপটি ২ লক্ষ জনের বড় গ্রুপ তৈরি করতে সক্ষম।
টেলিগ্রামের সেলফ ডিস্ট্রয়িং মেসেজ এবং প্রাইভেট চ্যাট অপশন আপনাকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা ভিত্তিতে চ্যাট করার সুযোগ দেয়।
উইন্ডোজ, লিনাক্স বা আইএসও এই এপসটি বিভিন্ন ধরণের প্লাটফর্ম এর জন্য উপলব্ধ।
অন্যদিকে আপনি এই টেলিগ্রাম অ্যাপটি একই সময়ে মোবাইল ট্যাবলেট ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এমনকি বিভিন্ন ওয়েব ব্রাউজার থেকে এটি এক্সেস করতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বার্ষিক ফি চাষ করলেও। টেলিগ্রাম কিন্তু সারা পৃথিবীতে সম্পূর্ণ বিনামূল্য সার্ভিস প্রদান করে।
ইন্টারনেট থাকলেও টেলিগ্রাম এ বার্তা ও যেকোনো বড় ফাইল পাঠানো খুবই সহজ এবং দ্রুত পাঠানো যায়।
গোপনীয়তা বজায় রাখা এই টেলিগ্রাম এপস এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
এবং গ্রাহক তরফের ব্যবহারকারীরা কোনরকম প্রমাণ না রেখে সম্পূর্ণভাবে ডিলিট করে দিতে পারেন।
টেলিগ্রাম অ্যাপ ১.৫ জিবি সাইজ পর্যন্ত ফাইল ট্রান্সফার করতে পারে। যেখানে হোয়াটসঅ্যাপ মাত্র ১৬ এমবি পর্যন্ত file আদান প্রদান করতে পারে।
টেলিগ্রামের পাঠানো এবং গ্রহণ করা সকল ফাইল এবং তথ্য ক্লাউড স্টোরে জমা হয় বা সেভ হয়।
টেলিগ্রাম অ্যাপটি মূলত অপেন সোর্স। তার জন্য ডেভলপারা স্বাধীনভাবে এটিকে উন্নত করে নতুন ফাংশন এবং বৈশিষ্ট্য যুক্ত করতে পারেন তাই এটি প্রতিনিয়ত আপডেট হয়।
আমরা আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন। টেলিগ্রাম কেন এত জনপ্রিয় এবং সুবিধা সম্পন্ন।
আপনারা চাইলে টেলিগ্রাম অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন আমরা নিচে একটি লিংক যুক্ত করে দিয়েছি সে লিংকে ক্লিক করে টেলিগ্রাম অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিন।
ডাউনলোড করুন-Telegram App
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে বিশেষভাবে জানিয়ে দেয়া হলো, টেলিগ্রাম কি ? টেলিগ্রাম অ্যাপ এর সুবিধা, ইতিহাস ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।
আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে চান? তাহলে সব থেকে সুরক্ষিতভাবে এবং দ্রুততার সাথে টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।
তো বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দেবেন।
আর বিশেষ করে আপনার বন্ধুদের টেলিগ্রাম সম্পর্কে জানাতে, একটি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করুন ধন্যবাদ।