বাউন্স রেট কি ? ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমানোর উপায়

বর্তমান সময়ে যারা, ওয়েবসাইট ব্যবহার করে। তাদের ওয়েবসাইট কে অনেক কষ্ট করে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করে থাকে।

ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখা, ব্যাংকলিংক করা, এসইও করা ছাড়াও আরো বিভিন্ন কাজ গুলো করে। আর এই কাজ গুলো একজন ওয়েবসাইট কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের করতে হয়। মানে যিনি ওয়েবসাইট এর মালিক তাকেই উক্ত কাজ গুলো করতে হয়।

তারপরেও দেখা যায় একটি ওয়েবসাইট এর কাজ সম্পূন্ন ভাবে শেষ হয় না। তার সব চেয়ে বড় কারণ হলো বাউন্স রেট।

আপনার সাইটে যদি অতিরিক্ত বাউন্স রেট থাকে তাহলে আপনি কোন ভাবে সামনের দিকে এগোতে পারবেন না।

মানে বেশি বেশি আয় করতে পারবেন না ওয়েবসাইট থেকে। আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাকে জানাব, বাউন্স রেট কি? ওয়েবসাইট এর বাউন্স রেট কমানোর সহজ উপায়।

তাই আপনার ওয়েবসাইট সুন্দর ভাবে পরিচালনা করতে চাইলে বাউন্স রেট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। এবং শেষ পর্যন্ত লেখা পড়ুন।

বাউন্স রেট কি ? ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমানোর উপায়
বাউন্স রেট কি ? ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমানোর উপায়

এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন রেঙ্কিং এ ওয়েবসাইট এর বাউন্স রেট অনেক গুরুত্বপূরণ। আমরা ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিটর পাওয়ার মানে এই নয় যে, আপনার ওয়েবসাইট সঠিক ভাবে চলছে।

আপনি মনে করেন যে, আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত যেহেতু ভালো ভিজিটর পাওয়া যায়। তাহলে তো কোন সমস্যা নেই।

কিন্তু একটি ওয়েবসাইট শুধু ভিজিটর/ ট্রাফিক এর উপর নির্ভর করে ভালো পারফর্মেন্স করছে, এটি বিবেচনা করা যাবে না।

আপনার ওয়েবসাইট বা সাইট এর কনটেন্ট গুলো সার্চ ইঞ্জিনে শুধু ভিজিটর এর উপর ভিত্তি করে রেঙ্কিং দেয় না।

ওয়েবসাইটে রেঙ্কিং নিয়ে আসার জন্যে, অনেক কিছু এসইও টার্ম বা রেঙ্কিং ফ্যাক্টর অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এর মধ্যে বাউন্স রেট অন্যতম একটি রেঙ্কিং ফেক্টর।

বাউন্স রেট কি ? (Bounce Rate)

বাউন্স রেট হলো গুগল এনালাইটিক্স এর একটি মেট্রিক।

বাউন্স রেট কি, এটি জানার আগে আপনাকে বাউন্স সম্পর্কে জানতে হবে।

বাউন্স হচ্ছে- এমন একটি বিষয়। যা আপনার ওয়েবসাইট এর কোন পেজে একজন ভিজিটর আসার পরে, সেই পেজে থাকা সময় কেমন এনগেজমেন্ট হয়।

মানে একজন ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটের যে, কোন একটি পেজ থেকে অন্য কোন পেজে প্রবেশ করে কিনা, কোন পেজের লিংকে ক্লিক করে কিনা,

এবং ওয়েবসাইট এর কোন মেনুতে ক্লিক করে কিনা, ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করে গুগল এনালাইটিক্স বাউন্স রেট নির্ণয় করে থাকে।

আপনার ওয়েবসাইটে যত পরিমাণের কম  বাউন্স রেট হবে, ঠিক তত ভালো পারফর্মেন্স হচ্ছে সেটি ধরে নেওয়া যায়।

কারণ বাউন্স রেট কম থাকা এসইও/ গুগল রেঙ্কিং এর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

কোন ওয়েবসাইট এর বাউন্স রেট দেখার জন্য আপনি গুগল এনালাটিক্স টুলস ব্যবহার করে জানতে পারবেন। গুগল এনালাইটক্স টুলস থেকে আপনার ওয়েব সাইটে যে, কোন পেজ এর বাউন্স রেট ডিটেইলস দেখতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ

ওয়েবসাইট এর স্টান্ডার্ড বাউন্স রেট কত (%) শতাংশ

কোন ওয়েব সাইট এর টপিক বাউন্স রেট বিভিন্ন ভাবে নির্ণয় করা হয়। একটি সিম্পল ইনফোগ্রাফিক এর মাধ্যমে সেটি তোলে ধরা হলো। যেমন-

আমরা মনে করি পার্সোনাল ভাবে যে কোন ক্যাটাগরি’র ওয়েবসাইট এর জন্য 30% থেকে 40% বাউন্স রেট থাকা ভালো। তবে যদি 40% থেকে 50% বাউন্স রেট হয় এতে বেশি একটা ক্ষতিকর হবে না।

কিন্তু কোন ওয়েবসাইট যদি বাউন্স রেট 50% হয়ে যায়। তাহলে সেটি কমানোর জন্য সঠি উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি ওয়েবসাইট এ ভালো করে কাজ করার দরকার হবে।

আমাদের এই ওয়েবসাইট এর বাউন্স রেট All Time 5% থেকে 10% এর নিচে থাকে। অনেক ব্লগারের এটি অবিশ্বাস্য বলে মনে হতে পারে। কিন্তু এটাই সত্যি।

আমরা অনেক কাজ করার পরে বাউন্স রেট কমানোর বিষয়ে সফল হয়েছি।

আরো পড়ুনঃ

বাউন্স রেট কিভাবে কাজ করে ?

গুগল এবং অন্যান্য সকল সার্চ ইঞ্জিন সব সময় তাদের সার্চ কোয়েরি’তে সব থেকে রিলেভেন্ট ফলাফল শো করে। সার্চ ইঞ্জিন গুলো বট দ্বারা পরিচালিত করা হয়।

তাহলে যে কোন ওয়েবসাইট এর রিলেভেন্ট পেজ গুলো তারা সহজেই তাদের ব্যবহারকারীদের এনগেজমেন্ট এর উপর ভিত্তি করে নির্ণয় করতে পারে।

এর মধ্যে বাউন্স রেট অনেক গুরুত্বের সাথে দেখা যায়। যেমন-

আপনার ওয়েবসােইট এর একটি পেজ এর বাউন্স রেট 90% বা তার চেয়েও বেশি। একন গুগল এটি অনেক সহজে বুঝতে পারবে যে, আপনার উক্ত পেজ থেকে ভিজিটর কোন ভাবে উপকৃত হচ্ছে না।

তার জন্য ওয়েব পেজে আশা বেশির ভাগ ভিজিটর সময় না দিয়ে পেজটি থেকে চলে যায়।

গুগল যখন সেই বিষয়টি বুঝতে পারে তখন, আপনার পেজটি সার্চ ফলাফল থেকে ড্রপ করে দেয়। এতে করে আপনার সাইট রেঙ্কিং অনেক পেছনে চলে যায়।

এবং আপনার বাউন্স রেট হওয়ার ফলে অনেক ভাবে ক্ষতি সাধিত হবেন।

বিশেষ করে সাইট রেংক ড্রপ হবে এবং ট্রাফিক পাওয়া যাবে না। এতে করে টাকা আয় এর পরিমাণ কমে যাবে।

আর যদি আপনার ওয়েব সাইট বাউন্স রেট 30% এর কম হয়। তখন গুগল বুঝতে পারবে আপনার ওয়েবসাইট থেকে ভিজিটর নিশ্চয় উপকৃত হবে। এবং আপনার সাইটে ভালো পরিমানের টাকা আয় করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।

আরো পড়ুনঃ

ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমানোর উপায়

আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট জনপ্রিয় করে তুলতে চান।

তাহলে আপনাকে অবশ্যই ওয়েবসাইট এর বাউন্স রেট কমাতে হবে। যার ফলে আপনার সাইটে বেশি পরিমাণের ট্রাফিক নিতে পারবেন।

এবং গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইট দ্রুত রেঙ্কিং দেবে ভালো একটি পজিশনে।

তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমানোর সহজ উপায় গুলোঃ

আরো পড়ুনঃ

পেজ লোডিং টাইম

ওয়েবসাইট পেজের লোডিং টাইম কমানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো হোস্টিং ব্যবহার করতে হবে।

আপনার ওয়েবসাইট এর পেজ লোডিং টাইম যদি 5 সেকেন্ড হয় তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর দের এনগেজমেন্ট অনেক ভালো হবে।

উক্ত সাইট যদি 5 সেকেন্ড এর মধ্যে লোডিং হয় তাহলে আপনার সাইটের কনটেন্ট গুলো ভিজিটর সব সময় পড়তে চাইবে। তাই আপনি যদি ওয়েবসাইট বাউন্স রেট কমাতে চান।

তাহলে আপনাকে ভালো কোন কোম্পানি থেকে ভালো হোস্টিং আপনার সাইটে যুক্ত করতে হবে। তাহলেই আপনার সাইটে ভালো পেজ লোডিং থাকবে। এবং বাউন্স রেট হবে না।

এছাড়া আপনার ওয়েবসাইট এর পেজ এর লোডিং টাইম যদি 30-40 সেকেন্ড হয় তাহলে 99% ভিজিটর আপনার সাইটে প্রবেশ করতে চাইবে না।

ভিজিটর কোন সময় কোন ওয়েবসাইটে লিংকে ক্লিক করার পরে বেশি সময় অপেক্ষা করতে চাই না, অনেক বিরক্ত বুধ করে। এই কারণে আপনার সাইটে বাউন্স রেট বেড়ে যায়।

সব সময় চেষ্টা করবেন, আমরা আগেও বলেছি আবার বলছি ভালো কোন হোস্টিং ব্যবহার করুন। আপনার আপনার ওয়েবসাইট এ রসকল পেজের কনটেন্ট গুলো ভালো ভাবে অপটিমাইজ করুন।

আরো পড়ুনঃ

ইন্টারনাল লিংক

আপনার ওয়েবসাইটে যদি অতিরিক্ত ভাবে বাউন্স রেট থাকে। তাহলে আপনাকে অবশ্যই ওয়েবসাইট এর কনটেন্ট গুলোতে ইন্টারনাল লিংক তৈরি করতে হবে।

ওয়েবসাইট এর বাউন্স রেট কমানোর জন্য ইন্টারনাল লিংক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ইন্টারনাল লিংক বাউন্স রেট কমানোর পাশাপাশি এসইও করার জন্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখৈ। এছাড়া ইন্টারনাল লিংক করার ফলে ওয়েবসাইট এর পেজ গুলোর ভ্যালূ ‍বৃদ্ধি পায়।

একজন ভিজিটর ইন্টারনাল লিংকিং এর মাধ্যমে আপনার তৈরি করা একটি আর্টিকেল থেকে বিভিন্ন আর্টিকেলে প্রবেশ করতে পারবে।

যার ফলে আপনার সাইট এর বাউন্স রেট কমে যাবে। এবং ভালো পরিমাণের টাকা আয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

অতিরিক্ত ভাবে এড ব্যবহার

বর্তমান সময়ে অনেক ব্লগার আছে। যারা তাদের ওয়েবসাইট এর আর্টিকেল গুলোতে অপ্রয়োজনীয় ভাবে এড যুক্ত করে রাখে।

আমরা জানি কোন ভিজিটর ওয়েবসাইট এর এড দেখার জন্য প্রবেশ করে না। তারা মূলত তাদের প্রয়োজনীয় আর্টিকেল পড়ার উদ্দেশ্যে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে।

কোন পেজে যদি অতিরিক্ত এড থাকে। তাহলে ভিজিটর অনেক বেশি বিরক্ত হয়। তাই আপনার সাইটে যে সকল এলোমেলো এড রয়েছে সেগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।

আপনার সাইটে এড দিবেন। কারণ এড ছাড়া তো আয় করতে পারবেন না। সুন্দর ভাবে আপনার সাইটে এড শো করাবেন যাতে করে ভিজিটর আর্টিকেল পড়ার সময় কোন সমস্যা না হয়।

আরো পড়ুনঃ

কনটেন্ট লেখার বিষয়ে সতর্কতা

আপনি যখন কোন সাইটে আর্টিকেল/ কনটেন্ট লিখবেন। তখন আপনার লেখা অনেক সহজ হয়। ভিজিটর আপনার কনটেন্ট পড়ে যাতে সঠিক তথ্য পেতে পারে।

এর পাশাপাশি আপনার সাইট এর নিশ অনুযায়ী কনটেন্ট লিখার চেষ্টা করতে হবে। যেমন-

আপনার সাইট হলো টেকনোলজি বিষয়ে। এখানে আপনি যদি শিক্ষা বিষয়ে আর্টিকেল লিখেন তাহলে বাউন্স রেট বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তবে আপনার সাইটে আপনার ইচ্ছা মতো, আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারবেন। এতে কোন সমস্যা নাই।

কিন্তু ওয়েবসাইট এর প্রাইমারি নিশ অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে। তাই আপনার সাইট এর প্রাইমারি নিশ এর উপর ভিত্তি করে বেশি বেশি কনটেন্ট লিখে পাবলিশ করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ

ভিজিটরদের মতামত গ্রহণের ব্যবস্থা

আপনি যে ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন। সেখানে খেয়াল রাখবেন যে, আপনার সাইটে যে সকল ভিজিটর প্রবেশ করে, তাদের বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য।

তখন সেই তথ্য গুলোর বিষয়ে অনেক সময় তারা অল্প বুঝে থাকে। তাই ভিজিটর আপনাকে প্রশ্ন করে বিস্তারিত জানতে চায়। কিন্তু আপনার সাইটে যদি ভিজিটরদের মতামত গ্রহণের কোন ব্যবস্থা না থাকে।

তাহলে কিন্তু আপনার ওয়েবসাইট এর বাউন্স রেট বৃদ্ধি পাবে। তাই আপানর সাইটে সব সময় চেষ্টা করবেন। একটি মন্তব্য/ কমেন্ট বক্স তৈরি করার। যেখানে ভিজিটরদের মতামত গ্রহণ করতে পারবে।

আর একটি সাইটে কমেন্ট বক্স থাকলে ভিজিটর যে কোন সময় যে কোন প্রশ্ন করতে পারবে। আর আপনার সাইটে বাউন্স থাকলে সেটি কমে যাবে।

উক্ত বিষয় গুলো ছাড়া আরো অনেক কাজ আছে। সেগুলো আপনার ওয়েবসাইটে প্রয়োগ করতে পারলে, দ্রুত আপনার ওয়েবসাইট এর বাউন্স রেট কমিয়ে নিতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা, আজ আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারলেন, বাউন্স রেট কি? এবং ওয়েবসাইট এর বাউন্স রেট কমানোর উপায় সম্পর্কে।

আপনি যদি উক্ত বিষয় গুলো অনুসরণ করে আপনার ওয়েসাইটে কাজ করতে পারেন। তাহলে দ্রুত বাউন্স রেট কমিয়ে নিতে পারবেন।

আমাদের দেওয়া আর্টিকেল আপনার কাছে কেমন লাগলো, নিচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানাতে পারেন। আমাদের এই সাইট থেকে আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে চাইলে নিয়মিত ভিজিট করুন

ট্যাগঃ বাউন্স রেট কি ? ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমানোর উপায় বাউন্স রেট কি ? ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমানোর উপায় বাউন্স রেট কি ? ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমানোর উপায়

বাউন্স রেট কি ? ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমানোর উপায় বাউন্স রেট কি ? ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমানোর উপায় বাউন্স রেট কি ? ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমানোর উপায়

আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top