হ্যাশট্যাগ কি? হ্যাশট্যাগ কোথায় ও কিভাবে ব্যবহার করা হয়?

আমাদের এই পোস্টে, আপনাকে স্বাগতম। আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাকে জানাব হ্যাশট্যাগ কি? হ্যাশট্যাগ কোথায় ও কিভাবে ব্যবহার করা হয়।

আপনি যদি অনলাইনে ঘাটাঘাটি করে থাকেন তাহলে বিশেষ করে, ইউটিউব চ্যানেল গুলোতে (#) হ্যাশট্যাগ দেখে থাকবেন।

তবে অনেকে হ্যাশট্যাগ দেখতে পারেন কিন্তু হ্যাশট্যাগ কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, সেই বিষয়ে জানেন না। আপনি যদি হ্যাশট্যাগ এর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। তাহলে আমাদের দেওয়া তথ্য সমূহ শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়ুন।

বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলো যেমন- ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদি ব্যবহার করি। উক্ত এই ভার্চুয়াল জগতে প্রতিদিন ছোট বড় বিভিন্ন ধরণের ঘটনা ঘটে থাকে।

উক্ত ঘটনা গুলো ভার্চুয়াল জগতে সারা জীবন সংরক্ষণ হয়ে থাকে। উক্ত ভার্চুয়াল জগতে সকলের কাছে পরিচিত একটি শব্দ হলো হ্যাশট্যাগ (#)।

আমাদের মধ্যে যারা (# ট্যাগ) এর বিষয়ে না জানেন, এবং হ্যাশট্যাগ কিভাবে কোথায় ব্যবহার করতে হয় সেই বিষয়ে এই আর্টিকেলে তুলে ধরা হবে।

হ্যাশট্যাগ কি? হ্যাশট্যাগ কোথায় ও কিভাবে ব্যবহার করা হয়?
হ্যাশট্যাগ কি? হ্যাশট্যাগ কোথায় ও কিভাবে ব্যবহার করা হয়?

হ্যাশট্যাগ কি?

হ্যাশট্যাগ কি, জানার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে হ্যাশট্যাগ দেখতে আসলে কেমন। হ্যাশট্যাগ দেখতে (#) এই চিহ্ন কে বুঝানো হয়।

হ্যাশট্যাগ একটি শব্দ বা অব্যবধান যুক্ত শব্দ গুচ্ছ এর সামনে যুক্ত হ্যাশ চিহ্ন (#) কে বুঝায়। এটা মেটাডাটা ট্যাগের একটি ফর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

যেমন- বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া- ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ইত্যাদিতে কোন শব্দ লেখার আগে স্পেস না দিয়ে হ্যাশ (#) চিহ্ন যুক্ত করলে সেই লেখাটি নিল রঙে পরিনত হয়, এবং এটি আলাদা ওয়েব লিংকে রূপান্তরিত হবে।

পরবর্তী সময়ে উক্ত লিংকে ক্লিক করার ফলে ফেসবুক এর যে সকল স্থানে # ট্যাগ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে সে গুলো নতুন ওয়েব পেজে চলে যাবে।

হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করার ফলে, কোন সম্পর্কিত লেখা অনেক দ্রুত খুজে পাওয়া যায়। এছাড়া এ জন্য হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

হ্যাশট্যাগ বলতে কোন প্লাটফর্মে সকলের মতামত এক করার একটি মাধ্যম বা উদ্যোগ। কিন্তু হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে # ট্যাগ এর পরে, আপনি যেটি লিখবেন সেটির সাথৈ কোন স্পেস ব্যবহার করা যাবে না।

আরো পড়ুনঃ

যেমন- #জে-আইটি, #Jit.com.bd এরকম ভাবে লিখতে হবে।

সবার প্রথমে হ্যাশট্যাগ সেবা ব্যবহার করেন মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার। তারপরে 2013 সালে ফেসবুক এর ব্যবহার শুরু করে।

এরকম ভাবে ধিরে ধিরে, সকল প্রকার সোশ্যাল মিডিয়াতে, হ্যাশট্যাগ এর ব্যবহার শুরু হয়। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে, ফেসবুক থেকে ‍শুরু করে ইউটিউব চ্যানেল গুলোতে হ্যাট ট্যাগ ব্যবহার করার শুরু হয়ে গেছে।

আপনি যদি উক্ত বিষয় গুলো মনযোগ দিয়ে অনুসরণ করেন তাহলে হ্যাশট্যাগ কি এই বিষয়ে জেনে নিতে পারছেন। যদি না বুঝে থাকেন। তাহলে দয়া করে আরো একবার পড়ে নিবেন।

হ্যাশট্যাগ কিভাবে ব্যবহার করতে হয়

হ্যাশট্যাগ লেখার নির্দিষ্ট একটি পদ্ধতি আছে। উক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে, না চলতে পারলে আপনি কোন ভাবে আপনার লেখা শব্দ হাইপারলিংক বা ওয়েব লিংক করতে পারবেন না।

তাই হ্যাশট্যাগ করার জন্য আপনাকে হ্যাশট্যাগ লেখার সঠিক নিয়মটি জেনে নিতে হবে। তার জন্য নিচের দেওয়া তথ্য গুলো অনসুরণ করুন।

হ্যাশ ট্যাগ (#) চিহ্ন সকল সময় যে, শব্দকে আপনি লিণংক তৈরি করতে চান, সেটির আগে বসাবেন। আর হ্যাশট্যাগ চিহ্ন ও শব্দ গুলোর মধ্যে কোন স্পেস দিবেন না।

আপনি যদি একাধিক শব্দ ব্যবহার করেন, তাহলে শব্দ গুলোর মধ্যে কোন স্পেস দেওয়া যাবে না। যে শব্দ এর গায়ে, # চিহ্ন লেগে থাকবে সেটি লিংক হবে তবে বাকি গুলো লিংক হবে না।

হ্যাশট্যাগ এর মধ্যে কোন স্পে ছাড়া শব্দ গুলো লিখে দিতে হবে। যেমন- #https://blog.jit.com.bd আবার আপনি যদি একটু শব্দ ভাগ করে লিখতে চান, তাহলে #blog_jit_com_bd এরকম ভাবে লিংতে পারেন।

আপনি হ্যাশ ট্যাগ এর মধ্যে কোন চিহ্ন ব্যবহার করতে পাবেন না, যেমন- * , ! ৥ শুধু মাত্র (_) এই চিহ্ন ব্যবহার করতে পারবেন।

আপনি যদি শুধু মাত্র সংখ্যা ব্যবহার করে, হ্যাশট্যাগ বানাতে চান, তাহলে সেটি করা সম্ভব হবে না। তার জন্য সংখ্যার সাথে অবশ্যই অক্ষর (বাংলা বা ইংরেজি) ব্যবহৃত করতে হবে।

আপনার # ট্যাগ লেখা গুলো যখন নিল আকার ধারণ হবে তখন বুঝতে পারবেন আপনার হ্যাশট্যাগ তৈরি সম্পন্ন হয়েছে।

ইউটিউবে হ্যাশট্যাগ কিভাবে ব্যবহার করবেন?

ইউটিউবে হ্যাশট্যাগ তৈরি করার জন্য আপনি যেখানে ডিসক্রিপশন শিখবেন সেখানে যে, শব্দ হ্যাশট্যাগ এর সাথৈ লিংক করতে চান তার আগে # ট্যাগ চিহ্ন দিয়ে শব্দ লিখতে হবে।

এক্ষেত্রে মনে, রাখবেন হ্যাশ চিহ্ন দেওয়ার পরে, কোন স্পেস ব্যবহার করবেন না। এরকম ভাবে আপনি ভিডিও শেয়ার করার সাথে এভাবে ওয়েব লিংক বা হ্যাশট্যাগ করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ

হ্যাশট্যাগ ব্যবহারের উপকারিতা

হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করার অনেক উপকারিতা আছে। সে গুলোর বিষয়ে নিচের অংশে উল্লেখ করা হলো।

ব্যক্তি গত ব্যবহার বা ব্যবসার প্রসার বাড়ানোর জন্য হ্যাশট্যাগ এর মাধ্যমে যে কোন বিষয় সহজ ভাবে খুজে বের করা যায়।

হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করার ফলে এক সাথে অনেক গুলো পোস্টের বিষয়ে ভিজিটরকে জানিয়ে দেওয়া যায়।

যার ফলে একটি পোস্টে ভিজিটর প্রবেশ করার পরে তার প্রয়োজনীয় আরো একটি ভিডিও গ্রহণ করতে পারবেন। এতে করে ভিজিটর এর লাভ হবে এবং যার ব্লগ সেও ভালো পার্ফরমেন্স গ্রহণ করতে পারবে।

কোন ব্যবহারকারী যথন হ্যাশট্যাগ এর মাধ্যমে তার প্রয়োজনীয় পোস্টটি দেখতে পারবে তখন তারা একাই সাথে অন্য পোস্ট গুলো দেখার সুযোগ পাবে। এরকম ভাবে ভিজিটর বারবার দেখার পরে আস্তে আস্তে পোস্ট গুলো ভাইরাল হয়ে যাবে।

স্বতন্ত্র হ্যাশ ট্যাগ গুলো সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার কারীদের জন্য যে কোন তথ্য খোজার জন্য সহজ করে তোলে।

এছাড়া, হ্যাশট্যাগ গুলো ব্যবহারকারীদের আকর্ষণীয়ং করে তুলতে সাহায্য করে এবঙ অনেক মূল্যবান হিসেবে মনে করে।

হ্যাশট্যাগ সব সময় উন্নত হয়ে থাকে। যার ফলে বিভিন্ন প্লাটফর্ম গুলোতে অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়। উক্ত মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এ আপনার পছন্দ মতো তথ্য এক সাথে অন্যান্য প্লাটফর্মে তুলে ধরতে পারবেন।

ট্যাগ (tag) কি?

ট্যাগ হলো জুড়ে দেওয়া। আপনার কোন বন্ধুর ছবি বা স্ট্যাটাস পাবলিশ করার সময় আপনাকে ট্যাগ করে, এর মানে হলো আপনার সাথে সেটা জুড়ে দেওয়া হলো সেটিই ট্যাগ।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল সেটি যুক্ত হয়ে যাবে। তখন আপনার সকল বন্ধু সেই পোস্ট টি দেখতে পারবে।

এছাড়া, মনে করুন আপনি একজন ইউটিউবার এখন আপনি ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সময় উক্ত ভিডিও রিলেটিড হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করবেন।

যেমন আপনি একটি ভিডিও তৈরি করেছেন ঘরে বসে অনলাইন আয় করার উপায়। এখন আপনি হ্যাশ ট্যাগ হিসেবে ভিডিও ডিসক্রিপশনে লিখতে পারেন #অনলাইন_আয় বা #ঘরে_অনলাইন_আয় ইত্যাদি।

উক্ত নিয়মে ইউটিউবের ভিডিও তে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করার ফলে আপনি অনেক বেশি ভিজিটর পেয়ে যাবেন। আর আপনার ভিডিও গুলো দ্রুত ভাইরাল হবে।

আমি মনে করে উক্ত আলোচনা পড়ার পড়ে আপনি এই বিষয়ে জেনে নিতে পারছেন।

আরো পড়ুনঃ

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা, আজ আমাদের এই পোস্টে আপনাকে জানানো হলো হ্যাশট্যগা কি? হ্যাশট্যাগ কোথায় কিভাবে ব্যবহার করা হয়।

আপনি যদি আমাদের দেওয়া মনযোগ দিয়ে পড়েন। তাহলে আমরা আশা করি আপনি উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারছেন।

মোট কথা আপনি যদি উক্ত নিয়ে আপনারি প্লাটফর্ম গুলোতে # ট্যাগ ব্যবহার করেন, তাহলে আগের থেকে অনেক ভালো পার্ফরমেন্স গ্রহণ করতে পারবেন বিশেষ করে অনেক ভিজিটর পেয়ে যাবে। আর অনলাইন ইনকাম করার মূল লক্ষ্য হলো ভিজিটর।

যে কোন প্লাটফর্মে যত বেশি ভিজিটর প্রবেশ করতে ঠিক তত বেশি পরিমাণের আয় করা সম্ভব হবে।

আমাদের উক্ত আর্টিকেল আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন। এবং এটি ভালো লাগলে একটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের সাথে সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top