আমাদের বাংলাদেশে ২০২০ সাল থেকে ই পাসপোর্ট ব্যবসার শুরু হয়েছে। ই পাসপোর্ট এ বাংলাদেশের স্থান ১১৯ তম।
আমাদের এই ওয়েবসাইটে ই পাসপোর্ট নিয়ে, একটি পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেল পাবলিশ করা আছে। আপনি চাইলে সেই আর্টিকেল পড়ে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ জানতে পারবনে।
আমরা আজ এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাকে জানাব অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৩ সম্পর্কে।
আপনি যদি উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে চান। তাহলে নিম্নোক্ত লেখা গুলো শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করুন।
ই পাসপোর্ট এর বিভিন্ন সুবিধা
আপনি যদি বর্তমান সময়ে ই পাসপোর্ট ব্যবহার করেন তাহলে এখানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ভোগ করতে পারবেন।
কারণ এখানে হাতের ১০ টি আঙ্গুলের চাপ এবং মুখ স্ক্যান করা হয় নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। তাই ই পাসপোর্ট কে অন্যতম নিরাপদ পাসপোর্ট বলা হয়।
ই পাসপোর্ট একটি মাইক্রো প্রসেসর বা চিপ দেওয়া থাকে। যেখানে ই পাসপোর্টের সকল তথ্য সংরক্ষণ করা হয়।
আপনি যদি ই পাসপোর্ট ব্যবহার করেন। তাহলে এখানে ৩৮ টি মতো নিরাপত্তা পেয়ে যাবেন।
আপনি অন্যান্য কোন দেশে ভ্রমণ করতে চাইলে দীর্ঘ সময় ধরে, পাসপোর্ট পরীক্ষার জ্য সেই দেশের ইমিগ্রেশন এ দায়িয়ে থাকার প্রয়োনজ পড়বে না।
ই পাসপোর্ট এর এই সকল সুবিধার জন্য অনেকে পুরাতন এমআরপি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট রিনিউ করে ই পাসপোর্ট গ্রহণ করতে চান।
আজ আমরা এখানে জানাব, অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিময় ২০২৩ সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ
ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে যে, সকল জেলা পাসপোর্ট অফিস আছে। সেগুলোতে ই পাসপোর্ট কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আপনি নিজে নিজেই অনলাইনে আবদেন করে বাংলাদেশি পাসপোর্ট রিনিউ করার ফরম পূরণ করে নিতে পারেবেন।
আপনি যদি নিজের দেশের বাহিরে, অবস্থান করেন। তাহলে আপনি ই পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইনে আবদেন করতে পারবেন না।
এ জন্য আপনার অবস্থানরত দেশের হাই কমিশন এর সাহায্যে আপনি শুধু এমআরপি পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য দরকারী ফরম পূরণ করে রিনিউ করতে পারবেন।
অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম
বাংলাদেশি পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্যে আপনি স্বাভাবিক ভাবে এটি নতুন ই পাসপোর্ট এর জন্যে আবেদন করবেন।
এ জন্য আবদেন এর সময় আপনাকে যে, কাজ করতে হবে। সেটি হলো- শুধু আইডি ডকুমেন্ট অপশন থেকে আপনার আগের এমআরপি পাসপোর্ট অপশন সিলেক্ট করে নিতে হবে। এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে।
আপনাকে সহজ ভাবে জানানোর জন্য আমরা কিছু স্টেপ তৈরি করেছি। সেগুলো অনুসরণ করে ই পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবেন। তো চলুন স্টেপ গুলো জেনে নেওয়া যাক।
স্টেপ-১ : প্রথমে আপনাকে www.epassport.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপরে Id Documents অপশেনে গিয়ে yes, I have a machine readable passport এই অপশনে ক্লিক করে নির্বাচন করতে হবে।
স্টেপ- ২ : তারপরে what is the reason for your passport request সেখান থেকে আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করার কারণ সমূহ নির্বাচন করতে হবে।
মানে যে, কারণে আপনি পাসপোর্ট রিনিউ করতে চান? সেখান থেকে সঠিক কারণটি বাছাই করে সাবমিট করুন।
পাসপোর্ট রিনিউ করার কারণ সমূহ যেমনঃ
- যদি ই পাসপোর্ট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় তাহলে, Expired নির্বাচন করুন।
- যদি পাসপোর্ট হারিয়ে যায় সেক্ষেত্রে Lost/Stolen নির্বাচন করুন।
- যদি তথ্য পরিবর্তন করার দরকার হয় সে জন্য Data Change নির্বাচন করুন।
- যদি পাসপোর্ট নষ্ট বা ছিড়ে যায় সেক্ষেত্রে Unusable নির্বাচন করুন।
- যদি আরো অন্য কারণে হয় তাহলে Others নির্বাচন করুন।
স্টেপ- ৩ : উক্ত যে কোন একটি কারণ নির্বাচন করার পরে আপনাকে পরবর্তী যে কাজ করতে হবে। সেটি হলো পাসপোর্ট নম্বর লিখতে হবে যেমন- (EGEG987456123)
স্টেপ- ৪ : তারপরে আপনার পাসপোর্ট প্রদান এর তারিখ এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ লিখতে হবে।
এছাড়া আরো যে, পরবর্তী ধাপ রয়েছে সেগুলো- ই পাসপোর্টে যে ভাবে আবেদন করতে হয় ঠিক সেরকম ভাবে সাধারণ কাজ গুলোর মতো সহজ। সকল ধাপ পুরণ করার পরে আপনাকে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
তারপরে আপনার পিতা, মাতার তথ্য এবং স্বামী-স্ত্রীর তথ্য পাসপোর্টের ধরণ এবং ডেলিভারীর ধরণ নির্বাচন করে আবদেন এর কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
আরো দেখুনঃ
ই পাসপোর্ট রিনিউ করার দরকারী কাগজপত্র
আপনি যদি ই পাসপোর্ট রিনিউ করতে চান? তাহলে আপনার কিছূ দরকারী কাগজপত্র লাগবে। সেগুলো হচ্ছে-
- আবেদন পত্র এর সারাংশের প্রিন্ট কপি। এপয়েন্টমেন্ট সহ।
- সনাক্ত করণ ডকুমেন্ট এর প্রিন্ট কপি। জাতীয় পরিচয় পত্র বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ।
- আগের পুরাতন পাসপোর্ট এবং ডাটা পেজ এর প্রিন্ট কপি।
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম অথবা আপনার আবেদন পত্রের প্রিন্ট কপি।
- সরকারি চাকরি জীবিদের জন্য জিও/এসওসি।
- তথ্য সংশোধন এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
- এছাড়া চালান, মানি অর্ডার, ব্যাংক সার্টিফাইড চেক।
পাসপোর্ট রিনিউ ফরম জমা দেয়ার নিদের্শনা
অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ আবেদন করার পরে। আবদেন কপি A4 সাইজের কাজে প্রিন্ট করতে হবে। যেহেতু বেশি কাজ তাই উভয়ই পৃষ্ঠাতে প্রিন্ট করবেন।
ই পাসপোর্ট রিনিউ ফি জমাদান ব্যাংকের মাধ্যমে
ই পাসপোর্ট রিনিউ ফি সকল ব্যাংকে জমাদান করা যায় না। শুধু পাসপোর্ট অফিস এর নির্ধারিত কিছু ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়।
সেই ব্যাংক গুলোর নাম হলো-
- সোনালী ব্যাংক
- ওয়ান ব্যাংক
- ট্রাস্ট ব্যাংক
- প্রিমিয়ার ব্যাংক
- ঢাকা ব্যাংক
- ব্যাংক এশিয়া
উক্ত ব্যাংক শাখার মাধ্যমে ই পাসপোর্ট রিনিউ ফি জমাদান করতে পারবেন। ব্যাংকে ফি জমাদান শেষে ই পাসপোর্টের জন্য আবেদনপত্র রঙিন প্রিন্ট করে নিজের কাছে রাখতে হবে।
ই পাসপোর্ট রিনিউ ফি অনলাইনে
আপনি যদি ই পাসপোর্ট রিনিউ ফি অনলাইনে মাধ্যমে পরিশোধ করতে চান। তাহলে আপনার মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ড, বিকাশ, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট থাকে।
তাহলে সহজেই অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ ফি জমা দিতে পারবেন। উক্ত অনলাইনের মাধ্যমে রিনিউ ফি দিলে আপনার অনেক সময় ও শ্রম সাশ্রয় হবে।
আরো পড়ুনঃ
- মালয়েশিয়া কলিং ভিসা ২০২৩ (জেনেনিন এখানে)
- মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম | বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ভিসা
ই পাসপোর্ট রিনিউ করার খরচ
নতুন ই পাসপোর্ট তৈরি এবং এমআরপি থেকে ই পাসপোর্টে রিনিউ করার খরচ একই। ই পাসপোর্ট রিনিউ করার কোন ফি নেই।
শুধু মাত্র আপনাকে নতুন ই পাসপোর্ট ফি দিতে হবে। ই পাসপোর্ট ফি ভ্যাটসহ ৪,০২৫/- (চার হাজার পচিশ) টাকা (৫ বছরের জন্য- ৪৮ পৃষ্ঠা) এছাড়া আর কোন খরচ নাই।
আপনি যদি ই পাসপোর্ট রিনিউ করতে চান তাহলে আপনার সময় লাগতে পারে ১৫ দিন থেকে ২০ দিন এর মতো।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা, আজরে পোস্টে- আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হলোঃ অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৩ সম্পর্কে।
আপনি যদি উক্ত স্টেপ গুলো অনুসরণ করে থাকেন। তাহলে ই পাসপোর্ট রিনিউ এর জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
ট্যাগঃ অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৩ অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৩ অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৩
অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৩ অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৩ অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৩
আপনি যদি আমাদের লেখা পড়ে উপকৃত হোন। তাহলে এটি আপনার বন্ধুর কাছে একটি শেয়ার করবেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য অংসংখ্য ধন্যবাদ।