মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করার উপায়

মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করার উপায় : বর্তমান সময়ে, অনেকেই অনলাইন সার্চ করে, বা লোক-মুখে কখনো না কখনো শুনেছেন। অনলাইন থেকে মাসে এক লক্ষ টাকা আয় করা যায়।

বন্ধুরা আপনারা সত্যিই শুনেছেন। আসলেই বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য পরিমাণেরনুষ মা অনলাইন সেক্টরে বিভিন্ন কাজ করে, মাসের লাখ টাকা থাকে শুরু করে, আরও বেশি টাকা উপার্জন করতে পারে।

মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করার উপায়
মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করার উপায়

তাই আপনি যদি অনলাইন সেক্টরের কাজ করতে আগ্রহী থাকেন। তাহলে আপনিও মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তো বন্ধুরা আমি শুধু এই আর্টিকেলে মাত্র এক লক্ষ টাকা ইনকামের কথা বলছি। তবে আমি যে কাজ গুলো সম্পর্কে আপনাকে জানাবো।

সে সকল কাজ গুলো আপনি যদি দক্ষতার সাথে করতে পারেন। তাহলে আনলিমিটেড উপার্জন করতে পারবেন প্রতি মাসে।

তো আমি ১০০% গ্যারান্টি দিতে পারি আমি যে কাজগুলো আপনাকে দেখাবো। সেগুলো যদি আপনি ভাল কোন কোর্স করে করতে পারেন।

তাহলে অনায়াসে আনলিমিটেড ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন যা কল্পনার বাইরে।

তখন কথা হল আপনারা কিভাবে, অনলাইন সেক্টরের কোন কাজগুলো শিখে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন। এ প্রশ্নগুলোর উত্তর আমাদের এই আর্টিকেলেই দেওয়া রয়েছে।

তাই আপনি যদি মাসে এক লক্ষ টাকা ইনকাম করার উপায় খুঁজে থাকেন। তাহলে আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করে টাকা ইনকাম

বর্তমান সময়ে অনলাইন সেক্টরে টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় একটি সেক্টর হচ্ছে, এন্ড্রয়েড অ্যাপস। আপনার হয়তো জানলে অবাক হবেন।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপ করে, বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপলোড করতে পারলে। সেখান থেকে মাসে ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে, আনলিমিটেড উপার্জন করতে পারবেন।

তো আপনারা কিভাবে একটি এন্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করবেন। এবং কিভাবে আনলিমিটেড ইনকাম শুরু করবেন। এই কথা চিন্তা করে থাকলে। আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায় (বিস্তারিত দেখুন)

আপনারা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করতে পারলে। ১০০% আনলিমিটেড আয় করা শুরু করতে পারবেন।

কিভাবে এন্ড্রয়েড অ্যাপস বিনামূল্যে তৈরি করা যায়। এবং সেই অ্যাপ ব্যবহার করে কিভাবে গুগল প্লে স্টোরে পাবলিস্ট করবেন।

মাসে অন্তত 900 ডলার গুগল এডমব থেকে আয় করুন [এডমব থেকে ইনকাম]

উক্ত তৈরি করা এপ্সে আপনি google এর বিজ্ঞাপন বসিয়ে টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। এই বিষয় গুলো নিয়ে, আমাদের ওয়েবসাইটে আগেই একটি আর্টিকেল পোস্ট করা আছে।

আপনি চাইলে সেই সকল পোস্ট ভিজিট করে পড়ে নিতে পারেন।

তাই আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ বানাতে পারেন। তাহলে খুব সহজেই গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করে, হিউজ পরিমানের ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।

ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা আয়

আপনি যদি অনলাইন সেক্টরে মাসে এক লক্ষ টাকা আয় করার উপায় খুঁজে থাকেন। তাহলে আপনার জন্য আরো একটি জনপ্রিয় কাজের মাধ্যম হল ওয়েবসাইট।

বর্তমান সময়ে অনলাইনে ১০০% গ্যারান্টিতে ওয়েবসাইট তৈরি করে নিজের ঘরে বসে আনলিমিটেড ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।

তাই আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন। সেখানে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।

এছাড়া আপনি বাংলা বা ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখেও, google এডসেন্স অনুমোদন নিয়ে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন।

ওয়েব সাইট থেকে আয় করার জন্য, আপনাকে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করতে হবে। তারপর গুগল এডসেন্স অনুমোদন নিয়ে বিজ্ঞাপন বসাতে হবে।

প্রতি বিজ্ঞাপন ক্লিক এবং ইম্প্রেশনের ওপর ভিত্তি করে, আপনার google এডসেন্স একাউন্টে, টাকা জমা হবে। বিশেষ করে ওয়েবসাইট থেকে আয় করার মূলমন্ত্র হচ্ছে ভিজিটর।

আপনার ওয়েবসাইটের সবকিছু ঠিকঠাক করা হয়ে গেলে। বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে, ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসতে হবে।

আপনার ওয়েবসাইটে যে পরিমাণ ট্রাফিক আসবে। ঠিক তত পরিমাণে ইনকামের হার বৃদ্ধি হবে।

বাংলাদেশে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যারা বাংলায় ব্লগিং করে, মাসে এক লক্ষ থেকে শুরু করে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে যাচ্ছে।

তাই নিজের ঘরে বসে অনলাইন সেক্টরে কাজ করে, টাকায় করতে চাইলে, ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করা শুরু করতে পারেন।

ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে টাকা আয়

ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করা যদিও অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। কিন্তু এখানে টাকা আয় করা শুরু করতে প্রায় এক বছর সময় লেগে যায়।

তবে ওয়েবসাইটের তুলনায় ইউটিউব চ্যানেল থেকে। আপনি আরো বেশি পরিমাণে ইনকাম করার সুযোগ পাবেন শুধুমাত্র ভিডিও আপলোড করে।

ইউটিউব থেকে আয় করার বিষয়টি কেন এক বছর লাগবে। সে বিষয়ে আমি আপনাকে বুঝিয়ে বলছি।

সে কারণটি হচ্ছে, ইউটিউবের নীতিমালা অনুযায়ী। আপনি যখন একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন। সেখানে নিয়মিত ভালো ভালো ভিডিও আপলোড করতে হবে।

ইউটিউব শর্টস থেকে ইনকাম করার উপায়

এছাড়া চলতি এক বছরের মধ্যে এক হাজার সাবস্ক্রাইব পূরণ করতে হবে। এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূরণ করতে হবে। আপনি যদি এই সাধারণ শর্তগুলো পূরণ করতে পারেন চলতি এক বছরের মধ্যে।

তাহলে কিন্তু ইউটিউব থেকে গুগল এডসেন্স মনিটাইজেশন করে, ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন বিজ্ঞাপন রেখিয়ে।

আপনি যখন ইউটিউব চ্যানেলে, গুগল এডসেন্স নিয়ে মনিটাইজেশন করবেন। তখন আপনার তৈরি করা প্রতিটি ভিডিওতে, বিজ্ঞাপন যুক্ত করতে পারবেন।

৫ টি ইউটিউব র‍্যাংকিং ফ্যাক্টর সকল ইউটিউবারদের জানা দরকার

আর যখন আপনার ভিডিও গুলোতে দর্শক প্রবেশ করে দেখতে আসবে। ভিডিও দেখার ফলে আপনার আপনার যুক্ত করা বিজ্ঞাপন গুলো দেখতে পারবে। সে বিজ্ঞাপন দেখার ফলে আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে টাকা জমা হবে।

আবার ভিজিটেরা যখন ভিডিও’র, বিজ্ঞাপন গুলোতে, ক্লিক করবে সে সময় আপনি আরও বেশি টাকা পাবেন।

এরকম ভাবে আমাদের বাংলাদেশে অসংখ্য পরিমাণের তরুণ তরুণীরা ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন নিয়ে মাসে 5 লক্ষ থেকে দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিজের ঘরে বসেই ইনকাম করে যাচ্ছে।

তাই আপনি যদি এ বিষয়ে কাজ করতে চান তাহলে, একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে, সেখানে আপনার দক্ষতা এবং সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে, ভিডিও তৈরি করা শুরু করতে পারেন।

ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম

বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করি। কিন্তু আপনি কি জানেন facebook অ্যাকাউন্টে থাকা ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে ইনকাম করা যায়।

বর্তমান সময়ে একটি ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করে সেখানে বিভিন্ন ভাবে টাকা ইনকাম করা যায় বিশেষভাবে, ফেসবুক পেজে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে, ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করে, আরো ইত্যাদি মাধ্যমে আয় করা যায়।

বিশেষ করে আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্ন ধরনের, ফানি ভিডিও, টিউটোরিয়াল ভিডিও, মোটিভেশনাল ভিডিও ইত্যাদি আপলোড করতে পারেন।

ফেসবুক থেকে আয় করার সহজ উপায় (পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন)  

সে ক্ষেত্রে, আপনার ফেসবুক পেজে চলতি ছয় মাসের মধ্যে দশ হাজার লাইক এবং ৩০ হাজার ভিউয়ার যুদ্ধ করতে পারেন।

তাহলে ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন করে বিজ্ঞাপন থেকে ইনকাম করা শুরু করতে পারেন।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা যারা মাসে এক লক্ষ টাকা আয় করার উপায় খুঁজে থাকেন। তারা উপরোক্ত অনলাইন সেক্টরে যুক্ত হয়ে, মাসে লাখ টাকা আয় করার সুবিধা নিজের ঘরে বসেই ভোগ করতে পারবেন।

মাসে এক লক্ষ টাকা ছাড়া, আপনি যদি আরো বেশি টাকা আয় করতে চান? বা কম টাকায় করার উপায় গুলো খুঁজে থাকেন।

তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। কারণ আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রস্তুত করা হয়েছে মূলত অনলাইন ইনকাম করার সমাধান জানানোর জন্য।

যাতে করে বাংলাদেশের শিক্ষিত তরুণ তরুণীরা ভালো কোন চাকরির সন্ধান না পেলেও, অনলাইনের মাধ্যমে ছোট ছোট কাজ করে, ইনকাম করার সুযোগ পায়।

তো আমাদের লেখা আর্টিকেলটি আজ এই পর্যন্তই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। পরবর্তী আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top