আপনারা যারা আমেরিকাকে ইচ্ছুক? তাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা ভিসা পেতে হলে কি কি করতে হবে। কত টাকা খরচ হবে, কোথায় আবেদন করবেন। কি কি কাগজপত্র লাগবে।
তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমেরিকার ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
আমাদের জানামতে আমেরিকা এমন একটি দেশ যেখানে যাওয়ার জন্য হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখছেন। আমেরিকা ভ্রমণের জন্য আছে বেশ কয়েকটি আলাদা ক্যাটাগরির ভিসা।
প্রতি বছর অনেক বাংলাদেশী নাগরিক বিভিন্ন উদ্দেশ্যে নিয়ে আমেরিকায় গমন করেন।
আপনার যখন আমেরিকা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন। তখন সবার আগে ভিসা তৈরি করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। এবং ভিসা সংক্রান্ত সকল তথ্য জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হবে।
তো আমরা আপনার সুবিধার জন্য ভিসা প্রসেসিং হিসেবে এখানে, আমেরিকা ভিসার ধরন, আমেরিকা ভিসার মেয়াদ, আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করব।
আমেরিকা ভিসার ধরন এবং মেয়াদ
আপনারা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে চাইলে, বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। তবে ভাষাগুলো মেয়াদ কতদিন থাকবে। এবং কি কি ক্যাটাগরির ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। সে বিষয়ে জানতেও তথ্যগুলো অনুসরণ করুন।
- ওমান ভিসা চেক করার নিয়ম
- থাইল্যান্ড ভিসা আবেদন করার উপায়
- জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা – আপনি যদি আমেরিকায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান? এই ভিসা প্রসেসিং কার্যক্রম সম্পন্ন হতে প্রায় এক সপ্তাহ থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগে।
উক্ত আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ থাকবে প্রায় ছয় বছর পর্যন্ত। পরবর্তী সময়ে আপনি যদি আরও বেশি সময় থাকতে চান তাহলে ভিসা রিভিউ করে থাকতে পারবেন।
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা – আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন হতে প্রায় ১০ দিন সময় লাগে। আর এই আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার নেয়ার থাকবে যতদিন না পর্যন্ত উচ্চশিক্ষা শেষ না হচ্ছে।
আমেরিকার বিজনেস ভিসা – আমেরিকার বিজনেস ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগতে পারে তাই পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত। আমেরিকার বিজনেস ভিসার সর্বোচ্চ মেয়াদ থাকবে এক বছর পর্যন্ত।
আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা – আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগবে প্রায় তিন সপ্তাহ হতে পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত। আর এই টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ থাকবে সর্বোচ্চ এক বছর।
আমেরিকা ফ্যামিলি ভিসা – ফ্যামিলি ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ১৮ মাস পর্যন্ত। থাকবে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত।
আমেরিকার ভিসা করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে ?
আমরা এখানে আপনাকে আমেরিকা বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে সে বিষয়ে আলাদা আলাদা ভাবে জানানোর চেষ্টা করব।
তাই নিচে দেওয়া তথ্য গুলো ধাপে অনুসরণ করুন। তাহলে আপনার পছন্দের ভিসা ক্যাটাগরির সাথে কোন কোন কাগজপত্র লাগবে সে বিষয়ে জেনে নিতে পারবেন।
আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- ডিজিটাল পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের রঙের ছবি
- দেশীয় নাগরিকত্ব সনদপত্র
- কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সনদপত্র
- যে স্পন্সর করছেন তার আকামার কপি
- ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ পত্র
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- মেডিকেল ফিটনেস এর কাগজপত্র
- লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্ট
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা
- ডিজিটাল পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- আপনার পছন্দমত আমেরিকাতে অবস্থান করার যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার চিঠি
- স্কুল ও কলেজের সকল প্রকার সার্টিফিকেট মার্কশিট সহ
- IELTS স্কোর এর সনদপত্র
- আমেরিকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লিকেশন ফরম
- ব্যাংক সলভেন্সি কাগজপত্র
- স্টুডেন্ট ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম
- স্টুডেন্ট লিগ্যাল আইডেন্টিটি ডকুমেন্ট
- রিকমেন্ডেশন লেটার
- স্টুডেন্টদের সিভি
- কোভি-১৯ এর ভ্যাকসিন সনদপত্র
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- ইন্সুরেন্স কপি
আমেরিকা বিজনেস ভিসা
- পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- নাগরিকত্ব সনদপত্র
- কোভিড 19 ভ্যাকসিন সনদপত্র
- স্পন্সর এর আকামার কপি
- ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- ব্যবসা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র
- আইডেন্টিটি ডকুমেন্ট
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ইন্সুরেন্স এর কাগজপত্র
আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা
- লিগ্যাল ডিজিটাল পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের বর্তমানের তোলা ছবি
- নাগরিকত্ব সনদপত্র
- কোভিড 19 ভ্যাকসিনের সনদপত্র
- স্পন্সরের আকামার কপি
- ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- ইন্সুরেন্সের কাগজপত্র
- আইডেন্টিটি ডকুমেন্ট
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
আমেরিকা ফ্যামিলি ভিসা
- ডিজিটাল পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা ছবি
- ইন্সুরেন্সের কপি
- নাগরিকত্ব সনদপত্র
- পরিবারের যে সদস্য স্পন্সর করছে তার আকামা কপি
- ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ
- কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন মূল সনদপত্র
- বিবাহের ছবি
- বিবাহের কাবিননামা কপি
- পুলিশ ক্লিয়ার এন্ড সার্টিফিকেট
- লিগ্যাল আইডেন্টিটি ডকুমেন্ট
আমেরিকা ভিসা করতে কত টাকা লাগে ?
আপনি যদি আমেরিকায় যেতে চান তাহলে বিভিন্ন ধরনের ক্যাটাগরির ভিসা সম্পন্ন করতে পারবেন। তবে কোন ধরনের ভিসায় কত টাকা লাগবে। সে বিষয়ে আমরা একটু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছি। যেমন-
- আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে 160 ডলার লাগবে। (ভিসার দাম কম বেশি হতে পারে)
- আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা করতে 350 ডলার লাগবে। (ভিসার দাম কম বেশি হতে পারে)
- আমেরিকা বিজনেস ভিসা করতে 160 ডলার লাগবে। (ভিসার দাম কম বেশি হতে পারে)
- আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা করতে 160 ডলার লাগবে। (ভিসার দাম কম বেশি হতে পারে)
- আমেরিকা ফ্যামিলি ভিসা করতে 325 ডলার লাগবে। (ভিসার দাম কম বেশি হতে পারে)
আমেরিকা ভিসা আবেদন কিভাবে করবেন?
আপনারা উপরোক্ত আলোচনা অনুসরণ করে আমেরিকা ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে অনেক ধারণা নিয়ে নিয়েছেন। এখন অনেকের প্রশ্ন হতে পারে যে আমেরিকা ভিসা আবেদন কিভাবে করব।
আমি আপনাকে পরামর্শ প্রদান করব আমেরিকা যে, কোন ভিসা ক্যাটাগরি করতে চাইলে, আপনারা সরাসরি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করে, ভিসার জন্য আবেদন করবেন। যাতে করে আপনার টাকা খরচ কম হবে এবং ভিসা আবেদনের ভুল ভ্রান্তির সম্ভাবনা কম থাকবে।
কারণ এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদন করলে, আপনাকে কোন কাজ করতে হবে না। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো জমা দিলেই। তারা আপনার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে দিবে।
শেষ কথাঃ
আপনি যদি আমেরিকায় যেতে চান? তাহলে উপরোক্ত ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে বিশেষভাবে জানতে হবে। তারপর ভিসার জন্য আবেদন করলে আপনারা খুব সহজে ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন।
আর এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে। তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন ধন্যবাদ।