সার্চ ইঞ্জিন কি? কিভাবে কাজ করে? কয়েকটি জনপ্রিয় সার্চইঞ্জিন

ইন্টারনেট ব্রাউজিং এ অন্যতম ও প্রধান একটি বিষয় হলো সার্চ ইঞ্জিন। আর সার্চইঞ্জিন এর কথা মাথায় আসলেই চলে আসে গুগলের নাম । কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই সার্চ ইঞ্জিন কি? আর  গুলো কিভাবেই বা কাজ করে?

হয়তো না আর তাই আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করব সার্চ ইঞ্জিন সমন্ধে। চলুন শুরু করা যাক-

সার্চ ইঞ্জিন কি? কিভাবে কাজ করে। কয়েকটি জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন।
সার্চ ইঞ্জিন কি? কিভাবে কাজ করে।

সার্চ ইঞ্জিন কি?

সার্চ ইঞ্জিন মূলত এমন এক ধরনের সফটওয়্যার সিস্টেম যার মাধ্যমে আমাদের ওয়েব সার্চগুলো পরিচালনা করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব তথা WWW তে সার্চ করলে যে রেজাল্ট গুলো পান তা একটি নির্দিষ্ট সার্চ ইঞ্জিনের বদৌলতে।

আর যে সার্চ রেজাল্টগুলো আমাদের সামনে দেখানো হয় তা  মূলত সার্প নামে পরিচিত। যার পূর্নরূপ করলে দাঁড়ায়- সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজেস। আর এত সব সাইট এর তথ্য সার্চ ইঞ্জিন তার নিজস্ব ডাটাবেসে সংরক্ষণ করে রাখে। কেউ কোনো কিছু সার্চ করলে সেখান থেকেই তথ্য এনে হাজির করে।

আরও পড়ুনঃ

সার্চইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে?

সার্চ ইঞ্জিন কি এ সমন্ধে তো জানা হলো এবার চলুন তবে একটু চোখ বোলানো যাক সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে। এ পর্যায়ে তাই সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে তা নিয়েই থাকছে-

আগেই বলা হয়েছে, সার্চ ইঞ্জিন মূলত ইন্টারনেটের একটি অংশ যা আমাদের ইন্টারনেটে বিচরণ ( যাকে ব্রাউজিং বলা হয়) করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আমরা যখন কোনো কিছু লিখি সেই শব্দের এর উপর ভিত্তি করে এটি একাধিক ফলাফলের একটি তালিকা তৈরি করে আমাদের সামনে তা প্রদর্শন করে। তবে সার্চ ইঞ্জিনকে বাইরে থেকে দেখে যতটা সরল মনে হয় আসলে ততটা কিন্তু নয়।

আর এই জটিল প্রক্রিয়ায় কাজ করার জন্য একটি সার্চ ইঞ্জিন প্রাথমিকভাবে মূলত তিনটি ধাপ অনুসরণ করে কাজ করে। যেগুলো হলো-

 ওয়েব পেজ ক্রল করা –

সার্চ ইঞ্জিন সার্চ রেজাল্ট দেখার আগে কিন্তু একটি লম্বা প্রক্রিয়া সাধন করে যা মিলি সেকেন্ডে হয় বলে আপনি হয়তো ধরতে পারেন না। শুরুতেই যে কাজটি মূলত ঘটে থাকে তা হলো ওয়েব ক্রলিং। ওয়েব পেজ ক্রলিং হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন কিছু ওয়েব রোবট পাঠিয়ে একটি নির্দিষ্ট কি-ওয়ার্ড এর জন্য একাধিক কন্টেন্টের একটি তালিকা তৈরি করে থাকে। এসব এর বাইরেও নতুন কন্টেন্ট খোঁজা আবার আপডেটেড কন্টেন্ট এর র‍্যাংক বাড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রেও  ক্রলার কাজ করে থাকে।

ওয়েবসাইটগুলো ক্রলিং এর ক্ষেত্রে বা খুঁজতে একটি ওয়েব ক্রলার  কিছু নিয়মনীতি অনুসরণ করে থাকে। আর এগুলোর মধ্যে রয়েছে-

প্রাসঙ্গিকতা-

সার্চ ইঞ্জিনে বাস্কেটবল নিয়ে সার্চ করলে আপনাকে কিন্তু ফুটবলের ওয়েবসাইট দেখানো হবে না। আর এটাই হচ্ছে  প্রাসঙ্গিকতার মূল ধারণা। কেউ কোনো শব্দ নিয়ে সার্চ করলে একটি ক্রলার সেই সমন্ধে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলোকেই সার্চ-কারীর সামনে নিয়ে আসে।

তবে এখানে প্রাসঙ্গিক বিষয়ের মধ্যেও কিছুটা ভাগ রয়েছে। যেমন- আমরা যদি Amitav Bacchan Height তিনটি কি-ওয়ার্ড লিখে সার্চ করি। তবে সার্চগুলো কিছুটা এমন হবে, প্রথমের দিকের ওয়েবসাইটগুলোতে তিনটি একসাথে এবং পরের দিকের ওয়েবসাইটগুলোতে যেকোনো দুইটি বা যেকোনো একটি শব্দ একসাথে থাকবে। আর এর উপর ভিত্তি করেই প্রাসঙ্গিকতা নির্ধারিত হয়।

অথোরিটি-

এটি দ্বারা মূলত বোঝানো হয় একটি কন্টেন্ট কতটা সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য কোনো একটি নির্দিষ্ট শব্দের জন্য।

কিন্তু প্রশ্ন গুগল কিংবা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে এটি খুঁজে বের করে?

আসলে এটার জন্য সার্চ ইঞ্জিন লিংকের বিষয়টি দেখে থাকে। অর্থাৎ আপনার কন্টেন্টের সাথে কতটি প্রাসঙ্গিক লিংক যুক্ত রয়েছে তার উপরেই মূলত  নির্ভর করে।

উপকারীতা-

গুগলে সার্চ করলেন শেক্সপিয়ারের উপন্যাস নিয়ে। কিন্তু আপনার সামনে আসলো রবীন্দ্রনাথের কবিতা যেখানে টাইটেল দেয়া শেক্সপিয়ারের উপন্যাস। এতে কি আপনার কোনো উপকার হবে ?

মোটেও না। আর একটি সার্চ ইঞ্জিনও উক্ত বিষয়টি সর্বদা মেনে চলে। কন্টেন্ট শুধুমাত্র যে  প্রাসঙ্গিক ও অথোরিটি মেনে চললেই হবে তা কিন্তু নয়। বরং এর ভিতরের জিনিসগুলো সত্যি একজন সার্চকারীকে সন্তষ্ট করার মতো কিনা সে বিষয়টি মেনেই একটি ওয়েব ক্রলার কাজ করে থাকে।

এক্ষেত্রে যে কন্টেন্টগুলোর উপকারীতা হার যত বেশি হবে তা র‍্যাংক করার চান্স তত বেশি।

আরও পড়ুনঃ

সার্চইঞ্জিন এ ইনডেক্স করা-

কোনো জিনিসকে সার্চ রেজাল্টে নিয়ে আসতে আপনাকে অবশ্যই তা ইনডেক্স করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ইনডেক্স করার মানে হচ্ছে গুগলের বা যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনের সেই বড় ডাটাবেসটিতে আপনার ডাটা যুক্ত করা। আর এই ডাটাগুলোকে সার্চ ইঞ্জিন ক্রলার বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে বিভিন্ন শব্দানুসারে ভাগ করে রাখে। কেউ উক্ত শব্দটি সার্চ করলে সার্চ রেজাল্টে সেই তালিকাটি তার সামনে নিয়ে আসে।

তবে আপনার কন্টেন্ট যদি ইনডেক্সই করা না থাকে তাহলে তা ক্রলারের কাছে তা অদৃশ্যই থেকে যাবে।

তাহলে প্রশ্ন হতে পারে ইনডেক্স কিভাবে করবেন?  সে বিষয়টি নিয়েই বলছি-

URL Inspection Tool-

ইনডেক্স করার এক্কেবারে শুরুতেই আমাদের দরকার পড়বে গুগলের এই ইন্সপেকশন টুলটি যার মাধ্যমে আমরা আমাদের সাইটটি গুগল সার্চইঞ্জিন এর সেই বিশাল ডাটাবেসে যুক্ত করতে পারব। আর কখনো যদি এটা লক্ষ করেন যে আপনার ওয়েবপেজ ইনডেক্স হচ্ছে না সেক্ষেত্রে ঘাবড়ানোরও কিছু নেই। কারণ ইনডেক্সের জন্য আপনি বারবার অনুরোধ করতে পারবেন খুব সহজেই।

Robots.txt-

ইন্সপেকশন টুলটির মাধ্যমে আপনি আপনার কন্টেন্ট  গুগলে ইনডেক্স করাতে পারেন।

কিন্তু আপনি সব কন্টেন্ট অর্থাৎ যোগাযোগ পেজ, সম্পর্কে পেজ এগুলো সার্প বা সার্চ রেজাল্টে দেখাতে চাইবেন কি? বা সব জিনিস দেখানোর কি কোনো প্রয়োজনীয়তা রয়েছে?

নিশ্চয় না। কেননা প্রাইভেসি এবং পলিসি এবং কন্টাক্ট পেজ দেখানোর কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তবে সার্চ ইঞ্জিনকে এটা কিভাবে বোঝাবেন? চিন্তা নেই  সেই জিনিসটা বোঝাতেই robots.txt ফাইলটি ব্যবহার করে ক্রলারকে বুঝিয়ে দিতে পারেন যে তার কোন পেজ ইনডেক্স করা উচিত আর কোনটি নয়।  তবে এতে ঘাবড়ানোর কোনো কারণ নেই।  কারণ এতে করে সাইট র‍্যাংকিং ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।

র‍্যাংকিং-

সার্চইঞ্জিন এর কার্যাবলির সর্বশেষ ধাপটি হলো এটি। আমরা যখন কিছু নিয়ে সার্চ করি। ঠিক তখন সার্চইঞ্জিন ক্রলারগুলো তার পুরো ডাটাবেস ঘেটে ও পরিমার্জন করে সবচেয়ে ভালো ও প্রাসঙ্গিক বিষয়টি আমাদের সামনে নিয়ে আসে। আর নিয়ে আসার আগে ওয়েব ক্রলার  প্রাসঙ্গিকতার উপর ভিত্তি করে একটি নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করে এবং আমাদের সামনে ফলাফল প্রদর্শন করে। যেখানে সবার উপরে একটি ওয়েবসাইট তার নিচে আরেকটি এভাবে থাকে আর বিষয়টিকেই র‍্যাংকিং বলা হয়।

একটি ওয়েবপেজ র‍্যাংকিং এর জন্য আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে র‍্যাংক করে বা কাজ করে তা অবশ্যই জানতে হবে। এক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

ব্যাকলিঙ্কের প্রাসঙ্গিকতা-

ব্যাকলিঙ্ক হচ্ছে আপনার কন্টেন্টে অন্য ওয়েবসাইটের লিঙ্ক যুক্ত করা। এক্ষেত্রে যত বেশি লিংক যুক্ত করবেন ততটা ভালো র‍্যাংকিং পাবেন। তার মানে কি এমনি এমনি লিংক যুক্ত করব? না যেটি প্রাসঙ্গিক সেটিই যুক্ত করবেন। না লাগলে দরকার নেই।

পেজ স্পীড-

ওয়েবসাইট কতটা তাড়াতাড়ি একজন সার্চকারীর সামনে প্রদর্শিত হবে তার উপরেও র‍্যাংকিং অনেকাংশেই নির্ভর করে। সম্প্রতি একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ৪০% লোক ওয়েবসাইটের স্পীড কম হওয়ার কারণে তা থেকে ফিরে এসেছে। আর গুগলও কিন্তু চাইবে না এমন একটি ওয়েবসাইটকে সার্চকারীর সামনে প্রদর্শন করতে। তাই ভালো র‍্যাংকিং পেতে হলে পেজের লোড হওয়ার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

ফ্রেসনেশ বা আপডেট-

আপনি কতটা সময় পর পর আপনার কন্টেন্ট আপডেট করছেন, বা কতদিন আগে করেছিলেন সে বিষয়টিও একটি অন্যতম ভূমিকা পালন করে র‍্যাংকিং এর ক্ষেত্রে। তবে বিষয়টি যদি এমন হয় যে আপনি ৫-৬ বছর আগে একটি কন্টেন্ট র‍্যাংক করিয়েছিলেন এবং সেই কন্টেন্টে কোনো পরিবর্তন না এনেই এই কয়েক বছর কাটিয়ে দিয়েছেন। তাহলে নিঃসন্দেহে আপনার কন্টেন্ট আর টপে থাকবে না। বিষয়টির প্রমাণ পেতে এক্ষুনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেস-

মাঝে মাঝে এমন হতে পারে যে আমাদের ওয়েবসাইটটি শুধু পিসি কিংবা ল্যাপটপেই প্রদর্শিত হয় তবে মোবাইলে নয়। এক্ষেত্রে অনেক বড় হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ একটি ওয়েবসাইটের অধিকাংশ ভিজিটরই(প্রায় ৭০%)  কিন্তু মোবাইলের মাধ্যমে ওয়েবসাইট ভিজিটভকরে থাকে। এক্ষেত্রে আপনার সাইটটি মোবাইলে প্রদর্শিত না হলে সেই ৭০% তো হারাবেনই পাশাপাশি গুগলও আপনার র‍্যাংকিং অনেকটাই কমিয়ে দিবে।

যা এড়ানোর জন্য আমাদের রিসপনসিভ বা মোবাইল ফ্রেন্ডলি সাইট ব্যবহার করা উচিত। আর ওয়েবসাইট টেমপ্লেট বানানোর ক্ষেত্রে বা ওয়েবসাইট ডেভলপমেন্টের ক্ষেত্রে বিশেষ খেয়াল রাখতে।

আগেই বলা হয়েছে, সার্চইঞ্জিন মূলত ইন্টারনেটের একটি অংশ যা আমাদের ইন্টারনেটে বিচরণ ( যাকে ব্রাউজিং বলা হয়) করতে সাহায্য করে।

আবার আমরা ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর সময়  যখন কোনো তথ্য এই সার্চ ইঞ্জিনকে দিয়ে থাকি তা সোজা গিয়ে সার্চ ইঞ্জিনের সার্ভারে বা ডাটাবেসে জমা হয়। আর কোনো ব্যক্তি যখন আমাদের কন্টেন্ট সমন্ধিত কোনো কি-ওয়ার্ড লিখে সার্চ করে তখন সার্চ ইঞ্জিনের কিছু প্রোগ্রাম (বা এলগোরিদম যাকে বট বলা হয়ে থাকে) সার্চ ইঞ্জিন ডাটাবেস থেকে আমাদের সেই কন্টেন্ট তার সামনে হাজির করে।

আরও পড়ুনঃ

সার্চইঞ্জিন কার উপর ভিত্তি করে ফলাফল দিয়ে থাকে?

সার্চ ইঞ্জিনের কাজের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় রয়েছে যার কারণে একই কি-ওয়ার্ড এর জন্য একেক জনের সার্চ রেজাল্ট একেক আসতে পারে। তো এবার জানব এই বিষইয়গুলো-

বিষয়টি বোঝার জন্য চলুন আমরা একটু সার্চ ইঞ্জিন কিসের উপর নির্ভর করে ফলাফল দেখায় তা দেখে আসি-

লোকেশন বা অবস্থান

ধরুন, আপনি এখন বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন। তবে আপনি জায়গাটি ভালো ভাবে চিনেন না। এমতাবস্থায় হঠাত করেই আপনার ইচ্ছা হলো একটি রেস্টুরেন্টে যাবেন এবং সার্চ করলেন Restaurants Near Me । এক্ষেত্রে গুগল কিংবা যে সার্চ ইঞ্জিনই হোক না কেন তা আপনার লোকেশন ট্রাক করে আপনার কাছের সবচেয়ে ভালো রেস্টুরেন্টের নামগুলো আপনাকে সাজেস্ট করবে।

অপরদিকে আপনার বন্ধু দেশের অপর প্রান্ত অর্থাৎ পঞ্চগড়ে বসে একই জিনিস সার্চ করলো। তার সার্চ রেজাল্টও কি একই আসবে? মোটেও না। কেননা আপনার এবং তার লোকেশন বা অবস্থান ভিন্ন। আর এ কারণেই আপনাদের কাছে অবস্থিত রেস্টুরেন্টগুলোও ভিন্ন।

ভাষা

ভাষার ক্ষেত্রেও সার্চ ফলাফলের অনেক ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয় এবং একই কি-ওয়ার্ডের জন্য একাধিক কন্টেন্ট র‍্যাংক করে থাকে। কিভাবে? ধরুন, আপনি বাংলাতে লিখে সার্চ করলেন “সেরা দশটি উপন্যাস”। যার ফলাফলে আপনাকে দেখানো হলো শরৎচন্দ্র কিংবা বঙ্কিমচন্দ্রের কয়েকটি উপন্যাসের নাম।

কিন্তু একই জিনিস যদি আপনি ইংরেজিতে 10 best novels লিখে সার্চ করেন তবে দেখতে পারবেন আপনার সামনে স্যার ওয়াল্টার স্কট কিংবা চার্লস ডিকেনস এর কিছু উপন্যাস হাজির করানো হয়। আর এ কারণেই গুগল কিংবা সার্চইঞ্জিনে সার্চের একটি মুখ্যম বিষয় হলো ভাষা।

পূর্ববর্তী সার্চ হিস্টোরি

আমরা সকলেই জানি যে আমরা যে বিষয় নিয়ে সার্চ করে থাকি না কেন তার কিছু হিস্টোরি আমাদের সার্চ ইঞ্জিন সেভ বা সংরক্ষণ করে থাকে। কেন করে জানেন কি? আসলে এটা মূলত আমাদের সুবিধার জন্যই। সুবিধাটি কিছুটা এমন যে, ধরুন আপনি বাস্কেটবল খুব ভালোবাসেন। আর এ সম্পর্কে জানার জন্য আপনি প্রায়ই এনবিএ কিংবা আরো কিছু বাস্কেটবল সমন্ধিত ওয়েবসাইট ভিজিট করে থাকেন।

তো আপনি যদি এখন আবার সার্চ ইঞ্জিনে পুনরায় বাস্কেটবল কথাটি লিখে সার্চ করেন সেক্ষেত্রে আপনার সবচেয়ে বেশি ভিজিট করা সাইটটিই আপনার সামনে প্রদর্শিত হবে। যা অন্য কারোর টপ রেজাল্ট বা ফলাফলে নাও আসতে পারে।

ডিভাইস

হ্যাঁ, বিভিন্ন ডিভাইসে সার্চ রেজাল্ট বা ফলাফল ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ভিন্ন ডিভাইস বলতে মোবাইল ও কম্পিউটার এর মতো ভিন্ন ডিভাইসের কথা বলা হয়েছে। আর ভিন্ন ভিন্ন ডিভাইসে ভিন্ন সার্চ রেজাল্ট আসার বিষয়টি পুরোপুরিভাবে পরিষ্কার হয়ে যায় যখন গুগল ২০১৬ সালে গুগল মোবাইলের জন্য আলাদা একটি সার্চ ইন্ডেক্স বানানোর পরিকল্পনার কথা সবাইকে জানিয়ে দেয়। আর কয়েক মাসের মধ্যেই তা কার্যকরও করা হয়।

আর উপরোক্ত বিষয় মেনেই একটি সার্চ ইঞ্জিন তার সার্চকারীকে তথ্য সরবরাহ করে থাকে। আর আমদের এসইও কিংবা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন সমন্ধে পুরো জ্ঞান আহোরণ করার আগে উক্ত বিষয়গুলো বুঝতে হবে।

আরও পড়ুনঃ

জনপ্রিয় কয়েকটি সার্চ ইঞ্জিন-

সার্চ ইঞ্জিনের দুনিয়ায় এখন কয়েকশো সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে । তবে আমাদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় হিসাবে কিন্তু গুগল কিংবা বিং এর নামই সবার আগে। তো এ পর্যায়ে চলুন জেনে নেয়া যাক জনপ্রিয় কয়েকটি সার্চ ইঞ্জিন সমন্ধে।

গুগল-

সার্চ ইঞ্জিন এর কথা মাথায় আসলেই যেন আগে গুগল এর নামটা ভেসে আসে। আর একারণেই তালিকায় সবার উপরে রয়েছে এটি। বর্তমানে জনপ্রিয় ফ্রি ল্যান্সিং এর কাজগুলো যেমন এসইও, ওয়েব ডেভলপিং এর ক্ষেত্রে এটি অন্যতম।

ইয়াহু-

গুগল এর পরেই যে নামটি আপনার চোখের সামনে ভেসে ওঠে তা হলো ইয়াহু। সাব মিশন ওয়েবসাইট থেকে সার্চ ইঞ্জিন এ রূপান্তরিত হওয়ার শুরুটা ১৯৯৪ সালে।

বিং-

যা চাচ্ছেন তাই খুঁজে পেতে চান অর্থাৎ যথাযথ সার্চ রেজাল্ট এর জন্য মাইক্রোসফট এর বিং নামক সার্চ ইঞ্জিনটি হতে পারে আপনার জন্য অনন্য।

ডাকডাক গো-

প্রাইভেসি ঠিক রেখে যথাযথ রেজাল্ট এর জন্য আপনি খুব সহজেই ডাকডাক গো সার্চ ইঞ্জিনের উপর নির্ভর করতে পারেন। আর এটি তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন ক্রাউড প্লেস যেমন উইকিপিডিয়া থেকে।

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং কি?

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং মূলত সার্প অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজের মার্কেটিংকে বুঝানো হয়ে থাকে। আপনি যদি একটু খোঁজ নিয়ে থাকে তবে আপনি এসইও সমন্ধে নিশ্চয় জেনে থাকবেন।

এসইও হচ্ছে কোনো ওয়েবসাইটকে র‍্যাংক করে সবার উপরে নিয়ে আসা। তবে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর বিষয়টি পুরোপুরি পেইড। অর্থাৎ আপনি সার্চ ইঞ্জিনকে টাকা দেয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্য কিংবা ওয়েবসাইটের প্রচার প্রচারণা চালাতে পারবেন। অন্য ভাষায় একে পেইড সার্চ মার্কেটিং বলা হয়।

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং করে আয় করবেন কিভাবে?

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং করে আয়ের বিষয়টি এখন বেশ পুরানো। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং করে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে র‍্যাংকড করে যেমন আয় করতে পারবেন তেমন অন্যের ওয়েবসাইটকে যথাযথ মার্কেটিং করেও আয়  করতে পারবেন।

আপনি এ ধরনের কাজ বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে পেতে পারেন। এছাড়াও দেশী ক্লায়েন্ট এর সাথে কাজ করেও নিজের অভিজ্ঞতা ও ইনকাম দুটোই বাড়াতে পারেন। তবে আপনাকে অবশ্যই আমাদের একেবারে শুরুতে বলা কথাগুলো মাথায় রাখতে হবে।

পরিশেষে-

আজকে আমরা জানলাম সার্চ ইঞ্জিন সমন্ধে। আর আমাদের বর্তমান সময়ে যে কোন অনলাইন কাজের ক্ষেত্রেই সার্চ ইঞ্জিন সমন্ধে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি উপরোক্ত পোস্টটি আপনার সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিবে। সেই সাথে আরো পোস্টের আপডেট পেতে সাথেই থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top