Youtube Video SEO/ইউটিউব ভিডিও এসইওঃ অনলাইনে আয় করার জন্য অনেকেই ইউটিউব চ্যানেল করেছেন। সেখানে যথারীতি কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু ইউটিউব ভিডিও কোনভাবেই রেংক হচ্ছে না। ভিজিটররা ভিডিও দেখছে না। কিভাবে ইউটিউব ভিডিও র্যাংক হবে এজন্য সমাধান খুঁজছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি কিভাবে ইউটিউব ভিডিও কে ইউটিউব এর প্রথম পেজ এ রেঙ্ক করাবেন। শুধুমাত্র ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করলেই ভিডিও রেঙ্ক হবে না। সার্চ করলে খুঁজে পাওয়া যাবে না । এর জন্য কিছু নিয়ম নীতি মানতে হবে। অর্থাৎ ভিডিও যাতে সার্চ করার পর প্রথম দিকে চলে আসে সে জন্য কিছু অপটিমাইজ /SEO করতে হয়। ইউটিউবের মাধ্যমে আয় করুন।
কিছু কিছু ভিডিও অপটিমাইজ করা ছাড়াও প্রথম পেজে চলে আসে যদি এরকম টা হয় সেটা অনেকটাই ভাগ্যের ব্যাপার। কেননা অপটিমাইজ করা ছাড়া একটি ভিডিও সচরাচর Rank হয় না।
একটি ভিডিও অনলাইনে আপলোড করার পর সেটিকে প্রথম পাতায় Rank করানোর জন্য যে কাজটি বা পদ্ধতি রয়েছে সেটাকে ইউটিউব এসইও/SEO বলে। তো চলুন দেখে নেয়া যাক Youtube Video র্যাংক করানোর জন্য কি কি কাজ করতে হবে।
ইউটিউব এসইও/SEO কি?
ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার পর ভিডিওটা যাতে ইউজাররা খুঁজে পায় সেজন্য বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় বা অপটিমাইজ করতে হয় ভিডিও ইউটুবের ১ম পাতায় র্যাংক করার জন্য যে কাজগুলো করতে হয় সেটি হচ্ছে ইউটিউব এসইও/SEO।
ইউটিউব এর জন্য কি কি কাজ করতে হয়ঃ
একটি ভিডিও SEO করতে হলে, প্রথমেই SEO এর কাজটিকে দুই ভাগে ভাগ করে নিতে হবে।
১। অনপেজ ইউটিউব SEO
২। অফপেজ ভিডিও SEO
আমি এই টিউটোরিয়ালে দুইটি মাধ্যম-ই পর্যায়ক্রমে আলোচনা করছি যাতে আপনি চাইলেই আপনার ইউটিউব ভিডিও কে সহজেই ইউটিউবের ১ম পাতায় র্যাংক করাতে পারেন। এর জন্য যে যে কাজগুলো বা মাধ্যমগুলো অবলম্বন করতে হবে সবকিছুই থাকবে আমার এই টিউটোরিয়ালে।
আরও পড়ুনঃ
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইনে আয় করুন
ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে আয় করুন
On-page ইউটিউব SEO
অন-পেজ ইউটিউব SEO হলঃ যে কাজগুলো চ্যানেলের মধ্যে বা যে ভিডিওটি র্যাংক করাতে চান সেই ভিডিওর মধ্যে করতে হয়। অর্থাৎ ইউটিউব চ্যানেল ভিডিও ভালোভাবে অপটিমাইজ করাই হচ্ছে On-page Youtube SEO। অন চ্যানেল ইউটিউব এর মধ্যে বেশকিছু ভাগ রয়েছে যেগুলো আমি নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করছি।
ব্রান্ড চ্যানেল তৈরি করা/Make Brand Channel
আপনি যে চ্যানেলে আপনার ভিডিওটি আপলোড করবেন সে চ্যানেলটি অবশ্যই ব্র্যান্ডিং কোন নাম দিয়ে করবেন। যাতে খুব সহজেই চ্যানেলটি একটি ব্র্যান্ড আকারে তৈরি হয়। বর্তমান গুগলের সার্চ অ্যালগরিদম অনুযায়ী Brand Chennel- এ যে কোন ভিডিও খুব দ্রুত র্যাংক হয়ে থাকে। এবং Brand চ্যানেলগুলো ইউজাররা খুব সহজেই মনে রাখতে পারে এবং পরবর্তীতে সেই brand-name দিয়ে সহজেই চ্যানেলে প্রবেশ করতে পারে। একটা চ্যানেল ব্র্যান্ড আকারে তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
আরো একটা বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত,চ্যানেল তৈরি করার সময় অবশ্যই খুব সহজ এবং মনে রাখার মত কোন Brand তৈরি করার চেষ্টা করবেন। এমন কোন ব্র্যান্ড তৈরি করা যাবে না যেটা মানুষ উচ্চারণ বা মনে রাখতে পারে না। কেননা অনেক মানুষ ভিডিও তে ক্লিক না করে শুধুমাত্র ব্র্যান্ড নাম দিয়ে সার্চ করে ইউটিউবে প্রবেশ করে।
যেমন, t-series। বলিউডের কোন গান শোনার জন্য বা বলিউডের কোন তথ্য পাওয়ার জন্য যারা ইউটিউবে প্রবেশ করে তারা প্রথমে গিয়ে সার্চ করে t-series লিখে। দৈনিক কয়েক মিলিয়ন ইউজার শুধুমাত্র তাদের ব্যান্ড নাম লিখেই তাদের Chennel এ প্রবেশ করে।
ভিডিও বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে করনীয়/ Remember when select the video topic
আপনি যখন ভিডিও বানাবেন ভিডিও এর টপিক বা বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, এই ভিডিওটি একটি মানুষ ইউটিউবে খুঁজছে কি না। মানুষের প্রয়োজনীয় কোন টপিক হচ্ছে কিনা।
যদি এমন কোন টপিক নির্বাচন করেন, যে টপিক দিয়ে মানুষ কখনো ইউটিউবে সার্চ করে না। তাহলে কিন্তু আপনার সেই টপিক নিয়ে ভিডিও বানানোর বৃথা হয়ে যাবে। তাই ভিডিও বানানোর পূর্বে অবশ্যই দেখে নিতে হবে যে ক্যাটাগরির ওপর ভিডিওটি বানাচ্ছেন সেই টপিকের উপর ইউজারদের চাহিদা কেমন।
আরো একটি লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, যে সমস্ত বিষয়ে ইউজারদের প্রচুর চাহিদা আছে এবং তুলনামূলক ভিডিও কম এরকম টপিক নির্বাচন করতে পারলে খুব সহজে/ দ্রুত আপনার ভিডিও র্যাংক হয়ে যাবে।
ভিডিও লম্বা করা/ Long your Video Length
যখন কোন ভিডিও বানাবেন ভিডিওটি কমপক্ষে 10 মিনিট বা তার থেকে ওপরে বানানোর চেষ্টা করবেন। কেননা 10 মিনিটের কম কোন ভিডিওতে ইউজারকে যেকোনো বিষয়ে পরিপূর্ণ ভাবে বোঝানো সম্ভব হয় না। তবে হ্যাঁ আপনি যে বিষয়ে ভিডিওটি বানাচ্ছেন সে বিষয়টি যদি সর্ট টপিক হয় তাহলে এর 10 মিনিটের কম লেন্থের ভিডিও বানাতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই।
ভিডিওর মাঝে মোটিভেশনাল কিছু রাখা- Keep Motivational Speech on Video
ভিডিওর মাঝে মাঝে এমন কিছু কথা বা বিষয় উল্লেখ করা যেগুলো একজন ইউজার বা ভিজিটর স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং সেগুলো দেখতে পছন্দ করে। তাতে করে একজন ভিজিটর আপনার ভিডিওটি বেশী সময় ধরে দেখতে থাকবে।
এখানে একটি উল্লেখ্য বিষয় যে, আপনি আপনার ভিডিওর শেষাংশে এমন কিছু রাখুন এবং সে বিষয় সম্পর্কে ভিডিওর শুরুতে বলে রাখুন।
যেমন: মনে করুন “মোবাইল লক এর ব্যাপরে ভিডিও তৈরি করেছেন” এবং এর সমাধান ভিডিওর শেষ অংশে রয়েছে। আপনি সেটা প্রথমাংশে বলে দিতে পারেন যে, এই ভিডিওতে এর পূর্ণ সমাধান রয়েছে তাহলে কিন্তু ইউজাররা আগ্রহী হয়ে ভিডিওটি সম্পূর্ন দেখবে।
অথবা বলতে পারেন ভিডিওটি কোন অংশ বাদ দেওয়া যাবেনা প্রত্যেকটি অংশই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই পূর্ণ ভিডিওটি দেখুন কোন একটি বিষয় বাদ পড়লে হিতে বিপরীত হতে পারে। তখন দেখবেন ভিউয়ার ভিডিওটি মনোযোগ সহকারে বারবার দেখতে থাকবে।
যখন একটি ভিডিও অধিক পরিমাণে দেখা হবে তখন সে ভিডিওটি খুব দ্রুত র্যাংক করবে।
শুদ্ধ ও সহজ ভাষায় উপস্থাপন করা/ Use Correct and Easy Word
আপনার ভিডিওতে যে ভয়েস বা কথা রয়েছে সেগুলো খুব সহজ এবং শুদ্ধ ভাষায় উপস্থাপন করুন। যাতে ইউজাররা খুব সহজেই বুঝতে পারে। তাহলে আপনার ভিডিওটি পরবর্তীতে দেখতে সেই ইউজার আবার আসবে।
শুদ্ধ এবং সহজ উপস্থাপনা একটি ভিডিওর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । কেননা এলোমেলো কোন উপস্থাপনা দিয়ে ইউজার এর চাহিদা পূরন করা যায়না। এছাড়াও ইউজাররা আপনার কথা বলার ভঙ্গি / উপস্থাপনা দেখে আপনার ভিডিওটি দেখতে আগ্রহী হবে।
শিক্ষনীয় বিষয়বস্তুর দিকে গুরুত্ব দেয়া/ Give importance about educational Topics
ভিডিও বানানোর পূর্বে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনার ভিডিওটি দেখে ইউজাররা কোন কিছু শিখতে পারছে কিনা জানতে পারছে কিনা। যখন কোন ইউজার বা ভিওয়ার আপনার ভিডিও থেকে উপকৃত হবে তখনই শুধুমাত্র ভিডিওটি দেখবে।
আর যদি আপনার ভিডিওটি থেকে কোন কিছুশিখতে না পারে তাহলে কিন্তু আপনার ভিডিওটি দেখতে চাইবে না । যদিও তার সামনে আপনার ভিডিওটি চলে আসে একটু দেখেই সেটাকে স্কিপ করে দেবে বা বাদ দিয়ে দেবে। সে ক্ষেত্রে আপনার ভিডিওর র্যাংক ড্রপ হতে পারে।
রিলেটিডঃ ছাত্র ছাত্রীদের জন্য অনলাইনে আয় করার কৌশল
আকর্ষনীয় থাম্বনেইল ব্যবহার করা/ Use beautiful thumbnail
একটি ভিডিওর ম্যাক্সিমাম ভিজিটর আসে সাজেস্টেড ভিডিও থেকে। যদি ইউটিউব আপনার কোন ভিডিওকে সাইডবারে সাজেস্ট করে এবং আপনার থাম্বনেইল ইমেজটা আকর্ষণীয় হয় তাহলে ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। সাজেস্টেড ভিডিও থেকে ভিজিটর পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে আকর্ষণীয় থামনেল। তাই একটি ভিডিওর আকর্ষণীয় থামনেল দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
টাইটেল ট্যাগ এ কী ওয়ার্ড রাখা/ Keep keywords in title tag
আপনি যে বিষয়ের উপর ভিডিও বানিয়েছেন সেই বিষয়টি বা কীওয়ার্ডটি অবশ্যই টাইটেল এর মধ্যে রাখতে হবে। তাহলে ইউটিউব এর অ্যালগরিদম সহজেই বুঝতে পারবে আপনার ভিডিওটির টপিক/বিষয় কি। আর সে অনুযায়ী ইউটিউব আপনার ভিডিও কে র্যাংক করাবে।
ডিসক্রিপশনে কীওয়ার্ড এবং LSI রাখা/ Keep Keyword in Description
ভিডিও ডিসক্রিপশন কীওয়ার্ড ব্যাবহার করা এবং কীওয়ার্ড এর সাথে অর্থ মিলিয়ে শব্দ ব্যবহার করা। LSI হলোঃ (Latent Semantic Indexing) অর্থাৎ কীওর্য়াড এর সমর্থক ওয়ার্ড।
আরও পড়ুন: গুগল এডসেন্স থেকে মাসে $১৫০০ ডলার আয় করার উপায় । পূর্ণাঙ্গ গুগল এডসেন্স এর নিয়ম
কীওয়ার্ড রিলেটেড ট্যাগ ব্যবহার করা/ User Keyword related tag
ভিডিও ট্যাগঃ যে ক্যাটাগরি বা বিষয়ের উপর ভিডিও বানিয়েছেন সে বিষয়ে ট্যাগ ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত বা আজেবাজে কোন ট্যাগ ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। যখন আপনার রিলেটেড টপিক ছাড়া অন্য কোন টপিক বা অতিরিক্ত ট্যাগ ব্যবহার করবেন তখন সেই ভিডিওটি কনফিউজড অপশনে চলে যাবে।
অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিনের বুঝতে প্রবলেম হবে, আপনার ভিডিওটি আসলে কি রিলেটেড। ভিডিওতে ট্যাগ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। একটি ভিডিও এর ট্যাগ ভিডিও রেংকিং এর ক্ষেত্রে অনেকটাই কার্যকরী মাধ্যম।
আরও পড়ুনঃ
অনলাইনে আয়ের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম
লং টাইম ভিওয়ার ধরে রাখা/ Use trikes to hold on user
ভিডিওতে লংটাইম বিয়ার ধরে রাখার কিছু অত্যাধুনিক কৌশল ব্যবহার করতে হবে। কেননা যত বেশি সময় ধরে একজন ইউজার একটি ভিডিও দেখবে সেই ভিডিওটি রেংকিং এর ক্ষেত্রে ততটাই এগিয়ে যাবে। একটি ভিডিওর ওয়াচ টাইম ভিডিও রেংকিং এর ক্ষেত্রে অনেকটাই কার্যকরী মাধ্যম।
কমেন্ট করার জন্য অপশন তৈরি করে দেয়া/ Create Option to comment
আপনার ভিডিওর মাঝে মাঝে কিছু অপশন তৈরি করে দেবেন যাতে সে অপশন থেকে যে কোন একটি বিষয় ইউজাররা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে। মনে রাখবেন যত বেশি কমেন্ট আপনার ভিডিওতে হবে, তখন ইউটিউব এর অ্যালগরিদম বুঝতে পারবে এই ভিডিওটির প্রতি ইউজারদের আগ্রহ রয়েছে তাই সে ভিডিওটি খুব দ্রুত র্যাংক হতে থাকবে। তাই যাতে ইউজাররা বেশি বেশি পজেটিভ কমেন্ট করে এরকম কোন সিচুয়েশনে তৈরি করতে হবে।
যেমনঃ আপনার ভিডিওতে তিনটি বিষয় রয়েছে তিনটি বিষয়ের মধ্যে ইউজারদের কাছে কোন বিষয়টি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে সেটি জানতে চেয়ে ভিজিটরদের লক্ষকরে বলুন, আপনাদের কাছে কোন বিষয়টি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে? সেটি আমাদের কমেন্ট করে জানান। আপনার এই একটি কথার কারণে অনেকাংশে আপনার ভিডিওতে পজেটিভ কমেন্ট আসবে।
লাইক বা শেয়ার করার জন্য ভিওয়ারদের আগ্রহী করা/Encourage viewers to like or sharee
ভিডিওর মাঝে মাঝে ইউজারদের উদ্দেশ্য করে কোন কিছু বলুন বা তাদের কাছে কোন কিছু জানতে চান। যদি আপনি ইউজারদের কাছে কোন কিছু জানতে চান তাহলে দেখবেন অনেক ইউজার তাদের মতামত আপনাকে জানাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আপনার কমেন্ট যেমন বেড়ে যাবে তেমনি তাদেরকে বলতে পারেন লাইক এবং শেয়ার করতে। যাতে করে তার ফ্রেন্ড সার্কেল এই তথ্যগুলো জানতে পারে। এরকমভাবে আপনার ভিডিওর লাইক বা শেয়ার করার জন্য ইউজারদের আগ্রহী করে তুলুন।
আরও পড়ুনঃ নতুন ওয়েবসাইটে দ্রুত ভিজিটর আনার উপায়
মাঝে মাঝে কার্ড ব্যবহার করা/ Use the card occasionally
ভিডিওর মাঝে মাঝে অন্য কোন ভিডিও এর রেফারেন্স দিয়ে কার্ড তৈরি করুন (আই বাটন) তৈরি করে বলুন, এই বিষয়ে জানতে চাইলে ওপরে আই বাটনে ক্লিক করে ভিডিওটি দেখে আসুন। তাহলে দেখবেন এই ভিডিওর সাথে সাথে অন্য আরেকটি ভিডিও ইউজাররা দেখছে। ক্ষেত্রে আপনার ভিডিওর ভিউজ বেড়ে যাবে এবং রেংকিং এর ক্ষেত্রে অনেক পজিটিভ প্রভাব পড়বে।
ইন্ডস্ক্রিন ব্যবহার করা
ভিডিও শেষে End Screen ব্যবহার করা, ভিডিওর শেষে End Screen ব্যবহার করলে ইউজার ভিডিওটি শেষ করার পর ইঞ্চি স্ক্রিনের যেকোনো একটি ভিডিওর উপর ক্লিক করে আরেকটি ভিডিও দেখার আগ্রহী হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার আরেকটি ভিডিও ভিউ হয়ে গেল। ভিডিও ভিউজ বাড়ানোর এটি একটি অন্যতম কৌশল বা মাধ্যম। আপনার ভিডিও লিংক করাতে চাইলে অবশ্যই ভিডিও শেষে End Screen ব্যবহার করবেন।
অন পেজ অপটিমাইজেশন এর মধ্যে এই বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এছাড়াও আরো ছোটখাট অনেক বিষয় রয়েছে আস্তে আস্তে কাজ করার সময় বুঝতে পারবেন যে এখন আপনার কি করা উচিত।
আরও পড়ুনঃ
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইনে আয় করুন
ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে আয় করুন
অফপেজ ভিডিও এসইও
Off Page Video SEO হলো, চ্যানেল এর বাইরে কিছু কাজ করা যেখান থেকে আপনার চ্যানেলকে রেফার করে কোন কাজ করা। যার মাধ্যমে আপনার চ্যানেলে ভিজিটর আসে। এবং এর দ্বারা একটি চ্যানেলের প্রায়োরিটি সার্চ ইঞ্জিনের কাছে বেড়ে যায়।
আমি নিম্নে কিছু অফপেজ ভিডিও এস.ই.ও কৌশল দিয়ে দিয়েছি যেগুলো করার মাধ্যমে একটি ভিডিওকে খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করানো সম্ভব।
সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা
আপনার ভিডিওটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন যেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর ভিডিওটি দেখবে এবং আপনার চ্যানেল সম্পর্কে জানতে পারবে। এতে করে আপনার চ্যানেলের যেমন ব্র্যান্ডিং হবে তেমনি আপনার অনেক ভিডিও ভিউজ বেড়ে যাবে এবং সার্চ ইঞ্জিনে প্রায়োরিটি বাড়বে।
জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন হলঃ ফেইসবুক, টুইটার, পিন্টারেস্ট ইত্যাদি
প্রশ্নোত্তর সাইটে অংশগ্রহন করাঃ Participate Question Ansar Site
আপনি বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর সাইটে যুক্ত হয়ে আপনার ভিডিওর লিংক শেয়ার করতে পারেন। যেমন আপনার ভিডিওটি যদি এমন হয় যে, অনলাইনে আয় করার কিছু মাধ্যম। তাহলে যে সমস্ত ইউজাররা জানতে চাচ্ছে কিভাবে অনলাইন থেকে আয় করতে হয়? সেখানে আপনি বলতে পারেন “অনলাইন থেকে আয় করতে চাইলে এই ভিডিওটি দেখুন” লিখে সেখানে আপনার ভিডিও লিংকটি দিয়ে আসুন দেখবেন সেখানে অনেক ভিজিটর পাবেন।
জনপ্রিয় কিছু প্রশ্ন-উত্তর সাইটঃ popular Question answer site list
- Yahoo! Answers
- Answerbag
- Blurt it
- WikiAnswers
- FunAdvice
- Askville
- Friendfeed
ব্যাক লিংক করা/ Do Backlink
ব্যাকলিংক হলো আপনার ওয়েবসাইট বা ভিডিও চ্যানেল এর লিংকটি অন্য কোন ওয়েবসাইটে এন্ড ট্রিকস এর মাধ্যমে দিয়ে আসা। অর্থাৎ যেকোন ওয়েবসাইট বা ভিডিও চ্যানেল রেফার করবে যে এখানে এই বিষয়টি পাওয়া যাবে।
লিখে সেখানে আপনার ভিডিও বা ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দিয়ে দেবে। এতে করে সেই লিঙ্কে ক্লিক করে আপনার ভিডিওতে যেমন ভিজিটর আসবে ঠিক তেমনি সার্চ ইঞ্জিনগুলো আপনার ভিডিওকে প্রায়োরিটি দেবে এবং আপনার ভিডিওটিকে রেংকিং এ প্রথম দিকে নিয়ে আসতে সাহায্য করবে।
তাই আপনার ওয়েবসাইট বা ভিডিও প্রচ্ছন্ন যত ভালো করতে পারবেন ততই আপনার ভিডিওতে ভিউ বাড়বে এবং রেংকিং বাড়বে। এই পদ্ধতিটি সুপ্রাচীন একটি পদ্ধতি।
আরও পড়ুন: গুগল এডসেন্স থেকে মাসে $১৫০০ ডলার আয় করার উপায় । পূর্ণাঙ্গ গুগল এডসেন্স এর নিয়ম
ওয়েব সাইটে শেয়ার/এমবেড করা/ Embaded video on website
আপনার ইউটিউব চ্যানেল রিলেটেড রিলেটেড একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন এবং সেখানে আপনার ভিডিও রিলেটেড বিভিন্ন কন্টেন্ট দিন এবং মাঝে মাঝে আপনার ভিডিওগুলো কে এড করে দিন। যাতে কোন ইউজার আপনার ভিডিও রিলেটেড কোন কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে এবং আপনার ভিডিওটি দেখতে পায়।
এজন্য আপনি চাইলে ব্লগস্পট বা অন্য যে কোন প্লাটফর্মে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। এছাড়াও ওয়েবসাইট দিয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করার অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো অবলম্বন করে আপনি আলাদা ইনকাম করতে পারেন। এতে করে ওয়েবসাইট থেকেও আপনার ইনকাম হবে এবং আপনার ভিডিও এর ভ্যালু সার্চ ইঞ্জিনে বাড়বে।
কমেন্ট করা/ Comment
আপনার ভিডিওর সম্পর্কিত যেকোন ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল গুলোতে কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট এ কিছু কথা লিখে আসুন এবং সাথে আপনার ভিডিওর ইউআরএলটি দিয়ে আসুন যাতে করে একজন ইউজার সহজেই আপনার ভিডিও এর উপরে ক্লিক করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে সহজেই চলে আসতে পারে। এতে করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিউ বাড়বে এবং আপনার ভিডিওটি রেংকিং এর ক্ষেত্রে অনেকটাই প্রধান পাবে।
গেষ্ট পোষ্ট করা/ Gest post
বর্তমানে বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যে ওয়েবসাইটগুলোতে যেকোনো সময় ইচ্ছা করলেই আর্টিকেল প্রকাশ করা যায়। প্রথমেই এরকম কিছু ওয়েবসাইট খুঁজে বের করুন এবং আপনার ভিডিও সম্পর্কিত আর্টিকেল লিখে মাঝে মাঝে আপনার ভিডিও এম্বেড করুন অথবা লিংক দিয়ে আসুন।
যখন এই ওয়েবসাইটে ভিজিটর যাবে আপনার ভিডিওর লিংক এ ক্লিক করে সেখান থেকে সরাসরি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ইউজাররা চলে আসতে পারবে এতে করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওটি খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিনে হয়ে যাবে।
অন্যান্য ভিডিও ওয়েব সাইটে লিংক তৈরি করা/ Create link on others Video website
ইউটিউব ছাড়াও অন্যান্য বেশকিছু ভিডিও প্ল্যাটফর্ম রয়েছে আপনি সেই ভিডিও প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপনার ভিডিও রিলেটেড কিছু ভিডিও যুক্ত করুন এবং নিচে ডিসক্রিপশন বক্স এ আপনার বর্তমান ভিডিওর লিংকটি দিয়ে আসুন যাতে সেখান থেকে ক্লিক করে যে কেউ আপনার ভিডিওতে চলে আসতে পারে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে একটি ভিডিওকে সার্চ ইঞ্জিনে খুব সহজেই র্যাংক করানো সম্ভব।
পেইড মার্কেটিং করা/ Paid Marketing
উপরে যে সকল মাধ্যমগুলো দিয়েছি প্রত্যেকটি মাধ্যম ফ্রিতেই আপনি নিজে নিজেই করতে পারবেন এছাড়াও আপনি যদি চান কিছু টাকা খরচ করে আপনার ভিডিও এর ভিউ বাড়াবেন তাহলে খুব সহজেই গুগোল এডস বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনার ভিডিওটি খুব সহজে অনেক জায়গায় পৌছে দিতে পারেন। এতে করে আপনার ভিডিওতে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর আসবে।
আরও পড়ুনঃ
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইনে আয় করুন
ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে আয় করুন
সর্বপরি আমাদের পরামর্শ
সর্বোপরি আমাদের পরামর্শ হলো আপনি যদি একটি ভিডিওকে রেংক করাতে চান তাহলে অবশ্যই উপরের যে মাধ্যমগুলো দিয়েছি সে মাধ্যম গুলোর দিকে একটু ভালো করে খেয়াল করে তারপর কাজ করুন আশাকরি অতি শীঘ্রই আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি সাফল্যের মুখ দেখবে।
বন্ধুরা যদি আমার এই লেখাটি ভালো লাগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং তাদের জানতে সাহায্য করুন। এবং এ ব্যাপারে আপনার যদি কোন মতামত বা পরামর্শ থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।
Like