আর্টিকেল লিখে আয় করুন মাসে $1000 ডলার । আর্টিকেল লেখার নিয়ম

আর্টিকেল লিখে ঘরে বসে আয় করুন। আর্টিকেল লিখে আয় একথাটি সচরাচর বিভিন্ন ওয়েবসাইট বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিও এবং অনেক ব্লগপোস্টে দেখা যায়। কিন্তু কিভাবে আর্টিকেল লিখে আয় করবেন? কিভাবে আর্টিকেল রাইটিং এর ক্যারিয়ার শুরু করবেন? এর জন্য আমরা একটি গাইড টিউটোরিয়াল তৈরি করেছি। আর্টিকেল লেখার নিয়ম শিখুন সহজেই।

আমাদের এই টিউটোরিয়ালটি ফলো করলে আশা করি আপনি দুই থেকে তিন মাস পর থেকে আর্টিকেল লিখে অনলাইন থেকে নিশ্চিত আয় করতে পারবেন।

তো বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে চলুন আসল কথায় আসা যাক:

আর্টিকেল লিখে আয় করুন মাসে $1000 ডলার । আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আর্টিকেল লিখে আয় করুন মাসে $1000 ডলার । আর্টিকেল লেখার নিয়ম

Table of Contents

আর্টিকেল কি

আর্টিকেল রাইটিং কথাটি আসলেই প্রথমে যে বিষয়টি মাথায় আসে সেটি হল আর্টিকেল কি। বা কিভাবে আর্টিকেল লিখব। আমরাতো ক্লাসে অনেক আর্টিকেল লিখেছি কিন্তু এটা আবার কোন আর্টিকেল?

আমি একেবারে সহজ করে বলি, আমরা যখন অনলাইনে কোন বিষয়ে পড়ার জন্য সার্চ করি, তখন সার্চ রেজাল্টে বিভিন্ন ধরনের তথ্যমূলক লেখা পাওয়া যায়। এই প্রত্যেকটি লেখা একটি আর্টিকেল। আর্টিকেল কে ব্লগ পোস্ট ও বলা হয়।

আর্টিকেল লিখে অনলাইন থেকে ঘরে বসে আয় করতে হলে আপনাকে সঠিকভাবে সকল নিয়ম কানুন মেনে আর্টিকেল লেখা শিখতে হবে। যখন আপনি একটি আর্টিকেল সম্পূর্ণ নিয়ম কানুন মেনে তথ্যবহুল ভাবে লিখতে পারবেন, তখন আপনি চাইলেই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে ভাল অঙ্কের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আর্টিকেল লেখার কি কোন নিয়ম আছে

হে বন্ধুরা একটি কোয়ালিটি আর্টিকেল লেখার কিছু নিয়ম রয়েছে। আমাদের কাছে কিছু সিক্রেট ফর্মুলা রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করে একটি আর্টিকেল দেখলে 100% ইউনিক, অরিজিনাল এবং হাই কোয়ালিটি আর্টিকেল লিখতে পারবেন খুব সহজেই।

আরও পড়ুন: আর্টিকেল কাকে বলে ? আর্টিকেল লেখার জন্য কি জানতে হবে ।

আমরা এই আর্টিকেলে কভার করব কিভাবে সুন্দরভাবে আর্টিকেল লেখা যায়। তার আগে আর্টিকেল রাইটিং এবং রাইটার সম্পর্কে কিছু ইনফরমেশন জেনে নেয়া উচিত তাইনা?

একজন আর্টিকেল রাইটার এর চাহিদা কেমন

বর্তমানে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে একজন আর্টিকেল রাইটার এর চাহিদা অনেক বেশি। তবে এর জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের রাইটার হতে হবে। একজন ভাল মানের রাইটার হতে হলে আপনাকে আর্টিকেল রাইটিং সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান অর্জন করতে হবে যা আমরা এই টিউটোরিয়ালে শেয়ার করেছি।

বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে আর্টিকেল রাইটিং এর উপর হাজার হাজার কাজ রয়েছে। কিন্তু এর জন্য পর্যাপ্ত রাইটার নেই। বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে যে সমস্ত আর্টিকেল রাইটার কাজ করেন তাদের ৮০% অদক্ষ। যার কারণে তারা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে না পেরে অন্যদেরকে উৎসাহিত করে।

আসল কথা হল তারা কাজ জানে না তাই কাজ করতে পারে না। কিন্তু কথা বলার বেলায় বলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে আর্টিকেল রাইটিং এর উপর ভালো কোন কাজ পাওয়া যায় না। কিন্তু আমি বলবো একজন ভাল মানের রাইটার অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে প্রতি মাসে 50 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছেন খুব সহজেই। কেননা আর্টিকেল রাইটিং এর কাজগুলো অন্যান্য কাজে তুলনায় অনেক সহজ।

সহজে বোঝার জন্য আমি freelancer.com থেকে একটি স্ক্রীনশট যুক্ত করলাম। এখানে লক্ষ্য করুন আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য রাইটাররা কি পরিমাণে ডলার পেয়েছে। এখানে এভারেজে যে ডলার এর পরিমান রয়েছে তার চেয়ে কম ডলার এ কোন ফ্রিল্যান্সারকে হায়ার করতে পারবে না। সুতরাং বুঝা যায় একজন ভালো মানের রাইটার মাসে কত টাকা আয় করে।

আমি upwork.com থেকে আরো একটি স্ক্রীনশট আপলোড করলাম । এখানে দেখুন রাইটাররা প্রতি ঘন্টার জন্য কত টাকা চার্জ করে। প্রতি ঘন্টায় যদি 30 ডলার হয় তাহলে দৈনিক এভারেজ চারঘন্টা কাজ করলে দিনে 10000 টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

এরকম peopleperhour, hirewriter, fiverr এর মতো বড়-বড় মার্কেটপ্লেসগুলোতে আর্টিকেল রাইটার এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

এখন আপনি বলুন যারা বলে আর্টিকেল লেখা শিখে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব নয় আপনি তাদের কি বলবেন। আমি কিছু বলবো না যা কিছু বলার আপনি বলুন।

আর্টিকের রাইটিং শিখতে কত দিন সময় লাগবে

আর্টিকেল লেখা শিখতে কতদিন সময় লাগে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনি কি পরিমানে সময় দিচ্ছেন, দৈনিক কতটুকু সময় প্র্যাকটিস করছেন তার ওপর। এছাড়াও আপনার অ্যাক্যাডেমিক কোয়ালিফিকেশন, আপনার আইকিউ, সৃজনশীলতা, এবং উপস্থিত বুদ্ধির ওপর নির্ভর করে।

তারপর বিভিন্ন কোয়ালিফিকেশন, পরিশ্রম এবং সময়ের তারতম্যের কারণে প্রফেশনাল আর্টিকেল লেখা শিখতে ১ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। অনলাইনে ঘরে বসে ইনকাম করার যতগুলো মাধ্যম রয়েছে সবগুলোর মধ্যে আর্টিকেল লিখে আয় করার সিস্টেমটি সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুত।

আপনি আর্টিকেল লেখা শিখে যেমন সহজে ইনকাম করতে পারবেন তেমনি আপনার অল্প সময়ের মধ্যেই ইনকাম শুরু হবে। এখানে একটি কথা বলা বাহুল্য যে, আপনার যদি আর্টিকেল লেখার প্রতি কোন আগ্রহ বা ইন্টারেস্ট না থাকে তাহলে আপনি অন্য কোন টপিক নিয়ে কাজ শুরু করুন।

এছাড়াও আর্টিকেল এর প্রকারভেদ অনুযায়ী আর্টিকেল রাইটিং শিখতে এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কেননা আর্টিকেল বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে আপনি কোন ক্যাটাগরির আর্টিকেল রাইটিং শিখবেন এটি একটি অন্যতম কারন।

আর্টিকের রাইটিং করে কত টাকা আয় করা যাবে

আর্টিকেল লিখে কত টাকা ইনকাম করা যায়? এ প্রশ্নের উত্তর আমি ইতিমধ্যে উপরে দিয়ে দিয়েছি তারপরও এখনো বলছি।

একজন দক্ষ এবং ভালো মানের আর্টিকেল রাইটার প্রতিমাসে 50 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনায়াসে ইনকাম করতে পারে। তবে আর্টিকেল রাইটিং এর দক্ষতা এবং সৃজনশীলতা এর উপর ভিত্তি করে এর চেয়ে কম হতে পারে। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে একজন রাইটারের দক্ষতার ওপর।

আপনার যদি আর্টিকেল লেখার উপর ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই প্রতিমাসে 20 হাজার টাকা থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

কোথা থেকে আর্টিকেল রাইটিং শিখবেন

কোথা থেকে আর্টিকেল রাইটিং শিখবেন এটি একটি অতি প্রয়োজনীয় প্রশ্ন? কেননা বর্তমানে বাজারগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটে এবং বিভিন্ন ধরনের ভিডিও করছে নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে থাকে। তার মানে এই না যে আপনি একটি বিজ্ঞাপন দেখে সেখানে আর্টিকেল লেখা শুরু করে দিলেন। আপনাকে অবশ্যই যারা শিক্ষার্থী তাদের সম্পর্কে ভালো ধারণা নিতে হবে।

কেননা বর্তমানে বিক্রি করা একটি বিজনেস হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু কিছু ট্রেইনার রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের অফার এর মাধ্যমে তাদের কোর্সগুলো বিক্রি করে থাকে এদের মধ্যে এমন রয়েছে যেগুলো দেখে আপনি কিছু শিখতে পারবেন না (আমি সবার কথা বলছি না)। এ ব্যাপারে আপনি যদি না বোঝেন অবশ্যই কোন এক্সপার্ট এর পরামর্শ নিতে পারেন।

তাছাড়া আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি কোনভাবে ফলো করেন, আর্টিকেলে লিংক রয়েছে প্রত্যেকটি লিংক ভালোভাবে চেক করেন, তাহলে আমি মনে করি আপনার আর অন্য কোথাও ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে আর্টিকেল রাইটিং শিখতে হবে না।

আরো বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন: কিভাবে এবং কোথায় থেকে আর্টিকেল রাইটিং শিখব।

আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যেই আর্টিকেল লেখার যাবতীয় নিয়ম-কানুন এবং সকল রিসোর্ট ব্লগ ও ভিডিও টিউটরিয়াল আকারে আপলোড করা হয়েছে। যাই হোক এবার আমরা আসছি আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে। অর্থাৎ একটি আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে কি কি শিখতে হবে সকল বিষয় থাকবে এখানে।

আর্টিকেল লেখার নিয়ম

আপনি যদি আর্টিকেল লেখা শিখে অনলাইনে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে এই অংশটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে আর্টিকেল কিভাবে লিখবেন আর্টিকেল এর প্রকারভেদ এবং সকল ধরনের সিক্রেট বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। তো চলুন দেখে নিই:

আর্টিকেল কত প্রকার এবং কি

আর্টিকেল রাইটিং এর প্রকারভেদ ব্লগ ওয়েবসাইট এবং বিজনেস পেজ অনুসারে বেশকিছু ক্যাটাগরির হয়ে থাকে। আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য জনপ্রিয় যে ক্যাটাগরি গুলো রয়েছে সেগুলি হল:

এখানে কয়েকটি ক্যাটাগরি যুক্ত করলাম আপনারা চাইলে প্রয়োজন অনুসারে ক্যাটাগরির ওপর ক্লিক করে বিস্তারিত পড়ে নিতে পারবেন।

  • ফিচার রাইটিং,
  • টেকনিক্যাল রাইটিং,
  • সামারি রাইটিং,
  • কপি রাইটিং,
  • ব্লগ রাইটিং,
  • নিউজ রাইটিং,
  • প্রতিবেদন রাইটিং,
  • ক্রিপ্ট রাইটিং ইত্যাদি

টপিক নির্বাচন

আর্টিকেল লেখা শিকার জন্য টপিক নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরী। একটি আর্টিকেল লেখার আগে ভালোভাবে রিসার্স করে টপিক নির্বাচন করতে হবে। একটি আর্টিকেল লেখার পূর্বে যত রিসার্স করবেন, আপনার লেখাটির তথ্যবহুল হবে। হাই কোয়ালিটি একটি আর্টিকেল আর্টিকেল এর চেয়ে বেশি উপকারে আসে। আরও পড়ুন: High Quality আর্টিকেল কোনগুলি। কিভাবে লেখার কোয়ালিটি নির্ধারণ করবেন।

একটি আর্টিকেল লেখার সময় যে বিষয়গুলো আপনাকে ফলো করতে হবে:

সিপিসি ও সার্চ ভলিয়ম চেক করাঃ 

একটি আর্টিকেল লেখার পূর্বে অবশ্যই সিপিসি এবং সার্চ ভলিয়ম অনুযায়ী একটি কীওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। যখন আপনার আর্টিকেল এর সিপিসি ভালো থাকবে তখন আপনার সে আর্টিকেল থেকে ইনকাম এর সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে। এবং যদি আপনার আর্টিকেলটি সার্চ ভলিয়ম ভাল থাকে তাহলে সে আর্টিকেলটি ভিউ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

তাই একটি ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল এর কী ওয়ার্ড সার্চ ভলিয়ম এবং সিপিসি ভালোভাবে রিসার্চ করে নেয়া উচিত।

Read More: সিপিসি এবং সার্চ ভলিউম কি? কিভাবে নির্বাচন করা উচিত বিস্তারিত এখানে।

রিসার্স এন্ড কম্পিটিটর এনালাইসিস

সার্চ ভলিয়ম এবং সিপিসি এর পাশাপাশি কম্পিউটার এনালাইসিস অবশ্যই করতে হবে। দেখতে হবে আপনি যে কিওয়ার্ড অনুযায়ী আর্টিকেল লিখেছেন, সেই কীওয়ার্ড এ আগে থেকে কি পরিমানে আর্টিকেল রয়েছে।  আপনার কি ওয়ার্ডে যে সমস্ত আর্টিকেল আগে থেকেই সার্চে রয়েছে সেগুলি হচ্ছে আপনার কম্পিটিটর।

প্রথমে আপনাকে আপনার কম্পিটিটর এর প্রথম 10 থেকে 15 টি আর্টিকেল রিসার্স করতে হবে। আপনাকে দেখতে হবে তাদের আর্টিকেল এর ল্যান্থ কতটুকু, কতগুলো ইমেজ ব্যবহার করেছে, কতগুলো ইনফোগ্রাফিক ব্যবহার করেছে, কিভাবে আর্টিকেল এর মধ্যে কিওয়ার্ড সাজিয়েছে, আর্টিকেল এর নতুন অর্থ কি, তাদের ফোকাস ফিচার গুলো কি কি?

এই সমস্ত বিষয়গুলি ভালোভাবে যাচাই বাছাই করে তার চেয়ে ভালো মানের আর্টিকেল আপনাকে লিখতে হবে। কিভাবে কম্পিউটার এনালাইসিস করতে হবে বিস্তারিত এখানে।

ইউজার ফ্রেন্ডলি

আর্টিকেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে ইউজার ফ্রেন্ডলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ইউজার ফ্রেন্ডলি হচ্ছে আপনার আর্টিকেলটি যারা পড়বে তারা কতটুকু পছন্দ করছে। আপনার ভিজিটর দের কাছে আপনার লেখাটি যত ভালো হবে সেই লেখাটি রেংকিং এ আসার সম্ভাবনা তত বেশি।

বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন অ্যালগরিদম ইউজার ফ্রেন্ডলি জাজ করার জন্য বিভিন্ন ম্যাট্রিক্স ব্যবহার করে থাকে। বিশেষ করে একজন ইউজার আপনার লেখাটি পড়ে চলে যাবার পর পরবর্তীতে সেই ইউজারটি আবার আপনার লেখাটি পড়তে আসে কিনা। এটাকে রিটার্নিং ভিজিটর বলা হয়ে থাকে। আপনার রিটার্নিং ভিজিটর যত বেশি হবে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার লেখাগুলো ইউজাররা পছন্দ করছে।

এছাড়াও আরও অনেক অ্যালগোরিদম রয়েছে যার উপর নির্ভর করে একটি আর্টিকেল কে প্রাধান্য দেওয়া হয়। কিভাবে ইউজার ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখবেন বিস্তারিত

হিডিং ও সাব-হিডিং তৈরি

ভিজিটরদের বুঝা এবং পড়ার সুবিধার্থে লেখাটি ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ এ বিভক্ত করে মাঝে মাঝে হেডিং এবং সাব হেডিং এর ব্যবহার করতে হবে। এতে আপনার লেখার ইউজার এক্সপেরিয়েন্স/ইউজার ফ্রেন্ডলি বৃদ্ধি পায়। অবশ্যই পড়ুন কিভাবে eye-catching হিটিং এবং সাব হেডিং লিখবেন

100% ইউনিক ও অরিজিনাল কন্টেন্ট লেখা

একটি আর্টিকেল এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো 100% ইউনিক এবং অরিজিনাল আর্টিকেল লিখতে হবে। অনেকেই ইউনিক এবং অরিজিনাল এর মধ্যে প্যাচ লাগিয়ে দেন।

আমি একটু ক্লিয়ার করে বলছি, ইউনিক আর্টিকেল হলো আপনার নিজের থেকে লেখা আর্টিকেল অন্য কোন আর্টিকেলে সাথে অনলাইন মিলবে না। কিন্তু সেম ক্যাটেগরির আর্টিকেল অনলাইনে আরো পাওয়া যাবে যেগুলো একই বিষয়ে লেখা শুধুমাত্র কথা গুলো আলাদা ভাবে সাজানো অর্থাৎ নিজের ভাষায় লেখা।

পক্ষান্তরে অরিজিনাল কনটেন্ট হচ্ছে, আপনার কনটেন্ট এর সাথে অন্য কোন আর্টিকেল এর প্যারাগ্রাফ, ফিচার, বিষয়বস্তু, এবং উপস্থাপনের কৌশলগুলো ভিন্ন হবে। অর্থাৎ এ কনটেন্ট কোথাও পাওয়া যাবে না। 100% ইউনিক আর্টিকেল লেখার নিয়ম

আই কেচিং ডিসক্রিপশন লেখা

আর্টিকেল ডিসক্রিপশন হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেল এর মূল সারাংশ টুকু 50 থেকে 60 ওয়াটের মধ্যে লিখে ফেলা। এমনভাবে লিখতে হবে যেন ইউজাররা ডিসক্রিপশন দেখেই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

একটি লেখার ডিসক্রিপশন নির্ভর করে সে আর্টিকেলটি ইউজার পরবে কি পরবে না। অর্থাৎ একটি আর্টিকেল এর ডিস্ক্রিপশন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিভাবে আই কেচিং ডিসক্রিপশন লিখবেন

ইউনিক ও আকর্শনীয় ফিচার যুক্ত করা

আপনি যে আর্টিকেলটি লিখছেন তার সাথে যেন কোন আর্টিকেল এর কোন তথ্য, কোন ফিচার, আর্টিকেল এর প্যারাগ্রাফ স্টাইল, লেখার ডিজাইন, উপস্থাপনের ধারাবাহিকতা, যুক্তি এবং উদাহরণ, সবকিছুই আকর্ষণীয় এবং হওয়া উচিত। একটি আর্টিকেল কিভাবে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করবেন

ইউজারদের চাহিদা যাচাই

আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, আপনি যে বিষয়ে লিখছেন সে বিষয়ে ইউজারদের চাহিদা আছে কিনা। যদি আপনার লেখা ইউজারদের কোন কাজে না আসে তাহলে সেই লেখা দিয়ে কোন উন্নতি করতে পারবেন না।

আমি ছোট্ট একটা উদাহরন দেই: মনে করুন আপনার ওয়েবসাইট বাংলাদেশ শিক্ষা বিষয়ে, আপনি একটি লেখা পাবলিশ করলেন “When published SSC Result 2021″ তাহলে যারা এবছর এই পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছে তারা প্রতিদিন আপডেট দেখার জন্য এই লেখাটি দিয়ে খুজবে। তারমানে এই টপিকে ইউজারদের চাহিদা আছে।  আর যদি আপনি লেখা প্রকাশ “When published SSC Result 2017” এখন কথা হলো 2017 সালে কখন রেজাল্ট প্রকাশ হবে সেটা জানার জন্য কিন্তু কেউ সার্চ করবে না। কেননা এইট আরও কয়েক বছর আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে এটার প্রতি ইউজারদের আর কোন চাহিদা নেই।

অথবা আপনি এমন কোন কীওয়ার্ড টার্গেট করে আর্টিকেল লিখলেন যেটা সারা মাসে 10 টা সার্চ ও হয়না। তাহলে সেই কীওয়ার্ড টাগেট করে লেখা বৃধা। মানুষের যদি প্রয়োজন না থাকে সেটা র‌্যাংক এ থাকলেও কোন লাভ নেই।

আরও পড়ুন:  ভিজিটরদের চাহিদা অনুযায়ী আর্টিকেল লেখার গাইড লাইন।

অডিয়েন্স টার্গেট করে লেখা

আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অডিয়েন্স টার্গেট করে লেখা। আপনি যাদেরকে উদ্দেশ্য করে লিখছেন তাঁদের কী প্রয়োজন। তাদেরকে আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন? ভিজিটরদের মনের অবস্থা, তাদের চাহিদা, এবং তাদের প্রয়োজন অনুসারে কন্টেন্ট লিখতে হবে। তাহলে একজন ইউজার খুব সহজেই আপনার লেখাটি কে পছন্দ করবে এবং সেই লেখা থেকে আপনি খুব ভালো রেস্পন্স/ ফলাফল পাবেন।

আর যদি আপনি অডিয়েন্সকে টার্গেট করে আর্টিকেল লিখতে না পারেন তাহলে আপনার লেখাগুলো ইউজারদের কাছে কখনোই পছন্দ হবে না। আর আপনার লেখাটির যদি কোন ইউজার এর কাছে পছন্দনীয় না হয় তাহলে সেই লেখা থেকে কনভার্শন রেট খুব কম পাবেন।

পিলার কন্টেন্ট, বায়িং কন্টেন্ট ও ইনফো কন্টেন্ট এ আলাদা আলাদা ভ্যালু এড করা

লেখার সময় অবশ্যই পিলার কন্টেন্ট, বায়িং কন্টেন্ট এবং ইনফো কনটেন্ট এর জন্য আলাদা আলাদা ভ্যালু অ্যাড করতে হবে। আর কন্টেনড হচ্ছে আপনার লেখার মূল অংশ গুলো। অর্থাৎ আপনার পণ্য বা সার্ভিস এর সম্পূর্ণ রিভিউ, পক্ষান্তরে বায়িং আর্টিকেল গুলোতে ইউজারদের পণ্য বা সার্ভিস ক্রয় করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে। এখানে শুধুমাত্র পণ্য বা সার্ভিস এর গুণগত মান, সুবিধা ও অসুবিধা গুলি আলোচনা করতে হবে।

অন্যদিকে ইনফো কনটেন্ট এর মাধ্যমে আপনার প্রত্যেকটি প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসসমূহের সকল তথ্য তুলে ধরতে হবে। যাতে একজন ইউজার আপনার পণ্য বা সার্ভিস সম্পর্কে সকল খুঁটিনাটি তথ্য সহজেই পেয়ে যায়।

দেখতে পারেন: কিভাবে আর্টিকেল এ আলাদা আলা ভ্যালু এড করবেন।

মান্থলি সার্চ ভলিয়ম অনুসারে কীওয়ার্ড ও এল এস আই ভ্যালু যুক্ত করা

আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে যাচ্ছেন সেই বিষয়ের জন্য সার্চ ভলিয়ম অনুসারে কীওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। এমন কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে যেটি মাসে অন্তত কিছু সার্চ হয়। আপনি যদি এরকম কোন ওয়ার্ড এর উপর আর্টিকেল লিখেন যার সার্চ ভলিয়ম নেই তাহলে সেই লেখা দিয়ে লাভ করতে পারবেন না।

মান্থলি সার্চ ভলিয়ম হলোঃ আপনি যে বিষয়টি লক্ষ্য করে আর্টিকেল লিখেছেন সেটি প্রতিমাসে কতজন খোজে/সার্চ করে।

এলএসআই হলোঃ আপনি যে কীওয়ার্ড লক্ষ করে আর্টিকেল লিখেছেন সেই কিওয়ার্ড ছাড়াও তার আনুষাঙ্গিক বা পাশাপাশি শব্দগুলি, যেগুলো দিয়ে মানুষ ইন্টারনেটে তথ্য খোজে। LSI ব্যবহারের ফলে আপনার আর্টিকেল এ ভিজিটর ৩ থেকে ৫ গুন বাড়তে পারে।

সহজ ও শুদ্ধ ভাষার ব্যবহার

আর্টিকেল লেখার সময় আর্টিকেল এর ভাষা শব্দ সহজ ব্যবহার করতে হবে। সাধারণ এবং সিম্পল বাক্য ব্যবহার করতে হবে যাতে একজন অল্প শিক্ষিত লোক খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে। মনে রাখবেন আপনার লেখাটি যত সহজ এবং শুদ্ধ হবে আপনার লেখাটি দর্শকদের কাছে ততই বেশি পছন্দনীয় হবে।

আর্টিকেল এর মধ্যে অপ্রয়োজনীয় কোন বাক্য, শব্দ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। লেখার মধ্যে অপ্রয়োজনীয় বা অপ্রাসঙ্গিক কোন কিছু রাখলে ইউজার বিরক্তি বোধ করতে পারে। তাই একটি সুন্দর আর্টিকেল এর বৈশিষ্ট্য হল আর্টিকেল এর লেখাগুলো অবশ্যই সহজ এবং শুদ্ধ হতে হবে। বানান বা গ্রামার এর দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

প্যারাগ্রাফ ল্যন্থ অপটিমাইজ করা

লেখার সময় প্যারাগ্রাফ গুলো ছোট ছোট ব্যবহার করতে হবে। যাতে মোবাইল ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট যেকোনো ডিভাইসের খুব সুন্দর ভাবে বুঝা যায়। অনেকেই আর্টিকেল লেখার সময় প্যারাগ্রাফ অনেক বড় করে ফেলেন। এতে করে মোবাইল ডিভাইস বা ট্যাবলেট ডিভাইসের পড়তে গেলে অনেক হিজিবিজি মনে হয়।

তাই লেখা ক্লিন এবং ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ এ বিভক্ত করে লিখুন। অপ্রাসঙ্গিক বিষয় গুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। লেখার সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সংকেত ব্যবহার করতে পারেন। তবে লেখা খারাপ দেখা যাবে এরকম কোন ডিজাইন বা চিহ্ন ব্যবহার না করাই ভালো।

কিওয়ার্ড পজিশন চেক করা

একটি আর্টিকেল লেখার সময় কয়েকটি জায়গায় অবশ্যই আপনার টার্গেটেড কিওয়ার্ড রাখতে হবে। যেমন আর্টিকেল এর হেডিং, সাব হেডিং, প্রথম প্যারাগ্রাফ, এবং আর্টিকেল এর ওয়ার্ড অনুযায়ী মাঝে মাঝে কিছু জায়গায় ব্যবহার করতে হবে।

তবে অতিরিক্ত কিওয়ার্ড ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন এবং প্রয়োজনে এনএসআই ব্যবহার করুন। এতে করে ইউজারদের পড়তে সুবিধা হবে।

আপনি যদি একই কিওয়ার্ড একটি আর্টিকেল এর মধ্যে প্রতি লাইনেই ব্যবহার করেন তাহলে একজন ইউজার সেটা দেখে বিরক্তি বোধ করবে। এমনটা করা যাবে না।

কিওয়ার্ড ডেনসিটি সঠিক ভাবে ব্যবহার করা

কিওয়ার্ড ডেনসিটি বলতে বুঝাচ্ছি কিওয়ার্ড এর ঘনত্ব, অর্থাৎ আপনার সম্পূর্ণ লেখার মধ্যে কত পার্সেন্ট কিওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। সঠিকভাবে কিওয়ার্ড ডেনসিটি না রাখলে একটি আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিন, বা ইউজার পছন্দ করবে না।

আর্টিকেল লেখার সময় কিওয়ার্ড ডেনসিটি 1% এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করবেন। অর্থাৎ 1000 ওয়ার্ড এর লেখার মধ্যে 5 থেকে 10 বার কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। আমি সবসময় 1% এ নিচে কিওয়ার্ড ডেনসিটি রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকি।

এলএসআই কীওয়ার্ড সংযোজন করাঃ

LSI Keyword হলো: আপনার টার্গেটেড কীওয়ার্ড এর প্রতিশব্দ।

আর্টিকেল এ টপিক অনুসারে কিওয়ার্ড এর পাশাপাশি এনএসআই কিওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করুন এতে আপনার কিওয়ার্ডের ডেনসিটি কমে যাবে এবং আর্টিকেল এর মান ভালো হবে। তাছাড়া এই কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করে অনেক ইউজার আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে। সঠিকভাবে ব্যবহার করার ফলে আপনার লেখাটি দেখতে যেমন সুন্দর হবে তেমনি রেংকিং এর ক্ষেত্রেও এটি ভূমিকা বিশেষ পালন করবে।

টাইটেল সংখ্যা, পাওয়ার ওয়ার্ড ও নেগেটিভ ওয়ার্ড এর ব্যবহার

আপনার লেখার টাইটেল এ সংখ্যা, পাওয়ার ওয়ার্ড ও নেগেটিভ ওয়ার্ড এর ব্যবহার করুন। তাতে দেখতে এবং ইউজারদে আকৃষ্ট করবে।

সংখ্যা হলো যে কোন সংখ্যা: যেমন 10, 5, 7 ইত্যাদি

পাওয়ার ওয়ার্ড: best, Top, Awesome, Supper, Imagine ইত্যাদি

নেগেটিভ ও প্রশ্নবোধক: How to, Why, What, or Not, How Much, ইত্যাদি

ইন্টারনাল লিংকিং এর নিয়মঃ

লেখার সময় তবে অনুসারে একটা বা দুইটা ইন্টারনাল লিংক করতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে অবশ্যই যে কি-ওয়ার্ড এর ওপর লিংক করছেন যাতে লিংকটি সে ক্যাটাগরির হয়।

এক্সটারনাল লিংক এর নিয়ম

আপনার ওয়েব সাইট এর টপিক অনুসারে যেকোনো ট্রেডমার্ক বা হাই কোয়ালিটি কোন ওয়েবসাইটে একটি বা দুটি ডো-ফলো এবং একটি বা দুইটি নো-ফলো লিংক যুক্ত করে দিতে পারেন। বা যে কোন ওয়েবসাইট এর সোর্স দিতে পারেন। যেমন: Google.com, Facebook.com, Blogger.com ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: ইন্টারনাল ও এক্টারনাল লিংক কি? কেন, কিভাবে করবেন?

ওয়ার্ড কাউন্ট ঠিক রাখা:

আপনার লেখাটি যাতে কমপক্ষে 600 ওয়ার্ড হয়। বর্তমানে আপনার লেখাটি কতটা কোয়ালিটি এবং কতটুকু বিষয় কভার করেছেন সেটা আর্টিকেল এর ল্যান্থ দেখলেই বুঝা যায়।

টেবিল অব কন্টেন্ট ব্যবহার করা

টেবিল অফ কনটেন্ট হল একটি আর্টিকেল এর প্রত্যেকটি হিটিং একত্রে নিয়ে আসা। অর্থাৎ আপনার একটি লেখা যদি 3000 ওয়ার্ড বা তার বেশি হয় সেক্ষেত্রে একজন ইউজার সম্পূর্ণ লেখা না পড়তে চাইলে কতটুকু অংশ পড়তে চায় সে অংশের সরাসরি চলে যেতে টেবিল অফ কনটেন্ট ব্যবহার করা হয়।

আপনার সম্পূর্ণ আর্টিকেল এর প্রত্যেকটি রিডিং লিস্ট করা থাকবে, ভিজিটর যেকোনো এর উপর ক্লিক করে সরাসরি সেই অংশে চলে যেতে পারবে।

এটি হলো টেবিল অফ কনটেন্ট এর কাজ। আরো পড়ুন: টেবিল অফ কন্টেন্ট কি? কিভাবে আপনার ব্লগে টেবিল অফ কনটেন্ট ব্যবহার করবেন।

আকর্শনীয় সমাপনি যুক্ত করা

সবশেষে আকর্ষণীয় কিছু বাক্য ব্যবহার করে আপনার লেখার সমাপনী করবেন। যেন আপনার লেখার শেষ অংশ পড়ে একজন ভিজিটর অন্য আরেকটি লেখা পড়ার আগ্রহ পোষণ করে। ব্লগের পেজ ভিউ বাড়ানোর জন্য আকর্ষণীয় সমাপনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আর্টিকেল লেখার জন্য প্রয়োজনীয় এক্সটেনশন

আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে আর্টিকেল লিখতে প্রয়োজনীয় কিছু এক্সটেনশন/ টুলস ব্যবহার করতে পারেন। এর দ্বারা আপনার আর্টিকেল লেখা অনেকাংশে সহজ হয়ে যাবে।

আর্টিকেল লেখার জন্য প্রয়োজনীয় অনলাইন টুলস

আপনি যে পিসি বা ল্যাপটপ থেকে আর্টিকেল লিখবেন সে পিসি বা ল্যাপটপ এর ব্রাউজার এক্সটেনশন যুক্ত করে নিতে পারেন।

যেমন,

Whatsmyserp: কিওয়ার্ড, সার্চ ভলিয়ম, ও কিওয়ার্ড সাজেশন দেখার জন্য ব্যবহার করা হয়। (Serfer বা Ubersugest ও ব্যবহারকরতে পারেন)

Grammarly: আপনার লেখার গ্রামাটিকেল সংশোধন করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন।

Voice In Voice Typing: এটি ভয়েস টাইপিং এর জন্য অত্যন্ত চমৎকার একটি ব্রাউজার এক্সটেনশন। এই এক্সটেনশনটি ব্রাউজারে ইন্সটল করে আপনি যেকোন মাইক্রোফোন ব্যবহার করে ভয়েস টাইপিং করতে পারেন। আমার দেখা মতে অন্যান্য ভয়েস টাইপিং এক্সটেনশন এর চেয়ে এটি অনেক ভাল রেজাল্ট দিয়ে থাকে।

আরো পড়ুন: একজন রাইটার এর জন্য কম্পিউটার সেটআপ কেমন হওয়া উচিৎ।

দ্রুত টাইপিং করতে ভয়েস টাইপিং সিস্টেম এর ব্যবহার

হাতে টাইপিং করার চেয়ে যদি আপনি একটি মাইক্রোফোন ব্যবহার করে ভয়েস টাইপিং করেন তাহলে আপনার টাইপিং স্পিড প্রায় পাঁচ গুণ বেড়ে যেতে পারে। তাছাড়া ভয়েস টাইপিং এর ক্ষেত্রে বানান বা গ্রামাটিকেল ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকে।

আপনি যদি আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ভয়েস টাইপিং করে আর্টিকেল লিখতে চান তাহলে আপনাকে কিছু সেটআপ করে নিতে হবে। এছাড়া আপনার একটি মাইক্রোফোন প্রয়োজন হবে।

আরও বিস্তারিত: ৫ গুন গতিতে টাইপ করুন কীবোর্ড ছাড়াই। কিভাবে ভয়েস টাইপিং করে আর্টিকেল লিখবেন।

আর্টিকেল লিখে কোথায় থেকে আয় করবেন

বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা জানলাম কিভাবে একটি আকর্ষণীয় আর্টিকেল লিখতে হয়। আপনি আর্টিকেল লেখা শিখে গিয়েছেন কিন্তু আর্টিকেল লেখার পর আপনি কোথায় থেকে ইনকাম করবেন এ ব্যাপারটা কিন্তু ক্লিয়ার করা দরকার তাই না।

ঘাবড়াবার কিছু নেই আপনি যদি একজন ভালো রাইটার হয়ে থাকেন তাহলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনার কাজের অভাব হবে না।  আপনি যদি বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করতে চান সে ক্ষেত্রে অনেক বাংলা ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ভালো পরিমাণে পেমেন্ট করে থাকে।

আমার দেখা মতে আমি একটি সাইট দেখেছি যেখানে অনেক ভালো পরিমাণে পেয়ে করে এবং অনেক ট্রাস্টেড। সেটি হলো জে-আইটি

এছাড়া আপনি অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কে আর্টিকেল লিখে ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন।

আর্টিকেল লিখে আয় করার জনপ্রিয় কিছু মার্কেটপ্লেস হলঃ

  • Fiber.com
  • Freelancer.com
  • Peopleperhour.com
  • Guru.com
  • Upwork.com
  • iwriter.com ইত্যাদি

কিভাবে সহজে আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ পাবেন

আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ তুলনামূলক কম্পিটিশন বেশি। তবে যেকোন মার্কেটপ্লেসে আপনি একবার ভেরিফাইড হয়ে গেলে, বা কিছু কাজ করে ভালো ফিডব্যাক নিতে পারলে আপনার আর কাজের অভাব হবে না।

  • সহজে কাজ পেতে হলে অবশ্যই বায়ারদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে।
  • সময়মতো বায়ারদের রেসপন্স করতে হবে।
  • ভাইদের কাছ থেকে কাজ বুঝে নিয়ে সময়মতো ডেলিভারি দিতে হবে।
  • প্রয়োজনে অতিরিক্ত রিভিশনের সুযোগ রাখতে হবে।
  • বায়ারের কাছ থেকে ভালো ফিডব্যাক দিতে হবে।
  • অবশ্যই ভালো মানের সেবা দিতে হবে।

আপনি যদি সবকিছু ঠিকঠাক করে করতে পারেন তাহলে আপনি কাজ করে শেষ করতে পারবেন না।

আর্টিকেল এর মূল কিভাবে নির্ধারণ করবেন

আর্টিকেল এর মূল্য নির্ধারণ করা এটি একটি অত্যন্ত জটিল বিষয়। কেননা মার্কেটপ্লেসে একই আর্টিকেল এর জন্য কোন রাইটার $10 আবার কোন রাইটার $200 নির্ধারন করে থাকে।

এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার কাজের কোয়ালিটির উপর। আমি একই মার্কেটপ্লেসের দুটি স্কিনশট আপলোড করলাম। একই ক্যাটাগরীর লেখার জন্য বাজেট কতটা ডিফারেন্স।

তাই আপনাকে ভালোভাবে ঘাটাঘাটি করতে হবে এবং বুঝতে হবে যে আপনার লেখার মান কেমন এবং তার উপর মার্কেটপ্লেসের অন্যান্য রাইটারদের থেকে আপনার ভিন্নতা কেমন সে অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।

এখানে যে অফারগুলো দেখা যাচ্ছে, তারা সবাই কিন্তু কাজ পাচ্ছে এবং রীতিমতো কাজ করে যাচ্ছে। এবং এদের ম্যাক্সিমাম ম্যাক্সিমাম রাইটার Level 2 Seller।

আর্টিকেল রাইটিং মার্কেটপ্লেস

  • Fiverr.
  • Greatist
  • Longreads
  • Listverse
  • Copyhackers
  • Photoshop Tutorials
  • Informed Comment
  • The Travel Writer’s Life.
  • Easy Writers.
  • Writers.
  • IWriter.
  • Textbroker.
  • Freelance Careers.
  • Neon Writer.
  • Writer Access.
  • Content Mart

আর্টিকেল বিক্রয় করার কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট

  • Wow Women on Writing: $50-100.
  • Strong Whispers: $50 – $150.
  • Link-Able: $100 – $750.
  • Cracked.com: $100 – $200.
  • Watch Culture: $25 – $500.
  • Sitepoint: Visit Link for Pricing.
  • Uxbooth: $100

সর্বপরি আমাদের পরামর্শঃ

আপনি যদি আর্টিকেল রাইটিং শিখে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে আর্টিকেল রাইটিং এর যাবতীয় খুটিনাটি বিষয় আপনাকে জানতে হবে। আপনাকে প্রচুর পরিমাণে রিসার্চ করতে হবে।

সবচেয়ে জরুরী বিষয় হল আপনি যদি আর্টিকেল রাইটিং নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান আপনি যে বিষয়টি সবচেয়ে ভালোবাসেন বা ভাল জানেন সে বিষয় সম্পর্কে লেখার চেষ্টা করুন। যে বিষয়টি আপনি জানেন না বা কম বোঝেন সে বিষয়ে জোর করে কাজ করতে যাবেন না।

সর্বোপরি আর্টিকেল রাইটিং এর ক্যারিয়ার অনেক ভালো। বর্তমান বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে আর্টিকেল রাইটার এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সেজন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের রাইটার হতে হবে।

বন্ধুরা যদি আমার এই লেখাটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আর যদি আপনার কোনো পরামর্শ বা মতামত থাকে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ

আপনার জন্য আরও আর্টিকেল

4 thoughts on “আর্টিকেল লিখে আয় করুন মাসে $1000 ডলার । আর্টিকেল লেখার নিয়ম”

  1. খুব সুন্দর ও দরকারি একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

    Reply
  2. অসাধারন একটি লেখা। খুবই ভাল লাগলো। ধন্যবাদ এডমিন ভাইকে এতো সুন্দরভাবে বুঝিয়ে লেখার জন্য। আরও ভালোভালো লেখার অপেক্ষায় রইলাম।

    Reply

Leave a Comment