ব্যবস্থাপনা কাকে বলে : আামাদের এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে জানাতে পারবেন যে, ব্যবস্থাপনা কি এবং কাকে বলে, ব্যস্থাপনা কত প্রকার ও কি কি। তার পাশাপাশি আপনাকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব ব্যবস্থাপনার মূলনীতি গুলো সম্পর্কে।
আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হোন, আপনার যদি কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকে। তাহলে এ পোস্ট আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে বলে আমি মনে করি। তাই আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়ুন।
কারণ উক্ত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এমন কিছু কৌশল থাকে যা আপনি সেই কৌশল গুলোকে সহজে অনুসরণ করতে পারবেন। মানে আপনার ব্যবসা রিলেটেড যে, সমস্যা গুলো আছে সেগুলো ধাপে ধাপে সমাধান করতে পারবেন। তার পাশাপাশি উক্ত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে আরো উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে পারবেন।
আর সত্যি কথা বললে মানুষ এই সময়ে ব্যবসার দিক থেকে সফলতা অর্জন করতে পারছে। কারণা তারা সঠিক ভাবে ব্যবস্থাপনাকে কাজে লাগাচ্ছে।
আর উক্ত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এই পোস্টে আলোচনা করা হবে। তো চলুন সময় নষ্ট না করে বিস্তারিত আলোচনায় ফিরে যাওয়া যাক।
ব্যবস্থাপনা কি?
ব্যবস্থাপনা হচ্ছে নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের জন্য একটি সংস্থার কাজ পরিকল্পনা বা সংগঠন নির্দিশনা এবং নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যম। ব্যবস্থাপনার কর্পোরেট নীতি তৈরি ও সংস্থার সংস্থান, পরিকল্পনা, নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার ইন্টারলকিঙ ফাংশন নিয়ে গঠন হয়ে থাকে। ব্যবস্থাপনা একট সামাজিক প্রক্রিয়া হিসেবে সংজ্ঞায়িত হয়েছে।
যা ব্যবসার উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য একটি এন্টারপ্রাইজ এর পরিচালনা অর্থনৈতিক ও কার্যকর পরিকল্পনা ও নিয়ন্ত্রণ এর সাথে জড়িত। এটি একটি গতিশীল মাধ্যম যা বিভিন্ন উপাদান ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ে গঠিত যা নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণ এর দিকে পরিচালিত হয়।
কিভাবে আপনি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান সামনের দিয়ে এগিয়ে নেয়া যায় তার জন্য এই ব্যবস্থাপনাকে কাজে লাগবেন। আপনি যদি এই সকল যাবতীয় বিষয় গুরোর সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে নিচের অংশ গুলো মনযোগ দিয়ে পড়ুন।
আরো পড়ুনঃ
ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?
কোন প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত পণ্য, প্রোডাক্ট উক্ত প্রতিষ্ঠানে যেসকল কর্মী থাকে তাদের নিয়োগ। তার পাশাপাশি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান িএর উন্নতির জন্য উপর্যুক্ত সংগঠন ও নির্দেশনা জড়িত।
কিন্তু উক্ত সকল বিষয় কে যখন আপনি এক সাথে করবেন। তখন তাকে বলা হয় ব্যবস্থাপনা। যার ফলে আপনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সকল কার্য সম্পাদন এর লক্ষ্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে।
মোট কথা হতে পারে কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ব্যবস্থাপনা। কারণ ব্যবস্থাপনা ছাড়া কোন কিছু করা সম্ভব হয় না।
আপনি যদি উক্ত ব্যবস্থাপনাকে যতটা সঠিক ভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রয়োগ করতে পারবেন ঠিতত তত ভালো ভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি সামনের দিকে অগ্রসর হবে।
কারণ আপনি আসলে কত টা সফলতা অর্জন করতে পারবেন তা একমাত্র ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করে। তাই একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আপনার উক্ত ব্যবস্থাপনার উপর যথেষ্ট নজর রাখতে হবে।
ব্যবস্থাপনা কত প্রকার ?
উক্ত আলোচনাতে আপনি ব্যস্থাপনা কি এবং ব্যবস্থাপনা কাকে বলে সেই বিষয়ে ধারণা নিয়েছেন। এখন আপনাকে জানানো হবে ব্যবস্থাপনা কত প্রকার ও কি কি।
আপনাকে জানানোর জন্য বলছি ব্যবস্থাপনার কোন প্রকারভেদ নেই। কিন্তু ব্যবস্থাপনার অনেক কিছু মূলনীতি আচে। তার পাশাপাশি ব্যবস্থাপনার মোট তিনটি স্তর আছে। যেমন-
- উচ্চ পর্যায়ের স্তর
- মধ্যম পর্যায়ের স্তর এবং
- নিম্ন পর্যায়ের স্তর
আরও দেখুনঃ
- অল্প পুঁজিতে গ্রামে বসে ব্যবসা করার ১০ টি আইডিয়া
- অনলাইন ব্যবসা কি? কিভাবে শুরু করবেন? [বিস্তারিত এখান]
আধুনিক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে ?
আধুনিক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে এই বিষয়ে আপনাকে জানাতে যাচ্ছি। আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক হচ্ছে “হেনরি ফেওল”। এবং উক্ত বিখ্যাত ব্যক্তির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আধুনিক ব্যবস্থাপনা হলো পূর্ব থেকে অনুমান করা ও পরিকল্পনা করা।
তার পাশাপাশি এই অনুমান ও পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে সংগঠন, নির্দেশনা ও সমন্বয সধান করা। এই সব কিছুকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করাকেই বলা হয় আধুনিক ব্যবস্থাপনা।
আপনি যদি উক্ত সংজ্ঞাটি অনুসরণ করেন তাহলে আশা করব আপনিও আধুনিক ব্যবস্থানা কাকে বলে সেটির ধারণা পেয়েছেন।
কর্মী ব্যবস্থাপনা কাকে বলে ?
উক্ত আলোচনাতে ব্যবস্থাপনা কি এবং আধুনিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করলেন। এখন আপনি আপনাকে জানাব কর্মী ব্যবস্থাপনা কাকে বলে।
কোন একটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যে, সাধারণ ব্যবস্থাপনা আছে। সেই সাধারণ ব্যবস্থাপনার মধ্যে যে, অংশ গুলোতে মানবীয় দিক নিয়ে কাজ করে তাকে কর্মী ব্যবস্থাপনা বলে। আপনি যদি উক্ত বিষটি অনুসরণ করেন তাহলে আপনি কর্মী ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা নিতে পারছেন।
অর্থ ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?
অর্থ ব্যবস্থাপনা হলো একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর সাথে পুরেপুরি ভাবে ব্যবস্থাপনার যে সকল আর্থিক কর্মকান্ড যুক্ত থাকে তাকেই অর্থ ব্যবস্থাপনা বলে।
এছাড়া সেই আর্থিক কর্মকান্ড এর জন্য সঠিক সংগঠন, পরিকল্পনা ও নির্দেশনার সকল উপায়কে সঠিক ভাবে নিয়্ন্ত্রণ করাকেই বলা হয় অর্থ ব্যবস্থাপনা।
খাদ্য ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?
আমরা যখন কোন একটি ব্যবসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর খাদ্য সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় খাদ্য চাহিদা নিয়ন্ত্রন করে থাকি সেই খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে যে, সকল নিয়ম কানুন ও আইন তৈরি করা হয় তাকেই খাদ্য ব্যবস্থাপনা বলা হয়।
আর আমাদের জানামতে খাদ্য ব্যবস্থাপনা সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল 1942 সালে। সেই সময়ে খাদ্যের অভার পূরণের জন্য জাপানে খাদ্য ব্যবস্থাপনা চালু করা হয়।
অফিস ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?
এটি অফিস এর যাবতীয় কার্যাবলী সঠিক ভাবে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য সেই অফিস কর্তৃক বিশেষ কিছু ব্যবস্থাপনা প্রণয়ন করা হয়। মূলত এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একটি অফিসে সকল কার্যাদি যাবতীয় নিয়ম সঠিক ভাবে মাণ্য করা হয়।
এই সকল বিষয় কে সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা জন্য একটি অফিসের মধ্যে সকল ব্যবস্থাপনার উদ্ভব হয়। আর তাকেই বলা হয় অফিস ব্যবস্থাপনা।
বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?
বিশশতক এর গোড়ার দিকে শির্পনায়ন ক্রমবর্ধমান ছিল ও সংস্থা গুলো দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করার উপায় গুলো অনুসন্ধান করেছিল। বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা যা টেলোরিজম নামে পরিচিত। উক্ত ব্যবস্থাপনা শৈলী তথ্য ও বৈজ্ঞানিক উপায় ব্যবহার করে কাজের প্রক্রিয়া পরিচালনার উপর দৃষ্টি নিবন্ধ করে।
বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ হচ্ছে একটি কাজ করার সর্বোত্তম উপায় খুজে বের করা। তারপরে সেই প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করা। এটি সময় ও শ্রম এর অপচয় দুর করে দক্ষতা বৃদ্ধি করে। এটি নিশ্চিত করে যে, সকল কর্মী এই ভাবে কাজ করছে তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে এটি গুণমাণ নিশ্চিত করে থাকে।
সেই লক্ষ্যে অর্জন করার জন্য বৈজ্ঞানিক পরিচালকরা কাজের প্রক্রিয়া গুলো বিশ্লেষণ করতে ও অদক্ষতা সনাক্ত করতে ডাটা ব্যবহার করে। এর পরে তারা উক্ত সমস্যা গুরো মোকাবিলার জন্য সমাধান গুলো বিকাশ করে ও সেই গুলো কার্যকর কিনা সেটি পরিক্ষা করে।
এটি সমাধান সফল হলে এটি বাস্তবায়িত হয় ও জিনিস গুলো করার নতুন আদর্শ উপায় এ পরিণত হয়। উক্ত পদ্ধিতে কাজ করাকেই বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা বলা হয়।
ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা
উপরিউক্ত আলোচনাতে ব্যবস্থাপনা কি এবং ব্যবস্থাপনা কাকে বলে এই বিষয়ে বিস্তারিত ধারনা প্রদান করা হয়েছে। এখন আপনাকে জানানো হবে ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে। তার জন্য নিচের অংশ গুলো অনুসরণ করুন।
আপনি যখন কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকবে তখন আপনাকে অবশ্যই সঠিক ভাবে একটি পরিকল্পনা করে নিতে হবে। মানে কিভাবে আপনার ব্যবসাকে পরিচালনা করবেন। সেই ব্যবসার মধ্যে কি পরিমাণের অর্থ বিনিয়োগ করবেন এবং কি পরিমাণের জনবল নিয়োগ করবেন ইত্যাদি।
তার পাশাপাীশ উক্ত ব্যবসা পরিচালনার সময় যে সকল সমস্যা দেখা দেবে। সেই সমস্যা গুলোকে কিভাবে সমাধান করবেন। তার সকল কিছুই ব্যবস্থাপনার উপর ভিত্তি করে।
যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি উক্ত ব্যবস্থাপনার কে গুরুত্ব দিবেন ততখন পর্যন্ত আপনার ব্যবসা সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারবেন না।
এছাড়া, আপনি যখন উক্ত বিষয় গুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যবস্থাপনাকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাবেন ততখই আপনি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এগিয়ে নিতে অগ্রসর হবেন।
কিন্তু উক্ত ব্যবস্থাপনার উপর যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করতে হবে। কারণ অন্যান্য ক্ষেত্র গুলোর থেকৈ ব্যবস্থাপনা হলো সবচেয়ে প্রয়োজনীয় একটি অংশ।
সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা
ব্যবস্থাপনার মধ্যে আপনি যে ধাপটি দেখতে পারবেন তার মধ্যে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে পদক্ষেপ। মানে আপনি যখন কোন একটি কাজ করবেন। তার আগে আপনি যে, পরিকল্পনা করবেন তাকে বলা হয় ব্যবস্থাপনা পদক্ষেপ।
উক্ত পদক্ষেপ অনেক সময় স্বল্পমেয়াদীয় আবার কিছু কিছু জায়গায় অনেক দীর্ঘমেয়াদীয় হয়। কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে উক্ত পদ্ধতি স্বল্প মেয়াদি হবে নাকি দীর্ঘমেয়াদি হবে সেটি মূলত আপনার ব্যবসা ক্ষেত্রের উপর নির্ভর হবে।
এছাড়া আপনি যখন উক্ত পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন তখনই আপনার উদ্দেশ্য পর্যন্ত পৌছাতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারলেন ব্যবস্থাপনা কাকে বলে এবং ব্যবস্থাপনা কত প্রকার ও কি কি এই বিষয়ে জানানো হলো। আপনি উক্ত বিষয় গুলো যদি সঠিক ভাবে অনুসরণ করে থাকেন। তাহলে আপনি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুন্দর ভাবে পরিচালনা করতে পারবেন।
আমাদের দেওয়া আর্টিকেল আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন। আর আমাদের সাইট থেকে নিয়মিত বিভিন্ন টিউটরিয়াল আর্টিকেল পড়তে চাইলে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।