মোবাইল সফটওয়্যার আপডেট করার নিয়ম (এখানে দেখুন)

মোবাইল সফটওয়্যার আপডেট করার নিয়ম : বর্তমান সময়ে যারা স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তারা সেখানে বিভিন্ন ধরণের সফটওয়্যার বা অ্যাপস ব্যবহা করেন। কিন্তু অনেক লোক মনে করে যে মোবাইল সফটওয়্যার আপডেট করলে শুধু মোবাইল ফাস্ট হয় একটি কিন্তু নয়। এর সাথে মোবাইল ফোন গুরোতে নতুন নতুন অনেক ফিচার দেখতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে আমি Oppo A1k মোবাইল ব্যবহার করি। তবে আমার মোবাইলে আসা সফটওয়্যার আপডেট না দেওয়ার জন্য মোবাইল অনেক স্লো কাজ করে। এমনকি মাঝে মধ্যে মোবাইলে কাজ করার সময় হ্যাং হয়ে যাচ্ছে। এর কিছু দিন পরে আমি লক্ষ্য করলাম যে মোবাইল সফটওয়্যার আপডেট এসেছে।

আমার মোবাইলে আসা সফটওয়্যার আপডেট করার পরে, মোবাইলটি আগের মতো ফাস্ট কাজ করা ‍শুরু করে এর পরে আর কখনও হ্যাং হয় না।

আপনি যদি কোন মোবাইল আপডেট করার নিয়ম না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কোন কারণ নাই। আমাদের এই পোস্টে আপনাকে জানাব মোবাইল সফটওয়্যার আপডেট কিভাবে করবেন।

তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে নিচে দেওয়া তথ্য গুলো মনযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

মোবাইল সফটওয়্যার আপডেট করার নিয়ম (এখানে দেখুন)
মোবাইল সফটওয়্যার আপডেট করার নিয়ম (এখানে দেখুন)

সফটওয়্যার আপডেট কি? (What is Software Update)

বর্তমান সময়ে যখন ডেভেলপার একটি সফটওয়্যার তৈরি করে সেই সময় অনেক বার বিভিন্ন ভাবে সফটওয়্যার টেস্ট করে থাকে। মোবাইল এর জন্য সফটওয়্যারটি উপর্যুক্ত কিনা সেটি বিভিন্ন ভাবে টেস্ট করার পরে, অনেক সময় সফটওয়্যার এর মাধ্যে Error পাওয়া যায়।

উক্ত Error থাকা সফটওয়্যার যখন মোবাইলে রান করা হয় এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার করা হয় তখন মোবাইল বিভিন্ন ধরণের সমস্যঅর সম্মুখিন হয়।

সফটওয়্যার এর এই ইরোর গুলো সমাধান করার জন্য ডেভেলপার’রা তাদের সার্ভারে নতুন সফটওয়্যার আপলোড করে দেয়।

যার জন্য সকল মোবাইল ব্যবহারকারীর কাছে নতুন সফটওয়্যার আপডেটের নোটিফিকেশন চলে যায়। তারপরে ব্যবহারকারী যখন সফটওয়্যারটি আপডেট করে নেওয়া তখন সেই সমস্যা গুলো সমাধান হয়ে যাবে।

এরকম ভাবে ডেভেলপার রা সফটওয়্যার Error গুলো ফিক্স করে ব্যবহারকারীকে সেই সফটওয়্যাকে মোবাইলে আপডেট করে নিতে হয়। আপনি যদি উক্ত মোবাইল ফোনে কোন সফটওয়্যার আপডেট কি সেই বিষয়ে জেনে নিতে পারছেন।

আরও দেখুনঃ

সফটওয়্যার আপডেট কত প্রকার

বর্তমান সময়ে সফটওয়্যার আডডেট দুই ধনের আপডেট পেয়ে থাকি। তার জন্য বলা যায় সফটওয়্যার আপডেট মূলত দুই প্রকার যেমন-

  • Version Updates
  • Security and Incremental Updates

এখন উক্ত দুইটি প্রকার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

Version updates

এই আপডেট গুলো যখন করা হয় তখন অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়। সাধারণত বছরে একবার উক্ত আপডেট গুলো করা হয়।

উক্ত আপডেট গুলো হচ্ছে সেটিংস, নিউ অ্যাপ, ফিউচার, সিকিউরিটি ইত্যাদি। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন সিস্টেম আপডেট সকল সময় বড় সাইট হয়ে থাকে যেমন – 500MB থেকে 1.7GB বা তারও বেশি। উক্ত আডডেট গুলো মাধ্যমে আমরা এন্ড্রোয়েড ভার্সন 1.0 থেকে 12 পর্যন্ত পেয়েছি ও আইওএস 1 থেকে 15.6 পর্যন্ত পেয়ে থাকি।

Security and incremental updates

উক্ত আপডেট গুলোকে Security Patches বলা হয়। সাধারণ ভাবে এই সিকিউরিটি আপডেট গুলো তুলনামুলক ভাবে অনেক ছোক হয়। উক্ত আপডেট গুলোর ফলে আপনার অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে থাকা Error গুলো সমাধান করার কাজ করে থাকে।

এরকম ভাবে Error গুলো ফিক্স করে, মোবাইলকে বিভিন্ন Malicious Attacks থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। এই আপডেট গুলো আপনি কত দিন পরে পরে পাবেন সেটি আপনার মোবাইল মেকারের উপর ভিত্তি করে।

সাধারণ ভাবে বলা যায় আপনি তিন থেকে চার মাস পর পর এই আপডেট গুলো পেয়ে যাবেন। এর মাধ্যমৈ Minor New Features & Security আপডেট এক সাথে পেয়ে যাবেন।

মোবাইল আপডেট করার আগে যে বিষয় গুলো লক্ষ্য রাখবেন?

আপনার এন্ড্রোয়েড মোবাইল সফটওয়্যার আপডেট করার নিয়ম আপনাকে সঠিক ভাবে জেনে নিতে হবে। আপডেট করার নিয়ম যদিও তেমন কঠিন কাজ না। তারপরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে যেমন।

প্রয়োজনীয় ডাটা গুলো ব্যাকআপ করুন

সফটওয়্যার আপডেট করার পূর্বে আপনার প্রয়োজনীয় ডাটা গুলো ব্যাকআপ করতে হবে। যদিও বর্তমান আপডেট ডাটা গুলো ডিলিট করা হয় না তবে ব্যাকআপ নেওয়াটা জরুরী।

তাই মোবাইলে থাকা অডিও, ভিডিও, ছবি ছাড়াও আরো অন্যান্য ডকুমেন্ট গুলো গুগল একাউন্ট খূলে গুগল ড্রাইভে জমা করে রাখতে পারেন।

মোবাইলের চার্জ চেক করুন

ভার্সন আপডেট এর জন্য অপারেটিং সিস্টেম বা সফটওয়্যার আপডেট হতে অনেক সময় নিয়ে থাকে। কোন কোন সময় এক ঘন্টা থেকে ২ ঘন্টা পর্যন্ত সময় নিয়ে থাকে।

এছাড়া আপডেট শেষ হওয়ার পরেও মোবাইলে নিজে বন্ধ হয় আবার চালু হয়। তাই বলবো মোবাইলে কতটুকু চার্জ আছে সেটি চেক করে নিবেন। যাতে আডডেট করার সময় চার্জ শেষ হয়ে মোবাইল বন্ধ না হয়ে যায়। মোবাইল যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আপনার আপডেট হতে সমস্যা হবে।

ইন্টারনেট কানেকশন চেক করুন

মোবাইল আপডেট করার জন্যে অবশ্যই আপনার ইন্টারনেট কানেকশন প্রয়োজন হবে। এছাড়া আপডেট ফাইল গুলো আকারে অনেক বড় হয়ে থাকে। যার ফলে আপডেট করারজন্য আপনার এক জিবি থেকে দুই জিবি পর্যন্ত ইন্টারনেট ডাটা খরচ হবে। আপডেট এর সময় ফাস্ট ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার করতে হবে।

তবে আপনার যদি ওয়াইফাই কানেকশন থাকে তাহলে আপনার ইন্টারনেট যত বেশি ফাস্ট হবে তাহলে দ্রুত আপডেট হবে।

পাওয়ার বাটন বন্ধ করবেন না?

সফটওয়্যার আপডেট হওয়ার সময় এক ঘন্টা থেকে ২ ঘন্টা পর্যন্ত সময় নিতে হবে। এই সময়ে র মধ্যে আপনার ধৈর্য রাখতে হবে। মনে রাখবেন কোন ভাবেই মোবাইলের পাওয়ার বাটন বন্ধ করা যাবে না।

আরও দেখুনঃ

মোবাইল সফটওয়্যার আপডেট করার নিয়ম

আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমৈ আপনাকে মোবাইল ফোন সফটওয়্যার আপডেট করার নিয়ম সম্পর্কে জানাব। তার জন্য নিচে দেওয়া তথ্য গুলো অনুসরণ করুন।

এন্ড্রয়েড কিভাবে সফটওয়্যার আপডেট দিতে হয়?

মোবাইল সফটওয়্যার আপডেট দেওয়ার জন্য প্রথমৈ আপনাকে সেটিংস অপশনে যেতে হবে। তারপরে About Phone অপশনে ক্লিক করতে হবে।

তারপরে Software Update এ ক্লিক করে আপডিট দিচ্ছে কি না সেটি যাচাই করার জন্য Check For Update এ ক্লিক করবেন। আপনার মোবাইল যদি সফটওয়্যার আপডেট এভেলেবল হয় তাহলে ডাউনল্ডে বা ইনস্টল অপশনে ক্লিক করে সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে হবে।

এরপরে আপনার ডাউনলোড শুরু যখন 100% হয়ে যাবে মোবাইল নিজে নিজে রিস্টার্ট নিয়ে আবার চালু হবে। তারপরে আপনাকে আর কোন কিছু করতে হবে না। মোবাঈর চালূ হওয়ার পরে আপন তুন ভার্সন গুলো উপভোগ করতে পারবেন।

এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন যে, মোবাইল ফোন আপডেট করলে কি হয়। তো চলুন নিচে দেওয়া তথ্য গুলো অনুসরণ করা যাক।

মোবাইল ফোন আপডেট করলে কি হয়?

আমরা উক্ত আলোচনা থেকে এন্ড্রোয়েড মোবাইল আডেট করার নিয়ম সম্পর্কে জানিয়েছি। এখন আপার প্রশ্ন করতে পারেন যে মোবাইল আপডেট করলে কি সুবিধা পাওয়া যায়। তার জন্য নিচের অংশ অনুসরণ করুন। যেমন-

Error সমস্যার সমাধান

আপনি মোবাইলের পুরাতন ভার্সন ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা হবে অ্যাপ গুলো নিয়ে কাজ করার সময়। আর সেই ভার্সন গুলো নতুন করে আপডেট দেওয়া ফলে সকল সমস্যা মানে Error গুলো সমাধান হয়ে যাবে।

অ্যাপ্লিকেশন স্পিড বৃদ্ধি পাবে

আপনার মোবাইলে অ্যাপ্লিকেশন গুলো পুরাতন সফটওয়ার ব্যবহার করলে সমস্যা হবে। যার ফলে, অনেক সময় মোবাইল হ্যাং হয়ে যায়। আর যখণ আপনার মোবাইল আপডেট করা হয় তখন অ্যাপ্লিকেশন গুলোর স্পিড অনেক বৃদ্ধি পেয়ে যায়। যা ব্যবহার করা যায় ফুল স্পিডে।

নতুন ফিচার যুক্ত হয়

ডেভেলপাররা সিস্টেম আপডেট করে সমস্যা গুলো সমাধান করার পাশাপাশি মোবাইলে অনেক নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করে। যার মাধ্যমে আপনার মোবাইলে নতুন ফিচার উভোগ করতে পারবেন।

সফটওয়্যার সিকিউরিটি বৃদ্ধি পায়

মোবাইলে নতুন ভার্সন আপডেট করার পরে সফটওয়ার সিকিউরিটি বৃদ্ধি পায়। যার মাধ্যমে মোবাইল ও হ্যাকিং এর মতো সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

তো বন্ধারা আপনি যদি উক্ত বিষয় ‍গুলো অনুসরণ করেন তাহলে মোবাইল সফটওয়্যার আপডেট সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ

শেষ কথাঃ

আজ আমাদের এই পোস্টে আপনাকে জানানো হলো- মোবাইল সফটওয়্যার আপডেট করার নিয়ম ও সুবিধা সমূহ। আপনি যদি এন্ড্রোয়েড মোবাইল ব্যবহার করেন তাহলে আপনার মোবাইল অনেক ফাস্ট ও ভাইরাস মুক্ত ব্যবহার করতে পারবেন।

ট্যাগঃ মোবাইল সফটওয়্যার আপডেট করার নিয়ম (এখানে দেখুন) মোবাইল সফটওয়্যার আপডেট করার নিয়ম (এখানে দেখুন) মোবাইল সফটওয়্যার আপডেট করার নিয়ম (এখানে দেখুন)

মোবাইল সফটওয়্যার আপডেট করার নিয়ম (এখানে দেখুন) মোবাইল সফটওয়্যার আপডেট করার নিয়ম (এখানে দেখুন) মোবাইল সফটওয়্যার আপডেট করার নিয়ম (এখানে দেখুন)

আমাদের দেওয়া আর্টিকেল আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন। আমাদের দেওয়া আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top