ব্লগিং পেশাটা বর্তমানে অনলাইন জুড়ে একটি ট্রেন্ডিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে অনেক নতুন নতুন ব্লগার তৈরি হচ্ছে এবং অনেকেই সফল হচ্ছে। আবার অনেকেই ব্লগিং (Blogging) লাইফে এসে কিছুদিন পর ড্রপ আউট হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কেন?
ব্লগিং নিয়ে আজকে আমি বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করেছি। আপনি যদি ব্লগিং করতে চান, তাহলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে।
একজনের কাছে শুনে, দু/একটি আর্টিকেল পড়ে দু-চারটি ভিডিও দেখেই ব্লগিং-এর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। বিষয়টি অতটা সহজ নয়। তাই ব্লগিং শুরু করার আগে আপনি জেনে নিন এই বিষয়গুলি সম্পর্কে । তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার দ্বারা ব্লগিং সম্ভব কিনা।
তবে একটি কথা বলতে পারি আপনি ভালো করে জেনে ব্লগিং সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করে ব্লগিং শুরু করেন তাহলে মাসে 50 হাজার থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা ইনকাম করা ব্যপারই না।
আপনি যদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে থাকেন তাহলে তো আমি মনে করবো আপনি ব্লগিং জীবনে সফল হয়ে গিয়েছেন। আর যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো ফলো করুন তাহলে খুব দ্রুত ব্লগিং সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।
প্রথমে আমরা ব্লগিং এর সাথে পরিচিত হয়ে নিইঃ
ব্লগিং কি? কেন ব্লগিং করবেন?
সহজভাবে বলতে গেলে, ব্লগিং হলো অনলাইনে কোন একটি বিষয় সম্পর্কে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়া। আরেকটু বিস্তারিত বলতে গেলে: কোন একটি উদ্দেশ্যে একটি নির্ধারিত বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইউজারদের সুবিধার জন্য উপস্থাপন করা। যাতে একজন ইউজার এর কোন একটি বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে খুব সহজেই ইন্টারনেটে সার্চ করে জেনে নিতে পারে।
অর্থাৎ: মনে করুন আপনার একটি মোবাইল ফোনের মেমোরি কার্ড থেকে সকল মিডিয়া ডিলিট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আপনি জানেন না সেই মিডিয়াগুলো পুনরায় কিভাবে ফিরিয়ে আনবেন। তাই আপনি “ডিলেট মিডিয়া ফিরে পাওয়ার উপায়” ইন্টারনেটে সার্চ করলেন। সঙ্গে সঙ্গে নিচে অনেকগুলো সমাধান সহ রেজাল্ট চলে আসছে।
এবং আপনি সেখান থেকে যে কোন একটি রেজাল্টের উপর ক্লিক করে জেনে নিলেন কিভাবে আপনার মিডিয়াগুলো পুনরায় ফিরে পেতে পারেন।
এখন আপনার সার্চ রেজাল্টে যতগুলো লিংক এসেছে এর প্রত্যেকটি এক একটি ব্লগ। এবং যারা এই ব্লগ গুলো কে নির্মাণ করে সার্ভিস দিচ্ছে তারা হচ্ছেন ব্লগার। এবং এই পেশাটি হচ্ছে ব্লগিং। আশা করি বোঝাতে পেরেছি।
ব্লগিং কেন করবেনঃ মানুষ বিভিন্ন কারণে ব্লগিং করে তার মধ্যে অন্যতম কিছু কারণ হচ্ছে,
- নিজের পেশা হিসেবে অর্থ উপার্জন করার জন্য ব্লগিং করা।
- শখের বশে ব্লগিং করা।
- পার্ট টাইম ব্যবসা হিসাবে ব্লগিং করা।
- আপনি যে বিষয় গুলো জানেন সে বিষয়গুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ভালোবাসেন। তাই আপনার বিষয় গুলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ব্লগিং করা।
আজকে আমরা মূলত আলোচনা করছি প্রথম বিষয়টি নিয়ে অর্থাৎ, পেশা হিসেবে কিভাবে ব্লগিং করতে হবে। ব্লগিং করে কিভাবে টাকা উপার্জন করা যায় এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়া যায়। আর আপনি যদি ব্লগিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে ব্লগিং শুরু করার পূর্বে নিচের বিষয়গুলো আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে।
Read More: বাংলা পূর্ণাঙ্গ ব্লগিং টিউটরিয়াল এখানে।
#১। ব্লগিং করার উদ্দেশ্য
ব্লগিং এর ব্যাপারে আলোচনা করতে গেলে প্রথমে যে বিষয়টি আসে সেটি হলো আপনি ব্লগিং কেন করতে চাচ্ছেন। আপনার ব্লগিং এর উদ্দেশ্য কি। আপনার ব্লগিং করার উদ্দেশ্য যদি টাকা ইনকাম করা হয় তথা ক্যারিয়ার ডেভেলপ করা হয়, তাহলে অবশ্যই ব্লগিং করার শুরুতে আপনাকে প্ল্যানিং করতে হবে।
আর যদি শখের বসে ব্লগিং করেন তাহলে সেটা ভিন্ন কথা। আজ আমরা সে বিষয়ে যাবনা।
যেহেতু আমার উদ্দেশ্য হলো ব্লগিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়া অর্থাৎ টাকা ইনকাম করা। দূর করার শুরুতে জিরো ভাবে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যে আমি অবশ্যই ব্লগিং করে সফল হতে পারব। আর যদি আপনি প্ল্যানিং না করে শুরু করেন তাহলে ব্লগিং ক্যারিয়ার এলোমেলো হয়ে যেতে পারে।
ব্লগিং করার উদ্দেশ্য সেট করার সময় যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখা উচিতঃ
- প্রথমে নিজে নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন যে আপনি ব্লগিং করতে পারবেন কিনা? যদি উত্তর না হয় তাহলে এখনো ছেড়ে দিন।
- আর যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে নিচের বিষয়গুলো ফলো করে আজকেই ব্লগিং শুরু করে দিন।
- আর যদি আপনার এমন মনে হয় যে আজ ব্লগিং শুরু করব যদি তিন মাসের মধ্যে কোন একটি পর্যায়ে যেতে পারি তাহলে ব্লগিং করব অন্যথায় ছেড়ে দেবো। এরকম পরিকল্পনা থাকলে তাহলে আজও ব্লগিং এর চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। কেননা আপনি যদি ব্লগিং এর জন্য পুরোপুরি নিজের মাইন্ড কে সেট না করতে পারেন তাহলে আপনার দ্বারা ব্লগিং করা হবে না।
- অথবা আপনি মনে মনে ধারণা করছেন আপনি অবশ্যই ব্লগিং করতে পারবেন, কিন্তু মন থেকে আপনার এই সমস্ত কাজগুলো ভালো লাগেনা। কিছুটা ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে শুরু করতে যাচ্ছেন। যদি আপনার পরিস্থিতি এমন হয় তাহলে আপনি আরও ভাবুন।
একটা কথা মনে হলো: বহু আগে শুনেছিলাম, “পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো অন্যের পকেট থেকে টাকা বের করে নিজের পকেট এ আনা ” প্রবাদটি একেবারেই সত্য। কথাটি কিন্তু অবশ্যই আপনার মাথায় রাখতে হবে।
যাই হোক, এবার আসছি আপনি কি ধরনের ব্লগিং করবেন। এ বিষয়টি জানতে অবশ্যই জানতে হবে ব্লগিং এর ধরন গুলো সম্পর্কে।
Read More: ওয়ার্ডপ্রেস নাকি ব্লগস্পট কোনটি ব্যবহার করবেন।
#৮। ওয়েবসাইট এর পোষ্ট এবং পেজ কিভাবে কাজ করে
একটি ওয়েবসাইটে আপনার কনটেন্ট দুইভাবে পাবলিশ করা যায় একটি হলো একটি ব্লগ পোস্ট এর মাধ্যমে অথবা আপনি চাইলে আপনার আর্টিকেলটি একটি পেজ এর মাধ্যমেও প্রকাশ করতে পারবেন।
নরমালি যে সমস্ত নিউজ বা তথ্যসমূহ সচারাচর আপডেট করা হয় সেগুলো পোস্ট আকারে করা হয়। এবং এগুলি একটি ব্লগে নিয়মিত কনটেন্ট। এছাড়া বেশকিছু নির্ধারিত করে পাবলিশ করা হয় যেগুলো একটি ওয়েবসাইট এর মধ্যে থাকে এবং সব সময় একই রকম থাকে।
একটি ওয়েবসাইটের যে সকল পেজ থাকেঃ কাহারো প্রথম লেভেলে ১০ জন অর্থাৎ ডিরেক্ট ১০জন মেম্বার হলে তখন সে ওয়ান স্টার মেম্বার হয়ে যাবের। About Us, Contact Us, Member, Frontend Dashboard, Pricing, Product, Privacy Policy, Term & Condision.
#৯। আর্টিকেল রাইর্টি কি? কিভাবে আর্টিকের লিখতে হয়
আর্টিকেল তথা কনটেন্ট হলো একটি ওয়েবসাইটের প্রাণ। অর্থাৎ একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে হলে অবশ্যই আর্টিকেল রাইটিং শিখতে হবে। অন্যথা একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখতে হলে একটি ওয়েব আর্টিকেল এর বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে সেগুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। যেমন, এট্রাক্টিভ হিডিং, আর্টিকেল এর সারাংশ, বিস্তারিত আলোচনা, এবং সমাপনী। এবং একটি আর্টিকেল এর মধ্যে কিছু মিডিয়া ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল লিঙ্ক করতে হয়।
আপনি যদি আর্টিকেল রাইটিং শিখতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি ফলো করতে পারেন। কিভাবে একটি আকর্শনীয় আর্টিকেল লিখবেন।
#১০। পার্মালিংক কি? পার্মালিংক কেমন হওয়া উচিৎ
ব্লগিং করতে হলে পার্মালিংক সম্পর্কে অবশ্যই আপনার ধারনা থাকতে হবে। পার্মালিনক হল আপনার প্রতিটি আর্টিকেলের আলাদা আলাদা লিংক। যে লিঙ্ক ধরে ভিজিটররা নির্ধারিত একটি আর্টিকেল খুঁজে পাবে। অর্থাৎ আপনার মূল ডোমেইন এর পরে স্ল্যাস (/) চিহ্ন দিয়ে যে অংশটুকু যুক্ত করা হয় সেটি হল একটি ব্লগের পোস্ট পার্মালিংক। ওয়েবসাইট এর প্রতিটি পোষ্ট ক্যাটাগরি এবং পেজের পার্মালিনক ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন: jit.com.bd/permalink
#১১। কী ওয়ার্ড কি? কিভাবে কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন
একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য কিওয়ার্ড গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি যখন কোনো একটি কনটেন্ট বা আর্টিকেল লিখবেন তখন অবশ্যই কোনো একটি কিওয়ার্ড কে টার্গেট করে লিখতে হবে। তাহলে আপনার একটি ব্লগ পোস্ট খুব দ্রুত গুগলে রেংক করবে।
কীওয়ার্ড কি?
কিওয়ার্ড হল এমন একটি শব্দ যেটি সার্চ ইঞ্জিনে লিখে কোন একটি বিষয় সার্চ করে। মানুষ যে সমস্ত বিষয় লিখে গুগলে সার্চ করে প্রত্যেকটি শব্দ কিন্তু কিওয়ার্ড নয়। সার্চ করা প্রত্যেকটি শব্দ এক একটি সার্চ কোয়েরি।
এবং প্রত্যেকটি সার্চ কোয়েরির মধ্য থেকে বেশ কিছু শব্দ রয়েছে যেগুলো গুগোল এর সার্চ কনসলে নির্ধারিত থাকে। যে কোন সার্চ কোয়েরি লিখে সার্চ করার পর কোয়েরীগুলো যে কি-ওয়ার্ড এর সাথে ম্যাচ হয় তার উপর নির্ভর করে রেজাল্ট শো করে।
যখন আমরা কোনো কিওয়ার্ড কে টার্গেট করে আর্টিকেল লিখব তখন সেই রিলেটেড যেকোনো কুয়েরি লিখে সার্চ করলে আমাদের সেই আর্টিকেলটি সার্চ রেজাল্ট আসার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
আর যদি কোন কিওয়ার্ড কে টার্গেট করে আর্টিকেল লেখা না হয়, তাহলে সে আর্টিকেলটি রেজােল্টে আসতে প্রচুর সময় লাগে বা কোন কীওয়ার্ড এর সাথে ম্যাচ না হওয়ার কারণে কখনোই সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শিত হয় না।
লোকাল এড: এছাড়াও আপনার ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন কোম্পানির লোকাল বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। যখন আপনার একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট থাকবে তখন আশেপাশের বিভিন্ন কোম্পানী বা সার্ভিস আপনাকে রিকুয়েস্ট করবে তাদের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার জন্য। আপনি তাদের সাথে সাপ্তাহিক মাসিক বা বাৎসরিক চুক্তির মাধ্যমে তাদের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
স্পন্সর করে: আপনার ওয়েব সাইটের বিভিন্ন প্রোডাক্ট আর্টিকেল গুলোকে বিভিন্ন কোম্পানির স্পন্সর হিসেবে পাবলিশ করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। অর্থাৎ আপনি যদি কোন মোবাইল রিভিউ এর ওয়েবসাইট তৈরী করে থাকেন তাহলে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানি আপনাকে অফার করবে তাদের প্রোডাক্ট এর রিভিউ করার জন্য। এবং রিভিউ এর বিনিময়ে আপনাকে তারা টাকা পেমেন্ট করবে।
#২৯। ব্লগিং করতে কত টাকা খরচ হয়
এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন, ব্লগিং করতে কত টাকা খরচ হয়? বন্ধুরা আমার মতে ব্লগিং করতে আপনার কোন টাকা-পয়সা খরচ হবে না। তবে হ্যা আপনি যদি একটু প্রফেশনালভাবে ব্লগিং করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে সামান্য কিছু টাকা খরচ করতে হবে ডোমেইন ও হোস্টিং কেনার জন্য। আপনি চাইলে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। কিভাবে ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন এখানে রয়েছে।
আর যদি আপনি নিজে কাজ না করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার বেশ কিছু খরচ রয়েছে যেমন:
- একজন ওয়েব ডেভেলপার বা ওয়েব ডিজাইনার কে বিয়ে করতে হবে।
- কনটেন্ট রাইটারকে বিয়ে করতে হবে।
- একজন এসইও এক্সপার্ট কে পে করতে হবে।
- এবং সাইট মেনটেনেন্স এর জন্য সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান এর জন্য একজন লোক রাখতে হবে। তাকে পেমেন্ট করতে হবে।
আপনি চাইলে সকল কাজ আপনি নিজেও করতে পারবেন একটু পড়াশোনা করে বা একটু শিখে। এখানে একটা বিষয় লক্ষ রাখতে হবে আপনি যদি এই সমস্ত কাজ অন্য কোন ব্যক্তিকে দিয়ে করিয়ে নেন তাহলে সে ক্ষেত্রে কখনোই আপনি কোয়ালিটি কাজ পাবেন না। তবে হ্যা আপনি যদি এই সমস্ত বিষয়ে ভালো পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই কাজগুলো বিভিন্ন লোক দ্বারা করিয়ে নিতে পারবেন সেক্ষেত্রে আপনার যাচাই করার যোগ্যতা থাকতে হবে।
#৩০। ব্লগিং শিখতে কতদিন সময় লাগে
এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার দক্ষতার উপর। আপনি প্রতিদিন কত ঘন্টা সময় ব্যয় করতে পারবেন এই কাজ শিখার পেছনে। আপনি প্রতিদিন যত বেশি সময় ব্যয় করতে পারবেন আপনি তত তাড়াতাড়ি ব্লগিং সম্পূর্ণভাবে শিখতে পারবেন। একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে ব্লগিং শিখতে মোটামুটি তিন থেকে ছয় মাস সময় লেগে যায়।
এখানে কিন্তু শেষ নয় আপনাকে প্রতিনিয়ত শিখতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে অর্থাৎ তিন থেকে ছয় মাস করার পর আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেটাকে মেইনটেইন করতে পারবেন এবং সেখান থেকে কিছু কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
#৩১। ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় এটি নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনার ব্লগ এর কোয়ালিটি ক্যাটাগরি এবং জনপ্রিয়তার উপর। আপনার ওয়েবসাইটটি যদি ভাল জনপ্রিয় হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইট থেকে প্রতি মাসে 1 লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়।
এমন কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যারা প্রতিমাসে কয়েক কোটি টাকা ইনকাম করে থাকেন। একটি ওয়েবসাইট থেকে প্রতিমাসে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে কত টাকা ইনকাম করা যায় তার একটি চার্ট নিচে দেয়া হল।
একটি ওয়েবসাইট এ মানে ভিজিটর সংখ্যা যদি 2 লক্ষ হয় তাহলে সেই ওয়েবসাইট থেকে মাসিক ইনকাম হবে নিম্নরোপঃ
=> 2 লক্ষ ভিজিটর হলে এভারেজ পেজভিউ যদি 3% হয় তাহলে পেজভিউ হবে = 6 লক্ষ।
=> যদি Adsense CTR 3.5% হয় তাহলে এড ক্লিক হবে = 21000।
=> যদি এভারেজ CPC $0.20 হয় তাহলে আয় হবে (21000x $0.20) = $4200 (কিছু কম বেশি হতে পারে)
=> $4200 বাংলা টাকায় কনভার্ট করলে হয় (4200*84) = BDT 3,52,800/-
এমন একটি ওয়েবসাইটের মান্থলি ইনকাম দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।
এখানে একটি মজার বিষয় হলো: এ সকল ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম একবার শুরু হলে সেটি আপনি কাজ করুন বা না করুন আপনার ইনকাম হতে থাকবে। আপনি যত বেশি কাজ করবেন আপনার তত ইনকাম বাড়তে থাকবে আর যদি আপনি কাজ না করেন সেক্ষেত্রে আপনার ইনকাম হয়তো কিছুটা কমবে কিন্তু একেবারে বন্ধ হবে না। এবং এটাকে প্যাসিব ইনকাম ও বলা হয় অর্থাৎ ইনকাম শুরু হয় শেষ হয় না। যতদিন সাইট আছে ততদিন ইনকাম হতেই থাকবে।
সর্বোপরি আমাদের পরামর্শঃ
আপনার যদি অনলাইনে ইনকাম করার ইচ্ছা বা আগ্রহ থাকে তাহলে দেরি না করে আপনি আজ ঐ যে কোন একটি বিষয় পছন্দ করে সে বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করা শুরু করে দিন। আপনি যখন কোন একটি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করবেন সে বিষয়টি আপনার কাছে একেবারে সহজ হয়ে যাবে। এবং একটি বিষয়ে কিছুদিন পড়াশোনা করলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার দ্বারা এই কাজটি হবে কিনা।
তো বন্ধুরা যদি আজকে আমার এই লেখাটি আপনার কাছে ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই এটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আর যদি এ ব্যাপারে আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে এখনই নিজে একটি কমেন্ট করে ফেলুন যত দ্রুত সম্ভব আপনার কমেন্টের রিপ্লাই দেয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।
অসাধারন একটি প্রবন্ধ