মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় : আপনি যদি মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় গুলো জানতে চান? তাহলে সঠিক একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন।
আপনার মোবাইল হ্যাক হওয়া থেকে রক্ষা করার পূর্বে, আপনাকে এটি ভালো করে, দেখে নিতে হবে।
যে আপনি নিজের মোবাইলে কোন কোন কার্যকলাপ গুলো করছেন।
স্মার্টফোন গুলো বর্তমানে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অনেক বড় গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে গেছে।
যেমন- গেমিং, ব্যাংকিং, আর্থিক লেনদেন, লাইভ ভিডিও কনফারেন্স, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ডাটা শেয়ারে ইত্যাদি সংবেদনশীল কাজ গুলো মোবাইল দ্বারা হয়ে থাকে।
এজন্য মোবাইল ফোনগুলোতে আমাদের অনেক ব্যক্তিগত এবং সংবেদনশীল তথ্য গুলো মোবাইল স্টোরেজে জমা হয়ে থাকে।
তো আপনি যদি নিজের মোবাইলে থাকা এ সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চান? তাহলে হ্যাকিং থেকে আপনার মোবাইলকে রক্ষা করতে হবে।
আর সেজন্য আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে জানাবো। মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়।
আর এ বিষয়ে জানতে, আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়
আপনি যদি মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচতে চান? তাহলে বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করে, হ্যাকিং এর হাত থেকে বাঁচাতে পারবেন।
সে অনুযায়ী আমি আপনাকে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেব। যা অনুসরণ করে, আপনার মোবাইল হ্যাকিং থেকে রক্ষা করতে পারবেন সব সময়।
তো চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত।
মোবাইলে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড
আপনার মোবাইলে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এখন হয়তো আপনি মনে মনে চিন্তা করছেন। যে, এটা তো একটি সাধারণ কথা এবং পাসওয়ার্ড তো আমরা সকলেই ব্যবহার করি।
কিন্তু আমরা এখানে বিশ্বাস করে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার বিষয়টি আপনাকে বলতেছি। আপনি যখন একটি সাধারণ পাসওয়ার্ড যত করবেন। সেটি হ্যাক করা খুবই সহজ হয়ে যাবে।
তাই নিজের এন্ড্রয়েড বা স্মার্টফোনে এমন একটি পাসওয়ার্ড বা ভিপিএন যুক্ত করবেন যা অনুমান করা একদমই কঠিন হয়ে পড়ে।
আপনার মোবাইলের সিকিউরিটি পাসওয়ার্ড গুলো যত শক্তিশালী হবে আপনার মোবাইল ততটাই নিরাপদ থাকবে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে মোবাইলে, পাসওয়ার্ড হিসেবে নিজের নাম, মোবাইল নম্বর বা পছন্দের মানুষের নাম দিয়ে পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখেন। এই ভুল কাজটি আপনারা কখনোই করবেন না।
কারণ এতে করে মোবাইল হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুন বেড়া যায়।
তাই শক্তিশালী পাসওয়ার্ড হিসেবে আপনারা- @$&*#_^ এই ধরনের চিহ্ন ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড দিতে পারেন।
তাহলে অনেক শক্তিশালী হবে। যা কোন মানুষ ধারণা করতে পারবে না, আপনার পাসওয়ার্ড সম্পর্কে।
মোবাইল সফটওয়্যার আপডেট
আপনার মোবাইলটি নিয়মিতভাবে সফটওয়্যার আপডেট এর বিষয়ে নজর রাখবেন। নিয়মিতভাবে সফটওয়্যার আপডেট করলে, আপনার মোবাইল নিরাপত্তা নিয়ে থাকা, দুর্বলতা গুলোকে দূর করতে সহায়তা করবেন।
নিজের মোবাইল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপস গুলো আপডেট রাখতে হবে।
আপনি যখন আপনার মোবাইলে কোন ধরনের সফটওয়্যার আপডেটের নোটিফিকেশন পাবেন সেটি সাথে সাথে ইন্সটল করে নিবেন।
অবশ্যই অনেক সময় সিস্টেম সফটওয়্যার গুলো আপডেট হতে কিছুটা সময় নিয়ে থাকে।
তাই আপনার মোবাইলটি নিরাপত্তায় রাখার জন্য অবশ্যই মোবাইল সফটওয়্যার আপডেট করবেন।
মোবাইলে পাবলিক ওয়াই-ফাই নেওয়া বন্ধ করুন
মোবাইলে কোন প্রকার পাসওয়ার্ড ছাড়া, ওপেন ওয়াই-ফাই কানেকশন উপলব্ধি থাকলে। আপনারা সরাসরি সে নেটওয়ার্কের সাথে নিজের মোবাইল সংযুক্ত একেবারও চিন্তা করি না।
কিন্তু আপনি কি জানেন হ্যাকারদের জন্য এই ধরনের পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক গুলো মোবাইল এবং ল্যাপটপ হ্যাকিং এর জন্য একটি সেরা মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
তার জন্য আমি আপনাকে পরামর্শ দিব যে কোন অচেনা-অজানা জায়গাতে থাকা পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক গুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
বিনামূল্যে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার ফলে, আপনার মোবাইলটি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।
মোবাইল এন্টিভাইরাস অ্যাপ
একটি ভাল এবং কার্য করে মোবাইল এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনি নিজের মোবাইলকে ক্ষতিকারক সফটওয়্যার এবং সম্ভাব্য ভাইরাসের হামলা থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
মোবাইলের এন্টিভাইরাস গুলো আপনার মোবাইলে রিয়েল টাইম স্ক্যান এর মাধ্যমে ভাইরাস এবং সাইবার আক্রান্ত গুলো শনাক্ত করার কাজ করে থাকে।
তাই হ্যাকারদের দ্বারা কারো বেশিরভাগ সাইবার হামলা গুলো থেকে নিজের মোবাইলকে নিরাপত্তা রাখার জন্য এই অ্যান্টিভাইরাস গুলো অবশ্যই ব্যবহার করতে পারেন।
আর সবথেকে মজার বিষয় হচ্ছে, আপনার মোবাইল ভাইরাস থেকে নিরাপত্তা রাখার জন্য। অ্যাপস গুলো গুগল প্লে স্টোর থেকে একদম বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।
মোবাইল অ্যাপস লক করুন
আপনার মোবাইলে থাকা whatsapp, facebook, google ফটোস, ফাইল ম্যানেজার, ব্যাংকিং অ্যাপস ইত্যাদি এ ধরনের অ্যাপ গুলো অবশ্যই লক করে রাখুন।
কারণ বর্তমান সময়ে হ্যাকাররা মোবাইল অ্যাপস গুলো হ্যাক করার প্রতি বেশি আগ্রহী থাকে। কারণ একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারলে মানুষকে অনেক সহজেই বিপদে ফেলা যায়।
আবার মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টগুলো হ্যাক করতে পারলে হ্যাকাররা অসংখ্য পরিমাণের টাকা ভোগ করতে পারে।
তাই আপনার মোবাইলে থাকা জরুরি অ্যাপস গুলো অবশ্যই লক করে রাখবেন। যাতে করে, অন্য কোন ব্যক্তি আপনার মোবাইল হাতে নিল অ্যাপসগুলো ব্যবহার না করতে পারে।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তাদের মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় গুলো উপরের, আলোচনা থেকে বিস্তারিত জানতে পারেন।
আমরা এখানে জরুরী কিছু তথ্য জানিয়ে দিয়েছি। যেগুলো অনুসরণ করে চলতে পারলে। আপনার মোবাইল হ্যাক থেকে রক্ষা করতে পারবেন সব সময়।
তো শেষ পর্যন্ত আমাদের লেখাটি কিন্তু পরে আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
আর বিশেষ করে, এই আর্টিকেল টি আপনার বন্ধুদের জানাতে, একটি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।