জনতা ব্যাংক ডিপিএস

জনতা ব্যাংক ডিপিএস : বর্তমান সময়ে, আমাদের মধ্যে যারা জনতা ব্যাংকের গ্রাহক রয়েছেন। তারা জনতা ব্যাংক ডিপিএস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী।

তো আপনি যদি জনতা ব্যাংক ডিপিএস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান? তাহলে আমাদের লেখা আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন।

জনতা ব্যাংক ডিপিএস
জনতা ব্যাংক ডিপিএস

কারণ আমরা এখানে জনতা ব্যাংক ডিপিএস সংক্রান্ত, যাবতীয় তথ্য প্রদান করার চেষ্টা করব। তো আপনি যদি জনতা ব্যাংক একাউন্ট খুলে টাকা জমাতে চান?

তাহলে জমানো টাকার উপর ভালো পরিমাণের সুদ মেয়াদ শেষ সময় গ্রহণ করতে পারবেন।

তো জনতা ব্যাংক ডিপিএস এর বিষয়ে জানতে। আপনাকে প্রথমে ডিপিএস এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক জনতা ব্যাংক ডিপিএস এর প্রকারভেদ সমূহ সম্পর্কে।

জনতা ব্যাংক ডিপিএস এর প্রকার

আপনি যদি জনতা ব্যাংকের গ্রাহক হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে জনতা ব্যাংক ডিপিএস করার জন্য। আপনারা মোট পাঁচটি কাজ সম্পাদনের জন্য জনতা ব্যাংক ডিপিএস একাউন্ট খুলতে পারবেন।

তো জনতা ব্যাংকের ডিপিএস এর প্রকার গুলো হচ্ছে-

  1. জনতা হজ ডিপোজিট স্কিম
  2. জনতা ডিপোজিট স্কিম
  3. অনিবাসী পেনশন স্কিম
  4. জনতা ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং
  5. জনতা ব্যাংক নারী প্রকল্প

তো আপনারা জনতা ব্যাংকের গ্রাহক রয়েছেন। তারা উপরোক্ত ক্যাটাগরি অনুযায়ী জনতা ব্যাংক ডিপিএস একাউন্ট খুলতে পারবেন।

তো চলুন এই পাঁচটি প্রকার সম্পর্কে। বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

অনিবাসী পেনশন স্কিম

আপনি যদি বিদেশে অবস্থানরত বা কর্মরত বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে থাকেন। তাহলে অনিবাসী জনতা ব্যাংক ডিপিএস একাউন্ট খুলতে পারবেন।

তাই আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন। তবে খুব সহজেই অনিবাসী পেনশন স্কিম ডিপিএস একাউন্ট তৈরি করতে পারেন।

তো আপনি যদি অনিবাসী পেনশন স্কিম ডিপিএস একাউন্ট খুলতে চান? সে ক্ষেত্রে এখানে কি কি সুবিধা প্রদান করা হবে। সে বিষয়ে জানতে, দেওয়া তথ্য গুলো অনুসরণ করুন।

  • আপনারা চাইলে সর্বোচ্চ ৫ বছর মেয়াদী জনতা ব্যাংক ডিপিএস একাউন্ট খুলতে পারবেন।
  • জনতা ব্যাংক ডিপিএস মাসিক কিস্তি হিসেবে তিন হাজার টাকা থেকে শুরু করে বিশ হাজার টাকা মধ্যে রাখতে পারবেন।
  • জনতা ব্যাংক ডিপিএস একাউন্টে যে পরিমাণ টাকা আপনি রাখবেন। সেই পরিমাণ টাকা মাসের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত যে কোন দিন জমা দিতে পারবেন।
  • জনতা ব্যাংক ডিপিএস একাউন্টের জন্য বার্ষিক সরল সুদের হার হচ্ছে, সাড়ে আট শতাংশ।
  • তাছাড়া জনতা ব্যাংক ডিপিএস মেয়াদপূর্তি হওয়ার আগে আপনি যদি টাকা উত্তোলন করতে চান তবে বিভিন্ন মেয়াদের জন্য বিভিন্ন সুদের হার প্রযোজ্য হবে।

অনিবাসী পেনশন স্কিম ডিপিএস একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি যদি জনতা ব্যাংক ডিপিএস একাউন্ট অনিবাসী পেনশন স্কিম ক্যাটাগরিতে খুলতে চান তাহলে আপনাকে কিছু নিয়ম অনুসরণ করে একাউন্ট খুলতে হবে।

তো চলুন জেনে নেয়া যাক। অনিবাসী পেনশন স্কিম ডিপিএস একাউন্ট খোলার নিয়ম।

  • অনিবাসী পেনশন স্কিম একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে অ্যাকাউন্ট খোলার যে ফর্ম আছে। সেটি পূরণ করে স্বাক্ষরিত করতে হবে।
  • যে ব্যক্তি অনিবাসী পেনশন অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চান সেই ব্যক্তির তিন কপি রঙিন ছবি লাগবে।
  • এবং পাসপোর্ট এর প্রথম সাত পাতার ফটোকপি লাগবে।
  • যে ব্যক্তিকে নমিনি হিসাবে রাখতে চান সেই ব্যক্তির দুই কপি রঙিন ছবি লাগবে।
  • আপনি একাউন্টের যে পরিমাণ টাকা জমা রাখবেন সেই টাকাগুলো রেমিটেন্সের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
  • প্রতি মাসে ডিপিএস এর কিস্তি আপনি চাইলে প্রতি মাসে রাখতে পারবেন। আবার অগ্রিম টাকাও রাখার সুবিধা পাবেন।
  • এছাড়া কোন নাবালক বা নাবালিকা, এই ধরনের অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবে না।

জনতা হজ ডিপোজিট স্কিম

আপনি যদি জনতা ব্যাংকের হজ ডিপোজিট স্কিম করতে চান? তারা খুব সহজেই অ্যাকাউন্ট বানাতে পারবেন।

তো জনতা ব্যাংক হজ ডিপোজিট স্কিম একাউন্টের একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে। আপনি যদি কোন ধরনের সুদ ছাড়া ডিপিএস একাউন্ট খুলতে আগ্রহে থাকেন।

তাহলে এই অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে পারেন।  তো আপনারা জনতা হজ ডিপোজিট স্কিম ফিচার।

হজ ডিপোজিট স্কিম একাউন্টের মেয়াদ সর্বনিম্ন ১ বছর হতে সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।

এই হজ ডিপোজিট স্কিম একাউন্টে কোন ধরনের শোধ দেওয়া হয় না। মানে আপনি সম্পূর্ণ উন্মুক্ত অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন।

আপনার পছন্দমত মেয়াদ নির্ধারণ করে কিস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারবেন।

যে ব্যক্তি এই অ্যাকাউন্ট তৈরি করবে সে ব্যক্তির পছন্দমত যে কোন সময় টাকা উত্তোলন করতে পারবে।

হজ ডিপিএস একাউন্টে কোন ধরনের সার্ভিস চার্জ আরোপ করা হবে না। তবে সরকারি ট্যাক্স প্রদান করতে হবে।

হজ ডিপোজিট স্কিম একাউন্ট খোলার নিয়ম

  • আপনারা যে কোন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা এই অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
  • একাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনার- জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স এর যে কোন একটি ফটোকপি লাগবে।
  • যে ব্যক্তি হজ ডিপোজিট স্কিম খুলতে চাই, তার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
  • যে ব্যক্তি হজ ডিপোজিট একাউন্টে নামিনি হিসেবে রাখতে চায় তার এক কপি ছবি লাগবে।
  • এছাড়া যুগ্ম নাম ও একই নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলার মত সুবিধা পাবেন।

জনতা ডিপোজিট স্কিম

আপনি যদি জনতা ব্যাংকের ডিপোজিট স্কিম নামে, ডিপিএস একাউন্ট খুলতে চান? তাহলে খুব সহজেই ৫ বছর মেয়াদে একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

জনতা ডিপোজিট স্কিম এর ফিচারস-

  • আপনারা জনতা ডিপোজিট স্কিম পাঁচ বছর মেয়াদে খুলতে পারবেন।
  • এখানে সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা রাখতে পারবেন।
  • জনতা ডিপোজিট স্কিম অ্যাকাউন্ট থেকে ৬% চক্রবৃদ্ধি সুদ প্রাপ্ত হবেন।
  • আপনারা এই ডিপিএস একাউন্টে প্রতি মাসের এক তারিখ হতে 10 তারিখের মধ্যে ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা করতে পারবেন।
  • এছাড়া পাঁচ বছর মেয়াদের আগে আপনি যদি একাউন্ট বন্ধ করে দিতে চান? তাহলে সকল চার্জ দেওয়ার পরে সরল সুদ প্রদান করে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

জনতা ডিপোজিট স্কিম একাউন্ট খোলার নিয়ম

  • জনতা ডিপোজিট স্কিম অ্যাকাউন্ট বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক খুলতে পারবেন।
  • অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে, জাতীয় পরিচয় পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট মধ্যে যেকোনো একটি সত্যায়িত ফটোকপি লাগবে।
  • জনতার ডিপোজিট স্কিম একাউন্ট খোলার জন্য আপনি যাকে নমিনি হিসেবে দিতে চান। তার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
  • কোন নাবালকের নামে ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনা করা যাবে।

জনতা ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং ডিপিএস

আপনি যদি জনতা ব্যাংকের যে স্কুল ব্যাংকিং সঞ্চয়ী ডিপিএস একাউন্ট রয়েছে। সে সিস্টেম আপনারা টাকা জমা রাখতে পারবেন।

তো চলুন জেনে নেয়া যাক জনতা ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং ডিপিএস এর ফিচার সমূহ।

  • আপনারা চাইলে পছন্দ মত যে কোন মেয়াদে জনতা ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং ডিপিএস খুলতে পারবেন।
  • জনতা ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং ডিপিএস এ মাসিকের পরিমাণ ১০০ টাকা রাখতে পারবেন।
  • জনতা ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং ডিপিএস একাউন্টের জন্য সুদের হার নির্ধারিত হয়নি।

জনতা ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং ডিপিএস একাউন্ট খোলার নিয়ম

  • আপনি যদি জনতা ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং ডিপিএস একাউন্ট খুলতে চান? তবে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন সনদ লাগবে।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় পত্র লাগবে।
  • যে ব্যাক্তি একাউন্ট তৈরি করতে চায় তার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
  • যে ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য নমিনি দিতে চান? নমিনের দই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
  • এছাড়া প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র লাগতে পারে।

জনতা ব্যাংক নারী কল্যাণ ডিপিএস প্রকল্প

তো আপনি যদি নারীর সঞ্চয় প্রকল্প ডিপিএস একাউন্ট তৈরি করতে চান? তবে ব্যাংকের অধীনে সে জনতা ব্যাংক ডিপিএস একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন খুব সহজে।

তো চলুন জেনে নেওয়া যাক। জনতা ব্যাংক নারী কল্যাণ ডিপিএস প্রকল্পের ফিচারসহ সম্পর্কে।

  • আপনি চাইলে নারী কল্যাণ ডিপিএস প্রকল্প তে পাঁচ বছর থেকে শুরু করে ১০ বছর মেয়াদ পর্যন্ত বিপিএস একাউন্ট খুলতে পারবেন।
  • এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার পর্যন্ত মাসিক কিস্তি জমা করতে পারবেন।
  • একাউন্টের জন্য সুদের হার নির্ধারিত হয়েছে 6%।
  • তাছাড়া আপনি যদি পাঁচ বছরের আগে বা ১০ বছরের আগে একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করতে চান? তবে সরল সুদে আপনাকে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

জনতা ব্যাংক নারী কল্যাণ ডিপিএস প্রকল্প একাউন্ট খোলার নিয়ম

  • আপনি যদি জনতা ব্যাংক নারী কল্যাণ ডিপিএস প্রকল্প একাউন্ট খুলতে চান? তাহলে আপনার বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।
  • একান্ত তৈরি করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট এর ফটোকপি লাগবে।
  • যে ব্যাক্তি একাউন্ট তৈরি করতে চাই তার পাসপোর্ট সাইটের ছবি লাগবে।
  • নমিনি ব্যক্তির এক কপি ছবি লাগবে।
  • ব্যক্তি পরিচয় প্রদানের জন্য দলিলের ফটোকপি লাগবে।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা যারা জনতা ব্যাংক ডিপিএস একাউন্ট খুলতে চান? তারা উপরোক্ত ক্যাটাগরিতে জনতা ব্যাংক ডিপিএস একাউন্ট খুলতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে জনতা ব্যাংকে যে সকল ডিপিএস কার্যক্রম চালু রয়েছে। সেই পাঁচটি কার্যক্রম আমি আপনার সামনে তুলে ধরেছি।

এখন আপনার পছন্দমত যেকোনো একটি ক্যাটাগরি বেছে নিয়ে। আপনারা খুব সহজেই জনতা ব্যাংক ডিপিএস একাউন্ট করে টাকা জমাতে পারবেন।

তো আমাদের লেখা আর্টিকেল এই পর্যন্তই আপনি যদি আরো অন্যান্য ব্যাংকের ডিপিএস সংক্রান্ত তথ্য জানতে চান? তাহলে আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top