ক্যাশ ক্রেডিট বা সি সি লোন কি (জেনেনিন এখানে)

ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন : যে কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে তাদের দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য নিয়মিত নগদ প্রবাহের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

আর কোন কারণবশত যদি কোন ব্যবসার কার্যকরী মূলধন প্রয়োজন গুলো ঠিকভাবে পূরণ না করা যায়।

তবে সেক্ষেত্রে সংমিশ্রণ ব্যবসায়িক কাজকর্মে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

যে কোন ব্যবসার আর্থিক সংকটে কাজে লাগানো যায় এই ক্যাশ ক্রেডিট লোন বা সিসি লোন। যেকোনো ব্যবসার প্রয়োজনীয়তার দিকগুলোর ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে।

ক্যাশ ক্রেডিট বা সি সি লোন কি (জেনেনিন এখানে)
ক্যাশ ক্রেডিট বা সি সি লোন কি (জেনেনিন এখানে)

তাই আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে জানিয়ে দেবো ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন কি? তো আপনি যদি এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে চান।

তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ক্যাশ ক্রেডিট বা সি সি লোন কি ?

ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন হচ্ছে এক ধরনের স্বল্প মেয়াদে ব্যাংক দ্বারা অনুমোদিত ঋণ/ লোন। যা বিভিন্ন ব্যবসা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং কোম্পানি গুলো তাদের কার্যকরী মূলধনের, প্রয়োজনীয়তা মেটানোর জন্য গ্রহণ করে থাকেন।

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম (বিস্তারিত দেখুন)

তো এক্ষেত্রে লোন গ্রাহক কোম্পানি গুলো ক্রেডিট ব্যালেন্স ছাড়াও লোন গ্রহন এর নির্দিষ্ট বিদ্যমান সমিা পর্যন্ত টাকা গ্রহণ করতে পারে।

এই সি সি লোন  মূলত 12 মাস পর্যন্ত মেয়াদভক্ত অর্থ ঋণ প্রদানের একটি স্বল্প মেয়াদে পরিকল্পনা। যা সম্পূর্ণভাবে পরিষদ হওয়ার পর পুনরায় নবীকরণ করা সম্ভব হয়।

মানে এই ক্যাশ ক্রেডিট লোন এর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে। পূর্ব নির্ধারিত ধার এর সীমা পর্যন্ত যতবার খুশি ততবার। টাকা উত্তোলন করতে পারবে বা ঋণ গ্রহণ করতে পারবে।

কিন্তু এখানে শুধুমাত্র ধার করা অর্থের পরিমাণের ওপর লাগানো হয়ে থাকে এবং সম্পূর্ণ ধারের অর্থ এর ওপর লাগানো হয় না।

প্রধানত ব্যবসাগুলো এই ধরনের অর্থের বিনিময়ে কাঁচামাল সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে।

যন্ত্রপাতি ক্রয় বিভিন্ন ধরনের খরচ মেটাতে, ঋণ পরিশোধ করতে বা ইনভেন্টরি খরচ ও আরো বিভিন্ন ধরনের অপারেশনাল খরচের কাজে লাগাতে পারে।

যে ব্যবসা গুলো ক্যাশ ক্রেডিট লোন গ্রহণ করে তাদের অবশ্যই ঋণদাতা ব্যাংকে জামানত প্রদান করতে হয় এমনকি সম্পদ যেমন কাজের অগ্রগতি পণ্য ইনভেন্টরি এবং অন্যান্য জামানত এর বিনিয়োগের ঋণ নিতে হয়।

সাধারণত সিসি লোন পাওয়ার জন্য ব্যবসাগুলোকে প্রতিটি ঋণদাতা ব্যাংকের সাথে একটি ভ্যালিড একাউন্ট থাকতে হবে।

আর যখন কার্যকরী মূলধন এর প্রয়োজন হবে। তখন তারা অ্যাকাউন্ট থেকে সেই অর্থ ব্যবহার করতে পারবেন। আশা করি আপনারা ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন কি এ বিষয়ে সঠিক তথ্য পেয়ে গেছেন।

ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোনের বৈশিষ্ট্য

ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন এর অনেকগুলো স্পষ্ট বৈশিষ্ট্য আছে আর সেগুলো হচ্ছে-

ঋণের সীমা

ঋণের সময়সীমা আবেদনকারীর ধার নেওয়ার ক্ষমতা এবং ঋণের যোগ্যতার উপর নির্ভর করে থাকে।

কোন ক্যাশ ক্রেডিট অ্যাকাউন্টে ধার নেওয়ার সীমা অনুযায়ী অনেকবার টাকা তোলা সম্ভব হয়। একাউন্টে অতিরিক্ত নগদ জমা হলে কোন কোম্পানির ওপর চাপের বোঝা কমে যায়।

বিভিন্ন ব্যাংক অনুযায়ী নগদের উপর ঋণ প্রদানের টাকার পরিমাণ পরিবর্তিত হয়ে থাকে।

বর্তমান ব্যালেন্স এর উপর সুদ

অন্য ধরনের কয়েকটি হগত ঋণ এর বিপরীতে এই ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন এর ক্ষেত্রে ধার্য করার সুদ মোট লোনের সীমার ওপর না হয়ে।

শুধুমাত্র নগদ ক্রেডিট একাউন্টের বর্তমান ব্যালেন্সের উপর নির্ভর করে থাকে।

ন্যূনতম প্রতিশ্রুতির মূল্য

ঋণ গ্রাহকের উপলব্ধ ক্রেডিট ব্যবহারের কথা বিবেচনা না করে এই স্বল্প মেয়াদে ঋণের ক্ষেত্রে লোন একাউন্ট প্রতিষ্ঠার জন্য।ৎ

খুবই ন্যূনতম একটি মূল্য নিয়ে থাকে।

মনে করুন সাধারণত বেঙ্গলতে এমন একটি ধারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যাতে ঋণ গ্রহণকারীর পূর্ণ নির্ধারিত পরিমাণের ওপর নূন্যতম পরিমাণ দিতে হয়।

বা টাকা তোলার সময় যে পরিমাণ ওঠো থাকে সেটি দিতে হয়।

আনুষাঙ্গিক নিরাপত্তা

ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন পেতে চাইলে ব্যাংকের কাছে জামানত বা নিরাপত্তা প্রদান করতে হয়।

এখানে কোম্পানি গুলোকে সম্পদ বা স্ট্রোকের বদলে লোন নিতে হয়। যে কোন ব্যাংকেই শর্ত থাকে। যে তাদের কাছে জামানত বন্ধক রাখার নিয়ম নির্ধারণ করা যায়।

ক্রেডিটের সময়সীমা

এ ধরনের ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন এর ক্ষেত্রে সাধারণত সর্বোচ্চ ১২ মাসের জন্য মানে এক বছর মেয়াদ থাকে। তারপরে মেয়াদ পূরণ হয়ে গেলে আপনি তা পুনরায় মূল্যায়ন করে দেখতে পারবেন।

ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন এর সুবিধা

ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন সবিতা এবং লাভগুলো নিয়ে আমরা নিচের অংশে আলোচনা করেছি। সংক্ষিপ্তভাবে যেমন-

কার্যকরী মূলধন অর্থায়নের উৎস

ক্যাশ ক্রেডিট লোন হচ্ছে কার্যকরী মূলধন অর্থায়নের যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ উৎস কারণ কোম্পানি যখন ইচ্ছা তখন। নগদ অর্থের অ্যাক্সেস পেয়ে যায়।

যার ফলে কোম্পানিগুলো নগদ অর্থের বা সম্পদ বিক্রি ছাড়াই। সহজে তাদের প্রয়োজনীয় অর্থাৎ গ্রহণ করতে পারে।

সহজ ব্যবস্থাপনা

ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন ব্যবস্থা করা ব্যাংক এবং কোম্পানি উভয়ের পক্ষে সহজ ব্যাপার শর্ত অনুযায়ী কোম্পানির কাছে জামানত বন্ধক রাখার জন্য উপলব্ধ থাকতে হবে।

সেই মূল্য নির্ধারণ করা অনেক সহজ আর যতক্ষণ না ঋণের মূল্য নির্ধারণ হয়। ততক্ষণ জামানত বন্ধক রেখে ব্যাংক সহজে ক্যাশ ক্রেডিট লোন ব্যবস্থা করেন।

সুদ

ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন এ আপনি যে পরিমাণের টাকা গ্রহণ করবেন তার ওপর এখানে শোধ প্রদান করা হয়।

নগদ ক্রেডিট ঋণগ্রাহকের অর্থায়ন খরচ কমায়। কারণ সুদের পরিমাণ শুধুমাত্র ব্যবহৃত অর্থের পরিমাণ বা ন্যূনতম কমিটমেন্ট চার্জের উপর ভিত্তি করে।

ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন এর অসুবিধা

ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন এর যেমন সুবিধার হয়েছে তেমনি কিছু অসুবিধা রয়েছে। যেমন-

  • সুদের উচ্চ হার।
  • ন্যূনতম প্রতিশ্রুতি চার্জ।
  • সুরক্ষার ক্ষেত্রে জটিলতা।
  • অর্থের অস্থায়ী উৎস।

উপরে দেয়া কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। এছাড়া আর কোন অসুবিধা নেই।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আজ আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হলো ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন কি?

আপনি যদি বিভিন্ন ব্যবসার জন্য ঋণ গ্রহন করতে চান। তাহলে আপনার নির্দিষ্ট কোন ব্যাংকে থেকে ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন গ্রহণ করতে পারেন। কিছু জামানত দিয়ে।

তো বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

আর এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে একটি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top