হ্যাকিং কি? হ্যাকিং কত প্রকার?

বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই আমাদের প্রয়োজনীয় কাজ গুলো বিভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমে সম্পন্ন করে থাকে।

বিশেষ করে, অফিশিয়াল কাজ ব্যক্তিগত কাজ। প্রায় সবকিছুই আমরা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে করি।

আবার এমন কত গুলো কাজ রয়েছে। যেগুলো আমরা মোবাইলের মাধ্যমে সম্পন্ন করি।

এক্ষেত্রে, আমরা বিভিন্ন নিউজ এর মাধ্যমে জানতে, পারি বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক সহ। আরো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ও ল্যাপটপ হ্যাক হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে থাকে।

হ্যাকিং কি? হ্যাকিং কত প্রকার?
হ্যাকিং কি? হ্যাকিং কত প্রকার?

বিভিন্ন ব্যাংক কে যে হ্যাকের ঘটনা ঘটে সেখানে, বিভিন্ন নিউজ এর মাধ্যমে জানা যায়। কিছু ডাটা চোরের ঘটনা ঘটেছে।

তো ঘটনা যাই হোক না কেন? অনলাইনে প্রয়োজনীয় ডাটা গুলো সুরক্ষিত রাখা কঠিন। তা এরকম বিচ্ছিন্ন হ্যাকিং এর ঘটনা থেকে বোঝা যায়।

বর্তমানে টেকনোলজি যত উন্নতি সাধন হচ্ছে, তার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনে আমাদের পার্সোনাল ডাটা গুলোর পরিমাণও বেড়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে সঙ্গে হ্যাকিং এর শিকার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুণ বেশি।

আপনাদের সাথে আলোচনা করব। হ্যাকিং কি ? এবং হ্যাকিং কত প্রকার ? আপনারা যদি এ বিষয়ে সঠিক ধারণা রাখতে পারেন।

তাহলে অনলাইনে আপনার সংরক্ষিত ডাটা গুলো সুরক্ষিত করে রাখতে পারবেন।

তো বন্ধুরা আপনারা যারা হ্যাকিং সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে চান? তারা আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

হ্যাকিং কি ?

হ্যাকিং হচ্ছে একটি ডিজিটাল আর্ট। দীর্ঘ সময় ধরে, প্র্যাকটিস এবং মেধার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহারের মাধ্যমে এই আর্ট রপ্ত করা হয়। তো হ্যাকিং এমন একটি কার্যক্রম যার মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেক্ট ডিভাইস এর আন অথরাইজ এক্সেস নেয়া হয়।

এরকমভাবে চুরি করে এক্সেস নিয়ে টার্গেটের ব্যাংকিং একাউন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট এর পাসওয়ার্ড সহ। অন্যান্য স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস করে, দেওয়া। এগুলো এছাড়া নিজের ব্যবহার করা সব অনলাইন কার্যক্রম হ্যাকিংয়ের মধ্যে পড়ে।

টার্গেটে প্রবেশ করার জন্য, হ্যাকার সিস্টেম ও নেটওয়ার্কের দুর্বলতা খুঁজে বের করে, সেটি ব্যবহার করে। আপনাকে যদি আরো সহজ ভাবে বলা যায়।

তাহলে কোন ডিভাইস বা নেটওয়ার্কের চুপিচুপি অনুপ্রবেশ করা কে হ্যাকিং বলা হয়।

হ্যাকিং ও হ্যাকার এই দুইটি ট্রাম যুব সমাজের কাছে একটি জনপ্রিয় জব। তবে বাস্তবতা যে রকম ভাবে চিন্তা করি তেমন কিন্তু নয়। হ্যাকিংকে প্রায় সকল দেশে ক্রাইম হিসেবে দেখা যায়।

কিন্তু আস্তে আস্তে এই চিন্তা ভাবনায় অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। কি কারনে এই ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে তা নিচে দেওয়া আলোচনাগুলো অনুসরণ করলেই জানতে পারবেন।

বর্তমানে সময় যেভাবে পরিবর্তন ঘটছে তাতে টেকনোলজি নিয়ে উদাসীন থাকা একদমই উচিত নয়। নিজেদের যেকোনো তথ্য সুরক্ষিত রাখতে আমাদের অবশ্যই হ্যাকিং সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।

তার কারণ হ্যাকিং প্রতিরোধ করতে, এবং হ্যাকারের ইনটেনশন বোঝার জন্য। হ্যাকিং সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। তাহলেই আপনার সকল ডাটা নিরাপত্তাই রাখতে পারবেন।

হ্যাকিং কত প্রকার ?

উপরোক্ত আলোচনাতে আপনারা জানতে পারলেন হ্যাকিং কি? সে অনুযায়ী আমি এখন আপনাকে জানাতে চাচ্ছি হ্যাকিং কত প্রকার। হ্যাকিং প্রধানত দুই প্রকার। যথা-

  1. ইথিক্যাল হ্যাকিং
  2. আন ইথিক্যাল হ্যাকিং

হ্যাকিংয়ের আরো কিছু ধাপ ক্যাটাগরি রয়েছে। যেমন- সার্ভার, ওয়েবসাইট হ্যাকিং, কম্পিউটার হ্যাকিং, নেটওয়ার্কিং হ্যাকিং, পাসওয়ার্ড হ্যাকিং ইত্যাদি।

চলুন প্রধান এই দুই ধরনের হ্যাকিং সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ইথিক্যাল হ্যাকিং

ইথিক্যাল শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হচ্ছে, নৈতিক।ইথিক্যাল দ্বারা ভালো কাজ বোঝানো হয়। সাধারণত হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারদের আজকে ইথিক্যাল হ্যাকিং বলা হয়।

তারা হ্যাকিং করে, ভালো কাজের উদ্দেশ্যে যা সিস্টেম ত্রুটি খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। এর সকল ত্রুটি সমাধান করে, সিস্টেমকে খারাপ হ্যাকারদের থেকে সুরক্ষিত করা যায়। ইথিক্যাল হ্যাকিং ট্রাম তৈরি করা হয়। হ্যাকিং কে ভালো কাজে ব্যবহার করার জন্য।

সাধারণত ইথিক্যাল হ্যাকিং যারা করেন। তারা টাকার বিনিময়ে বা কোম্পানিতে সরাসরি কর্মরত অবস্থায় হ্যাকিং করা থাকেন।

তাদের দায়িত্বে থাকে সিস্টেম এবং নেটওয়ার্ক হ্যাক করে, টেস্ট করার জন্য। তারা যদি সঠিকভাবে হ্যাক সম্পন্ন করতে পারে।

তবে সে সিস্টেম বা নেটওয়ার্ক পটেনশিয়াল অ্যাটাক এর কাছে ভালনারেবল হয়।

যখন সেই ইথিক্যাল থাকে সিস্টেম এবং নেটওয়ার্ক দুর্বলতার তথ্য, ইনফর্ম করা। সেই সঙ্গে তাকে বলে দেয়া হয়। যে কি ইমপ্রুভমেন্ট করতে হবে। যাতে পুনরায় হ্যাক না হয়।

আনইথিক্যাল হ্যাকি

হ্যাকিং দুনিয়ায় অর্থনৈতিক এবং ক্ষতিকারক কাজ যারা সম্পন্ন করেন তাদের আনইথিক্যাল হ্যাকার বলা হয়। যাদের কাজকর্ম কে বলা হয় আন ইথিক্যাল হ্যাকিং।

ইথিক্যাল হ্যাকিংয়ে যেমন, সিস্টেম ও নেটওয়ার্ক কে সুরক্ষিত রাখতে হ্যাক করা হয়। অন্যদিকে আন ইথিক্যাল হ্যাকিং এর বিপরীত। মানে এই পদ্ধতিতে হ্যাকার ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে কাজ করে।

সারা পৃথিবীতে, আনইথিক্যাল হ্যাকি কে ঘৃণা করা হয়। তার কারণ তারা তাদের মেধাকে অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করে। যা মানুষকে হয়রানের শিকার করে।

ইথিক্যাল হ্যাকিং ও আন ইথিক্যাল হ্যাকিং এর বাইরেও আরো কিছু হ্যাকিংয়ের প্রকার রয়েছে। তো চলুন সেই প্রকার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ভাবে জেনে নেই।

সেগুলো হলো-

  • ওয়েবসাইট হ্যাকিং
  • সার্ভার হ্যাকিং
  • পাসওয়ার্ড হ্যাকিং
  • নেটওয়ার্ক হ্যাকিং
  • কম্পিউটার হ্যাকিং ইত্যাদি।

শেষ কথাঃ

বন্ধুরা আশা করি আপনারা উপরোক্ত আর্টিকেল অনুসরণ করে জানতে পারলেন। হ্যাকিং কি এবং হ্যাকিং কত প্রকারের হয়ে থাকে।

আপনার যারা হ্যাকিং থেকে সুরক্ষিত থাকে চান? তাদেরকে অবশ্যই আগে থেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

কিভাবে আপনারা হ্যাকিং থেকে সুরক্ষিত থাকবেন। সে বিষয়ে আমরা পরবর্তী আর্টিকেলে আলোচনা করব।

হ্যাকিং সম্পর্কে আরো অন্যান্য তথ্য জানতে, আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top