ইতালি ইউরোপ মহাদেশের একটি সুন্দর দেশ। ইতালি দেশটি অর্থনৈতিক দিক থেকে, বিবেচনা করলে, অনেকটি ভালো অবস্থানে আছে।
যার পরিপ্রেক্ষিতে সারা পৃথিবী থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ ইতালিতে কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়।
বিশেষ করে, আমাদের বাংলাদেশের জন্য ইতালি দেশ একটি স্বপ্নের নাম।
কারণ ইতালি গিয়ে খুব সহজে, নিজের অবস্থার পাশাপাশি পারিবারিক হাল ধরা সম্ভব হয়।
- মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম | বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ভিসা
- ভিসা ছাড়া বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
- আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৩
তাই আজ আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ইতালি ভিসা খরচ কত টাকা এবং ইতালি ভিসা আবেদন লিংক সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হবে।
তাই আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে আগ্রহী। তারা আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে করুন।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়া অনেক কঠিন। কারণ সরাসরি অন্যান্য দেশে কাজের ভিসার মাধ্যমে যেতে পারলেও, ইতালিতে সেভাবে যাওয়া যায় না।
মনে করুন মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের লোকেরা কলিং ভিসায় যেতে পারেন।
তবে বাংলাদেশেররা যদি চান? তাহলে মালয়েশিয়া কলিং ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে। এবং মালয়েশিয়া গিয়ে সেই ভিসাই কাজ করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে ইতালি থেকে সরাসরি এমন কোন সুযোগ চালু নেই বাংলাদেশে নাগরিকদের জন্য।
কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে কাজের উদ্দেশ্যে অনেকেই গমন করে থাকে। মনে করুন আপনার যদি কোন আত্মীয় ইতালিতে বসবাস করে।
এছাড়া, আপনার যদি কোন পরিচিত ইতালিতে বসবাস করে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি ইতালি ভিসার জন্য বাংলাদেশ থেকে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
আপনারা চাইলে যেতে পারবেন সেটি হচ্ছে, কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইতালি ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
তারপর তারা সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, যদি আপনাকে যাওয়ার জন্য যোগ্য বলে মনে করেন। সে ক্ষেত্রে আপনারা ইতালি যেতে পারবেন।
তো আপনারা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে, ইতালি কাজের ভিসার জন্য সরাসরি কেউ আবেদন করার সুযোগ পাবে না। এবং বাংলাদেশ থেকে কেউ সরাসরি ইতালি যেতে পারবেন না।
ইতালি ভিসা খরচ
আপনারা যারা ইতালি যেতে আগ্রহী তারা দুই ধরনের ভিসা ক্যাটাগরি পেয়ে যাবেন। একটি হচ্ছে সিজনাল ভিসা অন্যটি হচ্ছে, নন সিজনাল ভিসা।
ইতালিতে যারা নন সিজনাল ভিসাতে যেতে আগ্রহী। তাদের অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে।
আবার যারা সিজনাল ভিসায় যেতে আগ্রহী তারা ইতালি গিয়ে 5 থেকে ছয় মাস কাজ করার সুযোগ পাবে। তারপর তাদেরকে আবার দেশে ফিরত আসতে হবে।
তো বাংলাদেশ থেকে যারা ইতালি যাবেন জন্য। টাকা সংগ্রহ করে থাকেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ প্রতারণায় পড়েন।
যারা সিজনাল ভিসা তে ইতালি যান তাদের সাধারণ লক্ষ টাকা খরচ হয়।
আর যারা নন সিজনাল ইতালিতে যায় তাদের অনেক ক্ষেত্রে ১২ লক্ষ থেকে 15 লাখ পর্যন্ত টাকা খরচ হয়।
কিন্তু এ ক্ষেত্রে সঠিকভাবে আবেদন করার পর আবেদন গৃহীত হলে টাকা জমা দিতে হবে। অনেকেই ইতালি ভিসা পাওয়ার জন্য বা ইতালিতে কাজের জন্য ভিসা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের দালালের টক্করে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে যায়।
তাই অবশ্যই ইতালি ভিসার খরচ বা ইতালি যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগে। এটি আপনার আগে জেনে নিতে হবে। সে আপনাকে বৈধভাবে নিয়ে যাচ্ছে, না অবৈধভাবে নিয়ে যাচ্ছে।
আপনাকে যদি অবৈধভাবে, ইতালিতে নিয়ে যাওয়া হয় সেক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ অনেক কম হবে। এতে করে জীবনের ঝুঁকি থাকতে পারে।
এক্ষেত্রে আপনারা যখন ইতালি হাতে লোক নেওয়ার নোটিশ পাবেন। তখন ইতালি ভিসার জন্য আবেদন করবেন।
ইতালি ভিসা আবেদন করার নিয়ম / কাগজপত্র
- আপনারা যারা ইতালি ভিসা কিভাবে করবেন এবং ইতালি ভিসার জন্য যোগ্যতা কি সে বিষয়ে জানতে, আমাদের আর্টিকেলটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
- তো চলুন,ইতালি যাওয়ার জন্য কোন ধরনের কাগজ পত্র বা রিকোয়ারমেন্ট লাগবে। সে গুলোর বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।
- ইতালি যেতে চাইলে আপনার কাছে একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- আবেদনকারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ভিসায় আবেদনকারীর ঠিকানা সঠিকভাবে থাকতে হবে।
- আবেদনকারীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি থাকতে হবে।
- ব্যক্তির আর্থিক অবস্থার প্রমাণপত্র লাগবে।
- পেশাগত যোগ্যতার প্রমাণ দেখানোর পাশাপাশি সকল প্রকার ডকুমেন্ট স্ক্যান কপি সংগ্রহ করতে হবে।
ইতালি ভিসা প্রসেসিং খরচ কত ?
ইতালির ভিসা প্রসেসিং খরচ কত ইটালি যাওয়ার আগে এ বিষয়টি সম্পর্কে অবশ্যই ধারণা নেয়া উচিত। কিন্তু এ বিষয়ে সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোন ধারণা ইতালির দূতাবাসের ওয়েবসাইটে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কারণ অন্যান্য দেশ থেকে যেভাবে বাংলাদেশ থেকে কাজের জন্য কর্মী নেওয়া হয়। ইতালি থেকে সেই ভাবে নেওয়া হয় না।
তার জন্য ইতালি ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না।
ইতালি ভিসা আবেদন লিংক / চেক লিংক
ইতালি ভিসা আবেদন লিংক এবং ভিসা চেক করার লিংক সম্পর্কে অবশ্যই আপনাদের জেনে নেওয়া উচিত।
কারণ আপনি যখন ভিসা আবেদন করবেন। এবং ভিসা আবেদন সম্পন্ন করে হাতে পাবেন তখন অবশ্যই ভিসা চেক করার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার ভিসা টি বৈধ নাকি অবৈধ।
এক্ষেত্রে আপনার ইতালির ভিসায় যদি কোন প্রকার অবৈধতা থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি কোন রকম ইতালিতে যাওয়ার পর, সেখানে গিয়ে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে পারেন।
তাই যে কোন ব্যক্তির জন্য বিভিন্ন দেশে বিদেশ কাজের জন্য যাওয়ার আগে হাতে পাওয়া ভিসাটি অনলাইনের মাধ্যমে চেক করে নিতে হবে।
তো আমি আপনার জন্য ইতালি ভিসা চেক করার লিংক এখানে প্রস্তাব করেছি। আপনারা যে ওয়েবসাইট লিংকে প্রবেশ করে, ইতালি ভিসার আবেদন করেছিলেন।
সে ইতালি ভিসা আবেদন লিংক এ প্রবেশ করে খুব সহজেই ভিসা চেক করে নিতে পারবেন।
ইতালি ভিসা চেক করার লিংক- visa.vfsglobal.com/bgd/en/ita আপনারা এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করে পাসপোর্ট নম্বর, এপ্লিকেশন আইডি নাম্বার এবং জন্ম তারিখ ব্যবহার করে খুব সহজেই ভিসা যাচাই করে নিতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে ইতালে যাওয়ার চিন্তা করেন। তারা উপরোক্ত আলোচনা অনুসরণ করে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।
আর আমি আপনার সুবিধার জন্য উপরোক্ত আলোচনাতে ইতালি ভিসার খরচ কত টাকা এবং ইতালি ভিসা আবেদন লিংক প্রস্তুত করেছে।
তো আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দেবেন।
এছাড়া আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন দেশের ভিসা সংক্রান্ত তথ্য পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।