দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম : আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন করার জন্য অবশ্যই টাকার প্রয়োজন হয়। দ্রব্যমূল্যের যে, দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে, সাধারণ জনগণ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।
আর বর্তমান সময়ে, বেকার অবস্থায় থাকা অনেকটাই বোঝার মত।
তাই বাংলাদেশ সরকার দেশ থেকে বেকারত্ব দূর করার জন্য, বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এর পাশাপাশি আমাদের বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দিক দিয়ে, অনেক বেশি উন্নতি লাভ করছে।
ইন্টারনেট/ অনলাইন এর এই যুগে বর্তমান সময়ে, ঘরে বসে টাকা রোজগার করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। যার ফলে, নিজেকে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরি করে, ঘরে বসে আয় করতে পারবেন।
- মার্কেটপ্লেস ছাড়াই অনলাইনে আয় করুন [ফ্রিল্যান্সিং]
- অনলাইন জব 2023 : মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
- লেখা শেয়ার করে ঘরে বসে আয় করুন যত ইচ্ছা তত
আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হতে পারেন। তাহলে দেশের বাইরে থেকে প্রচুর পরিমাণের বিদেশী মুদ্রা নিজের দেশে নিয়ে আসতে পারবেন।
তো আপনারা যারা দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করতে চান? তারা অনলাইনে বিভিন্ন সেক্টর এ কাজ করে, সহজেই উপার্জন করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, instagram সহ আরো অন্যান্য বিভিন্ন প্লাটফর্মে আমরা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখে থাকে যেখানে টাকা ইনকাম করার প্রলোভন দেখানো হয়।
এক্ষেত্রে আমরা অনেকেই মনে করে যে, দৈনিক 400 500 টাকা ইনকাম করতে পারব। সত্যি কথা বলতে, অনলাইন সেক্টরে টাকা আয় করা এতটা সহজ নয় আবার এতটা কঠিন নয়।
তাই আপনি যদি অনলাইন সেক্টরে কাজ করতে চান? তাহলে একজন দক্ষ ফ্রীলান্সার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।
তাই আজ আমি এই আর্টিকেলে অনলাইনের মাধ্যমে, কাজ করার জন্য এমন কতগুলো জনপ্রিয় সেক্টর সম্পর্কে জানাবো।
যেখানে আপনারা নিশ্চিতভাবে, দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা আয় করতে পারবেন।
তার জন্য আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায়
দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করার অসংখ্য মাধ্যম রয়েছে। সে অনুযায়ী আমি আপনাদের এমন কিছু সেক্টরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো।
যেগুলোতে কাজ করে, সুনিশ্চিত ভাবে আয় করার সুযোগ পেয়ে যাবেন। আমি মনে করি প্রতিটি মানুষের সংসার চালানোর জন্য দৈনিক 400 500 টাকায় কিন্তু এনাফ।
তো অনলাইন সেক্টরে প্রতিদিন টাকা ইনকাম করতে চাইলে, আপনার অবশ্যই কিছু কাজের দক্ষতা থাকতে হবে।
বিশেষ করে বর্তমান সময়ে অনলাইন সেক্টর গুলোতে, লেখালেখির কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে।
তাই আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন সেক্ষেত্রে, বাংলাদেশি এমন অনেক ব্লগিং ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন।
যেখানে একাউন্ট রেজিস্টার করে আর্টিকেল রাইটিং করে আয় করার সুযোগ পাবেন। যা থেকে দৈনিক 400 – 500 টাকা অনায়াশাই করতে পারবেন।
এছাড়া আরো অনেক সেক্টর রয়েছে। যে কাজ গুলো আপনারা দক্ষতার সাথে করতে পারলে, প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ০০ টাকা অবশ্যই উপার্জন করতে পারবেন।
তো চলুন জেনে নেয়া যাক। দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায়।
আর্টিকেল রাইটিং
দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করার যে, সকল মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে চাহিদা সম্পন্ন কাজ হচ্ছে, আর্টিকেল রাইটিং।
আপনারা চাইলে আর্টিকেল রাইটিং নিজের ঘরে বসেই করতে পারবেন। আবার সবথেকে মজার বিষয় হচ্ছে, আপনারা আর্টিকেল রাইটার হিসেবে নিজের দেশে বা দেশের বাইরে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
আপনি যদি বিদেশে কোন মার্কেটপ্লেসে আর্টিকেল রাইটার হিসেবে আর্টিকেল লিখতে চান। সেক্ষেত্রে, আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার প্ল্যাটফর্মে একাউন্ট রেজিস্টার করতে পারেন।
উপরোক্ত মার্কেটপ্লেসে আপনারা, বিভিন্ন ধরনের ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে, আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ নিতে পারবেন। তো এখানে কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে।
তো আপনি যদি ইংরেজিতে ভালো আর্টিকেল লিখতে পারেন সে ক্ষেত্রে আজোই উপরোক্ত মার্কেটপ্লেস গুলোতে যুক্ত হতে পারেন।
আবার আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় দুর্বল হন। সে ক্ষেত্রে চিন্তার কোন কারণ নেই।
কারণ আমরা আগেই বলেছি বাংলাদেশ এমন অসংখ্য ব্লগিং ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে বাংলা আর্টিকেল রাইটিং করে দৈনিক 400 500 টাকা আয় করতে পারবেন।
সে অনুযায়ী আমি আপনার সুবিধার জন্য এখানে, বাংলাদেশী ব্লগিং ওয়েবসাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। যেখানে আপনারা বাংলায় লিখে আয় করার সুযোগ পাবেন।
প্রতিদিন 1500 টাকা আয় || আর্টিকেল লিখে আয় করুন ঘরে বসে
সেরকম একটি ওয়েবসাইটের নাম হচ্ছে, জে-আইটি। আপনারা এই ওয়েবসাইটে একদম বিনামূল্যে একাউন্ট রেজিস্টার করতে পারবেন।
একাউন্ট রেজিস্টার করার পর, নিজের নামে একটি ড্যাসবোর্ড করে নিয়ে, সেখানে একটি রেফারেল লিংক পেয়ে যাবেন।
সে লিংক ব্যবহার করে, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করে আপনার বন্ধু-বান্ধবদের একাউন্ট করিয়ে দিতে পারলে। তাদের ইনকাম করা থেকে আপনি ২০% আয় করতে পারবেন একদম ফ্রিতে।
তাই আপনাকে অবশ্যই জেআইটিতে একটি অ্যাকাউন্ট বানাতে হবে। তার জন্য আপনাকে জে-আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম-এ যেতে হবে।
সেখানে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করার পর, তাদের দেওয়া ক্যাটাগরি অনুযায়ী বাংলা আর্টিকেল লিখে দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা আয় করতে পারবেন।
গুগল এডসেন্স
বর্তমান সময়ে অনলাইন সেক্টরে, প্রতিদিন টাকা আয় করার সবথেকে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে গুগল এডসেন্স। গুগল এডসেন্স হচ্ছে সর্বাধিক ব্যবহৃত এড নেটওয়ার্ক।
- গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার নিয়ম | ৩ মিনিটে ওয়েবসাইটের জন্য এডসেন্স
- দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় (জেনেনিন এখানে)
- গুগল এডসেন্স থেকে মাসে কত টাকা আয় হয় [দেখলে চমকে যাবেন]
আপনারা আর্টিকেল রাইটার হিসেবে, অন্যের ওয়েবসাইটে কাজ না করে, নিজের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে, গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রভাল নিয়ে বিজ্ঞাপন দেখে উপার্জন করতে পারবেন।
তো আপনি যদি গুগল এডসেন্স থেকে আয় করতে চান? অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনি যদি ওয়েবসাইট ব্যবহার করেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়েবসাইট এর কিছু নীতিমালা অনুসরণ করে কাজ করতে হবে।
আবার আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে কাজ করেন। সে ক্ষেত্রে ইউটিউব এর কিছু নীতিমালা পূরণ করে কাজ করতে হবে।
সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে থাকলে আপনারা google এডসেন্সের অনুমোদন নিয়ে আয় করতে পারবেন।
তার আগে আপনাকে জানতে হবে। ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স অনুমোদন পেতে হলে কি করতে হবে?
ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স
বর্তমান সময়ে আপনি অন্যের অধীনে মানে অন্যের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ না করে, চাইলে নিজের নামে একটি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে। সেখানে বাংলা বা ইংরেজিতে আর্টিকেল রাইটিং করে, বিভিন্ন পোস্ট আপলোড করতে পারবেন।
তার জন্য অবশ্যই একটি, ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে। ডোমেইন হোস্টিং ব্যবহার করে, ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে নিতে পারবেন।
- ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে- আপনিও পারবেন ওয়েবসাইট তৈরি করতে
- ওয়েব সাইট কি? কেন? কিভাবে তৈরি করবেন [ওয়েবসাইট বানিয়ে অনলাইনে ইনকাম]
- ব্লগারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট এবং এক্সটেনশন টুলস
আবার আপনি যদি কোন টাকা খরচ না করতে চান? সে ক্ষেত্রে আপনারা ব্লগার ডট কম এর মাধ্যমে একটি ফ্রি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে নিতে পারেন।
আপনি যেভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করেন না কেন? ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়ে গেলে সেখানে, নিজের মেধা ও সৃজনশীলতা খাটিয়ে ইউনিক আর্টিকেল লিখতে হবে।
তারপর আপনার ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণের আর্টিকেল মানে 30 থেকে 50 টি পোস্ট পাবলিশ করার পর, গুগল এডসেন্স এ আবেদন করতে পারবেন।
আপনার কয়েক সাইডে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে গুগল এডসেন্স টিম আপনার ওয়েব সাইটে পর্যবেক্ষণ করে, গুগল এডসেন্স অনুমোদন দিয়ে দিবে। তারপর আপনারা সহজে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে উপার্জন করতে পারবেন।
ইউটিউবে গুগল এডসেন্স
আপনারা যারা ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ না করতে চান? তাহলে সহজ পদ্ধতিতে youtube চ্যানেল তৈরি করে, গুগল এডসেন্স অনুমোদন নিতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কোয়ালিটি ফুল ইউটিউব ভিডিও তৈরি করতে হবে।
- ইউটিউব শর্টস থেকে ইনকাম করার উপায়
- ইউটিউব থেকে আয় করার A টু Z [ইউটিউব টিউটরিয়াল]
- ইউটিউবের নতুন নিয়ম কানুন ২০২৩ | জেনে নিন এখানে
আপনি যদি ইউটিউবের শর্ত অনুযায়ী ইউটিউব ভিডিওগুলো তৈরি করে আপলোড করতে পারেন, তাহলে খুব সহজেই গুগল এডসেন্স অনুমোদন পেয়ে যাবেন।
তো গুগল এডসেন্স ইউটিউবে অনুমোদন পেতে চাইলে, আপনাকে সাধারন দুইটি শর্ত পূরণ করতে হবে। যেমন-
- ১ বছরের মধ্যে ১ হাজার সাবস্ক্রাইব পূরণ করতে হবে।
- ১ বছরের মধ্যে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াজ টাইম পূরণ করতে হবে।
আপনারা যদি ইউটিউব চ্যানেলের এই দুইটি শর্ত পূরণ করতে পারেন। তাহলে গুগল এডসেন্সে আবেদন করে অনুমোদন নিতে পারবেন। আর অনুমোদন হয়ে গেলে আপনার প্রতিটি ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখে উপার্জন শুরু করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে, বাংলাদেশে এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে, যারা ব্লগিং এবং ইউটিউবিং করে, মাসে লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করছে।
তাই আপনি যদি অনলাইন ইনকামের শুরুর অবস্থাই, দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে উপরোক্ত যে কোন একটি সেক্টর বেছে নিতে পারেন।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করার সুযোগ খোঁজা থাকেন। তারা উপরোক্ত অনলাইন সেক্টরে যুক্ত হতে পারেন।
আমরা আশা করি উপরোক্ত সেক্টরে পার্ট-টাইম হিসেবে কাজ করতে পারবেন। আবার চাইলে ফুল-টাইম নিতে পারেন।
তো আমাদের লেখা আর্টিকেলটি আজ এই পর্যন্তই, আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।