দোকান ঘরে চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম : প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে বিষয় থাকাটা কিন্তু আবশ্যক। আপনি কি বিষয় নিয়ে দলিল লিখতে চান?
সে বিষয়ে আগে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে।
তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে, আপনাদের সুবিধার জন্য দোকান ঘরের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম কি? সে বিষয়ে সঠিক ধারনা দেয়ার চেষ্টা করব।
একটি দোকান ঘরের চুক্তিপত্র বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। বিশেষ করে, দোকান ঘর ভাড়া দোকান ঘর বিক্রি। এ বিষয়গুলোর উপর অবশ্যই আপনাকে একটি চুক্তিপত্র লিখতে হবে, মানে দলিল লিখতে হবে।
কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে। যারা দোকান ঘরের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানেনা। তাই আপনারা যারা দোকান ভাড়া দিতে চান? এবং যারা দোকান ভাড়া নিতে চান?
তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কারণ এখানে জানিয়ে দেওয়া হবে। কিভাবে আপনারা দোকান ঘরের চুক্তিপত্র লিখতে হয়।
- সঠিকভাবে প্রতিবেদন লেখার নিয়ম, নমুনা ও কৌশল ২০২৩
- আর্টিকেল লেখার নিয়ম | কিভাবে আকর্ষনীয় ব্লগ পোস্ট/আর্টিকেল লিখবেন (Best Quality)
তো চলুন আর সময় নষ্ট না করে জেনে নেয়া যাক। দোকান ঘরের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
দোকান ঘরের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম
দোকানঘরের চুক্তিপত্র সম্পর্কে আমরা এখানে একটি নমুনা সংযুক্ত করেছি। যা অনুসরণ করে, আপনারা যে কোন দোকান ঘরের চুক্তিপত্র, দলিলের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারবেন।
তো চলুন জেনে নেয়া যাক। দোকান ঘরের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম। নমুনা সমূহ-
দোকান ঘর ভাড়া দেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই ৩০০ টাকা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র সম্পন্ন করতে হবে। তো ৩০০ টাকার স্ট্যাম্প হিসেবে আপনাকে একশ টাকা করে ৩ টি স্ট্যাম্প ব্যবহার করতে হবে।
“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম”
দোকান ঘর ভাড়ার চুক্তিপত্র
অগ্রিম জামানত (আপনার জামানার টাকার পরিমাণ কত এখানে লিখবেন) টাকা ফেরত যোগ্য
মাসিক ভাড়া (আপনাদের দোকান ভাড়া কত সেটি উল্লেখ করবেন)
দোকান ভাড়ার মেয়াদ (আপনার দোকান ঘর কত দিনের জন্য ভাড়া দিবেন সেটাই লিখবেন)
উপজেলার নামঃ …………………… জেলার নামঃ ………………………………..।
অন পেজ এসইও করে আর্টিকেল লেখার উপায়
উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী আপনারা প্রথম অংশ শেষ করবেন। তারপর মূল বিষয়ে শুরু করতে হবে। এখন প্রথম অংশটি মালিকপক্ষের তথ্য দিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। যেমন-
০১. দোকান ঘর মালিকের নাম …………………………………….. পিতার নাম ……………………….. মাতার নাম ……………………………….. পোস্ট ………………….. উপজেলা ………………………জেলা …………………………. ধর্ম- ইসলাম/ হিন্দু/ খ্রিষ্টান ইত্যাদি। জাতীয়া বাংলাদেশি, পেশা- ব্যবসা।
১ম পক্ষ (মালিক)
উপরের অংশটি সঠিকভাবে লেখা হয়ে গেলে, এখানে দ্বিতীয় অংশটি দোকান ঘর ভাড়াটিয়ার তথ্য সম্পন্ন করতে হবে। যেমন-
০২. দোকান ঘর ভাড়াটিয়ার নাম ……………………………………….. পিতার নাম ………………………………………… মাতার নাম ……………………….. পোস্ট ……………………. উপজেলা …………………………. জেলা ……………………………………ধর্ম- ইসলাম/ হিন্দু/ খ্রিষ্টান ইত্যাদি। জাতীয়া বাংলাদেশি, পেশা- ব্যবসা।
২য় পক্ষ (দোকান ঘর ভাড়াটিয়া)
প্রথম পক্ষ এবং দ্বিতীয় পক্ষের নাম ঠিকানা সম্পন্ন হয়ে গেলে, চুক্তিপত্র লেখার শুরু করতে হবে। যেমন-
পরম করুণাময় আল্লাহর নাম স্মরণ করিয়া অত্র দোকান ঘর ভাড়ার চুক্তিপত্র বয়ান শুরু করিতেছি। যেহেতু দোকানের মালিক তার মালিকানায় স্থাপন করার দোকান ঘর মাসিক ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব ঘোষণা করলে, দ্বিতীয় পক্ষ (দোকান ঘর ভাড়াটিয়া) চুক্তিপত্র সম্পাদন করিলাম।
- চাকরি ছেড়ে দেওয়ার দরখাস্ত (চাকরির রিজাইন লেটার বাংলা) লেখার নিয়ম
- কিভাবে একটি সিভি লিখতে হয় | সিভি (CV) লেখার নিয়ম
দোকান ঘর ভাড়ার শর্তাবলী
০১. দোকান ঘরের জামানত বাবদ দ্বিতীয় পক্ষ, প্রথম পক্ষকে নগদ ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা প্রদান করিলেন। যাচকদের মেয়াদ শেষে প্রথম পক্ষ (মালিক), দ্বিতীয় পক্ষকে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেবেন।
০২. দোকানঘর চুক্তির মেয়াদ শুরু হইতে দোকান ভাড়ার মেয়াদ ০২ বছর পর্যন্ত বলবত থাকবে। দোকান ঘর চুক্তির শেষে চুক্তিনামা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
০৩. দোকান ঘরের মাসিক ভাড়া ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা। যা প্রতি মাসের ১ তারিখ হতে ৭ তারিখের মধ্যে প্রদান করিতে হবে। প্রথম পক্ষকে দিয়ে ভাড়া প্রাপ্তির রশিদ বা খাতায় স্বাক্ষর করিয়া নিবেন।
এখন মনে করুন- একটি ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে লেখা সম্পন্ন হয়ে গেছে। আপনাকে অবশ্যই ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে মানে দ্বিতীয় স্ট্যাম্পে লেখা শুরু করতে হবে।
অপর পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য
পাতা – ২
০৪. দোকান ঘর ভাড়াটিয়া দ্বিতীয় পক্ষ দোকান ঘটে সব সময় ব্যবহার উপযোগী রাখবেন। আইনবিরোধী কোনো কার্যকলাপ এই দোকানে চালাতে পারবে না।
০৫. প্রতি মাসে ভাড়াটিয়া নিজ দায়িত্বে বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি বিল পরিশোধ করবেন। এই দোকান ঘরের বিদ্যুৎ বিল যথা সময় পরিশোধ না করলে। এবং সরকার কর্তৃক কোন রোগ জরিমানা হলে। বা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হইলে দ্বিতীয় পক্ষ নিজ ঘরে যে, তার সংযোজন করিবেন মানে জরিমানার টাকা পরিশোধ করবেন।
০৬. দ্বিতীয় পক্ষ (দোকান ঘর ভাড়াটিয়া) উল্লেখিত দোকান এর মেয়াদ শেষ হবার ০২ মাস আগে প্রথম পক্ষ মালিকের শহীদ আলোচনা করে ভাড়াটিয়া চুক্তিতে, আবদ্ধ হইবে।
মেয়াদন্তে দ্বিতীয় পক্ষ দোকান ঘর ভাড়াটিয়া দোকানের দখল সম্পন্ন দোষমুক্ত। অবস্থায় প্রথম পক্ষ মালিক এর বরাবর ছাড়িয়া দিতে বাধ্য থাকবে।
০৭. প্রথম পক্ষ (দোকান ঘর মালিক) নিজ প্রয়োজনে লিখিত নোটিশ করার পর দ্বিতীয় পক্ষ দোকান ঘর ভাড়াটিয়া তিন মাসের মধ্যে দোকান ছাড়িয়ে দিতে বাধ্য থাকবে।
দ্বিতীয় পক্ষ যদি নিজ ইচ্ছায় দোকান ঘর ছেড়ে দিতে চান। তবে প্রথম পক্ষ কে তিন মাস আগে লিখিতভাবে জানাতে হবে।
পাতা – ৩
এতদার্থে, আমরা অত্র দোকান ঘর ভাড়ার চুক্তিপত্রের শর্ত সমূহ নিজেরা পরিয়া। এবং অন্যদের দ্বারা পরাইয়া এই মর্ম ও ফলাফল ভালোভাবে বুঝিয়া স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞেনে সুস্থ মস্তিষ্কে। অন্যের বিনা প্ররোচনায় আমরা আমাদের নিজ নিজ নাম সাথী গনের মোকাবেলায় স্বাক্ষর করিলাম।
স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষর
০১. নাম ও স্বাক্ষর।
০২. নাম ও স্বাক্ষর।
০৩. নাম ও স্বাক্ষর।
১ম পক্ষ (দোকান ঘর মালিক) এর স্বাক্ষর এবং ২য় পক্ষ (দোকান ঘর ভাড়াটিয়া) এর স্বাক্ষর
শেষ কথাঃ
আপনারা যারা বিভিন্ন ব্যবসার জন্য দোকান ঘরের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম জানতে চান? তারা উপরোক্ত চুক্তিপত্র নমুনা অনুসরণ করে, যে কোন দোকানঘর ব্যবসার জন্য ভাড়া দিতে পারেন।
তো দোকান ঘরের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে, আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে। তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
জমির দলিল সম্পর্কে আরো অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে চাইলে, আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ধন্যবাদ।