চেক কি : চেক কত প্রকার ও কি কি এবং চেক লেখার নিয়ম সম্পর্কে। জানতে চাইলে, সঠিক একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন। আজ আমি চেক সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানানোর চেষ্টা করব।
বর্তমান সময়ে যারা ব্যাংক একাউন্ট ধারে রয়েছেন। তাদের সকলেরই চেক রয়েছে। তবে চেক কি ? এবং চেক কত প্রকার ও কি কি ? কিভাবে চেক লিখতে হয়। সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না।
এমন অনেক লোক রয়েছে, যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং চেক থাকা সত্বেও তারা নিজেরাই চেক লিখতে পারে না।
তো আপনি যদি চেক সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পেতে চান? তবে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
চেক কি ?
চেক হচ্ছে একটি আর্থিক নথি বা ডকুমেন্ট। চেক এর মাধ্যমে কোন ব্যক্তি তার নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্ট থেকে অন্য ব্যক্তি বা কোম্পানির একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা প্রদান এর আদেশ প্রদান করে থাকে।
যার কাছে অর্থ পাঠানোর আদেশ ব্যাংক কে দেওয়া হয়। সে ব্যক্তি বা কোম্পানির নামে একটি ইস্যু করতে বা লিখতে হয়।
- ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার ও কি কি (জেনেনিন এখানে)
- ডিপিএস কি ? কত ধরনের ডিপিএস আছে এবং এর সুবিধা গুলো কি ? (বিস্তারিত)
চেক এর মাধ্যমে প্রায় সকল ব্যাংকগুলো সুরক্ষিত নিরাপদ এবং সুবিধার জনক ভাবে টাকা লেনদেন সম্পূর্ণ করেন।
এটি একটি নিরাপদ বিকল্প হিসেবে কাজ করে থাকে। যেহেতু চেক ব্যবহার করে টাকা লেনদেন এর সময় হার্ড ক্যাশ এর ব্যবহার জড়িত থাকে না। তাই ক্ষতি বা টাকা চুরি হওয়ার ভয় অনেক কম।
চেক হচ্ছে ব্যাংকিং জগতের মেরুদন্ডের মত এখনো বাংলাদেশের অনেক মানুষ চেকের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে থাকেন। সাধারণত প্রতিটি চেক এর মাধ্যমে একটি করে চেক নম্বর বা কোড দেওয়া থাকে।
আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন যে, চেক মূলত কি।
চেক কত প্রকার ও কি কি ?
উপরে উল্লেখিত আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন যে, চেক কি। সে আলোচনার প্রেক্ষিতে আমি এখন আপনাকে জানাতে যাচ্ছি, চেক কত প্রকার ও কি কি।
আমাদের জানামতে একটি ব্যাংকে বিভিন্ন ধরনের চেক রয়েছে। কিন্তু কোন ভাবে চেক ব্যবহার করতে চান সেটি সম্পূর্ণভাবে।
আপনার এবং যে ব্যক্তি বা কোম্পানিকে আপনি টাকা পাঠাচ্ছেন তার ওপর গভীরভাবে নির্ভর করবে।
এজন্য আপনি হলেন চেক ড্রয়ী এবং যাকে টাকা পাঠাচ্ছেন তিনি হচ্ছেন payee. আর উক্ত প্রয়োজনীয় বিষয় গুলোর উপর ভিত্তি করে।
আমাদের বাংলাদেশ আমরা বিভিন্ন ধরনের চেক ব্যবহার করা দেখতে পারি।
আর সেই চেক গুলো কত প্রকার এবং কি কি সে বিষয়ে জানিয়ে দিচ্ছি।
যেমন-
01. বিয়ারার বা বহনকারী চেক
02. অর্ডার চেক
03. ক্রসড চেক
04. ওপেন চেক
05. পোস্ট ডেটেড চেক
06. স্টেল চেক
07. ট্রাভেলার্স চেক
08. সেলফ চেক
09. ব্যাঙ্কারের চেক
চেক লেখার নিয়ম
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ দেশে টাকা প্রদানের সবথেকে সাধারণ ব্যবস্থা গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চেক।
কিন্তু যোগের পরিবর্তন এর সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তির বিশাল অগ্রগতির জন্য, মানুষ ইলেকট্রনিক্স পদ্ধতির ব্যবহার করে, পেমেন্ট করাকে বেশি আগ্রহী বোধ করে।
তো বিশেষ করে, যারা নির্দিষ্ট কোন ব্যাংক এ অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছে টাকা লেনদেন করার জন্য তাদের অবশ্যই একটি করে চেক বই রয়েছে।
কিন্তু আমরা আগে বলেছি আমাদের মাঝে এমন অসংখ্য লোক রয়েছে। যারা কিভাবে চেক লেখতে হয় সে বিষয়ে জানেন না। আমি তাদের কথা চিন্তা করে এখানে চেক লেখার নিয়ম জানিয়ে দিচ্ছি।
চেক লেখার সঠিক নিয়ম
আপনি যদি সঠিকভাবে চেক না লিখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কিন্তু ব্যাংকের জমা দিলে আপনাকে টাকা উত্তোলন করতে দেয়া হবে না। তাই আজ আমি আপনাকে এখানে চেক লেখার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানাবো।
তো আপনি যদি চেক লেখার সঠিক নিয়ম জানতে চান। তাহলে নিজে দেওয়া পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন।
আপনারা সেই পদক্ষেপ গুলো সঠিকভাবে বুঝতে পারলে একটি মুহূর্তের মধ্যে সঠিকভাবে লিখতে পারবেন। আর ব্যাংকে জমা দিয়ে, কোন অভিযোগ না শুনে টাকা উত্তোলন করে নিতে পারবেন।
চেক লেখার সঠিক নিয়ম গুলো হচ্ছে-
- সঠিক ভাবে তারিখ লিখুন
- Payee বা প্রাপক এর নাম সঠিক ভাবে লিখুন
- টাকার পরিমাণ শব্দে এবং সংখ্যায় লিখুন
- চেকের সঠিক অংশে স্বাক্ষর দিন
- MICR ব্যান্ড এর উপর স্বাক্ষর করবেন না
- চেক লেখার সময় ওভাররাইট করবেন না
আপনি যদি সঠিকভাবে চেক লিখতে চান? তাহলে উপরে দেওয়া নিয়ম গুলো অনুসরণ করে, একটি চেক লিখতে হবে।
শেষ কথাঃ
বন্ধুরা আপনারা যারা বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংকে একাউন্ট করে থাকেন এবং চেক গ্রহণ করেন। টাকা আদান-প্রদান করার জন্য। সে ক্ষেত্রে টাকা উত্তোলন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে চেক জমা দিতে হবে।
আর চেক জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই সেটি সঠিকভাবে লিখতে হবে। আর কিভাবে আপনারা সঠিকভাবে চেক লিখবেন। সে নিয়ম আমরা উপরের আলোচনাতে জানিয়ে দিয়েছি।
আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পরে আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানাবেন।
এছাড়া আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন ব্যাংকিং পোস্ট পড়তে চাইলে, নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।