আমাদের দেশ যেভাবে ডিজিটাল হচ্ছে- সেরকম ভাবে অগ্রগতি হচ্ছে ব্যবসা। প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
আমরা জানি, প্রতিটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট হচ্ছে- ট্রেড লাইসেন্স।
যখন কোন ব্যক্তি ব্যবসা প্রথমে শুরু করে, তখন তার প্রয়োজন হয় ট্রেড লাইসেন্স এর। ব্যবসায়ীরা ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যখন আবেদন করে। তখন সরকার কর্তৃক ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করা হয়।
আমাদের জানা মতে, 1983 সালে প্রথম ট্রেড লাইসেন্স ব্যবহার প্রচলন শুরু হয়।
আপনি যদি এটি ব্যবসা পরিচালনা করতে চান? তাহলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে ট্রেড লাইসেন্স কিভাবে করবেন এবং ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য কি কি প্রয়োজন।
আমাদের চারপাশে অনেক ব্যবসায়ী দেখে থাকি। যারা ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনা করছে। তবে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে, কোন প্রকার ব্যবসায়ী জটিলতায় পড়লে আইনী কোন সহায়তা পাওয়া যায় না।
কারণ হলো- ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া সকল ব্যবসাকে রাষ্ট্র অবৈধ দাবি করে থাকে। আপনার ব্যবসাকে বৈধ করার জন্য, অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে। ট্রেড লাইসেন্স মানে হলো- আপনার ব্যবসাটি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত।
আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স কি? কিভাবে ট্রেডলাইসেন্স করতে হয়। এই সকল তথ্য আপনার সাথে শেয়ার করব।
তাই আমাদের লেখা শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়ুন।
ট্রেড লাইসেন্স কি? (What is trade license)
ট্রেড লাইসেন্স মানে হলো- কোন ব্যবসাকে সরকার কর্তৃক অনুমোদন দেওয়া। যদি কোন ব্যবসায় ট্রেড লাইসেন্স না থাকে তাহলে সেই ব্যবসা রাষ্ট্রীয় ভাবে অবৈধ দাবি করে।
ছোট ছোট ব্যবসা যেমন- কাঠ মিস্ত্রি, মুদি দোকান, পানের দোকান, পাই ফিডার ইত্যাদি ব্যবসা যে, গুলোতে কোন অফিস দরকার হয় না। সেগুলোতে ট্রে লাইন্সে না থাকলে তেমন বড় সমস্যা হয় না।
কিন্তু যদি কোন বড় কোম্পানি করতে চান? সেক্ষেত্রে আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখিন হবেন।
যদি নৈতিক দিক থেকে বেবেচনা করা হয়। নিজের ব্যবসার শত ভাগ বৈধতা নিশ্চিত করতে ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করে নেওয়া উচিত।
শুধু ব্যবসার বৈধতা না, ট্রেড লাইসেন্স আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের ভূমিকা রাখে।
যেমন- আপনি কখনও ব্যবসায়িক লেন-দেন গুলো নিজের পার্সোনাল ব্যাংক একাউন্ট দিয়ে করতে পারবেন না।
সে জন্য আপনাকে সিডি একাউন্ট, বা কারেন্ট একাউন্ট খুলতে হবে। যা আপনার ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া খোলা সম্ভব হবে না।
আপনি যদি উক্ত বিষয় অনুসরণ করে থাকেন। তাহলে আপনিও বুঝতে পারছেন, ট্রেড লাইসেন্স কি।
আরো দেখুনঃ
ট্রেড লাইসেন্স কেন করা উচিত?
বর্তমান সময়ে আপনি যেই ব্যবসা শুরু করেন না কেন। হতে পারে আপনার কোন না কোন সময় অনেক টাকা প্রয়োজন হচ্ছে।
সেই সময় ব্যাংক থেকে টাকা লোন নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।
তবে আপনি কোন ব্যবসার উদ্দেশ্যে ব্যাংক থেকে টাকা ঋণ নিলে আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স দেখাতে হবে।
তার কারণ আপনাকে শুরুতে ব্যাংক কে প্রমাণ দিতে হবে যে, আপনার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। এবং সেই ব্যবসা বৈধ যার জন্য আপনার ব্যাংক ঋণ নেওয়া দরকার।
আবার ব্যবাসার বৈধ্যতা প্রমাণ এর জন্য ট্রেডলাইসেন্স ছাড়া কোন উপায় নাই। তাছাড়া সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক গুলো ব্যবসায়ীদের জন্যে বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে।
আপনি তখন সেই সুযোগ গুলো ভোগ করতে পারবেন যখন আপনার কাছে ট্রেড লাইসেন্স থাকবে।
এছাড়া অনেক ব্যবসায়ী আছে যারা বাইরের দেশ থেকে পণ্য নিয়ে এসে বিক্রি করে। সে জন্য ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আপনার পণ্য বৈধ পথে আনতে পারবেন না।
আমদানি ও রপ্তানির সাথে জরিত সকল ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স থাকা প্রয়োজন। তা না হলে কোন সময় আইনী জটিলতাই পড়তে পারেন।
ট্রেড লাইসেন্স আপনার ব্যবসার মালিকানা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
ভবিষ্যতে মালিকানা জনিত কোন সমস্যার সম্মুখিন হলে আপনি ট্রেড লাইসেন্স এর মাধ্যমে সমাধান করতে পারবেন।
ট্রেড লাইসেন্স করে নিলে আপনি অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
ট্রেড লাইসেন্স কি কি সুবিধা দিবে ?
সকল দেশ চাই তাদের দেশে যেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি হয়। আমাদের দেশেও তার ব্যাতিক্রম না। বিভিন্ন তরুন উদ্যোক্তা ব্যবসা করতে চাইলে তাদের কাছে থাকে না উপযুক্ত ইনভেস্টমেন্ট।
তার জন্য সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুলো উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য ঋণ প্রদান করে থাকে।
উক্ত ঋণ পাওয়া জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স জমা দিতে হবে।
আপনি যদি বিদেশে ব্যবসা করতে চান। তাহরে আপনাকে কর নিয়ে বিভিন্ন ঝামেলা পোহাতে হবে। এবং পড়তে হবে আইনী জটিলতায়। এই সব থেকে বাচঁতে আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স এর বিকল্প নাই।
বিদেশ এর বাজারে যে কোন কিছু করতে আপনার ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হবে।
একটি ট্রেড লাইসেন্স থাকলে আপনার সহজেই যে কোন পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করতে পারবেন।
উক্ত ট্রেড লাইসেন্স আপনার ব্যবসার একটি পরিচয় হিসেবে বিবেচিত হবে। ব্যবসার মালিকানা নির্ধান করবে। যা আপনার ব্যবসার প্রতি আরো বেশি অনুপ্রেরিত ও মনযোগি করবে।
একটি ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্স থাকলে আপনি ব্যবসার জন্য টাকা ইনভেস্টার নিতে পারবেন। অনেক সময় অনেকের সাথে শেয়ারে ব্যবসা করতে চাইলে, ইনভেস্টার নেওয়া হয়।
এ সকল ক্ষেত্রে যদি আপনার একটি ট্রেড লাইসেন্স থাকে তাহলে ভবিষ্যতে জটিলতা সমাধান করতে পারবেন।
ট্রেড লাইসেন্সের খরচ কেমন?
আপনার ব্যবসার জন্য ট্রেডলাইসেন্স করার আগে আপনার খরচ কেমন হবে সেই বিষয়ে আইডিয়া নিতে হবে।
ট্রেড লাইসেন্স এর খরচ মূলত ব্যবসার ধরন হিসেবে নেওয়া হয়।
আপনি যদি ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এর অধিনে কোন ট্রেড লাইসেন্স করতে চান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে 500/- (পাঁচ শত) টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 50,000/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা পর্যন্ত।
আপনি যদি কোন লিমিটেড কোম্পানির মালিক হয়ে থাকেন। বা আপনার ব্যবসার দাম 1 লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়।
তাহলে প্রতি বছর আপনাকে 1500/- (এক হাজার পাঁচশত) টাকা ফি দিতে হবে ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য।
এছাড়া যদি 5 লক্ষ টাকার ব্যবসা হয় তাহলে 2000 (দুই হাজার) টাকা পর্যন্ত ফি দিতে হবে।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ ব্যবসা গুলোই যেহেতু অনলাইন ভিত্তিক বা ই-কমার্স। কিন্তু ই-কমার্স এর নতুন কোন ক্যাটাগরি নাই। তা সফটওয়্যার হিসেবে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে।
এর জন্য সরকারি চার্জ হলো 850-1700 টাকা হলেও মোটামুটি 4,000 হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে।
আপনি যদি ট্রেড লাইসেন্স এর বিষয়ে আরো ভালো ভাবে জানতে চান? তাহলে আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশন অফিসে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।
ট্রেড লাইসেন্স করতে কি কি লাগবে?
ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য আপনার কিছু ডকুমেন্ট লাগবে। তবে কি কি ডকুমেন্ট দরকার হবে, সেটি পুরোপুরি ভাবে আপনার ব্যবসার উপর নির্ভর করে।
তো চলুন ট্রেড লাইসেন্স করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক। যেমন-
প্রোপাইটরশিপ ব্যবসার জন্য যা লাগবে-
আপনি যদি প্রোপাইটরশিপ ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করতে চান? তাহলে আপনার দোকান ভাড়া চুক্তি পত্র এর এটি সত্যায়িত ফটোকপি লাগবে।
আর যদি নিজের দোকান হয়ে থাকে। তাহলে ইউটিলিটি বিল ও হালনাগাদ হোল্ডিং কর পরিশোধ এর একটি ফটোকপি লাগবে।
এবং জাতীয় পরিচয় পত্র, আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের 03 কপি রঙিন ছবি।
পার্টনারশিপ ব্যবসার জন্য যা লাগবে-
300 টাকা মূল্যের নন জুডিশিয়্যাল স্ট্যাম্পে অংশীদার চুক্তিপত্র।
দোকান ভাড়া চুক্তি পত্র এর একটি সত্যায়িত ফটোকপি। আর যদি নিজের দোকান হয়ে থাকে। তাহলে ইউটিলিটি বিল ও হালনাগাদ হোল্ডিং কর পরিশোধ এর একটি ফটোকপি লাগবে।
এবং জাতীয় পরিচয় পত্র, আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ০৩ কপি রঙিন ছবি।
কোম্পানির জন্য যা লাগবে-
কোম্পানির সার্টিফিকেট অফ ইন কর্পোরেশন। ম্যানেজিং ডিরেক্টর এর জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি ও ০৩ কপি ছবি। আর্টিকেল অফ এসোসিয়শেন ও মেমরেন্ডাম।
দোকান ভাড়া চুক্তি পত্র এর সত্যায়িত ফটোকপি। আর যদি নিজের দোকান হয়ে থাকে। তাহলে, ইউটিলিটি বিল ও হালনাগাদ হোল্ডিং কর পরিশোধ এর একটি ফটোকপি লাগবে।
কারখানার জন্য যা লাগবে-
আপনার যদি কারখানা ব্যবসা থাকে। তাহলে সেই ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করতে আপনার সাবমিট করতে হবে-
পরিবেশ ছাড় পত্র কপি, ফায়ার সার্ভিস এর ছাড় পত্র, পার্টনারসিপ, কোম্পানির ডকুমেন্ট, প্রভাইডারশিপ, কারখানা’র পাশ্ববর্তী অবস্থান বা স্থাপনার মালিকের অনাপত্তি নামা, কারখানার অবস্থান বিবরণ লোকাল ম্যাপ।
৩০০ টাকা মূ্ল্যের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প এ স্বাক্ষরিত ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, নিয়ম কানুন মেনে চলার অঙ্গীকার নামা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য যা লাগবে-
১৫০ টাকা মূল্যে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ডিসিসি’র নিয়ম কানুন মেনে চলার অঙ্গীকার নামা।
প্রতিষ্ঠানের অবস্থান মানচিত্র।
অগ্নিনির্বা প্রস্তুতি সংক্রান্ত প্রতায়ণ পত্র।
পরিবেশ সংক্রান্ত অনাপত্তি নামা।
প্রোপাইডারশিপ/পার্টনারশিপ/কোম্পানির ডকুমেন্টস।
পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি রঙিন ছবি।
কিভাবে ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন?
আমাদের মধ্যে অনেক লোক আছে। যারা মনে করে ট্রেড লাইসেন্স করতে অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু একটি একটি ভুল ধারণা।
আপনি যদি সঠিক উপায় জেনে ট্রেড লাইসেন্স করতে চান তাহলে সহজেই তৈরি করে নিতে পারবেন।
তাছাড়া বর্তমানে অনেক এজেন্সি রয়েছে। যারা ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করার সার্ভি দিয়ে থাকে। তাদের সহায়তা নিতে পারেন।
তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন।
আপনার ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করতে প্রথমে আপনি যে, জায়গায় ব্যবসা করবেন সেই জায়গার স্থানীয় সরকারের কোন অফিসের আওয়তায় পড়ে তা জেনে নিবেন।
তারপরে আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স এর ফরম ফিলাপ কতে হবে। ফরম ফিলাপ এর জন্য দেখবেন দুই ধরণের ফরম রয়েছে।
কে ফরম এবং আই ফরম। আপনার ব্যবসা যদি বড় হয় তাহলে কে ফরম আর ব্যবসা যদি ছোট হয় তাহলে আই ফরম নিতে হবে।
প্রতিটি ফরমের মূল্য 10 টাকা করে। আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যে অঞ্চলের আওতায় পড়েছে সেখানে স্থানীয় সরকার অফিস থেকে ফরম সংগ্রহ করে নিবেন।
তারপরে, আপনার ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য, দলিল ইত্যাদি জমা দিবেন।
তারপরে, আপনাকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য ফি ও ভ্যাট জমা দিতে হবে।
উক্ত তথ্য গুলোর পরে, এখন স্থানীয় সরকারের কোন অফিসার বা প্রতিনিধি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে পরিদর্শন করতে আসেবেন। আপনর প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য তিনি যাচাই করবেন।
উক্ত সকল তথ্য যদি সঠিক থাকে তাহলে আপনার ট্রেড লাইসেন্স দ্রুত পেয়ে যাবেন।
আরো পড়ুনঃ
- অনলাইন ব্যবসা কি? কিভাবে শুরু করব, লাভজনক অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া
- ই-কমার্স ব্যবসা করে ঘরে বসে অনলাইনে আয়
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা, আমাদের এই পোস্টে আপনি জানতে পারলেন, ট্রেড লাইসেন্স কি? কিভাবে ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হয় এই সম্পর্কে।
আমাদের লেখা আপনার কাছে ভালো লাগলে একটি শেয়ার করে দিবেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।