স্টোরেজ ডিভাইস কি ? স্টোরেজ ডিভাইস কত প্রকার

বর্তমান সময়ে আমরা যারা মোবাইল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করি তারা সকলেই স্টোরেজ ডিভাইসের সাথে পরিচিত।

এর কারণ আমাদের ব্যবহার করা এই সকল ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলোতে অবশ্যই স্টোরেজ ডিভাইস ব্যবহার করা হয। যে ডিভাইস এর মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় ডাটা গুলোকে সংরক্ষণ করতে পারি।

এছাড়া পরবর্তী সময়ে সেই সংরক্ষণ করা ডাটা গুলো আমরা আমাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে স্থানান্তর করতে পারি।

শুধু মাত্র ডাটা স্থানান্তর করার জন্যই নয় বরং এই সকল স্টোরেজ ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে আমাদের প্রয়োজনীয় ডাটা গুলোও স্থায়ী ও অস্থায়ী ভিত্তিতে সুরক্ষার সাথে সংরক্ষণ করতে পারি।

কিন্তু, আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছে যারা এখনো জানে না যে, স্টোরেজ ডিভাইস কি এবঙ স্টোরেজ ডিভাইস কত প্রকার।

সেই সকল মানুষদের উদ্দেশ্যে আমাদের এই পোস্টে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই শেষ পর্যন্ত আমাদের লেখা গুলো অনুসরণ করুন।

স্টোরেজ ডিভাইস কি ? স্টোরেজ ডিভাইস কত প্রকার
স্টোরেজ ডিভাইস কি ? স্টোরেজ ডিভাইস কত প্রকার

স্টোরেজ ডিভাইস কি ? What is storage device

আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে আপনাকে স্টোরেজ ডিভাইস এর বিষয়ে যাবতীয় তথ্য প্রদান করব। কিন্ত সবার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে স্টোরেজ ডিভাইস কি।

এই বিষয়ে জেনে নেওয়ার পরে আপনাকে পরবর্তী বিষয় গুলো অনসুরণ করতে হবে। তো চলুন প্রথমে জেনে নেওয়া যাক স্টোরেজ ডিভাইস কি?

স্টোরেজ ডিভাইস হলো এমন একটি ডিভাইস যেখানে আমাদের প্রয়োজনীয় সকল ডাটা গুলো স্টোর/ জমা করে রাখতে পারি।

মূলত এই বিশেষ ডিভাইস হলো কোন ইলেকট্রিক ডিভাইসের হার্ডওয়্যার এর কম্পনেন্ট। যা আমার আমাদের প্রয়োজনীয় ডাটা গুলো সংরক্ষণ করে রাখতে পারি।

উক্ত সংরক্ষিত ডাটা গুলোকে পরবর্তী সময়ে আমাদের কাজে ব্যবহার করার সুযোগ পায়। মূলত হার্ডওয়্যারে থাকা বিশেষ এই সকল কম্পনেন্ট কে বলা হয় স্টোরেজ ডিভাইস।

স্টোরেজ ডিভাইস কত প্রকার

স্টোরেজ ডিভাইস আসলে কি এই বিষয়ে আপনি উক্ত আলাচনা থেকে জেনে নিতে পারছেন। আমরা আশা করি এই বিষয়ে আপনি পরিষ্কার ধারণা নিতে পারছেন।

উক্ত বিষয় এর পাশাপাশি আপনাকে আরও অনেক বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আর সেটি হলো স্টোরেজ ডিভাইস কত প্রকার ও কি কি?

তো চলুন জেনে নেওয়া যাক স্টোরেজ ডিভাইস কত প্রকার ও কি কি প্রকারভেদ রয়েছে।

প্রথমেই বলে রাখি বর্তমান সময়ে আপনি দুই প্রকারের স্টোরেজ দেখতে পারবে যেমন-

  1. Primary storage device
  2. Secondary storage device

প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস

স্টোরেজ ডিভাইস এর প্রথম অংশ হলো প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস। আমাদের ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলোতে স্টোরেজ নামক একটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইল কম্পনেন্ট ব্যহার করা হয়।

এই সকল ডিভাইস এর মাধ্যমে আমাদের ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলোর ডাটা সংরক্ষণ হয়ে থাকে। এছাড়া এই ডাটা গুলো ততক্ষণ প্রসেসিং হতে থাকে যতক্ষণ আমাদের সেই ইলেট্রিক ডিভাইস গুলো চলমান থাকে।

মনে করুন- আপনার একটি মোবাইল ফোনের কথা। আমাদের সকলের কাছে মোবাইল ফোন আছে কিন্তু র‌্যাম ব্যবহার করা থাকে। এই র‌্যাম এর মাধ্যমে আমাদের প্রতিটি মোবাইল চলমান অবস্থায় ডাটা গুলো সংরক্ষণ করা হয়।

এছাড়া যখন আমাদের মোবাইল গুলো বন্ধ করে রাখা হয় ঠিক তার পরে কিন্তু উক্ত জমা করা ডাটা গুলো অটোমেটিক মুছে ফেলা হয়।

এই সকল স্টোরেজ ডিভাইস ‍গুলোকে বলা হয় প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস।

আরো দেখুনঃ

সেকেন্ডারী স্টোরেজ ডিভাইস

স্টোরেজ ডিভাইসের দ্বিতীয় যে, প্রকার আছে সেটি হলো সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস। প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস মোবাইল বা কম্পিউটার বন্ধ করার সাথে সাথে সংরক্ষণ করার ডাটা গুলোকে মুছে ফেলে না।

এই স্টোরেজ ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার সংরক্ষণ করা ডাটা গুলো কে দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখা যায়।

মনে করুন- আপনার মেমোরি কার্ড। আমরা আমাদের মোবাইলে যে সকল মেমোরি কার্ড ব্যবহার করি, সেই সকল মেমোরি কার্ড গুলোতে প্রয়োজনীয় ডাটা গুলো সেভ করে রাখা যায়।

এই ডাটা গুলো আমরা তোতদিন পর্যন্ত জমা করে রাখতে পারব যত দিন আমাদের ইচ্ছা হবে। এই সকল তথ্য জমা করার মতো স্টোরেজ ডিভাইস গুলোকে বলা হয় সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস।

স্টোরেজ ডিভাইস এর কাজ কি ?

উপরিউক্ত আলোচনাতে স্টোরেজ ডিভাইস কি এবং কত প্রকার সেই বিষয়ে জেনে নিতে পারলেন। উক্ত বিষয় জানার পরে এখন আপনার মনে হতে পারে যে, স্টোরেজ ডিভাইস এর কাজ কি।

আপনি কম্পিউটার ব্যবহার করছেন কিন্তু মোবাইল ব্যবহার করছেন সেটি বড় কথা না। আপনার হাতে থাকা ইলেকট্রিক ডিভাইস এর জন্য অবশ্যই স্টোরেজ ডিভাইস প্রয়োজন হয়।

তার কারণ আপনি যদি সেই ডিভাইসে স্টোরেজ ডিভাইস না থাকে তাহলে কিন্তু আপনর ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলো সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারবেন না।

মনে করুন- আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনের এখানে যদি র‌্যাম না থাকতো তবে কিন্তু আপনি সেই মোবাইল দিযে তত বেশি কাজ করতে পারতেন না।

এছাড়া মেমোরি কার্ড এর কথা বলা হলে আজকের দিনে মেমোরি কার্ড না থাকলে আপনার প্রয়োজনীয় ডাটা গুলোক দীর্ঘস্থায়ী ভাবে জমা করে রাখতে পারতেন না।

উক্ত ডিভাইস গুলোর মূল কাজ হচ্ছে আপনার ডিভাইসে থাকা বিভিন্ন প্রকার ডাটা কে দীর্ঘস্থায়ী সময়ের জন্য জমা করে রাখা।

এই কাজের জন্য মূলত বর্তমান সময়ে ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলোতে অনেক ধরণের স্টোরেজ ডিভাইস ব্যবহার করা হয়।

কম্পিউটার এর প্রধান স্টোরেজ ডিভাইস কোনটি?

কম্পিউটার ডিভাইসে যে হার্ডডিস্ক নামক ডিভাইস ব্যবহার করা হয় তাকে এবং দীর্ঘস্থায়ী মেমোরি হিসেবে প্রতিটি কম্পিউটার র‌্যাম ব্যবহা করা হয়। এগুলোকেই মূলত কম্পিউটার এর প্রধান স্টোরেজ ডিভাইস বলা হয়।

মেমোরি এবং স্টোরেজ ডিভাইসের পার্থক্য কি?

মেমোরি এবং স্টোরেজ ডিভাইস উভয়ই ডাকা সেভ করতে ব্যবহা রকরা হয়। তার বিভিন্ন উপায়েকাজ করে থাকে। একটি মেমোরি ডিভাইস অস্থায়ী ভাবে ডাকা সংরক্ষণ করে যখন একটি স্টোরেজ ডিভাইস স্থায়ী ভাবে ডাটা সংরক্ষণ ক রে।

মেমোরি ডিভাইস গুলো সাধারণত স্টোরেজ ডিভাইস এর তুলনায় দ্রুত তবে তারা শুধু মাত্র সীমিত সময়ের জন্য ডাটা সেভ করে রাখতে পারে।

স্টোরেজ ডিভাইস মেমোরি ডিভাইস এর তুলনায় ধীর তবে তারা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ডারা সংরক্ষণ করে রাখতে পারে।

স্টোরেজ ডিভাইস দুই ধরণের আছে যেমন- প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্টোরেজ ডিভাইস। প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইস গুলো অস্থায়ী ভাবে ডাটা সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

আর যখন সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস গুলো ব্যবহার করা হয় তখন স্থায়ী ভাবে ডাকা সংরক্ষণ করে রাখে।

মেমোরি হচ্ছে এক ধরণের প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইস। যখন ডার্ডড্রাইভ হলো এক ধরণের সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস।

মেমোরি দুই ভাবে বিভক্ত- র‌্যাম ও রোম। র‌্যাম হলেঅ র‌্যান্ডম এক্সেস মেমোরি এবং এটি এমন একটি ডাটা সংরক্ষণ করতে ব্যবহার করা হয় যা দ্রুত এক্সেস করা যায়।

রোম মানে শুধু মাত্র পঠনযোগ্য মেমোরি, এটি এমন ডাটা সংরক্ষণ করতে ব্যবহার করা হয় যা পরিবর্তন করা যায় না।

র‌্যাম তিন ধরণের রয়েছে- SRAM, DRAM, SDRAM- SRAM হচ্ছে সব থেকে ব্যয়বহুল ও দ্রুততম প্রকার এর র‌্যাম যখন DRAM হচ্ছে সব থেকে সাধারণ ও সবথেকে কম ব্যয় বহুল প্রকার এর র‌্যাম।

SDRAM হচ্ছে এক ধরণের র‌্যাম যা SRAM ও DRAM এর মধ্যে গতি ও খরচের দিক থেকেও আলাদা।

উক্ত বিষয় অনুসরণ করলে আপনি স্টোরেজ ডিভাই ও মেমোরির মধ্যে সঠিক পার্থক্য জেনে নিতে পারছেন।

আরো পড়ুনঃ

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আমাদের এই পোস্টে আপনাকে জানানো হলো স্টোরেজ ডিভাইস কি? স্টোরেজ ডিভাইস কত প্রকার ও কি কি?

আমাদের উক্ত আলোচনা ফলো করলে আপনি স্টোরেজ ডিভাইস সম্পর্কে সঠিক তথ্য গ্রহণ করতে পারছেন।

আমাদের পোস্ট আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন। আর আমাদের সাইট থেকে নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে চাইলে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top