ইমু হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় : বর্তমানে সারা বিশ্বে imo ব্যবহারকারী রয়েছে ২০০ মিলিয়নেরও বেশি। আর এই ইমু ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে দেখা গেছে imo ইউজারের সংখ্যা সব থেকে বেশি বাংলাদেশ এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে।
সে অনুযায়ী বলা যায় এশিয়া মহাদেশের মধ্যে ইমো ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি। ইমো অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি imo হ্যাক হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে।
সেজন্য অনেকেই গুগল সার্চ করে জানতে চায় ইমু হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি প্রস্তুত করা হয়েছে, ইমু হ্যাক হওয়ার লক্ষণ কিভাবে জানা যায়। এবং কিভাবে ইমু হ্যাক থেকে বাঁচা যায়।
আপনি যদি এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে চান? তাহলে আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
বর্তমান সময়ে, ইমু ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণ বিদেশ প্রবাসীদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আত্মীয়-স্বজনরা অপেক্ষা করে থাকে।
কারণ খুব সহজেই ভিডিও কলে, অডিও কলে ইমুতে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।
এজন্যেই বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতে ইমো অ্যাপসের জনপ্রিয়তা অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনেকেই বিদেশ প্রবাসী হয়ে নিজের দেশের আত্মীয়-স্বজন, বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন বিশ্বাস করে, স্ত্রী, গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে ইমুতে কথা বলতে পারে।
এ যোগাযোগের মাধ্যম, অনেকেই দুর্নীতি করে, হ্যাক করে ফেলেন। ইমু হ্যাক করার পর বিভিন্ন মানুষের কাছে হাজার হাজার টাকা হাতিয়া নেয়। যা বর্তমান সময়ে মানুষের অনেক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমার পরিচিত অনেক মানুষ তাদের imo হ্যাক হওয়ার বিষয়ে বুঝছেন। তাই ইমো হ্যাক থেকে আপনাকে অবশ্যই সুরক্ষিত থাকতে হবে। তা না হলে বুঝতেই পারছেন বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার সৃষ্টি হবে।
ইমু কিভাবে হ্যাক করে ?
ইমো অ্যাপস এর মত আরও একটি ইমু বেটা নামে অ্যাপস আছে। যার মাধ্যমে মূলত ইমু হ্যাক করা হয়। যখন একটি ইমু একাউন্ট অরজিনাল অ্যাপে লগইন করা হয়।
তখন অন্য কোন মানুষ ইমু বেটা অ্যাপ ডাউনলোড করে, সেখানে লগইন করার চেষ্টা করলে, সেই ইমো একাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টা করছে।
সেখানে একটি অটিপি কোড চলে আসবে। এবং সেই ওটিপি কোড আপনি যদি কোন ব্যক্তিকে বলে দেন তাহলে imo হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
আপনি যে নাম্বারে ইমু একাউন্ট খুলেছেন সেই নাম্বারে যদি কোন অটিপি কোড আসে আপনার মোবাইলে। আপনি যদি সেই কোড অন্য কাউকে শেয়ার করেন তাহলে আপনার ইমু একাউন্ট হ্যাক হয়ে যাবে।
এজন্য অবশ্যই আপনার পরিচিত কোন ব্যক্তি এবং কেউ যদি এভাবে আপনার ওটিপি কোড নিতে চাই তাহলে কখনোই তাকে দিবেন না।
ভেরিফাই কোড ছাড়া ইমো কিভাবে হ্যাক করে
ইমু ব্যবহার করতে হলে আপনাকে অবশ্যই একটি সিমের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। সেখানে একটি ভেরিফাই কোড পাঠানো হয় সেই কোড যুক্ত করলে আপনি ইমো ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়া ইমু হ্যাক করতে হলে কোড ছাড়া কোন উপায় নেই। ইমো নাম্বারে একটি কলের মাধ্যমে কোড পাঠানো হয় সেই কলের মাধ্যমে যে কোড পাওয়া যাবে সেই কোড ব্যবহার করলে ইমু হ্যাক হবে।
তাই বলা যায় ভেরিফাই কোড ছাড়া ইমো হ্যাক করা এই কথাটি কখনোই সঠিক নয়। প্রতিটি ইমু একাউন্টের জন্য আলাদা আলাদা নাম্বার ব্যবহার করা হয়।
সে নাম্বারে একই কোড পাঠানো হয়। যার মাধ্যমে, ইমু একাউন্ট লগইন করা যায়। আপনি যদি সেই কোড দ্বিতীয় কাউকে শেয়ার করেন তাহলে ইমো হ্যাক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যায়।
তাই ইমুতে আশা ওটিপি কোড আপনার পরিচিত অপরিচিত কাউকে শেয়ার করবেন না।
ইমু একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয় ?
এখন আপনাকে জানাবো ইমু একাউন্ট হ্যাক হলে করনীয় কি? আপনারা যখন বুঝতে পারবেন। যে আপনার ইমু একাউন্ট হ্যাক হয়েছে।
তখন দ্রুত আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে ম্যানেজ একাউন্টে চলে যাবেন। এবং সেখানে গিয়ে দেখতে পারবেন, আপনার একাউন্টে কোন কোন মোবাইলে লগইন করা রয়েছে।
যে যে মোবাইলে আপনার ইমু একাউন্ট লগইন করা রয়েছে। সেখান থেকে আপনি সব মোবাইল থেকে রিমুভ করে দিতে পারবেন।
আপনি যদি দেখতে পারেন, অন্য কোন মোবাইলের নাম আপনার মোবাইল ছাড়া সংযুক্ত রয়েছে। সরাসরি আপনারা সেই একাউন্ট ডিলিট করে দিবেন। তারপর মোবাইল ফোনটি চেঞ্জ করে ফেলবেন।
এছাড়া আবার নতুনভাবে পাসওয়ার্ড দিবেন। এখন ইমুতে নতুন ভাবে পাসওয়ার্ড দেওয়া যায়। জিমেইল একাউন্ট এর মত টু স্টেপ ভেরিফিকেশন সিস্টেম চালু করা যায়।
টু স্টেপ ভেরিফিকেশন কোড বসিয়ে রাখলে অন্য কেউ আপনার ইমু লগইন করতে পারবে না। আর অন্য কোন মোবাইলে যদি ইমু লগইন হয়ে থাকে সেটিও logout হয়ে যাবে। আর নিশ্চিন্তে আপনার ইমু একাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।
ইমু (Imo) হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়
Imo হ্যাক থেকে বাঁচার জন্য আপনি কখনোই আপনার পার্সোনাল পাসওয়ার্ড এবং অটিপি কোড, কল এর মাধ্যমে, বা এসএমএস এর মাধ্যমে পাওয়ার পর কখনোই অন্য কাউকে জানাবেন না।
আপনি যদি ওটিপি কোড অন্য কাউকে দিয়ে দেন। সে ক্ষেত্রে ইমু একাউন্ট কিন্তু অন্য কারো হয়ে যাবে সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে।
ইমু হ্যাক থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে প্রতিনিয়ত ম্যানেজ অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখতে হবে আপনি যদি সেখানে গিয়ে দেখতে পারেন।
আপনার অ্যাকাউন্ট কতজন ব্যবহার করছে, সেখান থেকে আপনি ইমু একাউন্ট ম্যানেজ করতে পারবেন।
এছাড়া আপনি অন্য কোন মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ইমু পাসওয়ার্ড স্ট্রং ভাবে দেয়ার চেষ্টা করবেন। মাঝেমধ্যে মোবাইল নাম্বার চেঞ্জ করবেন এবং পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করবেন, তাহলে ইমু হ্যাক থেকে বাঁচতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
আশা করি আপনারা উপরোক্ত আলোচনা অনুসরণ করে বুঝতে পারছেন imo হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি? আপনার ইমু ব্যবহার করার সময়, সব সময় নজর রাখবেন। ইমুতে আশা ওটিপি কোড যাতে কেউ না জানতে পারে।
আর ইমু হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে, আপনার যদি আর কোন প্রশ্ন থাকে, অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন ধন্যবাদ।